আল্লাহর বাণী, 'হে ঈমানদার লোকেরা! তোমরা ধৈর্য ও নামাজের মাধ্যমে সাহায্য গ্রহণ করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে আছেন।'- সুরা বাকারা ১৫৩
'(হে নবি!) আমার কোনো বান্দা যখন আমার সম্পর্কে জানতে চায় তখন বলো আমি তাদের অতি নিকটে; যে ডাকে আমি তার ডাক শুনি ও জবাব দেই, কাজেই তাদের একান্ত উচিত আমার আহবানে সাড়া দেওয়া এবং আমার প্রতি ঈমান আনা, আশা করা যায় তারা সঠিক পথের সন্ধান পাবে।' সুরা বাকারা ১৮৬
মানুষের হেদায়াত ও হতাশামুক্ত হয়ে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য এই দুটি আয়াতই যথেষ্ট। আল্লাহর প্রতি পরিপূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস রাখতে হবে যে, আল্লাহ তায়ালা তাঁর বান্দাদের জন্য কল্যাণকামী এবং তাঁর চেয়ে বড়ো প্রতিশ্রুতি পালনকারী আর কেউ নেই।
আল্লাহপাক তাঁর কাছে চাইতে বলেছেন এবং সেটি নামাজের মাধ্যমে অর্থাৎ নামাজে তাকবিরে তাহরিমা থেকে সালাম ফেরানোর পূর্ব পর্যন্ত। আমরা আল্লাহর কাছে চাইবো শেষ বৈঠকে দোয়া মাছুরা পাঠের পর, দুই সেজদার মাঝখানে এবং সেজদায় গিয়ে। বান্দা যখন সেজদায় যায় তখন আল্লাহর খুব নিকটবর্তী হয়ে যায়। সুন্নাত ও নফল নামাজ যখন একাকী পড়া হয় তখন মনের সকল চাওয়া আল্লাহর কাছে পেশ করা যায়। শর্ত হচ্ছে ধৈর্য ধারণ করতে হবে। নামাজিদের সাথে না বলে বলেছেন, আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে আছেন। ধৈর্য সাফল্যের চাবিকাঠি। ধৈর্যের সাথে যারা প্রচেষ্টা চালায় আল্লাহ তাঁর এমন সকল বান্দাকেই সাফল্য দান করেন।
১৮৬ নং আয়াতে বলা হয়েছে আল্লাহর কাছে চাইতে কাউকে ধরা বা কোথাও যাওয়ার দরকার নেই। আল্লাহ তায়ালা বান্দার অতি নিকটে, যেই ডাকে তার ডাকে সাড়া দেন। নিজের প্রয়োজনটা সরাসরি আল্লাহর কাছে পেশ করতে হবে এবং খুব কাতরভাবে ও বিনয়ের সাথে। উপযুক্ত সময় হলো তাহাজ্জুদের সময়। আল্লাহপাক মুমিনদের পরিচয় দিয়েছেন এভাবে, তারা রাতের আঁধারে মাগফেরাতের জন্য কাঁদে। আল্লাহরও চাওয়া আছে। তাঁর চাওয়া, বান্দা তাঁর আহবানে সাড়া দিবে ও তাঁর প্রতি ঈমান আনবে।
আল্লাহপাক আমাদের সবাইকে তাঁর প্রতি ঈমান এনে তাঁর আনুগত্য করার তৌফিক দান করুন।
Comments
Post a Comment