Skip to main content

Posts

Showing posts from February, 2021

মুসলমান সাম্প্রদায়িক নন আবার ইসলামের দুশমন মুসলমানের বন্ধু নন

জুমার খুতবা ২৬.০২.২০২১ বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম মাল্টিপ্ল্যান রেডক্রিসেন্ট সিটি (কুশিয়ারা, পদ্মা ও সুরমা ভবন), মিরপুর জামে মসজিদের সম্মানিত ইমাম ও খতিব হাফেজ মাওলানা আহমাদুল্লাহ সাঈফ আল্লাহর হামদ ও রসুলুল্লাহ (সা)-এর ওপর দরুদ পাঠের পর আজকের খুতবায় ইমানের ওপর ধারাবাহিক আলোচনার অংশ হিসেবে সুরা আলে ইমরানের ১১৮-১২০ আয়াত উদ্ধৃত করে বলেন, আপনজন অর্থাৎ নিজ জামায়াতের (মুসলমানদের) বাইরে অমুসলিমদের অন্তরঙ্গ বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করতে আল্লাহপাক স্পষ্ট নিষেধ করেছেন। এরা সুযোগ পেলেই মুসলমানদের ক্ষতি করবে। মুসলমান তাদের ভালোবাসলেও তারা কখনো মুসলমানদের প্রতি ভালোবাসা পোষণ করে না। এখানে কথাগুলো মদিনার ইহুদিদের প্রসঙ্গে বলা হলেও সকল কুফুরি শক্তি ইসলামের শত্রুতায় একাট্টা। ফলে তাদের থেকে সতর্ক থাকতে আল্লাহ নির্দেশ করেছেন। মুসলমান সকল নবি-রসুলকে (ইবরাহিম (আ), মুসা (আ), ইসা (আ)সহ সকলকে) বিশ্বাস করে এবং সবার প্রতি ভক্তি-শ্রদ্ধা-ভালোবাসা পোষণ করে। কিন্তু আহলে কিতাব (ইহুদি, খ্রীষ্টান) ও মুশরিকরা মুহাম্মদ (সা)-কে কখনই মানে না। তারা প্রকাশ্যে যতটুকু ইসলামের বিরোধিতা করে তার চেয়ে অনেক বেশি অন্তরে হিংসা ও বিদ্...

নিজেকে নিয়ে একটু ভাবুন!

আপনি সরকারি/কোম্পানির একজন কর্মচারী। অফিসে হাজিরা দেন না বা কোনো নির্দেশনা মানেন না। এমতাবস্থায় আপনার চাকুরি থাকা বা বেতন-ভাতা প্রাপ্তি কি আদৌ সম্ভব? পরস্পরের প্রতি দায়িত্ব পালন না করলে বা আপনার স্ত্রী আদেশ পালনে প্রতিনিয়তই অবহেলা করলে আপনাদের স্বামী-স্ত্রীর (চুক্তি) সম্পর্ক কি বজায় থাকবে? এই যদি সত্য হয় (অর্থাৎ চাকুরি না থাকা বা স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ভেঙ্গে পড়া) তাহলে প্রতিনিয়ত আল্লাহর হুকুম অমান্য করার (হতে পারে নামায না পড়া বা পর্দা না মানা বা সুদ-ঘুষ থেকে বিরত না হওয়া) পরিণতিতে কি আপনি আর আল্লাহর বান্দা থাকতে পারেন বা আপনার পক্ষে জান্নাতের প্রত্যাশা করা আদৌ সম্ভব? হ্যাঁ, আপনি নাস্তিক হলে আমার কোনো কথা নেই। প্রতিনিয়তই মৃত্যু দেখছেন। করোনাকালে একটু বেশিই অনুভব করছেন এবং ইতোমধ্যেই মৃত্যু ২৫ লক্ষ ছেড়ে গেছে। পৃথিবীতে আপনার জীবনটা খুবই স্বল্পস্থায়ী এবং এখান থেকে চলে যাওয়ার পর আর কখনই ফিরে আসবেন না। ফলে ভুল সংশোধনের কোনো সুযোগ থাকবে না। তাই অপেক্ষা না করে আল্লাহর কাছে দ্রুত ফিরে (তাওবা) ফিরে আসুন। বেঁচে থাকতেই সুযোগ। আল্লাহপাক তাঁর বান্দাকে ক্ষমা করার জন্য প্রস্তুত হয়ে আছেন। হে আল্...

পর্দানশিন নারী আল্লাহতায়ালার নেয়ামত

ইদানিং পর্দাহীনতা প্রকট রূপ নিয়েছে। লিফটে উঠতে বা বিকেলে হাঁটতে পাঁচজন নারীর দেখা মিললে চারজন পাওয়া যাবে পর্দাহীন ও একজন পর্দানশিন। পুরুষও কম না। দেখা যাবে রাস্তার ধারে জুটি হয়ে বসে আছে। একজন পুরুষ ও অপরজন নারী। পর্দার অনুভূতিই লোপ পেয়েছে। পর্দা নারী-পুরুষ উভয়ের হলেও (আল্লাহপাক উভয়কেই দৃষ্টি নত রাখতে বলেছেন) পুরুষ অপেক্ষা নারীর সতর অনেক বিস্তৃত। জাহিলিয়াতের এই যুগে নারী অন্তত তার সতর আবৃত করে রাখলেও প্রশংসার যোগ্য ও ফরজিয়াত আদায় হতে পারে। দুর্ভাগ্য! পর্দাহীন যাদের বলছি এরা সবাই সতর অনাবৃত রাখে এবং অনেক সময় তাদেরকে প্যান্ট-সার্ট পরে চলতে দেখা যায়। রসুল (সা) পুরুষকে নারীর ও নারীকে পুরুষের পোশাক পরিধান করাকে অভিশাপ প্রদান করেছেন। অনেক সময় মনে হয় পর্দানশিন নারীকে বলি আপনি/তুমি জান্নাতি এবং পর্দাহীন নারীকে বলি জাহান্নামি। না, এমন কথা বলতে পারি না বা কেহই পারে না। তবে মিরাজের রাতে রসুলুল্লাহ (সা)-কে জান্নাত-জাহান্নাম দেখানো হয়। তিনি লক্ষ্য করেন সেখানে অধিকাংশই নারী এবং পর্দাহীনতা তার অন্যতম কারণ। কিছু নারীকে দেখেন, জাহান্নামে চুল বেঁধে লটকিয়ে শাস্তি দেয়া হচ্ছে। কারণ জানতে চাইলে ফেরেশতারা ব...

দোয়া মাসুরা

দোয়া মাসুরা বাংলা উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি জালামতু নাফসি জুলমান কাসিরাওঁ ওয়ালা ইয়াগ ফিরুজ জুনুবা ইল্লা আন্তা; ফাগফির লি মাগফিরাতাম মিন ইন্দিকা ওয়ার হামনি ইন্নাকা আন্তাল গফুরুর রহিম। বাংলা অর্থ : হে আল্লাহ্‌! আমি আমার নিজ আত্মার উপর বড়ই জুলুম করেছি, গুনাহ ক্ষমাকারী একমাত্র তুমিই; অতএব তুমি আপনা থেকে আমাকে সম্পূর্ণ ক্ষমা করো এবং আমার প্রতি দয়া করো। নিশ্চয়ই তুমি ক্ষমাশীল ও দয়ালু। আমাদের মসজিদে ইমাম সাহেব কয়েকদিন ধরে মসক করাচ্ছেন ও সাথে অর্থও বলছেন। আলহামদু লিল্লাহ। রসুলুল্লাহ (সা) আমাদেরকে নামাযের মধ্যেই দোয়া শিখিয়েছেন। সুরা ফাতিহাও দোয়া এবং সর্বোত্তম দোয়া। প্রতি নামাজে ও প্রতি রাকাতে পড়তে হয়। এ ছাড়াও দুই সেজদার মাঝখানে দোয়া, সেজদায় গিয়ে দোয়া ও সালাম ফেরানোর আগেও দোয়া করা যায়। আল্লাহর রসুল (সা)-এর শেখানো দোয়াকে যথেষ্ট মনে না করে নামায শেষে আবার আলাদা মোনাজাতের প্রচলন। তেমনি জানাযার নামাযে দোয়া রয়েছে, সেখানেও আলাদা মোনাজাত। সবই অতিরঞ্জিত। ইবাদতে অতিরঞ্জন সমর্থনযোগ্য নয়। নামাজ শেষে আয়াতুল কুরসি পাঠ, বিভিন্ন তাসবিহ পাঠ, সূরা ফালাক ও নাছ পড়ার উল্লেখ হাদিসে রয়েছে। নতুন উদ্ভ...

সুরা আল কাহ্ফ

সুরা আল কাহ্ফ [সুরা কাহ্ফ একটি ফজিলতপূর্ণ সূরা। বিশেষ করে শুক্রবারে সুরা কাহ্ফ পাঠ সম্পর্কে হাদিসে উল্লেখ পাওয়া যায়। একটি দীর্ঘ সুরায় বর্ণিত বিষয়গুলো অতি সংক্ষেপে এখানে উল্লেখ করা হয়েছে। আগ্রহী হলে একবার পাঠ করা যায়।] মক্কায় অবতীর্ণ। রুকু সংখ্যা ১২ এবং আয়াত ১১০ নামকরণ : প্রথম রুকুর দশম আয়াতে উল্লেখিত কাহ্ফ শব্দকেই নাম হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। নাযিলের সময়কাল : মক্কী যুগের সুরাগুলো নাজিলের সঠিক সময় অর্থাৎ সন তারিখ জানা বেশ কঠিন। বরং সুরাগুলোয় উল্লেখিত বিষয়াবলীর আলোকে কোন্ অধ্যায়ে নাজিল হয়েছে তা উপলব্ধি করা যায়। দাওয়াতের প্রতিক্রিয়া হিসেবে কোনো কোনো তাফসিরকারক রসুল (সা)-এর মক্কীজীবনকে চারটি অধ্যায়ে ভাগ করেছেন। নবুওয়াত লাভের পর প্রথম তিনটি বছর গোপন দাওয়াত দানের সময়। আত্মীয়-স্বজন ও পরিচিত বন্ধু-বান্ধবের কাছে সে সময়ে দাওয়াত প্রদান করা হয়। পরবর্তী দুই বছর প্রকাশ্য দাওয়াত যার ফলশ্রুতিতে নানা অপপ্রচার, নিন্দাবাদ ও তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা হয়। তখনও শারীরিক নিপীড়ন-নির্যাতন তেমন শুরু হয়নি। তৃতীয় অধ্যায়ে (৫ম নববী বছর থেকে দশম বছর) শুরু হয় প্রচন্ড বিরোধীতা, জুলুম-নির্যাতন, আবিসিনিয়ায় হিজরত ও সামা...

বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে করণীয় ও বর্জনীয়

একজন মুসলিম হিসেবে ভালোবাসা পাওয়ার প্রথম হকদার হলেন আমার আল্লাহ এবং তাঁর প্রেরিত রসূল মুহাম্মদ (সা)। এরপর আমার পিতা-মাতা, স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি, আত্মীয়-স্বজন এবং আল্লাহর সকল বান্দাহ ও তাঁর সৃষ্টিকূল। ভালোবাসা প্রকাশের মানদন্ড হলো ‘যে আল্লাহরই জন্য কাউকে ভালোবাসলো এবং আল্লাহরই জন্য কারো সঙ্গে শত্রুতা করলো সে তার ঈমান পূর্ণ করলো’। নিশ্চয়ই প্রেমিক-প্রেমিকার মাঝে যে ভালোবাসা তা আল্লাহর জন্য নয়। আল্লাহর জন্য তখনই হবে যখন আল্লাহর নির্ধারিত সীমারেখা লঙ্ঘন না করে পরস্পরকে ভালোবাসবে। একজন নারী ও পুরুষের মাঝে ভালোবাসা থাকতেই পারে এবং সেটি প্রকাশের নিয়ম হলো উভয় অভিভাবকের সম্মতিতে পরস্পর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া। বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া ছাড়া পরস্পর মিলিত হওয়া, ঘুরে বেড়ানো, গল্প-গুজব, উপঢৌকন আদান-প্রদান ও একত্রে আপ্যায়নের কোনো সুযোগ নেই। ইসলামে পর্দার বিধান ফরজ (অলঙ্ঘনীয়)। যাদের সাথে বিয়ে নিষিদ্ধ তাদের ছাড়া অন্য কারো সাথে পর্দা ব্যতীত দেখা-সাক্ষাত, কথা-বার্তা বলা, উঢৌকন আদান-প্রদান কোনো কিছুই সম্ভব নয়। কিন্তু ভালোবাসা দিবসে আমরা কী দেখি? অশ্লীলতা ও বেয়াপনার সয়লাব বয়ে চলে। সেজেগুজে তরুণ-তরুণীর পার্...

ইসলামে নর ও নারীর পারস্পরিক সম্পর্ক

আল্লাহপাকের অপূর্ব সৃষ্টি! প্রতিটি জীবকে তিনি জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেছেন। সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র দৈহিক কাঠামো, কণ্ঠস্বর, রুচি, মন-মানসিকতা ও ঝোঁক-প্রবণতা ইত্যাদি বিষয়ে পৃথকভাবে সৃষ্টি করা হলেও উভয়ের মধ্যে স্রষ্টা দিয়ে রেখেছেন এক তীব্র আকর্ষণ। নর ও নারী পরস্পরের শত্রু বা প্রতিদ্বন্দি নয় বরং পরিপূরক। দুই-এ মিলেই পূর্ণতা। বিবাহের মাধ্যমে নর-নারীর মধ্যে সৃষ্টি হয় স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক। আদিকাল থেকেই নর-নারীর এই বৈবাহিক সম্পর্ক অত্যন্ত পবিত্র হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে এবং এর বাইরে একত্র জীবন-যাপন (লিভ টুগেদার) অত্যন্ত নোংরা, ঘৃণ্য ও অপরাধ হিসেবে সকল ধর্মে স্বীকৃত। নর ও নারীর সৃষ্টিগত দৈহিক গঠন ও চিন্তা-চেতনায় পার্থক্যের কারণে তাদের কর্মক্ষেত্রও পৃথক হওয়া বাঞ্ছনীয়। প্রাকৃতিক নিয়মে একজন পুরুষকে শক্তিশালী এবং কঠোর শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রম করার উপযোগী করা হয়েছে। পক্ষান্তরে নারীকে সৃষ্টি করা হয়েছে কমল প্রকৃতিতে এবং তার মাঝে দয়া-মায়া ঢেলে দেয়া হয়েছে। সন্তান জন্মদান ও লালন-পালনের জন্য যা যা প্রয়োজন একজন নারীর মাঝে তা পূর্ণমাত্রায় দান করা হয়েছে। মানবসভ্যতার টিকে থাকা নির্ভর করে নারীর সন্তান ধারণ, জন্...

কুরআনের পাঠ (সূরা হুজুরাত)

কয়েকদিন সূরা হুজুরাত পড়লাম। এই সূরায় মু’মিনদেরকে আচরণ শেখানো হচ্ছে। (১-৩) কখনই আল্লাহ ও তাঁর রসূলের (সা) অগ্রগামী হওয়া যাবে না। ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্র সর্বত্র অনুগামী হয়ে চলতে হবে। যে কোনো কাজের ক্ষেত্রে সর্বাগ্যে দেখতে হবে আল্লাহ ও তাঁর রসূল (সা)-এর হুকুম কী? কথা বলার সময় আওয়াজ অবশ্যই রসূল (সা) অপেক্ষা নীচু হতে হবে। এখনো তাঁর নাম উচ্চারিত হলে বা হাদিস পাঠ করা হলে অবশ্য নীরবতা অবলম্বন করতে হবে এবং ভক্তি-শ্রদ্ধা প্রকাশে যাতে বিঘ্ন না ঘটে সেজন্য সতর্ক থাকতে হবে। সমাজে মানুষের যতো সম্মানই থাকুক না (পিতা-মাতা, শাসক, নেতা-নেত্রী, মুরুব্বী) তা কখনই রসূলের (সা) সম্মানের সাথে তুলনীয় নয়। অন্যান্যদের ক্ষেত্রে বড়জোর বেয়াদবী বা গুনাহ হবে কিন্তু রসূলের (সা) সাথে সামান্য বেয়াদবী ঈমানহারা হয়ে যাবে অর্থাৎ সকল আমল বরবাদ হয়ে যাবে। যাদের আওয়াজ নিম্নগামী হয় অর্থাৎ রসূল (সা)-এর প্রতি মুহাব্বত প্রকাশ পায় তাদের জন্য রয়েছে আল্লাহর ক্ষমা ও পুরস্কার। (৪-৫) নবী (সা)-এর মাধ্যমে শেখানো হচ্ছে বিশিষ্ট ব্যক্তিকে ডাকার ক্ষেত্রে ভদ্রতা হলো তাঁর বেরিয়ে আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করা। তাঁদের অনেক ব্যস্ততা রয়েছে এবং বিশ্রাম...

উপলব্ধির আছে

গতকাল একটি পার্ক থেকে ফেরার পথে আমরা হোটেল খোঁজ করছি। সবেমাত্র জুমুআর নামায শেষ হয়েছে। প্রচন্ড ভীড়, জ্যামে গাড়ি আর চলে না। আমার কোলে বসা আমার নাতি আহমাদ পাশের দোকানে খেয়াল করে। সে সেখানে থামতে বলে। ভীড়ের কারণে আমরা না থেমে অগ্রসর হই। কিন্তু সে বারবার পেছনে ফিরে আসতে বলে। আমরা এক হোটেলের সম্মুখে নেমে ভেতরে চলে যাই। তার একই কথা, এখানে না পেছনে। কান্নাকাটি শুরু করে দেয়। চিপস নেবে। আমি সাথে করে দোতালা থেকে নেমে দোকানে নিয়ে যাই। চিপস বলতে আমি বুঝেছি দশ টাকা দামে দোকানের সামনে যা ঝুলানো থাকে তাই। কিন্তু না, এ দোকান সে দোকান ঘুরে একটি বড় দোকানের সামনে গিয়ে কর্মচারীকে বললাম, দেখতো কী চায়? নাতি আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলে সে উপর থেকে পেড়ে দিয়ে বললো,চিপস। দাম জিজ্ঞেস করলে সে বললো, ২২০/- টাকা। এতো দাম কেন? বলে, বিদেশি। প্রশ্ন হলো, একটি বাচ্চা তার অভিভাবকের কাছ থেকে তার চাওয়া পূরণ করেই ছাড়লো। নাছোড়বান্দা হয়ে কান্নাকাটি করে আদায় করলো। আমাদেরও তো অভিভাবক রয়েছে। তাঁর তুলনায় আমরা তো খুবই ছোট, একেবারেই নগণ্য। আমাদের অভিভাবকের ভান্ডার অফুরন্ত এবং শিশুর পিতা-মাতা বা অভিভাবকের তুলনায় আমার অভিভাবক লক্ষ কোটি গ...

কবর জিয়ারত

ঘরে থেকেও দুআ করা যায়। কিন্তু কবরস্থানে গেলে একটি ভিন্নতর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। রসূলুল্লাহ (সা) নিজে কবর জিয়ারত করেছেন এবং তাঁর উম্মতকে উৎসাহ দিয়েছেন। গতকাল ছোট ভাই লুলু ও ভাইপো আকিবসহ গিয়েছিলাম। সেখানে আব্বা ও বিলালের কবরের নিকট কিছুক্ষণ দাঁড়ানোর পর রাস্তায় এসে কিবলামুখি হয়ে আল্লাহর দরবারে আমার আব্বা ও বিলালসহ কবরবাসীর জন্য দুআ করলাম। এই কবরস্থানে আমার দাদী, চাচা-ফুফু, ভগ্নিপতি ছফিরসহ আমাদের অনেক আত্মীয়-স্বজন ও পরিচিত জন রয়েছে। একদিন তাঁরাও এই দুনিয়ায় বিচরণ করেছেন এবং পরিবার ও সমাজের জন্য নিজেকে অপরিহার্য ভেবেছেন। কিন্তু এখন সবাই তাদেরকে ভুলতে বসেছে। আমার আব্বার কবরে ঘাস জমে গেছে, এটিই স্বাভাবিক। আব্বার বিতরণকৃত ইলম, তাঁর হাতে গড়া জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান এবং আমরা সন্তানরাই তাঁর পুঁজি। হে আল্লাহ! আমার আব্বা ও বিলালসহ কবরবাসী সকলকে তুমি ক্ষমা করো। কবরস্থানের কবরবাসী যেন আমাদেরকে বলে, হে জিয়ারতকারী! আমরা একদিন পরিবারের জন্য অপরিহার্য ছিলাম যেমনটি তোমরা এখন মনে করো। হ্যাঁ, তোমরা পরিবার ও সমাজের প্রতি যত্নশীল হবে, কিন্তু অবশ্যই ন্যায়পথে। তাদের কারণে তুমি নিজেকে বরবাদ করো না, ধ্বংস করো না...

আপনি জানেন কি?

আপনার স্বামী/স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি একটি পরীক্ষা। আপনাকে তাদের ব্যাপারে দায়িত্বশীল করা হয়েছে। দায়িত্বের ব্যাপারে কিয়ামতের দিন আপনাকে অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে। আপনার উপার্জন হালাল না হলে তারা কেউ দায় গ্রহণ করবে না, যদিও আপনি তাদেরকে সন্তুষ্ট করার লক্ষ্যেই অবৈধ উপার্জনের দিকে হাত বাড়িয়েছেন। বিপদের দিন সবাই আপনার থেকে পালাবে এবং বলবে, আমরা কখনই হারাম পথে চলার জন্য বলিনি। জান্নাতে স্বামী/স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততিসহ একত্রে বসবাস করতে হলে সৎ কাজে সবাইকে পরস্পর সহযোগী হতে হবে। আসুন, আমরা দুআ করি, আল্লাহপাক যেন আমাদের স্বামী/স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততিকে চোখ শীতলকারী বানিয়ে দেন।

আমার বিশ্বাস

একজন মুসলিম হিসেবে আমি বিশ্বাস করি- আল্লাহপাক আমাকে ক্ষমা করবেন ও জান্নাত দান করবেন। এই বিশ্বাসের কারণেই আমি প্রতিনিয়ত আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই ও বিনয়াবনত হই। আমি তাঁর নাফরমানি থেকে দূরে থাকি ও সর্বদা অনুগত হয়ে চলার চেষ্টা করি এবং ফরজ ইবাদতসমূহ পালনে কখনো শৈথিল্য করি না। আমি এটিইও জানি, তাওবাকারীকে আল্লাহ পছন্দ করেন। তাই বারবার তাঁরই কাছে ফিরে আসি। আমি জানি, অতীতের গুনাহের জন্য আল্লাহ তাঁর বান্দাকে হতাশ হতে না করেছেন। তাই আমি বিনয়ী কিন্তু হতাশ নই। আমি আরো জানি, আল্লাহ ক্ষমাকারী বান্দাকে পছন্দ করেন। তাই আমিও মানুষকে ক্ষমা করতে পছন্দ করি। আমি স্পষ্ট জানি, আল্লাহ জালেমকে কখনই পছন্দ করেন না। তাই মানুষের প্রতি জুলুমকে আমি ঘৃণা করি। আমার জানার শেষ নেই। তন্মধ্যে জানি, নিম্নরূপ অপরাধসমূহ একজন মুসলিম কখনই করতে পারে না- ১. মিথ্যা বলতে ২. ওয়াদা-প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করতে ৩. আমানতে খেয়ানত করতে ৪. অশ্লীল ভাষায় তর্ক-বিতর্ক করতে ৫. গীবৎ করতে ৬. মানুষ কষ্ট পায়, এমন সকল কথা-কর্ম ও ঘুষ-দুর্নীতি করতে হে আল্লাহ! তুমি আমার মৃত্যুকে একজন মুসলিম (অনুগত) অবস্থায় দান করো। আমিন।