এবারে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মূল লক্ষ্য ছিল সরকার হতে হবে বৈষম্যহীন ও সকলের অংশগ্রহণমূলক। রাষ্ট্রের সংস্কার করতে হলে অবশ্যই সংবিধানকে যুগোপযোগী করতে হবে। নানাভাবে এ প্রসঙ্গে কথা হচ্ছে। মাঠে-ময়দানে রাজনীতি নয় রাজনীতি হোক সংসদে। আমরা চাই সংসদে সকল দলের প্রতিনিধি। জাতীয় সংসদ হোক প্রজ্ঞাবান লোকদের মিলনমেলা। ব্যক্তিকেন্দ্রিক না হয়ে দল ও প্রতীকভিত্তিক নির্বাচন হলে প্রাপ্ত ভোটের ভিত্তিতে সংসদে দলের আসন নির্ধারিত হবে। দলকে মোট কাস্টিং ভোটের একটি ন্যূনতম (হতে পারে ১%) ভোট পেতে হবে। প্রত্যেকটা দল সংসদে তাদের অগ্রাধিকার ক্রমানুসারে সদস্যদের তালিকা জমা দিবে। দেখা গেল ৫০ জনের তালিকায় নির্বাচনে পাঁচটি আসন পেলে প্রথম থেকে পাঁচজনকে সংসদ সদস্য হিসেবে ঘোষণা দিবে। এতে মাস্তানি ও টাকার ছড়াছড়ি দূর হবে ইনশা-আল্লাহ। এমন ব্যবস্থাপনায় সংখ্যালঘুদের আসন সুনিশ্চিত হবে।
গতকাল মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার সাথে সংলাপে মাওলানা মামুনুল হক সাহেব এমন প্রস্তাব পেশ করেছেন। এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক গোলাম আযম সাহেবের একটি লেখা গতকাল আমার হাতে এসেছে। জনমত গঠনের লক্ষ্যে আমি কিছুদিন থেকে প্রচারণা চালাচ্ছি। আমাদের রাজনীতিতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা আসুক- এটা সবারই কাম্য।
Comments
Post a Comment