Skip to main content

শীঘ্রই জনবল নিয়োগ দেওয়া শুরু হতে পারে

 

দীর্ঘ ষোলো বছর আওয়ামী লীগ সশস্ত্র বাহিনী, প্রশাসন, পুলিশসহ সর্বস্তরে দলীয় লোক নিয়োগ দিয়েছে। ফলে সরকারের গৃহীত সিদ্ধান্ত কার্যকর করা বেশ জটিল হচ্ছে। পুলিশ প্রশাসনে অনেকে আত্মগোপনে চলে গেছে এবং অনেককে চাকরি থেকে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়েছে। সশস্ত্র বাহিনী, প্রশাসন, পুলিশসহ বিভিন্ন বিভাগে আওয়ামী লীগের সময়ে যারা চাকরি হারিয়েছেন তাদের সবাইকে সিনিয়রিটিসহ চাকরি ফেরত দেওয়া হচ্ছে। 

চাকরির বয়স ৩৫ বছর করার দাবি জোরালো হচ্ছে। আমার মনে হয় সরকার এ দাবি মেনে নেবে। কারণ বিগত সরকারের আমলে চাকরির জন্য চেষ্টা করে আওয়ামী বিরোধী লোকজন বারবার ব্যর্থ হয়েছে।

চাকরি প্রত্যাশীদের উচিত ব্যাপক পড়াশোনা করে নিজেদের যোগ্য হিসেবে গড়ে তোলা এবং খোঁজ-খবর রাখা। আমার বিশ্বাস, বর্তমান সরকারের আমলে স্বচ্ছতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ হবে। পিএসসির মতো প্রতিষ্ঠানেও প্রশ্ন ফাঁস ও নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে।  চেয়ারম্যানের গাড়ির ড্রাইভার প্রশ্ন ফাঁস করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে। এর সাথে জড়িত অনেককে ধরা হয়েছে। 

শেখ হাসিনার আমলে দুর্নীতি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করেছিল। এটাকে কখনো বলা হয়েছে ইনসেন্টিভ আবার কখনো স্পিড মানি। শেখ হাসিনার স্পর্শে দলীয় লোকজন ছাড়াও সেনাপ্রধান, পুলিশ প্রধান, আমলা, বিচারক এমনকি পিয়ন-ড্রাইভাররাও বাদ পড়েনি। তাঁর পিয়নও চারশ কোটি টাকার মালিক। রাতারাতি এই কালচার থেকে বেরিয়ে আসা কঠিন হলেও এই সরকারের চেষ্টার ত্রুটি থাকবে বলে আমার মনে হয় না।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দু'বছর থাকলে সরকারি কর্মচারীদের একটি স্কেল দিতে পারে। নৈতিক মূল্যবোধের পাশাপাশি বেতন-ভাতা দ্রব্যমূল্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ না হলে দুর্নীতি দূর করা কঠিন হবে। সেই সাথে তাদের পদোন্নতিসহ কর্মকর্তা- কর্মচারির বেতনের বৈষম্যও দূর করা দরকার।

Comments