Skip to main content

উপলব্ধির আছে

গতকাল একটি পার্ক থেকে ফেরার পথে আমরা হোটেল খোঁজ করছি। সবেমাত্র জুমুআর নামায শেষ হয়েছে। প্রচন্ড ভীড়, জ্যামে গাড়ি আর চলে না। আমার কোলে বসা আমার নাতি আহমাদ পাশের দোকানে খেয়াল করে। সে সেখানে থামতে বলে। ভীড়ের কারণে আমরা না থেমে অগ্রসর হই। কিন্তু সে বারবার পেছনে ফিরে আসতে বলে। আমরা এক হোটেলের সম্মুখে নেমে ভেতরে চলে যাই। তার একই কথা, এখানে না পেছনে। কান্নাকাটি শুরু করে দেয়। চিপস নেবে। আমি সাথে করে দোতালা থেকে নেমে দোকানে নিয়ে যাই। চিপস বলতে আমি বুঝেছি দশ টাকা দামে দোকানের সামনে যা ঝুলানো থাকে তাই। কিন্তু না, এ দোকান সে দোকান ঘুরে একটি বড় দোকানের সামনে গিয়ে কর্মচারীকে বললাম, দেখতো কী চায়? নাতি আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলে সে উপর থেকে পেড়ে দিয়ে বললো,চিপস। দাম জিজ্ঞেস করলে সে বললো, ২২০/- টাকা। এতো দাম কেন? বলে, বিদেশি। প্রশ্ন হলো, একটি বাচ্চা তার অভিভাবকের কাছ থেকে তার চাওয়া পূরণ করেই ছাড়লো। নাছোড়বান্দা হয়ে কান্নাকাটি করে আদায় করলো। আমাদেরও তো অভিভাবক রয়েছে। তাঁর তুলনায় আমরা তো খুবই ছোট, একেবারেই নগণ্য। আমাদের অভিভাবকের ভান্ডার অফুরন্ত এবং শিশুর পিতা-মাতা বা অভিভাবকের তুলনায় আমার অভিভাবক লক্ষ কোটি গুণ উদার ও দরদী। আমরাও তাঁর কাছে চাইতে পারি। শিশুর মতো নাছোড়বান্দা হয়ে কান্নাকাটি করে চাইতে পারি। না পাওয়ার কোনো কারণই নেই। সত্যিই, আমরা বড় দুর্ভাগা। আমরা আমাদের রবের কাছে চাই না, তাঁকে অনুভব করি না, তাঁর বড়ত্ব ও দানশীলতা উপলব্ধি করি। তিনি দিতে চান। তিনি যে দিতে চান তা নিজেই ব্যক্ত করেছেন। আসুন, আমরা আল্লাহর কাছে শিশুর আকুতি নিয়ে চাই। চলতে ফিরতে চাই, নামাযে চাই, রাঁতের আঁধারে চাই, কান্নাকাটি করে চাই, আল্লাহ দেবেন-এই বিশ্বাস নিয়ে চাই। তাঁর কাছে হেদায়াত চাই, গুনাহর ক্ষমা চাই, জাহান্নাম থেকে বাঁচতে চাই ও জান্নাত চাই। হে রব! তুমি আমাদের হেফাজত করো ও রহম করো।

Comments