ঘরে থেকেও দুআ করা যায়। কিন্তু কবরস্থানে গেলে একটি ভিন্নতর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। রসূলুল্লাহ (সা) নিজে কবর জিয়ারত করেছেন এবং তাঁর উম্মতকে উৎসাহ দিয়েছেন। গতকাল ছোট ভাই লুলু ও ভাইপো আকিবসহ গিয়েছিলাম। সেখানে আব্বা ও বিলালের কবরের নিকট কিছুক্ষণ দাঁড়ানোর পর রাস্তায় এসে কিবলামুখি হয়ে আল্লাহর দরবারে আমার আব্বা ও বিলালসহ কবরবাসীর জন্য দুআ করলাম।
এই কবরস্থানে আমার দাদী, চাচা-ফুফু, ভগ্নিপতি ছফিরসহ আমাদের অনেক আত্মীয়-স্বজন ও পরিচিত জন রয়েছে। একদিন তাঁরাও এই দুনিয়ায় বিচরণ করেছেন এবং পরিবার ও সমাজের জন্য নিজেকে অপরিহার্য ভেবেছেন। কিন্তু এখন সবাই তাদেরকে ভুলতে বসেছে। আমার আব্বার কবরে ঘাস জমে গেছে, এটিই স্বাভাবিক। আব্বার বিতরণকৃত ইলম, তাঁর হাতে গড়া জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান এবং আমরা সন্তানরাই তাঁর পুঁজি। হে আল্লাহ! আমার আব্বা ও বিলালসহ কবরবাসী সকলকে তুমি ক্ষমা করো।
কবরস্থানের কবরবাসী যেন আমাদেরকে বলে, হে জিয়ারতকারী! আমরা একদিন পরিবারের জন্য অপরিহার্য ছিলাম যেমনটি তোমরা এখন মনে করো। হ্যাঁ, তোমরা পরিবার ও সমাজের প্রতি যত্নশীল হবে, কিন্তু অবশ্যই ন্যায়পথে। তাদের কারণে তুমি নিজেকে বরবাদ করো না, ধ্বংস করো না। কেউ তোমার অপকর্মের দায় নেবে না। আর তুমি তোমার পরিবার ও সমাজের জন্য অপরিহার্যও নও। অপরিহার্য কেবল আল্লাহ।
দুনিয়ার প্রতি আসক্তি কমিয়ে আখিরাতের প্রতি আসক্তি বাড়াও। আল্লাহকেই নিজ ও পরিবারের জন্য অপরিহার্য ভাবো। তাঁর সাথেই সম্পর্ক নিবিড় করো। প্রকৃতপক্ষে বান্দার জন্য তিনিই সর্বোত্তম অভিভাবক ও শ্রেষ্ঠতম আশ্রয়। ৩০.০১.২০২১
ইসলাম ও সমসাময়িক বিষয়ে ব্যক্তিগত ব্লগ
Comments
Post a Comment