ইদানিং পর্দাহীনতা প্রকট রূপ নিয়েছে। লিফটে উঠতে বা বিকেলে হাঁটতে পাঁচজন নারীর দেখা মিললে চারজন পাওয়া যাবে পর্দাহীন ও একজন পর্দানশিন। পুরুষও কম না। দেখা যাবে রাস্তার ধারে জুটি হয়ে বসে আছে। একজন পুরুষ ও অপরজন নারী। পর্দার অনুভূতিই লোপ পেয়েছে।
পর্দা নারী-পুরুষ উভয়ের হলেও (আল্লাহপাক উভয়কেই দৃষ্টি নত রাখতে বলেছেন) পুরুষ অপেক্ষা নারীর সতর অনেক বিস্তৃত। জাহিলিয়াতের এই যুগে নারী অন্তত তার সতর আবৃত করে রাখলেও প্রশংসার যোগ্য ও ফরজিয়াত আদায় হতে পারে। দুর্ভাগ্য! পর্দাহীন যাদের বলছি এরা সবাই সতর অনাবৃত রাখে এবং অনেক সময় তাদেরকে প্যান্ট-সার্ট পরে চলতে দেখা যায়। রসুল (সা) পুরুষকে নারীর ও নারীকে পুরুষের পোশাক পরিধান করাকে অভিশাপ প্রদান করেছেন।
অনেক সময় মনে হয় পর্দানশিন নারীকে বলি আপনি/তুমি জান্নাতি এবং পর্দাহীন নারীকে বলি জাহান্নামি। না, এমন কথা বলতে পারি না বা কেহই পারে না। তবে মিরাজের রাতে রসুলুল্লাহ (সা)-কে জান্নাত-জাহান্নাম দেখানো হয়। তিনি লক্ষ্য করেন সেখানে অধিকাংশই নারী এবং পর্দাহীনতা তার অন্যতম কারণ। কিছু নারীকে দেখেন, জাহান্নামে চুল বেঁধে লটকিয়ে শাস্তি দেয়া হচ্ছে। কারণ জানতে চাইলে ফেরেশতারা বলেন, এরা দুনিয়ায় খোলা মাথায় চলাফেরা করেছে।
জাহিলিয়াতের এই সময়ে আশা করা যায় পর্দানশিন নারীকে আল্লাহপাক ক্ষমা করে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। স্রোতের বিপরিত পর্দা মেনে চলা তাদের পক্ষেই সম্ভব যারা আল্লাহ ও পরকালকে ভয় করে। আমার বিশ্বাস, জান্নাতে যাওয়ার জন্য অল্প আমলই যথেষ্ট। অল্প আমল বলতে ফরজ-ওয়াজিব ও হারাম-হালাল মেনে চলাকে বোঝাচ্ছি। পর্দা মানা ফরজ এবং এব্যাপারে কারো মধ্যে কোনো সন্দেহ-সংশয় নেই। পর্দার ফরজিয়াতের ব্যাপারে মাজহাবগত কোনো বিরোধও নেই।
আমি লিখেছি, পর্দানশিন নারী আল্লাহতায়ালার বড় নেয়ামত। হ্যাঁ, সত্যিই নেয়ামত। পর্দাহীন নারীর অভিভাবককে (স্বামী/পিতা/ভাই) হাদিসে দায়ূস বলা হয়েছে। রসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন, দায়ূস জান্নাতের ঘ্রাণও পাবে না। নামাজি ব্যক্তির স্ত্রী/কন্যা পর্দা না মানলে তার নামাজ বেহেশতের চাবি হিসেবে ব্যবহৃত হওয়া বড় শক্ত।
আল্লাহপাক তাঁর বিধান মেনে চলার তৌফিক আমাদের দান করুন।
ইসলাম ও সমসাময়িক বিষয়ে ব্যক্তিগত ব্লগ
Comments
Post a Comment