আজ সকালে বাংলাদেশ প্রতিদিন/আমাদের সময়ে পড়লাম ঢাবির বেগম সুফিয়া কামাল হলে ইসলামী ছাত্রীসংস্থা সনাক্ত করার লক্ষ্যে তল্লাশি, তালিকা প্রস্তুত ও কুরআন-হাদিস-ইসলামী বই জব্দ করা হয়েছে। দৈনিক নয়া দিগন্তে পড়লাম ঢাবির আট জন শিক্ষার্থীকে শিবির সন্দেহ করে বেধড়ক পিটায়ে আহত করে পুলিশে দিয়েছে ছাত্রলীগ। আমরা যতদূর জানি এখন পর্যন্ত ছাত্রশিবির বা ছাত্রীসংস্থা বা জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করা হয়নি। কিন্তু কেন ঢাবি কর্তৃপক্ষ, পুলিশ বা ছাত্রলীগ এমন আচরণ করছে? ঢাবিতে কি আর শাসকগোষ্ঠীর মতের বাইরে ভিন্ন চিন্তার
কোন সুযোগ নেই? গণতন্ত্র কি নির্বাসনে গেছে? না, শতকরা নব্বই ভাগ মুসলমানের দেশে ইসলামকে বিদায় দেয়ার কোন সুদূরপ্রসারি পরিকল্পনার অংশ। আমরা কখনই দেখেনি বা শুনিনি যে ছাত্রীসংস্থার মেয়েরা কোন মানববন্ধন, মিছিল, মিটিং বা কোন ধরনের সমাবেশে উপস্থিত হয়। তারা অত্যন্ত পর্দানশিন ও নিরীহ প্রকৃতির। মেয়েদেরকে ইসলামের দিকে আহবান এবং চরিত্র গঠনের প্রতি গুরুত্বারোপই তাদের মূল কাজ। তারা কেউ মাদকাসক্ত নয় এবং তারা সুশৃঙ্খল জীবন-যাপনে অভ্যস্ত। আওয়ামী লীগ তো কোন নাস্তিক সংগঠন নয়। তাদের ঘরে কুরআন-হাদিস ও অনেক ইসলামী বই-পত্র পাওয়া যাবে এবং আমি অনেক আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দকে জানি যারা নিয়মিত নামায-রোযা করেন এবং মসজিদ-মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি/সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করেন। তবে যারা কুরআন-হাদিস ও ইসলামী বই পেলে হামলে পড়ে বা নামাযী ছাত্র দেখলে বেধড়ক পেটায় এরা কারা? এরা কি কম্যুনিস্ট নাস্তিক অনুপ্রবেশকারী না কোন ভিন্ন গোষ্ঠী? না, সরকারকে চরম ধর্মবিরোধী প্রমাণ করার কোন অপকৌশল? 21/10/14
Comments
Post a Comment