Skip to main content

Posts

Showing posts from 2019

সূরা মাউন দারস- নামকরণ, ব্যাখ্যা ও শিক্ষা

সূরা মাউনের দারস- নামকরণ, ব্যাখ্যা ও শিক্ষা ঈমানের ক্ষেত্রে আখিরাতের প্রতি বিশ্বাস (তাওহীদ, রেসালাত ও আখিরাত) একটি মৌলিক বিষয় এবং সমস্ত অন্যায়-অপকর্ম থেকে দূরে থাকার বড় উপায়। আল্লাহপাক সমগ্র কুরআন মজিদে বিশেষ করে আমপারার সূরাগুলোয় বিভিন্ন ভঙ্গিতে আখিরাতের বিষয়টি উপস্থাপন করেছেন। কাফিরদের বড় আপত্তি ছিল আখিরাতে বিশ্বাসের প্রতি। মানুষ মারা যাবে, মাটির সাথে মিশে যাবে এবং আবার জীবিত হয়ে তাকে দুনিয়ার কৃত-কর্মের হিসাব দিতে হবে-এ ব্যাপারে তাদের ছিল ঘোর আপত্তি। আল্লাহর জবাব ছিল- তোমাদের প্রথমে সৃষ্টি করা যদি সম্ভব হয় তবে কেন পুনরায় সৃষ্টি কঠিন হবে? মানুষের অসংখ্য নৈতিক ত্রুটির মঝে নমুনাস্বরূপ দু’টি অপরাধ (ইয়াতিমের সাথে দুর্ব্যাবহার ও মিসকিনের খাবার দিতে উদ্বুদ্ধ না করা) উল্লেখ করে বলেছেন, আখিরাতের প্রতি অবিশ্বাসই তাদের চরিত্রের মাঝে এই ত্রুটি। তাঁর ভাষায়- ‘তুমি কি তাকে দেখেছো যে কিয়ামতের বদলাকে (পরকাল) মিথ্যা মনে করে? সে তো সেই লোক যে ইয়াতিমকে ধাক্কা দেয় ও মিসকিনের খাবার দিতে উৎসাহিত করে না’। এ জাতীয় চরিত্রের অধিকারীরা যে পরকাল বিশ্বাস করে সেটা আল্লাহপাক মনে করেন না। এবারে আমরা আসি, যারা সম...

যে আমল রসুল (সা) সমর্থিত নয় তা পরিত্যজ্য

আজ কাঁঠালবাগ জামে মসজিদে জু ’ মার খুতবায় সম্মানিত খতিব আলহাজ্ব মাওলানা মাহমুদুল হাসান আশরাফী আল্লাহর হামদ ও রসুল (সা)-এর প্রতি দরুদ ও সালাম পেশের পর রবিউল আউয়াল মাসে সীরাতুন্ নবী (সা) নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি কুরআনের আয়াত উদ্ধৃত করে বলেন, আমাদের প্রিয়তম নবী মুহাম্মদ (সা) ছিলেন আল্লাহর পক্ষ থেকে সমগ্র জগৎবাসীর জন্য রহমত। তিনি কোনো বিশেষ এলাকা, গোষ্ঠী বা গোত্র বা বিশেষ সময়ের নবী ছিলেন না। তাঁর আগমনের পর থেকে কিয়ামত পর্যন্ত ধর্ম, বর্ণ, ভাষা সকলের জন্য নবী ও রসুল। আর কোনো নবীর আগমন ঘটবে না। শুধু মানুষ নন, সকল সৃষ্টির তিনি নবী। আল্লাহপাকের ভাষায় তিনি ছিলেন ভয় প্রদর্শনকারী ও সুসংবাদদাতা। মুহাম্মদ (সা) ছিলেন সমগ্র সৃষ্টির সেরা, রসুলদের নেতা সাইয়্যেদুল মুরসালিন। তাঁর উম্মত হতে পারায় আমরা গর্বিত, আমরা আনন্দিত, আমরা মহাখুশি। এই আনন্দ ও খুশি প্রকাশ করতে হবে অবশ্যই রসুল (সা) ও তাঁর সাহাবায়ে কেরামের পন্থানুসারে। আমাদের সমাজে যেভাবে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা) পালিত হয় তা রসুল (সা), সাহাবায়ে কেরাম (রা), তাবেয়ী ও তাবে তাবেয়ী কোনো যুগেই ছিল না বরং রসুল (সা)-এর মৃত্যুর ৬০০ বছর পর শুরু হয়েছে। বর্তমা...

সদাচরণ

গোসাইপাড়া আল নূর খোরশেদিয়া জামে মসজিদে আজ জুমা আদায় করলাম। গ্রামের মসজিদগুলোয় মুসল্লীদের উপস্থিতি বেশ বিলম্বে হয়। আগে আসার ফজিলত বর্ণনা করে বললাম, আগে আসলে উট, গরু, ছাগল, মুরগি কুরবানী করার ছওয়াব পাওয়া যায় এবং খতিব মহোদয় মিম্বরে উঠার সাথে সাথে ফেরেশতারা ছওয়াব লেখা বন্ধ করে খুতবা শোনা শুরু করে। তাই সবার উচিৎ, জুমার দিন ঈদের দিনের মতো সকাল সকাল গোসল করে উত্তম কাপড় পরিধান করে মসজিদে উপস্থিত হওয়া। সদাচরণ ইসলামে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং কুরআন-হাদিস আলোচনা করলে দেখা যাবে সকল ছওয়াব সদাচরণের মধ্যেই রয়েছে। ইসলামের প্রাথমিক অবস্থায় নামায-রোযা ছিল না। তাওহিদ, রেসালাত ও আখিরাতে বিশ্বাসের পাশাপাশি মানুষকে সদাচরণ শিক্ষা দেয়া হয়েছে। সূরা হুমাযায় আল্লাহপাক বলেন, 'নিশ্চিত ধ্বংস তাদের জন্য যারা মানুষকে সামনা-সামনি গালাগাল ও পেছনে দোষ প্রচার করে'। মানুষকে হেয় করা, অপমান করা কতো বড়ো অপরাধ এই আয়াতে তা উপলব্ধি করা যায়। একটু গালাগাল করলে যদি ধ্বংস নিশ্চিত হয় তাহলে মানুষকে চড়-থাপ্পড় মারা, আহত করা বা হত্যা করা কতো বড়ো অপরাধ তা সহজেই উপলব্ধি করা যায়। একজন মানুষকে হত্যা করা সমগ্র মানব...

সদাচরণে প্রিয়তম নবী (সা)

মানবপ্রকৃতিতে যা ভালো ও কল্যাণকর এমন সকল গুণের সমাবেশ ঘটেছিল আমাদের প্রিয়তম নবী মুহাম্মাদুর রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সালামের জীবনে। সততা, বিশ্বস্ততা, আমানতদারিতা, ওয়াদা-প্রতিশ্রুতি পালনসহ সকল সৎ গুণের অধিকারী ছিলেন তিনি। আল্লাহপাক নিজেই সাক্ষ্য দিয়েছেন, ‘নিসন্দেহে তুমি মহান চরিত্রের ওপর প্রতিষ্ঠিত’-সূরা ক্বালাম ৪। আরব জাহিলিয়াতে জন্ম ও বেড়ে ওঠার পরেও তিনি মিথ্যা, ধোঁকা-প্রতারণা, অশ্লীলতা-বেয়াপনা, আমানতে খেয়ানত, প্রতিশ্রুতিভঙ্গ, মানুষকে গালি দেয়া বা কষ্ট দেয়া এমন সব ধরনের অন্যায় ও নীতিবিবর্জিত কর্ম থেকে ছিলেন অনেক দূরে। তাইতো নবী হওয়ার পূর্ব থেকেই তিনি তাঁর জাতির কাছ থেকে পরিচিতি পেয়েছিলেন আল-আমিন ও আস-সাদিক হিসেবে। তাঁর রেসালাতের দাবী অগ্রাহ্য হলে তাঁকে ধর্মত্যাগী, যাদুকর, কবি নানাভাবে উত্যক্ত ও নিপীড়ন-নির্যাতন করা হয়েছিল; কিন্তু তাঁর চরিত্রের ওপর আঘাত অর্থাৎ মিথ্যাবাদী, ধোঁকাবাজ, প্রতারক কেউ বলতে পারেনি। আরবের কঠিন পরিস্থিতিতে যেখানে সম্ভাবনার ক্ষীণ সম্ভাবনাও দৃষ্টিগোচর হচ্ছিল না সেই সময়ে তাঁর দাওয়াতে সাড়া দেয়ার অন্যতম কারণ হলো কুরআনের অলৌকিক ক্ষমতা এবং কুরআনের ধারক...

আখিরাতে বিশ্বাস মানুষকে অপরাধমুক্ত করে

মারামারি, খুনোখুনি মানব সমাজের সূচনালগ্ন থেকে চলে আসছে। আদিপিতা হযরত আদম (আ)-এর এক ছেলে অপর ছেলেকে হত্যার মধ্য দিয়ে মূলত নরহত্যার সূচনা এবং তা অব্যাহত রয়েছে। সমাজে হানাহানি, রক্তারক্তি কখনো বাড়ে আবার কখনো কমে। দেশে আইনের শাসন বলবৎ থাকলে তা কমে এবং মারামারি-খুনোখুনি বাড়লে সবাই বলে দেশে আইন-শৃঙ্খলা ভেঙ্গে পড়েছে। তখন সবাই দাবী করে আইনের কঠোর ও নিরপেক্ষ প্রয়োগের যাতে সমাজে কেউ অপরাধ করার সাহস না পায়। বর্তমানে সারা বিশ্বেই আইন-শৃঙ্খলার ক্রমাবনতি লক্ষ্য করা যায়। তবে আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশে জননিরাপত্তা বর্তমানে বড় হুমকির সম্মুখীন। রসুল (সা)-এর আগমনের পূর্বে আরবের সমাজটা ছিল অন্ধকারাচ্ছন্ন। মানুষের জান-মালের কোন নিরাপত্তা ছিল না। চুরি-ডাকাতি-ছিনতাই, অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায় এবং খুন-যখম ছিল নিত্যনৈমিত্তিক। তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে একে অপরের প্রাণ হরণ করতে একটুও দ্বিধা করতো না। অনেক সময় তাদের মাঝে মারামারি ও যুদ্ধ-বিগ্রহ বংশ পরম্পরা চলতো। এ ছাড়া মানবীয় সকল সৎ গুণাবলী তারা হারিয়ে ফেলেছিল। সমাজে সুখ-শান্তি ও নিরাপত্তা বলতে কিছুই ছিল না। সবচেয়ে বড় অবহেলিত ও নির্যাতিত ছিল নারী সমাজ ও দাসশ্রেণি। এমন...

হজ্জের গুরুত্ব

আজ ধানমন্ডি তাকওয়া মসজিদে জু'মার খুতবায় সম্মানিত খতিব আলহাজ্ব মাওলানা মুফতি সাইফুল ইসলাম প্রথমে আল্লাহর হামদ ও রসুল (সা)-এর উপর দরুদ ও সালাম পেশ করেন এবং আল্লাহর ঘরে হাজিরা দেয়ার তাওফিক ও ইসলামের মত নেয়ামত দান করার জন্য আল্লাহপাকের শুকরিয়া আদায় করে পড়েন আলহামদু লিল্লাহ। চরম নৈতিক অধপতন ও দেশে খুন-খারাবি বৃদ্ধি প্রসঙ্গে তিনি বলেন শিশু থেকে আশি বছরের বৃদ্ধা পর্যন্ত পাশবিকতার শিকার হচ্ছে, তুচ্ছ কারণে মানুষ খুন হচ্ছে এবং সম্প্রতি বরগুনায় প্রকাশ্যে ও বিরাট সংখ্যক মানুষের উপস্থিতে স্ত্রীর সামনে তার স্বামীকে নৃশংসভাবে হত্যা করা আমাদের চরম নৈতিক অধপতনেরই প্রমাণ বহন করে। মানুষ দাঁড়িয়ে দেখেছে কিন্তু কেউ সাহস করে এগিয়ে আসেনি। আমি-আপনি এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হলে ভিন্নতর কিছু ঘটবে না। এই অশান্তি শুধু আমাদের দেশেই নয়, এ অশান্তি এখন বিশ্বব্যাপী। শান্তি পেতে হলে ইসলামেই ফিরে আসতে হবে। সমাজে শান্তি পারতিষ্ঠার জন্য মটিভিশনের পাশাপাশি ইসলামের দন্ডবিধি প্রয়োগের কোন বিকল্প নেই। আল্লাহতায়ালা কিসাসের বিধান জারি করেছেন এবং বলেছেন এতেই রয়েছে তোমাদের প্রাণ। ইসলামের এ শাস্তি প্রকাশ্য এবং তা দ...

দাওয়াতে দ্বীন ও তার প্রতিক্রিয়া

বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম আল্লাহর পক্ষ থেকে যত নবী-রসুল এসেছেন সবারই দাওয়াতের বিষয় ছিল এক ও অভিন্ন এবং সেটাকে আমরা কালিমা তাইয়্যেবা হিসেবে জানি- লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ (আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই)। ব্যাখ্যাস্বরূপ বলা যায়- আ ’ নিই বুদুল্লাহ ওয়াজ তানিবুত তা ’ গুত (আল্লাহর আনুগত্য করো এবং তা ’ গুতকে অস্বীকার করে)। কালিমার মাঝে একটি নেতিবাচক দিক রয়েছে- আল্লাহর মোকাবেলায় সবাইকে অস্বীকার করার ঘোষণা। আমাদের প্রিয়তম নবী মুহাম্মদ (সা)-ও একই বিষয়ে দাওয়াত প্রদান করেছেন। কোন সম্প্রদায় বা জাতির সর্বোত্তম ব্যক্তিকেই আল্লাহপাক তাদের জন্য নবী হিসেবে মনোনীত করেন। মুহাম্মদ (সা)-ও ব্যতিক্রম ছিলেন না। তিনি ছিলেন তাঁর জাতির মঝে সবচেয়ে সৎ, চরিত্রবান, বিশ্বস্ত ও গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি। মানবচরিত্রের সকল সৎ গুণের সমাবেশ তাঁর মাঝে ঘটেছিল। তাঁর জাতির লোকেরা তাঁকে আল-আমিন, আস-সাদিক হিসেবে জানতো এবং তিনি ছিলেন তাদের আমানতদার, পরামর্শদাতা ও বিবাদ-বিসংবাদের মিমাংসাকারী। জাতির বিরুদ্ধাচরণের কোন প্রমাণ তাঁর মাঝে ছিল না। মুহাম্মদ (সা) ৪০ বছর বয়সে নবুয়তপ্রাপ্ত হন। তাঁর দাওয়াতে প্রথম সাড়া দেন তাঁর স্ত্রী খাদিজা ...

গোসলের বর্ণনা

আজ কাঁঠালবাগ জামে মসজিদে জু'মার খুতবায় সম্মানিত খতিব আলহাজ্ব মাওলানা মাহমুদুল হাসান আশরাফী আল্লাহর হামদ এবং রসুল (সা)-এর ওপর দরুদ ও সালাম পেশের পর সূরা বাকারা ২২২ নং আয়াত তেলাওয়াত করেন এবং সরল অর্থ পেশ করেন- ‘ নিশ্চয়ই আল্লাহ তাওবাকারীদের ভালোবাসেন ও পবিত্রতা-পরিচ্ছন্নতা অবলম্বনকারীদেরও ভালোবাসেন ’ । সাথে একটি হাদিস উদ্ধৃত করেন- ‘ পবিত্রতা ঈমানের অর্ধেক ’ । পবিত্রতার ব্যাপারে অত্যন্ত গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, অপবিত্রতা নিয়ে ওযু ও নামায কোনটিই হবে না।   তিনি বলেন গোসল চার প্রকার। ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নাত ও মুস্তাহাব। স্বামী-স্ত্রীর মিলন ও স্বপ্নদোষ হলে গোসল ফরজ হয়ে যায়। গোসলের ফরজ ৩টি। গড়গড়ার সাথে কুলি করা, নাকের নরম জায়গায় পানি প্রবেশ করানো এবং সারা শরীরে পানি পৌঁছে দেয়া। তিনি রসুল (সা)-এর দুই স্ত্রীর মা আয়িশা (রা)ও মা মায়মুনা (রা) কর্তৃক রসুল (সা)-এর ফরজ গোসলের বর্ণনা দেন। সার কথা হলো রসুল (সা) প্রথমে নাপাকি পুরিষ্কার করার পর পূর্ণরূপে ওযু করতেন এবং মাথার চুলগুলো খেলান করতেন ও মাথা ধুয়ে ফেলতেন। এরপর সারা শরীরে পানি পৌঁছানোর পর সেখান থেকে সরে এসে পা ধুয়ে নিতেন। তিনি বলেন, গোসলের ...

আমাদের গন্তব্য কোথায়?

স্ত্রীর সামনে স্বামী রিফাত শরীফ হত্যার রেশ কাটতে না কাটতেই শিশু সায়মা মাত্র ৭ বছর বয়সে ধর্ষণসহ হত্যা,আজকের খবর মাগুরায় ক্রিকেটার হত্যা, রাজধানীতে কিশোর খুন, মিরসরাইয়ে যুবক হত্যা, সাভারে স্কুল ছাত্রের (৮ম শ্রেণি) আত্মহত্যা ও চট্টগ্রামে তরুণের লাশ উদ্ধার, চাকরির দ্বন্দ্বে খুন লালবাগে এক মসজিদের খাদেম হানিফ এবং এর বাইরে রয়েছে দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার খবর।পাশাপাশি খবর কক্সবাজার কারাগারে ধারণ ক্ষমতার ৯ গুণ বেশি বন্দী, ঘুমাচ্ছেন পালা করে। এই হলো আমাদের দেশের চিত্র। দেশে রাজনীতিশূন্যতার মাঝেও আইন-শৃঙ্খলার ক্রমাবনতি সচেতন মহলকে ভাবিয়ে তুলেছে। ধর্ষণ, খুন ও আত্মহত্যা (আত্মহত্যাকারী নিজেও একজন খুনি) এসব এতো বেড়ে যাওয়ার মূলে কী কারণ আমাদের একটু ভেবে দেখা দরকার। নারীর প্রতি এ সহিংসতা আমাদের স্মরণ করে দেয় ইসলামপূর্ব জাহিলিয়াতের কথা। সে সমাজে নারী ছিল বড় নিরাপত্তাহীন। সমাজ ও অপরাধবিজ্ঞানীরা বলে থাকেন কঠোর শাস্তি দিলেই অপরাধ নির্মূল হবে না, সাথে সাথে অপরাধ থেকে দূরে সরিয়ে রাখার জন্য তাদের নিয়ে নানাবিধ উদ্বুদ্ধকরণ (মটিভিশন)কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। অনুসন্ধান চালালে দেখা যাবে হত্যা ও আত্মহত্যার পে...

আল্লাহর পথে জিহাদ

আজ কাঁঠালবাগ জামে মসজিদে জু'মার খুতবায় সম্মানিত খতিব আলহাজ্ব মাওলানা মাহমুদুল হাসান আশরাফী শাওয়াল মাসের দ্বিতীয় জুমায় আল্লাহর হামদ এবং রসুল (সা)-এর ওপর দরুদ ও সালাম পেশের পর সূরা আলে ইমরানের ১৩৩ নং আয়াত (অর্থ-তোমরা প্রতিযোগিতা করো তোমাদের রবের ক্ষমার দিকে এবং সেই জান্নাতের দিকে যার প্রশস্ততা আকাশসমূহ ও পৃথিবী সমান, এটি প্রস্তুত রাখা হয়েছে মুত্তাকিদের জন্য)এবং সূরা আনকাবুত ৬৯ নং আয়াত (অর্থ-যারা আমার পথে জিহাদ করে, আমি অবশ্যই তাদের আমার পথে পরিচালিত করি, নিঃসন্দেহে আল্লাহতায়ালা মুহসিন বান্দাদের সাথে রয়েছেন ’ তেলাওয়াত করেন । তিনি বলেন, রমযান মাস আমাদের মাঝে তাকওয়ার গুণ সৃষ্টি করেছে এবং সেই রমযান আমাদের থেকে বিদায়ও গ্রহণ করেছে। কিন্তু রমযান মাসে নেক আমলের যে অভ্যাস আমরা গ্রহণ করেছি তা অব্যাহত রাখতে হবে এবং সকল ধরনের নেক কাজ ও আল্লাহর ক্ষমার জন্য আমাদের প্রতিযোগিতা করতে হবে। আজ পৃথিবীতে নাম-যশ-খ্যাতি ও নানাবিধ অন্যায় কাজে প্রতিযোগিতা হচ্ছে। এক রাষ্ট্র অন্য রাষ্ট্রের ওপর প্রাধান্য, ব্যক্তি অপরকে প্রতিদ্বন্দী বিবেচনা করে তার ওপর প্রাধান্য বিস্তার, এক কোম্পানী অপর কোম্পানীকে ছাড়িয়ে ...

আল্লাহর ক্ষমা

বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম বৃষ্টির কারণে এবারের ঈদুল ফিতর মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। নামাযের পূর্বে সমবেত মুছল্লীদের ঈদগাহ ও মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে ঈদশুভেচ্ছা-'ঈদ মুবারক' জানিয়ে আমার পক্ষ থেকে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখা হয়। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজকের এই ঈদ। মুসলমানদের জীবনে দু'টি আনন্দোৎসব- ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা। আজকের ঈদ হলো রোযা ভাঙ্গার আনন্দ, গুনাহমাফের আনন্দ। রোযার উদ্দেশ্য হলো তাকওয়া অর্জন। অর্থাৎ সর্বাবস্থায় আল্লাহকে ভয় করে চলা। রোযার দিনে পানাহার থেকে বিরত থাকা এ কারণেই যে, আল্লাহ রোযাবস্থায় পানাহার নিষিদ্ধ করেছেন। দীর্ঘ এক মাসের প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য হলো মানুষ যেন আল্লাহর সকল নিষিদ্ধ কাজ থেকে বিরত থাকে। প্রসঙ্গক্রমে ফেসবুকের একটি লেখা আমি আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। এক কোরিয়ান এক মুসলমানকে বলে, 'তোমরা রোযার দিনে কি কিছুই খাও না? এক গ্লাস পানি বা একটি সিগারেটও না বা গোপনেও কিছু খাও না? জবাবে মুসলমান বলে, 'আমরা কিছুই খাই না এবং গোপনে খাই না এ কারণে যে আল্লাহ দেখেন।' কোরিয়ান বিস্মিত হয়ে বলে, 'তাহলে তো তোমাদের দেশে কোন অন্যায় হয় না এবং নিশ্...