হিংসা-বিদ্বেষ ও প্রতিশোধপরায়ণতা দেশের ভেতরে মারামারি হানাহানি ও বিশৃঙ্খলা বাড়ায়, পক্ষান্তরে উদারতা-ক্ষমাশীলতা শান্তি-স্বস্তি ও নিরাপত্তা দান করে। আমাদের ধর্মে সংকীর্ণতা নেই, আছে উদারতা। যদিও প্রতিশোধ গ্রহণের সুযোগ রয়েছে কিন্তু সেটা হতে হবে সমপরিমাণ। তবে ক্ষমা করা হলে তাকে পুরস্কৃত করার দায়িত্ব আল্লাহপাক গ্রহণ করেন। বিনিময়ে কত দিবেন তা আল্লাহই ভালো জানেন। একজন বিশ্বাসী বান্দা তার হন্তাকেও ক্ষমা করতে পারে। এই ক্ষমা তার দুর্বলতা নয়। আল্লাহ তায়ালা ক্ষমা করাকে সাহসী কাজ বলে উল্লেখ করেছেন। নেলসন ম্যান্ডেলা ক্ষমা করে বিশ্ব নন্দিত হন এবং নোবেল পুরষ্কারে ভূষিত হন। আর আমরা সর্বদা অপরের দোষচর্চায় লিপ্ত ও প্রতিশোধ গ্রহণে উন্মুখ।
মানবসমাজে নেতৃত্ব দানের জন্য আল্লাহ তায়ালা আমাদের মনোনীত করেছেন। আমরা শ্রেষ্ঠতম উম্মত, আমাদের সৃষ্টিই করা হয়েছে মানবজাতির কল্যাণ সাধনের জন্য; আমাদের কাজ হলো ভালো কাজের আদেশ দান ও অন্যায় থেকে বিরত রাখা। দুর্ভাগ্য, জাতিগতভাবে আমরা সেই অবস্থানে নেই। আমরা কাফের-মুশরিকদের আদেশানুগত, তাদের আজ্ঞাবাহী। এক জিল্লতির জীবন আমরা যাপন করছি এবং আখেরাতে যে ভালো কিছু হবে না তা আমাদের নৈতিক মানই বলে দিচ্ছে।
বিশ্বের বুকে মাথা তুলে দাঁড়াবার জন্য যে নৈতিকতা (সততা-বিশ্বস্ততা, আমানতদারী, ওয়াদা-প্রতিশ্রুতি পালন) দরকার তার কিছুই আমাদের মাঝে নেই। যাদের আছে জালেমরা তাদের জীবনটাকে বড়ো সংকীর্ণ করে রেখেছে। মুসলিম নামধারী জাতিগোষ্ঠীর যা নৈতিক মান তাতে তারা পৃথিবীতে টিকে থাকার যোগ্যতাই হারিয়ে ফেলেছে। হয়তো স্বল্পসংখ্যক আল্লাহর বান্দা প্রতিকূলতার মধ্যেও মানুষকে সৎ পথের দিকে আহবান জানাচ্ছে এবং তার বদৌলতে আল্লাহ দয়াপরবশ হয়ে টিকিয়ে রেখেছেন। আল্লাহপাক তাঁর সেই স্বল্পসংখ্যক বান্দাদের মধ্যে আমাদের অন্তর্ভুক্ত করুন। আমিন। ২০.০৫.২০২৩
Comments
Post a Comment