মৃত্যু
এক অনিবার্য সত্য। আল্লাহর সৃষ্টি সবই ধ্বংসশীল। পৃথিবীতে যাদের আগমন ঘটেছে তাদের বিদায়
অবশ্যম্ভাবী। এটা সবাই বিশ্বাস করে কিন্তু উপলব্ধিতে খুব কমই আসে।
আমরা
প্রতিনিয়ত মৃত্যু সংবাদ শুনছি এবং লক্ষ্য করছি বাবা-মার মৃত্যুতে সন্তান ইয়াতিম হচ্ছে,
সন্তানের মৃত্যুতে বাবা-মা সন্তানহারা হচ্ছে, স্বামীর মৃত্যুতে স্ত্রী বিধবা ও স্ত্রীর
মৃত্যুতে স্বামী সঙ্গীহারা হচ্ছে। বৃদ্ধ দাদা-দাদির উপস্থিতিতে নাতি-নাতনি, বাবা-মার
উপস্থিতিতে সন্তান, অসুস্থ সঙ্গীকে রেখে তার সেবাকারী চলে যাচ্ছেন।
মৃত্যু সম্পর্কে কিছু কথা
মৃত্যুকে
জ্ঞান-বুদ্ধি-উপলব্ধির বাইরে রাখা হয়েছে। হাসপাতালে মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটফট করলেও আরো
হায়াত আছে মনে করে সিঙ্গাপুর, লন্ডন, আমেরিকায় নিয়ে যাওয়ার জন্য বলছে। মৃত্যু অনিবার্য
এটা জানার পরও মৃত্যুকে স্বাভাবিকভাবে নেয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। এত বড় সত্য
জানার পরও আমাদের মৃত্যু ও মৃত্যু পরবর্তি জীবনের জন্য কোন প্রস্তুতি লক্ষণীয় নয়।
মৃত্যুকে
অস্বীকার করার মত কেউ নেই। কিন্তু মৃত্যু পরবর্তি জীবন নিয়ে মানুষের মধ্যে রয়েছে নানা
বিভ্রান্তি। অতি প্রাচীনকাল থেকে মৃত্যু পরবর্তি জীবন সম্পর্কে একটা বিশ্বাস মানুষের
মধ্যে রয়েছে। এখনও সকল ধর্মাবলম্বীর মধ্যে কোন না কোনভাবে একটা বিশ্বাস কাজ করছে। মৃত্যুই
জীবনের চূড়ান্ত সমাপ্তি এবং এরপর আর কিছু নেই এরূপ নিরেট নাস্তিকের সংখ্যা পৃথিবীতে
খুব কমই রয়েছে।
আল্লাহ
পৃথিবীতে মানুষকে তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে সৃষ্টি করেছেন এবং যথাযথভাবে প্রতিনিধিত্বের
দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তোষ ও অসংখ্য নেয়ামতেভরা জান্নাত প্রাপ্তির সুসংবাদ
রয়েছে। উত্তম কাজের বিনিময়ে জান্নাত ও মন্দ কাজের বিনিময়ে শাস্তিদানের লক্ষ্যেই মূলত
মৃত্যু।
ইসলামে মৃত্যু
এ
প্রসঙ্গে আল্লাহ বলেন, ‘জীব মাত্রই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে।
কিয়ামতের দিন তোমাদের কর্মফল পূর্ণমাত্রায় দেয়া হবে। যাকে অগ্নি থেকে দূরে রাখা হবে
এবং জান্নাতে দাখিল করা হবে সেই সফলকাম এবং পার্থিব জীবন ছলনাময় ভোগ ব্যতীত কিছুই নয়’ – সূরা আলে ইমরান ১৮৫।
মৃত্যু
যেমন অবশ্যম্ভাবী, মৃত্যু পরবর্তী জীবনও অবশ্যম্ভাবী। মৃত্যু বাস্তব কিন্তু মৃত্যু পরবর্তী জীবন সম্পর্কে মানুষের বাস্তব ধারণা নেই। এটা বিশ্বাস ও কিছুটা যুক্তিবুদ্ধি। হযরত
আদম (সা.)-কে সৃষ্টির পর তাঁকে জান্নাতে রাখা হয়েছিল। সেখানে এক পরীক্ষায় সাময়িক ব্যর্থ
হলেও তিনি তাঁর ত্রুটি উপলব্ধি করে তাৎক্ষণিক ক্ষমা চেয়ে নেন।
ফলে
আল্লাহ তাঁকে ক্ষমা করে নবী হিসেবে দুনিয়ায় প্রেরণ করেন এবং বলেন, ‘আমার পক্ষ থেকে
যে হেদায়াত যাবে যারা তা অনুসরণ করবে তাদের কোন ভয়ের কারণ নেই’ - সূরা বাকারা
৩৮।
পৃথিবীর
সর্বোত্তম ব্যক্তিবর্গ হলেন নবী-রসূলগণ। শেষ নবী মুহাম্মদ (সা.)সহ সকল নবী-রসূল মৃত্যুপরবর্তি
জীবন সম্পর্কে সাক্ষ্য দিয়েছেন। এছাড়া সকল মানুষের ন্যায়-অন্যায়বোধ বা ভালো-মন্দ উপলব্ধি
রয়েছে। মানব চরিত্রের ভালো দিক-সততা, আমানতদারিতা, প্রতিশ্রুতি পালন, ন্যায়বিচার, সদাচরণ
ইত্যাদি সকলের কাছে গ্রহণীয়।
পক্ষান্তরে
মিথ্যা, ধোকা-প্রতারণা, হত্যা, জুলুম-নির্যাতন, ঘুষ-দুর্নীতি, যিনা-ব্যভিচার ইত্যাদি
ঘৃণ্য ও বর্জনীয়। আল্লাহ তা‘য়ালার ভাষায় মৃত্যু কর্মফল প্রদানের লক্ষ্যে।
আসলে এ পৃথিবী কর্মফলের জায়গা নয়।
এমন
অনেক মানুষ রয়েছে যারা তাদের সমগ্র জীবন মানব জাতির কল্যাণে ব্যয় করেও পৃথিবীতে যথার্থ
সম্মান না পেয়ে উল্টা নির্যাতিত হয়েছেন, আবার এমন নরপশু আছে যারা মানুষের ওপর সীমাহীন
জুলুম-নির্যাতনের পরও পৃথিবীতে শাস্তির সম্মুখীন না হয়ে পুরস্কৃত হয়ে থাকে।
আবার
কেউ শাস্তি পেলেও জুলুমের মাত্রা অনুসারে শাস্তি ভোগ করে না। যেমন-একজন লোককে হত্যা
করলে বিচারে তাকে ফাঁসি দেয়া যেতে পারে; কিন্ত একজন লোকের নির্দেশে এক হাজার লোক নিহত
হলে তাকে হাজার বার ফাঁসি দেয়া সম্ভব নয়।
তাই
বিবেক-বুদ্ধির দাবী, মৃত্যুর পর এমন একটি জগত দরকার যেখানে চূলচেরা বিচার-বিশ্লেষণ
করে প্রত্যেকে তার সৎ কাজের পূর্ণমাত্রায় পুরস্কার ও মন্দ কাজের শাস্তি ভোগ করতে পারে।
মৃত্যুচিন্তা
মানুষকে দুর্বল করে দেয়, ভীত-সন্ত্রস্ত করে। ফলে আল্লাহর পথে চলতে বা দুনিয়ার জীবন
অতিবাহিত করতে সে পেছনে পড়ে যায়। মৃত্যুভয় অমূলক। মৃত্যুর সুনির্দিষ্ট সময় ও স্থান
রয়েছে।
আল্লাহর
বাণী, ‘আল্লাহর অনুমতি
ব্যতীত কারো মৃত্যু হতে পারে না যেহেতু মৃত্যুর সময় সুনির্দিষ্ট রয়েছে। কেহ পার্থিব
পুরস্কার চাইলে আমি তাকে তার কিছু দেই এবং কেহ পারলৌকিক পুরস্কার চাইলে আমি তাকেও কিছু
দেই এবং শীঘ্রই কৃতজ্ঞদিগকে পুরস্কৃত করা হবে’ - সূরা আলে ইমরান
১৪৫।
মৃত্যু কি পূর্ব নির্ধারিত?
আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তোমরা যেখানেই থাক না কেনো মৃত্যু তোমাদেরকে ধরবেই ধরবে
সুরক্ষিত দালানে থাকলেও। যদি তাদের কোন কল্যাণ হয় তবে তারা বলে ইহা তোমার নিকট থেকে।
বল, সব কিছুই আল্লাহর নিকট থেকে। এ সম্প্রদায়ের হল কি যে, এরা একেবারেই কোন কথা বুঝে
না’ - সূরা নিসা ৭৮।
মানুষ
অনন্ত পথের যাত্রী। দুনিয়ার জীবনটা যাত্রাবিরতি ও কর্মক্ষেত্র। আসল গন্তব্য আখিরাত।
দুনিয়ার কৃতকর্মের ফল ভোগ করবে আখিরাতে। আল্লাহর বাণী,‘জীব মাত্রই মৃত্যুর
স্বাদ গ্রহণ করবে। আমি তোমাদেরকে মন্দ ও ভালো দ্বারা বিশেষভাবে পরীক্ষা করে থাকি এবং
আমারই নিকট তোমরা ফিরে আসবে’ - সূরা আম্বিয়া ৩৫।
যেহেতু
মৃত্যুর সময় ও স্থান অজানা। তাই পরকালে বিশ্বাসী একজন ব্যক্তির সব সময় মৃত্যুর জন্য
প্রস্তুত থাকা দরকার। নিজের জীবনটা তাওবা-ইস্তেগফারের মধ্য দিয়ে অতিবাহিত করা এবং পারস্পরিক
লেনদেন ও আচার-আচরণ অত্যন্ত স্বচ্ছতার সাথে হওয়া দরকার।
একজন
ব্যক্তি মৃত্যু চাক্ষুস দেখে এবং জানে ও স্বীকার করে যে একদিন এ পৃথিবীর মায়া ত্যাগ
করে তাকেও চলে যেতে হবে তারপরও শয়তানের প্ররোচনায় তার জীবনটা এমনভাবে অতিবাহিত হয় যে,
মনে হয় মৃত্যু বা মৃত্যুপরবর্তি জীবন বলতে কিছুই নেই। এটা আসলে শয়তানের ধোকা।
এ
দেশের শতকরা নব্বই ভাগ মানুষ মুসলিম। তারা আল্লাহ, রসূল, আখিরাত, কিতাব, তকদির বিশ্বাস
করে। কিন্তু দুর্ভাগ্য-বিশ্বাস তাদের আমলে প্রতিফলিত নয়। সমাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এ রকম
সকল অপকর্ম-মিথ্যা বলা ও মিথ্যা সাক্ষ্যপ্রদান, সুদ, ঘুষ, ওজনে কম-বেশি, ভেজাল, ধোকা-প্রতারণা,
নগ্নতা-বেহায়াপনা, যিনা-ব্যভিচার, ছিনতাই-রাহাজানি, হত্যা, লুণ্ঠন, খিয়ানত, প্রতিশ্রুতিভঙ্গসহ
সকল ধরনের পাপাচারে আজ এ জাতি লিপ্ত।
ব্যক্তি,
মানুষ ও সমাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এমন ধরনের সকল কর্মই কবিরা গুনাহ ও জাহান্নামে যাওয়ার
কারণ। একজন ব্যক্তিকে এক গ্লাস দুধ দিয়ে যদি বলা হয় এর মধ্যে এন্ড্রিন আছে এবং খাওয়ার
সাথে সাথে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়বে। কেউ যদি এটা বিশ্বাস করে তাহলে শত প্রলোভন ও চাপ
প্রয়োগ করে সে দুধ তাকে খাওয়ানো যাবে না।
এখন
একজন ব্যক্তি যদি বিশ্বাস করে যে, নামায না পড়লে এবং ঘুষের আদান-প্রদান করলে তাকে দোযখে
যেতে হবে এবং সেখানে অনন্তকাল ভয়াবহ আযাব ভোগ করতে হবে; তাহলে কি সম্ভব তার পক্ষে নামায
আদায় না করে থাকা বা ঘুষের আদান-প্রদান করা? শয়তান এখানেই সফলকাম হয়েছে।
একটা
মিথ্যা আশ্বাস ও ধোঁকায় ফেলে রেখেছে। শয়তান ও তার খলিফারা ধর্মনিরপেক্ষ মতবাদের মাধ্যমে
সুকৌশলে মানুষকে তার ব্যবহারিক জীবনে ধর্মকে বিসর্জন দিয়ে আত্মভোলা করে রেখেছে এবং
বোঝাচ্ছে পাপ-পুণ্যের হিসেবে বড় কিছু করে অর্থাৎ বৃদ্ধ বয়সে হজ্জ্ব, মসজিদ-মাদ্রাসা
নির্মাণ, বড় কুরবানির মাধ্যমে আখিরাত নিশ্চিত করা যাবে। আজকের মুসলিম উম্মাহর একটা
বড় অংশ আল্লাহর প্রতিনিধিত্ব ছেড়ে দিয়ে শয়তানের প্রতিনিধিত্ব করার কারণেই এত দুর্নীতি,
হানা-হানি ও রক্তা-রক্তি।
মানব
সৃষ্টির সূচনায় শয়তান চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিল যে, সে মানুষকে সামনে-পেছনে, ডানে-বামে
চতুর্দিক থেকে আক্রমণ করে তাকে আল্লাহর নাফরমান করে ছাড়বে। আল্লাহ জবাবে বলেছিলেন যে
তাঁর কৃতজ্ঞ বান্দাহদের প্রতি তার কোন প্রভাব খাটবে না এবং যারা তাকে অনুসরণ করবে তাদেরসহ
তাকে দিয়ে জাহান্নাম পূর্ণ করবেন।
এ
দ্বন্দ্ব চিরন্তন। আল্লাহর প্রতিনিধি ও শয়তানের প্রতিনিধির মধ্যে এ লড়াই সংগ্রামই মূলত
পরীক্ষা। এ পরীক্ষায় মু‘মিনদেরকে সাহস জুগিয়েছেন স্বয়ং আল্লাহ।
বারবার বলেছেন মু‘মিনদের অভিভাবক আল্লাহ এবং তাদের উচিৎ
কেবল আল্লাহরই ওপর ভরসা করা। মৃত্যুভীতি দূর করার লক্ষ্যে আল্লাহ বলেন, ‘যারা আল্লাহর
পথে নিহত হয় তাদেরকে মৃত বলো না, তারা জীবিত; তাদের জীবন সম্পর্কে তোমাদের কোন চেতনা
নেই’ - সূরা বাকারা
১৫৪।
মৃত্যু
যেহেতু এড়িয়ে চলার সুযোগ নেই এবং নির্ধারিত সময়েই আসবে সেহেতু সে মৃত্যু যদি আল্লাহরই
পথে আসে তাহলে তো সৌভাগ্যেরই ব্যাপার। আল্লাহর প্রতিনিধি হিসেবে বাতিলের মোকাবেলায়
হক প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টার মধ্যেই রয়েছে জান্নাতের নিশ্চয়তা। আল্লাহর বাণী,‘তোমরা কি মনে
কর যে, তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করবে অথচ তোমাদের মধ্যে কে জিহাদ করেছেন এবং কে ধৈর্যশীল
তা এখনো আল্লাহ জানেন না’ - সূরা আলে ইমরান ১৪২।
তিনি
আরো বলেন,‘আল্লাহ জান্নাতের বিনিময়ে মু‘মিনদের জান-মাল
খরিদ করে নিয়েছেন; তারা আল্লাহর রাস্তায় লড়াই করে মারে ও মরে। তাদের প্রতি জান্নাত
দানের ওয়াদা আল্লাহর জিম্মায় একটি পাকা-পোক্ত ওয়াদা তাওরাত, ইঞ্জিল ও কুরআনে। আর আল্লাহর
চেয়ে বেশি ওয়াদা পালনকারী আর কে আছে? কাজেই তোমরা যে সওদা করেছ তার জন্য আনন্দ কর এবং
ইহাই বড় সাফল্য’ - সূরা তাওবা ১১১।
পক্ষান্তরে
যারা দ্বীন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে মু‘মিনদের প্রতিপক্ষ
হিসেবে কাজ করে ও নানাভাবে জুলুম-নির্যাতন করে তাদের পরিণতি জাহান্নাম। আল্লাহর ভাষায়,‘যারা ঈমানদার
নর ও নারিকে কষ্ট দেয় অত:পর তাওবা করে না, তাদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের আযাব, আছে
ভস্ম হওয়ার শাস্তি’ - সূরা বুরুজ ৯।
এ
পৃথিবী একটি পরীক্ষাগার। পরীক্ষার প্রশ্ন, উত্তর ও ফলাফল প্রকাশ করে দেয়া হয়েছে। যারা
জবাব যথাযথভাবে দিতে পারবে তাদের জন্য রয়েছে অফুরন্ত পুরস্কার। পক্ষান্তরে যারা ব্যর্থ
হবে তাদের জন্য রয়েছে ভয়াবহ শাস্তি।
পরীক্ষাস্বরূপ
আল্লাহ মৃত্যু দিয়েছেন। পরীক্ষার কারণে আল্লাহর বিধান পালনে দিয়ে রেখেছেন স্বাধীনতা।
আল্লাহর বিধান মান্য ও অমান্য করার সমান সুযোগ রয়েছে। অমান্য করলে বা আল্লাহর পক্ষের
শক্তির বিরুদ্ধে সীমাহীন জুলুম-পীড়নে তাৎক্ষণিক কোন শাস্তির ব্যবস্থা নেই।
বরং
আল্লাহর পক্ষে যে যতবেশি নিপীড়িত হবে তার পুরস্কার ততবেশি এবং যে যতবেশি জুলুম-নির্যাতন
করবে তার শাস্তির মাত্রাও ততবেশি। আল্লাহর সবচেয়ে প্রিয়ভাজনরা অর্থাৎ নবী-রসূলরা ও
তাঁদের সার্থক অনুসারীরা বেশি নির্যাতিত হয়েছেন এবং মৃত্যুর সাথে সাথে ফেরেশতারা তাঁদের
অভিবাদন জানাতে থাকবে।
পক্ষান্তরে
নবী-রসূল ও তাঁদের অনুসারীদের মোকাবেলায় যারা দাঁড়িয়েছে সেই নমরুদ-শাদ্দাদ-ফেরাউন-আবু
জেহেল-আবু লাহাব ও তাদের উত্তরসূরীরা ভয়াবহ শাস্তির সম্মুখীন হবে এবং মৃত্যুর সময় থেকে
ফেরেশতারা তাদেরকে আঘাত করতে থাকবে।
তাই
মৃত্যু জীবনের কোন পরিসমাপ্তি নয় বরং অনন্তকালে যাত্রা শুরু। মু‘মিন যে জান্নাতের
প্রত্যাশি তা মৃত্যুর পরই পাওয়া সম্ভব। তাই মৃত্যু মু‘মিনের জন্য ভয়ের
নয় বরং মু‘মিন সর্বক্ষণ প্রস্তুত।
পক্ষান্তরে
কাফিরের জন্য আতঙ্ক। ভয়াবহ ও বিপদজনক অবস্থানে তার যাত্রা শুরু যেখান থেকে আর ফেরত
আসা বা সংশোধনের কোন সুযোগ নেই। আল্লাহ মুসলিম উম্মাহকে মৃত্যু ও মৃত্যু পরবর্তি জীবন
সম্পর্কে সঠিক উপলব্ধি দান করুন। আমীন। ১৪.১০.২০১৩
Comments
Post a Comment