সহজতা
বিধান আল্লাহর অভিপ্রায়
রমযানের
সিয়াম বান্দাকে গুনাহমুক্ত ও মুত্তাকী করার এক দীর্ঘমেয়াদী প্রশিক্ষণ কোর্স। না
খেয়ে রেখে শাস্তিদান কি আল্লাহর অভিপ্রায়? মোটেই নয়। উদ্দেশ্য আল্লাহর বিধান পালনে
তাঁর বান্দাদের অভ্যস্ত করে তোলা। সত্যি এ ব্যাপারে রোযা অনন্য। দীর্ঘ একটি মাস
সেহরী খাওয়ার পর থেকে ইফতার পর্যন্ত আল্লাহর হালাল খাদ্যখানা গ্রহণ থেকে বিরত থাকা
শুধু এই উদ্দেশ্যে যে, আল্লাহপাক এ সময়ে তা নিষিদ্ধ করেছেন। যে ব্যক্তি এভাবে টানা
একটি মাস আল্লাহর হুকুমে হালাল জিনিস গ্রহণ থেকে বিরত থাকে তার পক্ষে কি কখনই
সম্ভব আল্লাহর স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ জিনিসের ধারেকাছে ঘেষা। এজন্য তো হাদিসে বলা
হয়েছে, ‘যারা ঈমান ও এহতেছাবের
সাথে রোযা রাখবে আল্লাহ তাদের অতীতের সকল গুনাহ মাফ করে দেবেন’।
শাস্তিদান আল্লাহর উদ্দেশ্য হলে তো বলা হত ইফতার বিলম্বে করো এবং সেহরী ছাড়াই
রোযায় কল্যাণ বেশি। হাদিসের ভাষা হলো-কল্যাণ রয়েছে তাড়াতাড়ি ইফতার করা ও বিলম্বে
সেহরী খাওয়ার মধ্যে। এমন কি এও বলা হয়েছে যে, সেহরী খেতে খেতে (ইচ্ছাকৃত নয়) যদি
সময় শেষ হয়ে যায় তাহলে সে যেন তার প্রয়োজন পূরণ করে নেয়। এ ছাড়া রমযান মাসে কেউ
অসুস্থ বা সফরে থাকলে অন্য সময় সেই সংখ্যাটি পূরণের সুযোগ দেয়া প্রসঙ্গে আল্লাহ
বলেন, কঠোরতা আরোপ আল্লাহর ইচ্ছা নয়, তিনি তোমাদেরকে সহজতা দান করতে চান। সফরে
রোযা রাখা বান্দার ইচ্ছাধীন। রাসূল (সা.) ও সাহাবায়ে কেরামের আমল দু’রকমই
পাওয়া যায়। রোযা রাখতে যেয়ে কোনরূপ কাঠিন্য আরোপ ঠিক নয়। এ ছাড়াও লক্ষ্য করা যায়
যে, রমযান মাসে আবহাওয়া অনেকখানি শীতল হয়ে যায় এবং বৃদ্ধ থেকে শিশু সব রোযাদারের
জন্য রোযা রাখা আল্লাহ সহজ করে দেন। হে আল্লাহ! তুমি আমাদেরকে রমযান মাসে রোযা
আদায়ের মাধ্যমে আমাদেরকে পরিশুদ্ধ করে দাও। আমিন। ৩০/০৫/২০১৭
Comments
Post a Comment