আল্লাহর বাণী-
তোমরা বড় বড় গুনাহ থেকে দূরে থাক তাহলে ছোট
গুনাহসমূহ আল্লাহ এমনিতেই মাফ করে দিবেন।
কতিপয় বড় গুনাহ-
১. শিরক। গোপন ও প্রকাশ্য সকল ধরনের শিরক।
অর্থাৎ যে কোন ভাবেই হোক কাউকে আল্লাহর সমকক্ষ ভাবা। শিরক হলো বড় ধরনের জুলুম।
২. মানুষের হক নষ্ট। পিতা-মাতা, স্বামী-স্ত্রীসহ
সব ধরনের মানুষের অধিকার হরণ।
৩.আত্মীয়তার সম্পর্ক নষ্ট। হাদিসের ভাষায়
আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিহ্নকারী জান্নাতে যাবে না।
৪. ওয়াদা-প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ। ব্যাংকে ঋণখেলাপিও
এ পর্যায়ে পড়ে।
৫. আমানতে খেয়ানত। ব্যক্তিগত হোক বা রাষ্ট্রীয়
সম্পদ তছরুপ সবই এর মধ্যে পড়ে।
৬. ধারণা-অনুমান ও সন্দেহ-সংশয়। সুধারণা পোষণ
মুমিনের স্বভাব। এর বাইরে খারাপ ধারণা পোষণ গুনাহের কাজ।
৭. গীবৎ। কারো মধ্যে দোষ-ত্রুটি থাকলে তা তার
অসাক্ষাতে প্রচার গুনাহ এবং জিনা অপেক্ষাও জঘন্য।
৮. মিথ্যা সাক্ষ্যদান ও মাপে -ওজনে কম-বেশি, ধোকা-প্রতারণা
সবই বড় গুনাহ। মূল কথা মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এমন সবই হারাম।
৯. জিনা-ব্যভিচার ও পর্দাহীনতা
১০. আল্লাহর হক অর্থাৎ আল্লাহ নির্ধারিত সকল
ফরজ ইবাদতসমূহ।
আরো অনেক রয়েছে। আল্লাহ আমাদেরকে বড় বড় গুনাহ
থেকে দূরে থাকার তাওফিক দান করুন। আমীন। 20/10/14
মানুষ মারা গেলে ইসলামের দৃষ্টিতে যা করণীয়-
প্রথমত তার ঋণ ও অছিয়ত পূরণ করা। তারপর দ্রুত
দাফন-কাফনের ব্যবস্থা করা। জানাযার নামাযে আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবদের জানানো
মুস্তাহাব। ব্যাপক প্রচার ও মাইকিং করা অপ্রয়োজনীয়। জানাযা ও দাফন-কাফনে শরীক হওয়া
অত্যন্ত সওয়াবের কাজ। হাদিসের ভাষায় দুই কিরাত পর্যন্ত সওয়াব। জানাযার নামায মৃতের
জন্য দোয়া। তাৎক্ষণিক আলাদা মোনাজাত অপ্রয়োজনীয়। কোন নামাযেই নাওয়াইতুয়ান বলে মুখে
উচ্চারণ করে নিয়ত লক্ষ্য করা যায় না। বিশেষ দিন-ক্ষণে খানা-পিনার আয়োজন বাহুল্য
কাজ। এর মধ্যে মৃতের কোন কল্যাণ নেই। বরং এ খানাটা ইয়াতিমখানা বা লিল্লাহ বোর্ডিং
বা দুস্থদের দেয়া যায়। কারণ ইছালে সওয়াব বা মাইয়াতের উদ্দেশ্যে প্রস্তুত খানা
একান্ত মিসকিনদের জন্য। তাতে সাহেবে নেছাবদের কোন অংশ নেই। আত্মীয়-স্বজনদের কাজ
হলো মাইয়াতের জন্য নফল নামায, রোযা, দান-সদাকা করা এবং আল্লাহর কাছে বেশি বেশি মাগফেরাত কামনা
করা। পিতা-মাতার জন্য সন্তানের দোয়া খুবই কার্যকরী। 19/10/14
আমরা কি আল্লাহর সৌভাগ্যবান বান্দাহ হতে পারি না?
মানুষের জীবন কিছু সময়ের সৃষ্টি। ০ থেকে বড়জোর ৫০/৬০ বা সর্বোচ্চ শত বছর। আমরা তো অনন্ত পথের যাত্রী। সে জীবন অনন্তকালের যার কোন সমাপ্তি নেই। সে জীবনের তুলনায় এ জীবন অতি ক্ষুদ্র ও নগন্য। এবং এটাও ঠিক যে যারা পৃথিবীতে এসেছে অবশ্বম্ভাবী তাদেরকে সে জীবনে ফিরে যেতে হবে। তবে কেন এত হানা-হানি, মারা-মারি, মান-অভিমান, হিংসা-বিদ্বেষ, অপরকে ছোট করার প্রবণতা বা নিজেকে বড় ভাবারই বা চেষ্টা? আল্লাহতায়ালাকে ধন্যবাদ যে, তিনি তাঁর কিছু বান্দাহকে হেদায়াতের পথ দেখিয়েছেন। এ সব বান্দাকে অবশ্যই আল্লাহ যাচাই করবেন অর্থাৎ পরীক্ষা নেবেন। সেটা হতে পারে প্রিয়জনদের দ্বারা, হতে পারে চলার পথের সাথীদের দ্বারা, হতে পারে রোগ-শোক দ্বারা, হতে পারে বাতিলের নিপীড়ন-নির্যাতন, রিমান্ড, জেল-জুলুম, ফাঁসি বা তিক্ত বাক্যবাণে। কিন্তু এ সবের মোকাবেলায় আল্লাহ কী চান? তাঁরই কথা-তোমাদের স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততির মধ্যে কতিপয় তোমাদের শত্রু। তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাক। আর যদি ক্ষমা ও সহনশীলতার ব্যবহার কর তাহলে আল্লাহ অতিশয় ক্ষমাশীল ও দয়ালু। হে নবী-ভালো ও মন্দ কখনই এক নয়। তুমি মন্দকে দূর কর সেই ভালো দ্বারা যা অতিশয় উত্তম। তাহলে দেখবে তোমার জানের দুশমনরা প্রাণের বন্ধু হয়ে গেছে। কাজটি অত্যন্ত কঠিন-আল্লাহ নিজেই স্বীকার করে বলছেন-এ গুণ কেবল তারাই লাভ করতে পারে যারা অতিশয় ধৈর্যশীল ও অতীব সৌভাগ্যবান।
আজ পৃথিবীতে শয়তানের মহাজয়জয়কার। পৃথিবীটা মনুষ্যবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। শুধুই প্রতিশোধস্পৃহা এবং প্রতিপক্ষকে মিটিয়ে ফেলার এক বর্বর প্রচেষ্টা। অথচ আল্লাহ চান-তাঁকে মানুক বা না মানুক সবাই শান্তিপূর্ণভাবে এ পৃথিবীতে বসবাস করুক। তাঁর দেয়া দ্বীন বিজয়ী হলে সেখানে সবাই নিরাপদ। প্রত্যেকে তার অধিকার ভোগ করবে কিন্ত অপরের অধিকার ভঙ্গ করার কোন সুযোগ থাকবে না। আমরা কি সেই দ্বীনের বিজয় কামনা করতে পারি না? 23/10/2014
একজন বৃদ্ধ ব্যক্তির সমস্যা
একজন বৃদ্ধ ব্যক্তির বড় সমস্যা হলো তার একাকীত্ব। আমি আমার আব্বা ও আমার বেয়াইকে দিয়ে বেশ উপলব্ধি করি। আমার আব্বা সৌভাগ্যবান যে তাঁর অনেক ছেলে-মেয়ে (৫ মেয়ে ও ৪ ছেলে)। মেয়েগুলো বেশ কাছাকাছি রয়েছে। এ ছাড়া তাঁর পুত্রবধুরা বেশ আদর-যত্ন করেন। ব্যস্ত দুনিয়ায় যতটা সান্নিধ্য তিনি চান তা আমরা পারি না। আল্লাহর মেহেরবানি যে আমার আব্বা-আম্মা এখনও তাঁদের ছেলেদেরকে এক যৌথ পরিবারে দেখছেন। এর পেছনে বড় অবদান তাঁদের পুত্রবধুদের। আমি তাদের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এ অবস্থা নি:সন্দেহে আমার আব্বা-আম্মার চোখকে শীতল করছে। প্রতিদিনই আমরা আব্বা-আম্মার সাথে কথা বলি। আব্বা-আম্মার সাথে কথা বললে ২/১ টা কথা বলার পরই বলে থাকেন রিনাকে দাও। আব্বার কথা-'তুমি কবে আসবে।' আল্লাহপাক যেন আমাদেরকে তাঁদের সন্তুষ্টি নিয়ে চলতে সাহায্য করেন।
আমার বেয়াই একান্ত একা। অসুস্থ মানুষ। সপ্তাহে তিন দিন ডাইলাইসিস করতে হয়। বাড়ীতে থাকেন তিনি এবং তাঁর শাশুড়ি। তিনি আরো বৃদ্ধা। উভয়েরই প্রয়োজন সেবা-যত্নের। বেয়াই-এর শ্যালকের বউ সন্ধ্যার দিকে প্রায়ই এসে খোঁজ নেন। জামাই-শাশুড়ির তো কোন গল্প-গুজব নেই। দুই ঘরে দুজন বসবাস করেন। আমরা প্রায়ই যাই এবং কিছু সময় কাটাই। গত পরশু গিয়েছিলাম এবং গতকাল বাদ দিয়ে আজ গিয়েছিলাম। প্রতিদিন যেতে পারলে খুব ভালো হয়। কিন্তু পারি না। বেয়াই তাঁর অনেক সন্তুষ্টির কথা জানালেন। গতকাল তাঁর জামাই-এর স্কাইপিতে অনেক কথা হয়েছে এবং মেয়েকে নাতির ব্যাপারে কত পরামর্শ। তিনি চান তাঁর নাতিকে যেন প্রকৃতির সাথে পরিচিত করে তুলা হয়। ঘরে আটকে রাখার তিনি ঘোর বিরোধী। তাঁর ছেলে, ছেলে বউ এবং নাতি নিয়ে কত কথা। তিনি তাঁর বউমার উচ্চসিত প্রশংসা করেন। তাঁর নাতির নামাযের বিছানা নিয়ে নামায পড়ার চেষ্টায় তিনি দারুণ সন্তোষ প্রকাশ করলেন। তাঁর নাতি নানির কাছে ভিড়তে চায় না, এ ভয়ে যে মা তাকে তার নানির কাছে রেখে চলে যাবে। একজন বৃদ্ধ মানুষের এ সব নিয়েই তো জীবন। এশার নামাযে চলে যেতে চাইলে বললেন, নামায পড়ে আর একবার আসেন। নামায শেষ করে আবার সেখানে গেলাম। বেয়াই-এর শাশুড়ি আমার স্ত্রীকে তাঁর মেয়ে হিসেবেই জানে এবং আমরাও সেভাবেই নিই। রাজিব প্রতিদিনই তাঁর সাথে কথা বলেন। আল্লাহপাক আমার বেয়াইকে রহম করেছেন রাজিবের মত একজন সন্তান দিয়ে। পিতা-মাতার প্রতি তাঁর ভক্তি তুলনাহীন। পিতা-মাতার প্রতি এ ভক্তির বদলা আল্লাহ দুনিয়া ও আখিরাতে তাদেরকে দান করুন। আমীন।
আমি নিজে বর্তমানে ব্যস্ত জীবন কাটাচ্ছি। সকাল ৭টায় বাসা থেকে বেরিয়ে পড়ি এবং আছরের নামায মসজিদ থেকে পড়ে বাসায় প্রবেশ করি। আমি আমার এ ব্যস্ততা উপভোগ করি এবং চাই আল্লাহ যেন আমাকে ব্যস্ততার মধ্যেই তাঁর কাছে এক অনুগত বান্দাহ হিসেবে নেন। অর্থাৎ অতি বার্ধক্য থেকে আমি আল্লাহর কাছে পানাহ চাই। আমীন। 22/10/2014
অধ্যাপক গোলাম আযম- Gi B‡šÍKvj
অধ্যাপক গোলাম আযম এক সম্ভ্রান্ত বংশ ও দ্বীনি
পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা একজন বড় মাপের আলেম ও শিক্ষক ছিলেন এবং তাঁর
দাদাও ছিলেন একজন উঁচুদরের আলেম। একটি দ্বীনি পরিবেশে তিনি বেড়ে ওঠেন। অত্যন্ত
মেধাবী ও নেতৃত্বের গুণাবলী সম্পন্ন অধ্যাপক গোলাম দুই টার্ম ডাকসুর জিএস ছিলেন।
ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্ব দানের জন্য জেলও খাটেন। ছাত্রাবস্থায় তিনি তমুদ্দুন মজলিস ও
তাবলীগ জামাতের মত দ্বীনি সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত হন। পরবর্তিতে জামায়াতে ইসলামীর
সাথে সম্পৃক্ত হয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি
যে একজন বুজুর্গ ও আল্লাহর ওলী ছিলেন মৃত্যুর পর তাঁর চেহারার ঔজ্জল্য ও নুরানি
ভাবই তা বলে দিচ্ছে। মুমিনদের সম্পর্কে আল্লাহর বাণী-তাদের চেহারায় সেজদাসমূহের
চিহ্ন জ্বলজ্বল করে। সেটাই লক্ষ্য করলাম। দেশ-বিদেশে গায়েবানা জানাযায় মানুষের ঢল।
কাতারে নামায পড়ান বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ আলেম ও ফকীহ আল্লামা ড. ইউসুফ আল কারযাভী।
অধ্যাপক গোলাম আযমের মত একজন বুজুর্গ ও আল্লাহর ওলী ধর্ষণ, খুন, লুটপাট ও
অগ্নিসংযোগ করতে পারে তা একজন নিরেট নাস্তিক ও ধর্মদ্রোহী ছাড়া কেউ বিশ্বাস করতে
পারে না। সুপ্রিম কোর্টে নাগরিকত্ব প্রশ্নে বিভক্ত রায়ে যে বিচারক তাঁর বিরুদ্ধে
রায় দিয়েছিলেন, তিনিও বলেছেন, অধ্যাপক গোলাম
আযম মানবতাবিরোধী কোন অপরাধের সাথে সম্পৃক্ত নন। অধ্যাপক আযম তাঁর রবের কাছে পৌছে
গেছেন। আমরা পূর্ণ বিশ্বাস নিয়ে বলছি যে তিনি এ জাতীয় অপরাধের সাথে কোনভাবেই
সংশ্লিষ্ট নন এবং কেউ কেউ বলছেন যে তিনি মানবতাবিরোধী অপরাধের সাথে সংশ্লিষ্ট।
অধ্যাপক আযম যেমন তাঁর রবের কাছে ফিরে গেছেন, তেমনি আমরাও যাব
এবং তাঁর শত্রুরাও যাবে। চূড়ান্ত বিচার আল্লাহর আদালতেই হবে। আল্লাহর কাছে আমরা
অধ্যাপক গোলাম আযমের মাগফেরাত কামনা করি এবং তাঁর পরিবারের জন্য সার্বিক কল্যাণ
কামনা করি। আমীন। 24/10/2014
বিশ্ববরেণ্য ইসলামী চিন্তাবিদ ও মজলুম জননেতা
এবং ভাষা সৈনিক অধ্যাপক গোলাম আযম চিরদিনের জন্য আমাদের মাঝ থেকে চলে গেলেন। তিনি
তাঁর লেখনি ও অগণিত অনুসারী রেখে গেলেন। তিনি সব সময় দোয়া পেতে থাকবেন। তিনি শুধু
বাংলাদেশ নয় সারা বিশ্বের মুসলমানদের নয়নের মনি। নাস্তিক ও ধর্মদ্রোহীরাই কেবল
তাঁর শত্রু। তিনি মুসলিম জনগোষ্ঠীর হৃদয়ে সুদীর্ঘকাল বেঁচে থাকবেন এবং প্রেরণা
যোগাবেন। আল্লাহ তাঁকে জান্নাতুল ফেরদাউসে স্থান দান করুন। আমীন। 24/10/2014
একটি ওল্ড হোম করার প্রস্তাব পেয়েছি-
গতকাল বেয়াই-এর দাওয়াতে গিয়েছিলাম। আমার বেয়াই
(রনির শ্বশুর) তাঁর বেয়াই-বেয়াইনদের দাওয়াত দিয়েছিলেন। রাজিবের শ্বশুর-শাশুড়ি আসার
পূর্বেই আমরা পৌছেছিলাম। রাজিবের শাশুড়ি আগামীকাল ১৮/১০/২০১৪ তারিখ আমেরিকা
যাচ্ছেন তাঁর মেয়েকে সহায়তা দানের জন্য এবং ফিরবেন আগামী বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি।
দীর্ঘ সময় বাইরে থাকবেন বিধায় আমি বেয়াইকে প্রস্তাব দিলাম দু' বেয়াই একত্রে
থাকতে। সাথে সাথে তিনি জানালেন আপনিও চলে আসেন-আমার বাসায় তিনটি কক্ষ রয়েছে। খুবই
সুন্দর হবে। কারণ হিসেবে বললেন যে তাঁর বেয়াইন (রনির আম্মা) এখন বেশির ভাগ সময়ই
বাড়ী থাকেন বা থাকতে চান। আমি জানালাম চমৎকার প্রস্তাব- এটা আমাদের একটা ওল্ড হোম
হতে পারে। (প্রসঙ্গক্রমে বলে রাখি, আমার আব্বা
বর্তমানে খুবই অসুস্থ। আমাদের বিশেষ করে আমার স্ত্রীর কাছে থাকাটা তাঁর খুবই পছন্দ।
আর আমার স্ত্রীর কষ্ট হলো বাড়ীর বড় বউ হয়েও শ্বশুর-শাশুড়ির তেমন খেদমত করতে পারছে না। কথাটা এ জন্য বললাম যাতে আবার
কেউ আমাদের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি আবিষ্কার না করে।)
বেয়াইন থাকতে তাঁদের বাসায় সব সময়ই জমকালো
খানা-পিনা হত। গত বছর ৩ সেপ্টেম্বর আমার বেয়াইনের মৃত্যুর পর (আল্লাহ তাঁর প্রতি
রহম করুন) আমার বেয়াই একান্ত একা। তারপরও আইটেম ছিল সাদা ভাত, শৈল মাছ দিয়ে লাউ
রান্না, মুরগি-খাশি-গরুর গোশ, ডাল, সব্জি, দৈ, মিষ্টি, রসমালাই, বুরহানি, সালাত। এর মধ্যে
তিনটি আইটেম (শৈল মাঝ, মুরগি ও গরুর গোশ) নিয়ে এসেছিলেন রাজিবের শ্বশুর-শাশুড়ি।
আমার বেয়াই বললেন বিভিন্ন বাসার এসব খাবার নিয়ে বোটানিকাল গার্ডেনে গেলে চমৎকার
হত। খাওয়া-দাওয়ার পাশাপাশি গল্প-গুজবের মধ্য দিয়ে আমাদের সময়গুলো বেশ সুন্দর কাটলো
এবং রাত ১১টার দিকে আমরা বাসায় ফিরি। আল্লাহতায়ালার কাছে আমার বেয়াইসহ সবার সুস্থতা
এবং বেয়াইন (রাজিবের শাশুড়ি)-এর নিরাপদ আমেরিকা ভ্রমণ কামনা করি। আমীন। 17/10/2014
অগণিত মানুষের
ভক্তি, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা নিয়ে চিরবিদায় নিলেন ড. পিয়াস করিম-
তাঁর জানাযায় শরীক হওয়ার জন্য আজ বায়তুল
মোকাররম মসজিদে জুমার নামায আদায় করলাম। সকাল সাড়ে এগারোটায় সেখানে উপস্থিত হই।
খতিব মাওলানা সালাহ্ উদ্দীন প্রথমেই ঘোষণা করলেন আমাদের সাথে ড. পিয়াস করিম রয়েছেন
কিন্তু তিনি আছেন খাটিয়ায়। আমরা তাঁর জানাযার নামায আদায় করবো। নামায শেষে জানাযায়
শরীক হওয়ার জন্য সবাইকে অনুরোধ করছি। তিনি বলেন মানুষের বন্ধু তিন ধরনের। প্রথমত-
তাঁর ধনসম্পদ যা মৃত্যুর সাথে সাথে বিদায় নেয় অর্থাৎ ওয়ারিশরা মালিক হয়ে যায়।
দ্বিতীয়ত-তাঁর আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও আপনজন যারা জানাযা ও দাফন-কাফনে শরীক হন এবং
এক সময়ে ভুলে যায়। তৃতীয়ত-তার নেক আমল যা মৃত্যু, কবর, হাশর সব জায়গায়
তার উপকারী বন্ধু হিসেবে দেখা দেয়। তিনি বলেন যেটা ক্ষণস্থায়ী (ধনসম্পদ) তার
পেছনেই আমাদের সময়টা বেশি ব্যয় হয় অথচ যেটা সবচেয়ে উপকারী ও বিপদের বন্ধু (নেক
আমল) তার পেছনে আমাদের সময়দান খুবই সামান্য। তিনি সবাইকে নেক আমলে বেশি করে
সময়দানের জন্য আহবান জানান। তিনি কুরআনের আয়াত উদ্ধৃত করে বলেন যে আপনারা আল্লাহকে
ভয় করুন এবং নেক লোকদের সঙ্গী হন। তিনি আতর বিক্রেতা ও কর্মশালার উদাহরণ দিয়ে বলেন
যে আতর বিক্রেতার সান্নিধ্যে গেলে কিছু না পেলেও সুগন্ধ পাওয়া যাবে। পক্ষান্তরে
কর্মশালার নিকটে গেলে ময়লা আবর্জনা কাপড়ে লাগে। তাই ভালো লোকদের সাথে মেলামেশার
জন্য সবার প্রতি তিনি আহবান জানান। তিনি রসূলের প্রতি মুহাব্বত পোষণ ও তাঁর নাম
উচ্চারণ হলে দরুদ পড়ার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন এবং বলেন যে, যে পড়েনা সে
কৃপণ। আর কৃপণ জান্নাতে যাবে না। বক্তব্য শেষে ড. পিয়াস করিমের নাম উল্লেখ করে
আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামায শেষে তাঁর ইমামতিতে সবর্স্তরের মানুষ জানাযায়
অংশগ্রহণ করেন। হে আল্লাহ! তোমার এ বান্দাহ সত্যের পক্ষে কথা বলার জন্য তোমার ও
মুমিনদের যারা দুশমন সে সব নাস্তিকরা নানাভাবে তাঁকে অপদস্ত করতে চেয়েছে। তুমি ড.
পিয়াস করিমের সম্মান বাড়িয়ে দাও। আখিরাতে তুমি তাঁকে তোমার নেক বান্দাহদের দলভূক্ত
করে নাও। আমীন। 17/10/2014
প্রেমিক-প্রেমিকারা সাবধান !
আজ দৈনিক নয়া দিগন্তে প্রথম ও শেষ পৃষ্ঠার
তিনটা খবর-
১. একজন প্রকৌশলী (চুয়েট থেকে পাস) তার স্ত্রীর
সামনে থেকে চলন্ত ট্রেনের সম্মুখে ঝাঁপ মেরে আত্মহত্যা।
২.চলতি পথে দেখা, অত:পর অসম প্রেম-স্ত্রী কর্তৃক স্বামী হত্যা।
৩. স্বামীর পরকীয়ার প্রতিবাদ করায় জীবন দিতে
হলো জেসমিনকে।
এমন ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। স্বামী-স্ত্রী একে অপরের
প্রতি অত্যন্ত বিশ্বস্ত, আপন ও নির্ভরশীল। কিন্তু আজ আর স্বামী তার প্রিয়তমা স্ত্রী
বা স্ত্রী তার প্রিয়তম স্বামী থেকে নিরাপদ নয়। কেন এমন হচ্ছে? দুজন ছেলে-মেয়ে
যখন পরস্পর ভালোবেসে/প্রেম করে বিয়ে করে তখন তাদের কত স্বপ্ন। অথচ অল্প দিনেই সে
স্বপ্ন ভেঙ্গে খানখান হয়ে যাচ্ছে। এর মূলে অতি প্রগতিশীলতা। এদের কাছে পর্দা
পশ্চাদপদতা। অবাধ মেলামেশা হলো আধুনিকতা, ধর্মীয় মূল্যবোধ
সেকেলে। বাবা-মা স্বল্প বুদ্ধির মানুষ। আজ যে ছেলে বা মেয়ে তাদের ধর্মীয়
বিধি-বিধান উপেক্ষা করে বা তাদের রক্ষণশীল পিতা-মাতার অগোচরে লেখাপড়া ক্ষতিগ্রস্ত
করে প্রেম করে বেড়ায় সে ছেলে বা মেয়ে বিয়ের পর যে বিশ্বস্ত হবে তার গ্যারান্টি কী? তারা যে পরকীয়ায়
জড়িয়ে পড়বে না তার কি কোন নিশ্চয়তা আছে? কারণ এমনটি যে
অনৈতিক ও কবিরা গুনাহ-এ শিক্ষা তো তার নেই। মানুষ দিন দিন নীতি-নৈতিকতা ও বিশ্বাস
বিবর্জিত হয়ে পড়ছে। সুকৌশলে মানুষকে ধর্মীয় বিশ্বাস ও আচার-অনুষ্ঠান পালন থেকে
সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। পুরুষ হোক বা নারি হোক ধর্মীয় মূল্যবোধ ও নীতি-নৈতিকতার তালিম
থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। যারা এসব তালিম দিয়ে থাকেন তাদেরকে জাতির শত্রু হিসেবে চিহ্নিত
করার অপপ্রয়াস চালানো হচ্ছে। হাতে ইসলামী বই ও কুরআন-হাদিস পেলে আর রক্ষা নেই।
একেবারে জঙ্গী প্রমাণে প্রগতিশীলরা গলদঘর্ম হচ্ছে। ফলে দ্বীনি তালিম এমন কি মসজিদগুলোয়
বাচ্চাদের কুরআন শিক্ষাও বিদায় নিতে চলেছে। ফলশ্রুতিতে মানুষের মধ্যে পরকাল
বিশ্বাস, আল্লাহর কাছে জবাবদিহিতা ও ভয় সব দূর হয়ে যাচ্ছে। তাই
মাদকাসক্তি, চুরি-
ডাকাতি-ছিনতাই-ধর্ষণ-খুন-গুমসহ অপরাধপ্রবণতা
পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। ফলে সমাজ এখন এক নিরাপত্তাহীন সমাজে রূপ লাভ করছে। ধর্মীয়
শিক্ষার কাছে ফিরে আসার মধ্যেই রয়েছে এ সব সমস্যার সমাধান। 24/10/2014
Aa¨vcK †Mvjvg Avh‡gi cÖwZ gymwjg D¤§vni kÖ×v Ávcb|
বিকেলে বাসায় এসে একটু বিশ্রাম নেয়ার পর ফেসবুক
ও অনলাইনে পত্রিকা পড়লাম। অধ্যাপক গোলাম আযম দেশ-বিদেশে কত জনপ্রিয় তা সাধারণ
মানুষ জানতো না। তাঁর মৃত্যু ও মৃত্যু পরবর্তি জানাযায় মানুষের ঢল দেখে ইসলামপ্রিয়
জনতা অন্তরে পরম প্রশান্তি পেয়েছে এবং নাস্তিক ও ধর্মদ্রোহীরা জ্বলে-পুড়ে শেষ হয়ে
গেছে। ধর্মদ্রোহী হিসেবে পরিচিত কিছু পত্রিকা জানাযার খবর হয় এড়িয়ে গেছেন বা
নেতিবাচক কিছু দিয়েছেন। আমরা যাওয়ার পথে দেখলাম প্রেসক্লাব ও পল্টন মোড়ে পুলিশ
পরিবেষ্টিত হয়ে ৮/১০জন মানুষ ব্যানার নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে এবং তাদের চেয়ে
ক্যামেরাম্যানের সংখ্যা ছিল অনেক। এ সব খবরই কিছু কিছু পত্রিকা তুলে ধরেছে।
গণজাগরণ মঞ্চের কে নাকি কফিনে জুতা নিক্ষেপ করেছে সে খবরটা পত্রিকা প্রকাশ করেছে।
কিন্তু স্মরণকালের বৃহত্তম জানাযা শুধু বায়তুল মোকার্রমে নয়, দেশ-বিদেশের
অসংখ্য জায়গায় তা এ সব সাংবাদিক বা পত্রিকার চোখে পড়েনি। ওরা বোবা ও অন্ধ। ইসলাম
বিরোধীতা ওদের মজ্জাগত। আল্লাহ ওদের অন্তরে মহর মেরে দিয়েছেন। অধ্যাপক গোলাম আযমের
মৃত্যুতে ইসলামপন্থী সকল দল ও গোষ্ঠী কোন না কোনভাবে সহমর্মিতা প্রকাশ করেছেন।
ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনও বাদ যায়নি। এটা খুবই ইতিবাচক। ২০ দলীয় জোটের সবাই হয়
অধ্যাপক সাহেবের বাড়ীতে বা জানাযায় অংশগ্রহণ করেছেন। বিএনপির ২/১ জন ব্যক্তিগতভাবে
সহমর্মিতা প্রকাশ করলেও দলীয়ভাবে একেবারে নিশ্চুপ যা বিভিন্ন পত্রিকা নানাভাবে
ব্যক্ত করেছে। ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে বেচারা একটু বিব্রত
অবস্থাতেই পড়েন। 25/10/2014
কুরআনের গল্প। এ গল্প থেকে আমরা হেদায়াত খুঁজি-
দৃষ্টান্তস্বরূপ তাদেরকে সেই জনপদের লোকদের
কাহিনী শোনাও, যখন সেখানে রসূলগণ এসেছিল। আমি তাদের কাছে দু'জন রসূল
পাঠিয়েছিলাম এবং তারা দু'জনকেই প্রত্যাখ্যান করেছিল; তখন আমি
তৃতীয়জনকে সাহায্যার্থে পাঠিয়েছিলাম। তারা সবাই বলেছিল, 'তোমাদের কাছে রসূল
হিসেবে আমাদের পাঠানো হয়েছে।'
জনপদবাসীরা বললো, 'তোমরা আমাদের মত
কয়েকজন মানুষ ছাড়া আর কেউ নও এবং দয়াময় আল্লাহ মোটেই কোন জিনিস নাযিল করেননি।
তোমরা স্রেফ মিথ্যা বলছো।'
রসূলগণ বললেন, 'আমাদের রব জানেন, আমাদের অবশ্যই
তোমাদের কাছে রসূল হিসেবে পাঠানো হয়েছে এবং সুস্পষ্টভাবে পয়গাম পৌঁছিয়ে দেয়া ছাড়া
আমাদের ওপর আর কোন দায়িত্ব নেই।'
জনপদবাসীরা বলতে লাগলো, 'আমরা তো
তোমাদেরকে নিজেদের জন্য দুর্ভাগ্যের কারণ মনে করি। যদি তোমরা বিরত না হও তাহলে
আমরা তোমাদেরকে প্রস্তরাঘাতে নিহত করবো এবং আমাদের হাতে তোমরা বড়ই যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি
ভোগ করবে।'
রসূলগণ জবাব দিলেন, 'তোমাদের
দুর্ভাগ্য তোমাদের নিজেদের সাথেই লেগে আছে। তোমাদের উপদেশ দেয়া হয়েছে বলেই কি
তোমরা এ কথা বলছো? আসল কথা হচ্ছে, তোমরা
সীমালঙ্ঘনকারী লোক।'
ইতোমধ্যে নগরীর দূর প্রান্ত থেকে এক ব্যক্তি
দৌড়ে এসে বললো, 'হে আমার সম্প্রদায়ের লোকেরা ! রসূলগণের কথা মেনে নাও। যারা
তোমাদের কাছে কোন পারিশ্রমিক চায় না এবং সঠিক পথের অনুসারী। কেন আমি এমন সত্তার
বন্দেগী করবো না যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন এবং যাঁর দিকে তোমাদের সবাইকে ফিরে যেতে
হবে। তাঁকে বাদ দিয়ে কি আমি অন্য উপাস্য বানিয়ে নেবো? অথচ দয়াময় আল্লাহ
যদি আমার কোন ক্ষতি করতে চান, তাহলে তাদের সুপারিশ আমার কোন কাজে লাগবে না এবং তারা আমাকে
ছাড়িয়ে নিতেও পারবে না। যদি এমনটি করি তাহলে আমি সুস্পষ্ট গোমরাহীতে লিপ্ত হয়ে
পড়বো। আমি তো তোমাদের রবের প্রতি ঈমান এনেছি, তোমরাও আমার কথা
মেনে নাও।'
(শেষ পর্যন্ত তারা
তাকে হত্যা করে ফেললো এবং) সে ব্যক্তিকে বলে দেয়া হলো, 'প্রবেশ করো
জান্নাতে।' সে বললো, 'হায়, আমার জাতির
লোকেরা যদি জানতো আমার রব কিসের বদৌলতে আমাকে ক্ষমা করেছেন এবং মর্যাদাশালী লোকদের
মধ্যে গণ্য করেছেন।' সূরা ইয়া-সীন ১৩-২৭
লক্ষণীয় বিষয়সমূহ :
# ঈমানের পথে চলা
এবং এ পথে আহবান জানানোই বিরোধীতার মূল কারণ।
# সকল নবী-রসূল ও
তাঁর অনুসারীদের ওপর দ্বীনের শত্রুদের পক্ষ থেকে বিরোধীতা এসেছে।
# সকল যুগেই
ঈমানদাররা যত ভালো মানুষই হোক না কেন শত্রুদের ভাষায় তারা দেশ ও জাতির অমঙ্গলকারী।
# দায়ী ইলাল্লাহকে
হতে হবে হকের উপর প্রতিষ্ঠিত ও নি:স্বার্থপরায়ণ।
# এ পথের পথিককে
জুলুম-নির্যাতনের শিকার/শহীদ হওয়া অবশ্বাম্ভাবী।
# দাওয়াত পৌঁছে
দেয়াটাই একজন মুমিনের দায়িত্ব।
# একজন মুমিনকে
হত্যা করার পরও কোন অভিশাপ নয়, বরং তাদের অজ্ঞতার জন্য আফসোস।
# জুলুমের শিকার
এমন মুমিনের পুরস্কার জান্নাত।
# দুনিয়াটা একটা
পরীক্ষাগার। আখিরাতে অনন্ন্তকালের পুরস্কার বা শাস্তি দানের জন্য আল্লাহ যাচাই করে
নিচ্ছেন। তাই শত্রুদের বিরোধীতার সুযোগ এবং মুমিনদের ধৈর্য দান করছেন।
# ইসলাম রাষ্ট্রীয়
দ্বীন হিসেবে প্রতিষ্ঠালাভের পূর্বে কুরআন মুমিনের একতরফা নির্যাতনের কথা বারবার বলেছে।
# সন্ত্রাসের
মোকাবেলায় কখনই সন্ত্রাস নয় বরং পরম ধৈর্য অবলম্বনের জোর তাগিদ দেয়া হয়েছে।
# (পরের আয়াতে
রয়েছে) প্রতিশোধের দায়িত্বটা আল্লাহ নিজ হাতে রেখেছেন। কারণ দ্বীন প্রতিষ্ঠার
কাজটা একান্ত আল্লাহর। যারা এ দায়িত্ব পালন করেন তারা মূলত আল্লাহর সাহায্যকারী।
আর আল্লাহ হলেন মুমিনদের একমাত্র অভিভাবক।
রায় ঘোষণার পর মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী কোন
উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ছাড়াই তাঁর নেতা-কর্মীদেরকে শান্ত থাকা এবং নিয়মতান্ত্রিক পন্থায়
প্রতিবাদ জানানোর জন্য বলেছেন। কোন প্রকার
উস্কানিতে পা না দেয়ার জন্য তিনি সতর্ক করে দিয়েছেন। আল্লাহ তাঁর পথে
প্রচেষ্টাকারীদেরকে কবুল করুন এবং তাঁর অভিভাবকত্বে গ্রহণ করুন। আমীন। 30/10/2014
বিএনপির জানাযায় শরীক না হওয়ার পেছনে ভারত তোষণনীতি থাকতে পারে। কারণ ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য বিএনপির ভারতের সহযোগিতা প্রয়োজন। অথবা বামদের প্রভাব কাজ করতে পারে। বিএনপির নিজেদেরই এর একটা ব্যাখ্যা দেয়া দরকার। ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবকে প্রশ্ন করা হলে তিনি এড়িয়ে যান। আমীরে জামায়াতের রায়-এর প্রেক্ষিতেও তাদের মুখে কোন ভাষা নেই। এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের সাথে তাদের কোন সমঝোতাও হতে পারে। রাজনীতি বড় বিচিত্র। আমাদের মত সাধারণ মানুষের বোঝার কথা নয়। এখানে দ্বিদলীয় ব্যবস্থা সৃষ্টি করার কোন সুদূরপ্রসারি চিন্তাও থাকতে পারে। আমাদের মত উন্নয়নশীল দেশের রাজনীতি কোথা থেকে, কখন ও কিভাবে নিয়ন্ত্রিত হয় তা বুঝা ভার। Dainik Amardesh 30/10/2014
আজ ৩১/১০/২০১৪ তারিখ সকাল ১০-৩০টায় আমরা পাঁচজন
(আমি, তাসিফা, তাসিফার নানি ও আম্মা এবং আতিক) মগবাজার কাজি অফিস লেইনে
অধ্যাপক গোলাম আযমের বাড়ীতে যাই। প্রথমেই মসজিদের পার্শ্বে তাঁর কবর জিয়ারত করি ও
দোয়া করি। সেখানে তাঁর পিতার পার্শ্বে কবর দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি ৬/৭টা কবর একই রকম
দেখা যাচ্ছে। কবরগুলো মাটি দিয়ে একেবারে সাধারণভাবে আছে। কারো কবরে কোন নামফলক
নেই। তারপর সেখান থেকে অভ্যর্থনাকারীকে বললে সে ৭ম তলায় যাওয়ার জন্য লিফ্ট দেখিয়ে
দিলেন। উঠেই সাক্ষাত হলো মরহুমের পুত্র সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহিল
আমান আযমীর সাথে। উনার সাথে আমার এই প্রথম সাক্ষাত। অধ্যাপক গোলাম আযম যে কক্ষটি
তাঁর লেখাপড়া ও সাক্ষাতের জন্য ব্যবহার করতেন সেখানেই শোক বইটি রাখা আছে। একটি শোক
বইতে স্বাক্ষর হচ্ছে বিধায় আমরা একটু অপেক্ষা করলাম। এ ফাঁকে তাহেরার আম্মা, তাহেরা ও তাসিফা
বাসার ভিতরে গেলেন মিসেস অধ্যাপক আযম ও মিসেস আযমীর সাথে সাক্ষাতের জন্য। তারা
সেখানে বেশ কিছুক্ষণ কাটালেন। শোক বইতে স্বাক্ষর শেষে আমরা সেখান থেকে রওয়ানা হয়ে
প্রায় ১২-৩০টায় বাসায় পৌছিঁ।
শোক বইতে আমি যা লিখেছি-
বিশ্ব
ইসলামী আন্দোলনের নেতা, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির, বহু
গ্রন্থপ্রণেতা, ভাষাসৈনিক, ডাকসুর দু'টার্ম জিএস মজলুম জননেতা
অধ্যাপক গোলাম আযমের ইন্তেকালে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। আমরা মরহুমের রুহের
মাগফেরাত কামনা করছি এবং শোক-সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করছি।
আল্লাহর কাছে দোয়া করি তিনি যেন অধ্যাপক গোলাম আযমের সকল নেক আমল কবুল করে তাঁর
প্রিয় বান্দাহদের অন্তর্ভূক্ত করে নেন এবং জান্নাতে উচ্চ মর্যাদা দান করেন। আমীন।
Comments
Post a Comment