Skip to main content

Posts

Showing posts from September, 2024

সকলের অংশগ্রহণমূলক সরকার চাই

  এবারে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মূল লক্ষ্য ছিল সরকার হতে হবে বৈষম্যহীন ও সকলের অংশগ্রহণমূলক। রাষ্ট্রের সংস্কার করতে হলে অবশ্যই সংবিধানকে যুগোপযোগী করতে হবে। নানাভাবে এ প্রসঙ্গে কথা হচ্ছে। মাঠে-ময়দানে রাজনীতি নয় রাজনীতি হোক সংসদে। আমরা চাই সংসদে সকল দলের প্রতিনিধি। জাতীয় সংসদ হোক প্রজ্ঞাবান লোকদের মিলনমেলা। ব্যক্তিকেন্দ্রিক না হয়ে দল ও প্রতীকভিত্তিক নির্বাচন হলে প্রাপ্ত ভোটের ভিত্তিতে সংসদে দলের আসন নির্ধারিত হবে। দলকে মোট কাস্টিং ভোটের একটি ন্যূনতম (হতে পারে ১%) ভোট পেতে হবে। প্রত্যেকটা দল সংসদে তাদের অগ্রাধিকার ক্রমানুসারে সদস্যদের তালিকা জমা দিবে। দেখা গেল ৫০ জনের তালিকায় নির্বাচনে পাঁচটি আসন পেলে প্রথম থেকে পাঁচজনকে সংসদ সদস্য হিসেবে ঘোষণা দিবে। এতে মাস্তানি ও টাকার ছড়াছড়ি দূর হবে ইনশা-আল্লাহ। এমন ব্যবস্থাপনায় সংখ্যালঘুদের আসন সুনিশ্চিত হবে। গতকাল মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার সাথে সংলাপে মাওলানা মামুনুল হক সাহেব এমন প্রস্তাব পেশ করেছেন। এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক গোলাম আযম সাহেবের একটি লেখা গতকাল আমার হাতে এসেছে। জনমত গঠনের লক্ষ্যে আমি কিছুদিন থেকে প্রচারণা চালাচ্ছি। আমাদের রাজনীতিতে স্বচ্ছতা ...

পরশপাথরের বিপরীতে কী?

  যা কিছু পরশপাথরের স্পর্শ পায় তাই সোনা হয়ে যায়। আমাদের প্রিয়তম নবি মুহাম্মদ সা.-কে বলা হয় পরশপাথর যাঁর স্পর্শে আরবের অসভ্য মানুষগুলো পৃথিবীর সেরা মানুষে পরিণত হন। আমরা তাঁরই অনুসারী। সেই হিসেবে আমাদের চরিত্র দ্বারা অন্যরা প্রভাবিত হবেন এটিই হওয়া উচিত। একদিন যশোর শিক্ষা বোর্ডের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মরহুম ড. ইকরাম আলী শেখ স্যার আমাদের প্রতিষ্ঠানে বেড়াতে এসে বলেছিলেন, কোনো প্রতিষ্ঠান প্রধান যদি সৎ হন তাহলে তাঁর অধীনে কর্মরতদের ৫০% স্বয়ংক্রিয়ভাবে সৎ হয়ে যায়, বাকি ২৫% একটু তদারকি করলেই ভালো হয়ে চলে, বাকি ২৫% থাকে স্বভাবগত অসৎ। এদের জন্য প্রয়োজন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা।প আমার প্রশ্ন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্পর্শে পিয়ন থেকে শুরু সেনাপ্রধান, পুলিশ প্রধান, বিচারপতি, সচিব, তাঁর দলীয় নেতা-নেত্রী ও কর্মী সবার চরিত্র যদি এতো কদর্যপূর্ণ হয় তাহলে তিনি কী মাত্রায় অসৎ তা আমাদের ধারণারও বাইরে। কারণ সবাই তো তাঁকে ভাঙিয়েই লুটপাট করেছেন। তাঁর কতো প্রশংসা, তাহাজ্জুদ গুজার, নিয়মিত কুরআন পাঠকারী, দয়ার সাগর আরো কতো কী? হ্যাঁ, স্বৈরশাসকরা এমনিই হয়ে থাকে। চাটুকার পরিবেষ্টিত হয়ে সর্বদা প্রশংসা শুনে থ...

আমার কাছে যা আছে এদেশের অনেকের কাছে তো তাও নেই। ★ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের সম্পদের হিসাব প্রদান বাধ্যতামূলক- বর্তমান সরকারের এ এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ।

কতিপয় অসৎ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের সীমাহীন দুর্নীতি ও লুটপাটের কারণে বর্তমানে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিরা চরম ইমেজ সংকটে ভুগছেন। অসৎ কর্মকর্তা-কর্মচারির সংখ্যা খুবই সীমিত। কিন্তু এরা রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় এক একজন দানবে পরিণত হয়েছিল এবং তাদের ভয়ে সবাই ছিলেন তটস্থ। জেনারেল আজিজ, বেনজির, মতিউর আবার ড্রাইভার সৈয়দ আবেদ আলী ও পিয়ন জাহাঙ্গীরের দুর্নীতি অপেন সিক্রেট, মানুষের মুখে মুখে। দেশে ভয়াবহ দুর্নীতি প্রসঙ্গে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই বলেন, আমার পিয়নও চারশ কোটি টাকার মালিক এবং হেলিকপ্টার ছাড়া সে চলাফেরা করে না। আসলে যারা শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের সংস্পর্শ পেয়েছে তা নেতা- কর্মী হোক বা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারি সবাই কমবেশি দুর্নীতির সাথে সংশ্লিষ্ট। যাদের ব্যাপারে অনুসন্ধান করা হচ্ছে সবার কাছ থেকে ভয়াবহ দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। সরকারের এই উদ্যোগের ফলে সৎ কর্মকর্তা-কর্মচারিরা নিজেদের সততা প্রদর্শন করতে সক্ষম হবেন ইন শা আল্লাহ। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব মহোদয় সাংবাদিকদের বলেন, কর্মকর্তা- কর্মচারিরা তাদের সম্পদের হিসাব জমা দেবেন এবং দিতে বাধ্য। আমাকেও দিতে হবে। আমার তেমন ...

খেয়ানতকারীর পরিণতি জাহান্নাম

  যুদ্ধ শেষে ফেরার পথে একজন ব্যক্তি তীরের আঘাতে মারা যায়। সাহাবায়ে কেরাম বলাবলি করলেন, লোকটি কতো সৌভাগ্যবান যে সে শহিদ হয়ে গেল। রসুল সা. বললেন, তোমাদের সাথি জাহান্নামি। সাহাবায়ে কেরাম রা. তাজ্জব হয়ে গেলেন। কারণ যুদ্ধের ময়দানে সেই ব্যক্তি তাঁদেরই সাথে ছিলেন। রসুল সা. বললেন, সে খেয়ানত করেছে। তার মাল-সামান তল্লাশি করে গণিমতের একটি চাদর পাওয়া গেল। খয়বরের যুদ্ধে গণিমতের মাল (চাদরটি) জমা না দিয়ে সে সেটি রেখে দিয়েছিল।   একটি চাদর আত্মসাৎ করার অপরাধে যদি সারা জীবনের আমল নষ্ট হয়ে জাহান্নামে যেতে হয় তাহলে যারা পুকুর চুরি নয়, সাগর চুরি করে তাদের পরিণতি কী হবে? রসুল সা. বলেছেন, সরকারি দায়িত্ব পালনকারী কোনো ব্যক্তি যদি এক টুকরো সূতা বা তার চেয়েও ক্ষুদ্র জিনিস খেয়ানত করে তাহলে খেয়ানতের বোঝা মাথায় করে সে উত্থিত হবে।  মেগা প্রকল্পে মেগা দুর্নীতি। ছোট বড়ো যে যতো দুর্নীতি করবে কোনো কিছুই গোপন করা সম্ভব নয়। দুনিয়ার জীবনে ক্ষমতার জোরে বা ছলচাতুরি করে পার হলেও আখেরাতে ঠিকই ধরা খাবে। পদ্মা সেতু বা মেট্রোরেল বা যে কোনো ক্ষেত্রে যারা দুর্নীতি করেছে বা করবে দেখা যাবে পদ্মা সেতু বা মেট্রোরেল ...

দেশের আর্থিক অবস্থার হালচিত্র

  ব্যক্তি হিসেবে আপনি যখন ক্রমাগত ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েন তখন বুঝতে পারেন আপনার আর্থিক অবস্থা ক্রমাবনতি ঘটছে, দেশের অবস্থা ঠিক তেমনি। শেখ হাসিনার শাসনামলের শুরু এবং শেষ দেখি। ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি ক্ষমতাসীন হওয়ার সময় দেশি-বিদেশি মিলে মোট ঋণ ছিল ২ লাখ ৭৬ হাজার ৮৩০ কোটি টাকা। ঐ সময়ে দেশি ঋণের চেয়ে বিদেশি ঋণের স্থিতি ছিল বেশি।  ২০১৭ (৮ বছর পর) দেশি-বিদেশি ঋণ ছিল ৩ লাখ ২০ হাজার ২৭২ কোটি টাকা। ৮ বছরে ১ লক্ষ কোটি টাকা বেড়েছে।  ৬ বছর পর সেই ঋণ ৬ গুণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখ ৩৬ হাজার টাকা। দেশি ১০ লাখ ৩৫ হাজার কোটি টাকা এবং বিদেশি ৮ লাখ ১ হাজার কোটি টাকা। অভ্যন্তরীণ ঋণ মূলত ব্যাংক, সঞ্চয়পত্র ও প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং ট্রেজারি বিল ও বন্ডের বিপরীতে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ঋণ মূলত টাকা ছাপিয়ে প্রদান করা হয়। মুদ্রাস্ফীতি ১২% এবং খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১৪%। নিশ্চয় আমাদের সরকারি ও বেসরকারি  কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন মুদ্রাস্ফীতির সাথে মিলিয়ে বাড়ে না। ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে সুদ পরিশোধে বরাদ্দ ১ লাখ ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে দেশি ঋণের সুদই ৯৩ হাজার কোটি টাকা।  এডিবি ও বিশ্বব্যাংকের বাইরে প্রধান ঋণ...

পৃথিবীতে কর্তৃত্ব দানে আল্লাহর সুন্নাত (নিয়ম) ★ ৫ই সেপ্টেম্বর দৈনিক সংগ্রামে প্রকাশিত।

  এই বিশ্বজাহান পরিচালনার ক্ষেত্রে আল্লাহ তায়ালার একটি নিয়ম রয়েছে কিন্তু তিনি নিজে সেই নিয়মের অধীন নন। আল্লাহপাক সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। তিনি যা ইচ্ছা করেন সেটিই ঘটে। শুধু বলেন, হও- তাৎক্ষণিক হয়ে যায় এবং এই বিশ্বে সাগর-মহাসাগর, গ্রহ-নক্ষত্র ও সকল সৃষ্টি আল্লাহর ইচ্ছার প্রকাশ। সমগ্র সৃষ্টি আল্লাহর দেওয়া নিয়মের উপর প্রতিষ্ঠিত এবং এই অর্থে সবাই মুসলিম। কিন্তু মানুষ ব্যতিক্রম। আল্লাহপাক আদম আ.-কে মাটি থেকে সৃষ্টি করে একটি অবয়ব দানের পর নিজ থেকে রুহ ফুঁকে দেন। মানুষ মূলত আল্লাহর গোলাম ও প্রতিনিধি (খলিফা)। মহান আল্লাহপাকের যেসব গুণ ও ক্ষমতা রয়েছে তার অতি ক্ষুদ্র অংশ মানুষকে দান করেছেন যাতে মানুষ আল্লাহ তায়ালার যথার্থ প্রতিনিধিত্ব করতে পারেন। এজন্য বলা হয়েছে, তোমরা আল্লাহর গুণে গুণান্বিত হও, আল্লাহর রঙে রঞ্জিত হও। আল্লাহ আল মালিক এবং মানুষ হবে আব্দুল মালিক যার কাজ হবে সুশাসন কায়েম করা। আবার আল্লাহ হলেন আল হাকিম এবং মানুষ আব্দুল হাকিম হয়ে সুবিচার প্রতিষ্ঠিত করবে। মানুষ ফেরেশতা নন যার কাজ কেবল আল্লাহর গোলামি করা বরং তার চেয়েও বড়ো। মানুষ নিজে আল্লাহর গোলামি করবে এবং সেই সাথে সকলে যাতে স্বচ্ছ...

আমিরে জামায়াতের ক্ষমা ঘোষণা ও তার প্রতিক্রিয়া

  আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান তাঁর বিভিন্ন বক্তৃতায় বলেছেন, দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত- নিপীড়িত, তাদের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে, বাড়িঘর ভেঙে দেওয়া হয়েছে, অসংখ্য কর্মী গুম-খুন ও জেল-জুলুমের শিকার হয়েছে, কেন্দ্রীয় অফিসসহ তাদের সকল অফিস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, প্রকাশ্যে তৎপরতা চালাতে দেওয়া হয়নি। এমনকি শেষমহূর্তে জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সবাই স্বীকার করবে যে, জামায়াত-শিবির ইতিহাসের জঘন্যতম জুলুমের শিকার। আমিরে জামায়াত বলেন, এতো কিছুর পরও দল হিসেবে জামায়াত প্রতিশোধ নেবে না। তারা ক্ষমা করে দিয়েছে। তবে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি সংক্ষুব্ধ হয়ে আইনের আশ্রয় নিলে জামায়াত তাদের সহযোগিতা করবে।  আমিরে জামায়াতের ক্ষমা ঘোষণার পক্ষে বিপক্ষে ফেসবুকে নানা মন্তব্য আসছে। কেহ পক্ষে বলছেন আবার কেহ বিপক্ষে। যারা পক্ষে বলছেন, তাদের মতে আমিরে জামায়াত উদারতা ও মহানুভবতার পরিচয় দিয়েছেন এবং তিনি ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য। যারা ক্ষমা ঘোষণার বিপক্ষে বলছেন তাদের সদয় বিবেচনার জন্য আমার কিছু কথা। জামায়াত-শিবির তাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য প্রসঙ্গে বলে থাকে, জমিনে দীন ক...

মুসলিম কাকে বলে?

ইসলাম আল্লাহপাক প্রদত্ত পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা (আদ দীন)। যারা ইসলামকে বিশ্বাস করে, জীবনে মেনে চলে এবং ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠার জন্য প্রচেষ্টা চালায় তারাই মুসলিম। মুসলিম নাম ধারণ করে যারা ইসলাম প্রতিষ্ঠা ও ইসলামের বিজয় চায় না তারা আব্দুল্লাহ ইবনে উবাইয়ের উত্তরসূরী বৈ আর কেউ নন। এই খবিশটার সব ছিল (দাঁড়ি, টুপি, পাগড়ি, নামাজ- রোজা) কিন্তু রসুলুল্লাহ সা.-এর সান্নিধ্যে থেকেও সে ইসলামের বিজয় কামনা করেনি। ফলে তার সবকিছুই নিষ্ফল হয়ে যায়।

শীঘ্রই জনবল নিয়োগ দেওয়া শুরু হতে পারে

  দীর্ঘ ষোলো বছর আওয়ামী লীগ সশস্ত্র বাহিনী, প্রশাসন, পুলিশসহ সর্বস্তরে দলীয় লোক নিয়োগ দিয়েছে। ফলে সরকারের গৃহীত সিদ্ধান্ত কার্যকর করা বেশ জটিল হচ্ছে। পুলিশ প্রশাসনে অনেকে আত্মগোপনে চলে গেছে এবং অনেককে চাকরি থেকে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়েছে। সশস্ত্র বাহিনী, প্রশাসন, পুলিশসহ বিভিন্ন বিভাগে আওয়ামী লীগের সময়ে যারা চাকরি হারিয়েছেন তাদের সবাইকে সিনিয়রিটিসহ চাকরি ফেরত দেওয়া হচ্ছে।  চাকরির বয়স ৩৫ বছর করার দাবি জোরালো হচ্ছে। আমার মনে হয় সরকার এ দাবি মেনে নেবে। কারণ বিগত সরকারের আমলে চাকরির জন্য চেষ্টা করে আওয়ামী বিরোধী লোকজন বারবার ব্যর্থ হয়েছে। চাকরি প্রত্যাশীদের উচিত ব্যাপক পড়াশোনা করে নিজেদের যোগ্য হিসেবে গড়ে তোলা এবং খোঁজ-খবর রাখা। আমার বিশ্বাস, বর্তমান সরকারের আমলে স্বচ্ছতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ হবে। পিএসসির মতো প্রতিষ্ঠানেও প্রশ্ন ফাঁস ও নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে।  চেয়ারম্যানের গাড়ির ড্রাইভার প্রশ্ন ফাঁস করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে। এর সাথে জড়িত অনেককে ধরা হয়েছে।  শেখ হাসিনার আমলে দুর্নীতি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করেছিল। এটাকে কখনো বলা হয়েছে ইনসেন্টিভ আবার কখন...

জুলুম সর্বাবস্থায় হারাম।

  জুলুম অর্থ কাউকে তার প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করা বা কারো অধিকার হরণ করা। সেটা হোক নিজের, স্বামী/স্ত্রীর বা সন্তানের বা পরিবারের বা সমাজ ও রাষ্ট্রের। নিজের ওপর জুলুম সাধারণত মানুষ উপলব্ধি করে না বা বুঝতে চায় না। ব্যক্তি তার নিজের স্বাস্থ্য, ঈমান ও কল্যাণকে সর্বাগ্যে গুরুত্ব দিবে। স্বামী/স্ত্রী, সন্তান, পরিবার বা সমাজ ও রাষ্ট্রের কল্যাণ সাধন তার দায়িত্বের অংশ। ঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করলে বা তাদের প্রাপ্য আদায় করলে দুনিয়া ও আখেরাতে সে পুরস্কৃত হবে এবং ভিন্ন হলে তাকে তিরস্কৃত হতে হবে দুনিয়া ও আখেরাতে। সন্তান-সন্ততি বা পরিবার বা আত্মীয়-স্বজনের জন্য কেহ যদি কোনো অন্যায় আচরণ করে বা নিজ থেকে কারো প্রতি জুলুম করে বা আল্লাহর নাফরমানি করে তাহলে ব্যক্তি তার নিজের প্রতিই জুলুম করে। জুলুমের প্রতিকার হলো এই দুনিয়ার জীবনে তওবা করে নিজেকে পরিশুদ্ধ করে নেয়া। আখেরাতে ব্যক্তি আল্লাহর আদালতে একাকীই দাঁড়াবে। কেহ তাকে সাহায্য করবে না বা কোনো বন্ধুত্ব বা আত্মীয়তা কাজে আসবে না। মানুষ আল্লাহপাকের বড়ো আদরের সৃষ্টি এবং সৃষ্টির সেরা ও তাঁর খলিফা। আদম আ.-কে সৃষ্টি করার পর ফেরেশ্তা কর্তৃক সেজদা করানোর মধ্য দিয়ে মূলত...

আংশিক নয় ইসলাম পুরোপুরি মানতে হবে

  হে ঈমানদার লোকেরা, তোমরা পুরোপুরি ইসলামের ছায়াতলে এসে যাও এবং কোনো অবস্থাতেই শয়তানের পদাংক অনুসরণ করো না; অবশ্যই সে তোমাদের প্রকাশ্য দুশমন। - সুরা বাকারা ২০৮। ইসলাম পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। মানুষের জীবনের ব্যাপকতা যতখানি ইসলাম ততখানি। যেখানে ইসলামের অনুসরণ নেই সেখানেই রয়েছে শয়তানের অনুসরণ।

ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিদাররা নিরেট নাস্তিক। তারা মুসলিম সমাজের কেউ নন।

মুসলিম নামধারী ইসলামের শত্রুরা মাঝে-মধ্যেই বলে থাকে, ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। যারা এই দাবি করে তারা সবাই লুটেরাগোষ্ঠী। সুযোগ পেলেই তারা লুটেপুটে খেতে চায়। রাজনীতির অঙ্গনে ধর্মীয় অনুভূতি (পরকালে বিশ্বাস) না থাকায় তারা এক একজন দানবে পরিণত হয়। পরকালে বিশ্বাস বা আখেরাতে জবাবদিহির অনুভূতি থাকলে এই গণহত্যা ও হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট কখনই সম্ভব হতো না। যে ধর্মের শিক্ষা, মানুষকে একটু গালি দেওয়া ও আড়ালে নিন্দা (গিবত) করার পরিণতি হুতামা (জাহান্নাম) সেই ধর্মের অনুসারী দাবিদারদের পক্ষে কি গুম-খুন, আয়নাঘর করে মানুষকে শাস্তিদান সম্ভব? রসুলুল্লাহ সা. বলেছেন, রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে কেহ যদি এক টুকরো সূতা বা তার চেয়েও ক্ষুদ্র জিনিস খেয়ানত করে তাহলে কিয়ামতের দিন খেয়ানতের বোঝা মাথায় করে সে উত্থিত হবে। আবার এটাও বলেছেন, কাউকে দায়িত্ব প্রদান করা হলে সে তার নিজের কাজ যতো নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে সম্পন্ন করে সরকারি দায়িত্ব সেভাবে পালন না করলে উল্টা করে তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। রাজনীতির অঙ্গনে ইসলাম না মানার ফলে আজকের সমাজে এই চরম দুর্বৃত্তনা। সেখানে কেউ নিরাপদ নয় এবং বেশি ক...