গাছিয়া দৌলতপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ
তারিখ : ৩০.০৯.২০২২
শিরক ও হিংসা থেকে মুক্ত ব্যক্তি জান্নাতের প্রত্যাশা করতে পারে
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
এই গ্রামেই আমার আদিবাস। আপনাদের মধ্যে যারা বয়স্ক, সবার সাথে আমার জানাশোনা রয়েছে। একজন রয়েছেন যাকে আমি দাদা ডাকি, অনেককে চাচা ও ভাই। আমাদের বর্তমান বাস কুচিয়ামোড়া গ্রামে। গ্রামে আসা হয় কিন্তু এই মসজিদে নামাজ পড়তে আসা হয় না। প্রায় ৫০ বছর পর আজ আমাদের এই মসজিদে নামাজ আদায় করছি। আমার আব্বা ছিলেন এই মসজিদের সেক্রেটারি ও ইমাম। তিনি গ্রামবাসীকে সাথে নিয়ে ষাটের দশকে পাকা মসজিদ তৈরি করেছিলেন এবং ৫০ বছর পরে আপনারা সবাই মিলে সেটি ভেঙ্গে এক দৃষ্টিনন্দন মসজিদ তৈরি করেছেন। আলহামদু লিল্লাহ। আল্লাহপাক এই মসজিদ ও এর সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে কবুল করুন।
এবারে বাড়ি এসে তিনটি মসজিদে জুমা আদায়ের সুযোগ হলো। লক্ষ করলাম, সব মসজিদেই মুসল্লিরা অনেক বিলম্বে আসেন। অথচ জুমার দিন আমাদের ঈদের দিন। সপ্তাহের শ্রেষ্ঠতম দিন। গোসল করে উত্তম পোশাকে সজ্জিত হয়ে আজানের পরপরই আমাদের আল্লাহর ঘরে উপস্থিত হওয়া উচিত। আল্লাহপাকের দরবারে লাখো শুকরিয়া যে, তিনি দয়া করে আমাদের তাঁর ঘরে হাজির হওয়ার তৌফিক দান করেছেন। বলতে পারেন, আমরা আল্লাহর বাছাইকৃত বান্দা, মনোনীত বান্দা। এজন্য আমরা তাঁর দরবারে শুকরিয়া আদায় করি। আলহামদু লিল্লাহ।
আজকের দিনের প্রধান কাজ জুমার খুতবা শ্রবণ ও সালাত আদায়। আমাদের সবারই সেজন্য প্রস্তুতি থাকা দরকার। ঢাকায় যে মসজিদে আমি জুমা আদায় করি সেখানকার দুটি মসজিদে (যেখানে আমি প্রায়ই জুমা পড়ি) সাড়ে বারোটায় গেলে খতিব মহোদয় যে ফ্লোরে দাঁড়িয়ে খুতবা দেন সে ফ্লোরে জায়গা পাওয়া যায় না। আর মসজিদও ছোটখাটো নয়। এর মধ্যে ধানমন্ডি তাকওয়া মসজিদে এক জুমায় দানবাক্সে আদায় এক লক্ষ সাতানব্বই হাজার পাঁচ টাকা। এ থেকে মসজিদের আয়তন ও লোকসংখ্যা সহজেই বুঝতে পারছেন। আপনাদের কারো পক্ষে একটি উট কুরবানি করা কি আদৌ সম্ভব? সম্ভব না। অথচ রসুলুল্লাহ সা. বলেছেন, মসজিদে প্রথম আগমনকারী ব্যক্তি একটি উট কুরবানির সওয়াব পাবে। এরপর পর্যায়ক্রমে গরু, ছাগল কুরবানির সুসংবাদ দিয়েছেন। আপনাদের সবারই লক্ষ্য থাকবে, আজানের পরপরই মসজিদে প্রবেশ করে দু’রাকাত নামাজ পড়ে প্রথম কাতারে খতিব মহোদয়ের কাছাকাছি বসে পড়ার। মনে করুন, আপনারা দশজন একই সাথে প্রথমে প্রবেশ করলেন তাতে দশজনের নামে দশটি উট কুরবানির সওয়াব লিখে দিতে আল্লাহর কোনো সমস্যা আছে? তাঁর ভাণ্ডার অফুরন্তু, আর বান্দাকে দেয়ার মাঝে তাঁর যতো আনন্দ।
জামায়াতে নামাজের বড়ো শিক্ষা হলো শৃঙ্খলা ও আনুগত্য। তাই মসজিদে প্রবেশ করেই প্রথম কাতার, জায়গা না পেলে দ্বিতীয় কাতার এভাবে শৃঙ্খলার সাথে বসবেন। জানেন কি, প্রথম কাতারে বসার ব্যাপারে রসুলুল্লাহ সা.-এর বক্তব্য কী? প্রথম কাতারে আসন গ্রহণের ফজিলত প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, মানুষ যদি বুঝতো প্রথম কাতারে বসায় কতো সওয়াব তাহলে লটারি করার প্রয়োজন হতো। সামনের কাতার ফাঁকা রেখে পেছনে বসলে মানুষকে ডিঙিয়ে যেতে হয় যেটা আদব ও শৃঙ্খলার খেলাপ এবং হাদিসে সুস্পষ্ট নিষেধ রয়েছে। কাতার সোজা করা একটি শৃঙ্খলা। রসুলুল্লাহ সা. জোর তাগিদ দিয়েছেন এবং বলেছেন, কাতার সোজা না করলে তোমাদের দিল বাঁকা হয়ে যাবে অর্থাৎ সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি নষ্ট হবে।
নামাজের মৌলিক শিক্ষা হলো ইমামের আনুগত্য করা। আমরা মুক্তাদি হয়ে জামায়াতের সাথে যারা নামাজ পড়ি আমাদের কোনো ভুল নেই। মুক্তাদির তখনই ভুল হয় যখন ইমামের অনুসরণের ক্ষেত্রে ভুল হয়। ইমামের আগে কোনো কাজ করলে মুক্তাদির আর নামাজ হয় না। তাহলে আপনারা ইমামের অনুসরণ করবেন, না ইমাম আপনাদের অনুসরণ করবে। সবাই সমস্বরে বলে উঠেন, আমরাই ইমামের অনুসরণ করবো। একাকী নামাজ আদায় করতে গেলে নামাজে প্রায়ই ভুল হয়, আমার তো হয়, আপনাদেরও হয়। নামাজ সহীহ-শুদ্ধ হওয়ার ক্ষেত্রে জামায়াতের সাথে নামাজ আদায় খুবই সহায়ক।
আমাদের সমাজে মাজহাবগত নানা বিতর্ক আছে। বলুন দেখি, ফরজ-ওয়াজিব পালনে কোনো বিতর্ক আছে? নেই, বিতর্ক সুন্নাত-মুস্তাহাব নিয়ে। সুন্নাত- মুস্তাহাবে যে পার্থক্য সেটি স্বয়ং রসুলুল্লাহ সা. থেকেই আসছে। কাবা শরিফে চার ইমামের অনুসারী ইমামগণ নামাজ আদায় করেন। ইমাম আবু হানিফা রহ. ইমাম মালেক রহ. ইমাম শাফেয়ী রহ.-এর অনুসারী ইমামগণ তিন ওয়াক্ত এবং ইমাম হাম্বলি রহ.-এর অনুসারী ইমাম দুই ওয়াক্ত নামাজ পড়ান। তাতে বোঝা যায় সবাই সঠিক আছেন। আবার দেখেন, নামাজে ইমাম সাহেব ফরজ ভুল করলে নামাজ নতুন করে পড়তে হয়, আর ওয়াজিবের ক্ষেত্রে ভুল করলে নামাজে সহু সেজদা দিলেই নামাজ হয়ে যায়। সুন্নাত-মুস্তাহাবে ভুল করলে নামাজ হয়ে যাবে, হয়তো সওয়াবে কমবেশি হতে পারে। তাহলে দেখা যাচ্ছে, নামাজের মতো ইবাদতের ক্ষেত্রে সুন্নাত-মুস্তাহাবের ভুলে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে না, তাহলে কেন আমরা এসব নিয়ে ঝগড়া-ঝাটি করবো। উম্মাহর মাঝে অনৈক্য ও দলাদলি সৃষ্টি করা কুফরি। আমরা সবাই সতর্ক হবো এবং পরস্পরের প্রতি দয়ার্দ্র হবো।
জুমার দিনে খুতবা শ্রবণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। খুতবা মনোযোগের সাথে শুনতে হয়। খুতবা শুনতে হলে আপনাদের আগে আসতে হবে। ফেরেশতারা মুসল্লিদের আগমনের ভিত্তিতে সওয়াব লিখতে থাকেন। খতিব মহোদয় খুতবা দান শুরু করলে ফেরেশতারা লেখা বন্ধ করে খুতবা শোনা শুরু করে দেন। বিলম্বে আসলে আপনি জুমার নামাজের ফায়দা থেকে বঞ্চিত হবেন। আমি আশা করি, উপস্থিতির ক্ষেত্রে আগামীতে আপনারা আরো যত্নবান হবেন।
জুমার নামাজ যেমন আমাদের প্রতি ফরজ তেমনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামায়াতের সাথে আদায় করাও ফরজ। রসুলুল্লাহ সা. বলেছেন, আজান শুনে কেউ মসজিদে না আসলে আমার ইচ্ছা হয় আমার স্থলে কেউ ইমামতি করুক আর আমি গিয়ে তাদের বাড়ি-ঘর আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেই। দেই না এ কারণে যে, সেখানে নারী ও শিশু রয়েছে। রহমাতুল্লিল আলামিন আগুন দিয়ে বাড়ি-ঘর জ্বালাতে চান, তাহলে বুঝতে হবে মসজিদে না যাওয়া কতো ভয়াবহ গুনাহ। উম্মে মাকতুম রা. একজন অন্ধ সাহাবি ছিলেন। রসুলুল্লাহ সা. তাঁকেও একাকী নামাজ পড়ার অনুমতি দেননি। বলেছেন, তুমি কি আজান শুনতে পাও? বলেছেন, হ্যাঁ। রসুলুল্লাহ সা. তখন বলেছেন, আজান শুনতে পারলে তোমাকে মসজিদে আসতে হবে। আলী রা. বলেছেন, মসজিদের যারা প্রতিবেশী তাদেরকে মসজিদে গিয়েই নামাজ আদায় করতে হবে। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে, মসজিদের প্রতিবেশী কারা? তিনি বলেছেন, যারা আজান শুনতে পায়। রসুলুল্লাহ সা. ঐ মুসল্লিদের সুসংবাদ শুনিয়েছেন, যারা এশা ও ফজরের নামাজ জামায়াতের সাথে আদায় করে এবং বলেছেন, তাদের সমগ্র রাত ইবাদতের মধ্যে অতিবাহিত হয়। তিনি আরো বলেছেন, আমাদের ও মুনাফিকদের মাঝে পার্থক্য হলো এশা ও ফজরের সালাতে শরীক হওয়া। মুনাফিকরা ফজর ও এশার সালাতে শরীক হতে পারে না।
যারা নামাজ পড়ে না তারা ইসলামের সীমার বাইরে। হাদিসে স্পষ্ট বলা হয়েছে, ঈমান ও কুফরের মধ্যে পার্থক্য হলো নামাজ। যে লোক ইচ্ছাকৃত নামাজ ছেড়ে দিল সে কুফরি করলো। সুরা মুদ্দাস্সিরে আল্লাহপাক জাহান্নামীদের প্রসঙ্গে বলেছেন, সেদিন জাহান্নামীদের জিজ্ঞাসা করা হবে, কোন্ জিনিস তোমাদের জাহান্নামে নিয়ে আসলো? তারা বলবে, আমরা নামাজিদের দলে শামিল ছিলাম না (৪২-৪৩)। এখানে ‘নামাজিদের দলে শামিল না হওয়া’ অর্থাৎ জামায়াতে নামাজের কথাই বলা হয়েছে। তাই আমরা অবশ্যই নামাজ পড়বো এবং জামায়াতের সাথেই পড়বো ইনশা-আল্লাহ।
আমাদের দেশে এখন হিংসার চাষ হয়। হিংসা আছে পরিবারে, আত্মীয়-স্বজনের মাঝে, সমাজে, রাজনীতির অঙ্গনে, এমনকি আলেমদের মাঝেও। আপনারা যদি জান্নাতের প্রত্যাশী হন তাহলে অবশ্যই হিংসামুক্ত হয়ে জীবন যাপন করতে হবে। হিংসা শুধু কবিরা গুনাহই নয়, হিংসা মানুষের নেক আমল ধ্বংসকারী কঠিন অপরাধ। রসুলুল্লাহ সা. বলেছেন, আগুন যেমন শুকনা কাঠকে জ্বালিয়ে ভস্ম করে দেয় তেমনি হিংসা মানুষের সকল নেক আমল ধ্বংস করে দেয়। সমাজে মারামারি, গুম-খুন ও গিবতের মূল কারণ হিংসা। শবে কদরসহ বিশেষ বিশেষ রাতে আল্লাহপাক তাঁর অগণিত বান্দাকে ক্ষমা করেন এবং এই সাধারণ ক্ষমা থেকে বাদ পড়ে সেই হতভাগা যে শিরক করে ও হিংসা করে। হিংসুক আল্লাহর কাছে খুবই ঘৃণিত এবং সুরা ফালাকে আল্লাহ হিংসুকের অনিষ্ট থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য তাঁর কাছে সাহায্য চাইতে বলেছেন।
আপনাদের সম্মুখে একটি ঘটনা বলতে চাই যা আপনাদের সহজে জান্নাতে পৌঁছে দেয়ার কারণ হতে পারে। মদিনার মসজিদে রসুলুল্লাহ সা. সাহাবিদের সাথে বসে আছেন, এমন সময় এক ব্যক্তি মসজিদে প্রবেশ করলে তিনি তার প্রতি দৃষ্টি দিয়ে সাহাবায়ে কেরাম রা.-দের বলেন, এই মুহূর্তে যে প্রবেশ করছে সে জান্নাতি। এভাবে তিনি পরপর তিনদিন একই ব্যক্তি সম্পর্কে বলেন যে, সে জান্নাতি। রসুলুল্লাহ সা. কর্তৃক সুসংবাদপ্রাপ্ত ব্যক্তি সম্পর্কে একজন সাহাবির জানার আগ্রহ সৃষ্টি হয়। তিনি তার ঘরে তিনদিনের জন্য মেহমান হন। এই তিনদিন তিনি তাঁর মাঝে বাড়তি কিছুই লক্ষ করেন না, একেবারে স্বাভাবিক জীবন। শেষে তাঁকে জিজ্ঞেস করেন, রসুলুল্লাহ সা, পরপর তিনদিন আপনাকে জান্নাতি বলে ঘোষণা দিলেন অথচ আপনার মাঝে বাড়তি কোনো আমলই লক্ষ করলাম না। জবাবে সেই সাহাবি বললেন, ভাই আমি তো এমন কোনো আমল করি না যা দ্বারা এভাবে সম্মানিত হবো। তবে প্রতিদিন ঘুমানোর পূর্বে দোয়া-দরুদ পড়ার পর সবাইকে ক্ষমা করে দেই, কারো প্রতি কোনো হিংসা- বিদ্বেষ রাখি না। তখন সেই সাহাবি বললেন, আপনার এই হিংসামুক্ত জীবন ও ক্ষমাশীলতাই আপনাকে এতো মর্যাদাবান করেছে।
আপনারা আফ্রিকার নেলসন ম্যান্ডেলার নাম শুনেছেন। তিনি সারাজীবন জেল খেটেছেন। জেল থেকে মুক্তিলাভের পর তিনি দেশের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। নির্বাচিত হওয়ার সাথে সাথে তিনি জালেমদের ক্ষমা করে দেন এবং এই ক্ষমা ঘোষণার মাধ্যমে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকাকে ঐক্যবদ্ধ করে দ্রুত শান্তি প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর এই উদারতায় বিশ্ববাসী মুগ্ধ হন এবং তাঁকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। এই উদারতা আমাদেরই থাকার কথা। রসুলুল্লাহ সা. বলেছেন, যে তার ভাইকে ক্ষমা করবে আল্লাহ কিয়ামতের দিন তাকে করবেন। ক্ষমা সম্পর্কে কতোভাবেই না আল্লাহ বলেছেন, অন্যায়ের প্রতিবিধান সমপরিমাণ অন্যায়, কিন্তু যে ক্ষমা করে দেয় ও সংশোধন করে নেয় তার পুরস্কার আল্লাহর জিম্মায়। তাই হিংসা-বিদ্বেষ পরিহার করুন এবং মানুষকে ক্ষমা করুন, বিনিময়ে পাবেন আল্লাহর ক্ষমা ও জান্নাত।
আল্লাহপাক আলেমদের অনেক সম্মান দান করেছেন। নামাজই তার প্রমাণ। এখন আর নবি-রসুল আসবে না। রসুলুল্লাহ সা. বলছেনে, আলেমরা হলো নবি-রসুলদের উত্তরাধিকার (ওয়ারিশ)। উত্তরাধিকার শব্দটি দ্বারা ওজন বোঝা উচতি। আপনার সন্তান আপনার উত্তরাধিকার। সন্তানের সাথে অসদাচরণ তো আপনার সাথেই অসদাচরণ। রসুলুল্লাহ সা.-এর উত্তরাধিকার হিসেবে ইমাম ও আলেমদের যথোপযুক্ত সম্মান করবেন। কথার্বাতা ও আচরণে তাঁদের প্রতি সামান্যতম যেন অবহেলা ও অনাদর না হয়। মসজিদ আপনারা ঝকঝকে করেছেন। টাইলস, ফ্যান এসব লাগিয়েছেন এবং এসব কাজে বিভিন্ন জন সহযোগিতা করেন। কিন্তু মসজিদের একটি দৈনন্দিন ব্যয় আছে। সেটি মুসল্লি হিসেবে আপনাদেরই দিতে হবে।
যারা সার্বক্ষণিক মসজিদের খেদমতে নিয়োজিত তাদেরও সংসার আছ, আয় উপার্জনের জন্য অন্য কোনো পন্থা তাঁরা অবলম্বন করতে পারেন না। জুমার দিনের আদায়ে একটু উদার হস্তে দিন। আলেমদের উদ্দেশ্যে আপনারা যে খরচ করেন সে খবর আল্লাহ রাখেন। সুরা বাকারার ২৭৩ নং আয়াতটি পড়ুন। আল্লাহ তাঁর নবিকে বলেছেন, তারা র্সবক্ষণ আল্লাহর দীনের কাজে নিয়োজিত, আত্মসম্মানবোধ তাদের অভাবের কথা বলতে দেয় না, চেহারা দেখেইে তুমি বুঝতে পারো। তাদের অভাবটা আপনারাও বুঝুন। গোপনে দান করুন, দাওয়াত দিন, গাছের লাউ, আম, কাঁঠাল গিফট করুন। উপঢৌকন আদান-প্রদান নবির সুন্নাত। প্রভূত সওয়াব পাবেন এবং সম্পর্ক উন্নত হবে। আল্লাহপাক আমাদেরকে তাঁর পথে চলাটা সহজ করে দিন। আমিন।
Comments
Post a Comment