জুমার খুতবা
০৮.০৯.২০২৩
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
মাল্টিপ্ল্যান রেডক্রিসেন্ট সিটি (কুশিয়ারা, পদ্মা ও সুরমা ভবন), মিরপুর জামে মসজিদের সম্মানিত ইমাম ও খতিব হাফেজ মাওলানা আহমাদুল্লাহ সাইয়াফ শুরুতে আল্লাহপাকের হামদ ও রসুল সা.-এর প্রতি দরুদ ও সালাম পেশ করার পর সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনৈক শিক্ষক কর্তৃক একজন ছাত্রীর পর্দা করাতে হেনস্থা হওয়া এবং তার প্রেক্ষিতে শিক্ষক পিতার মতো বলে তার সম্মুখে পর্দা করা প্রয়োজন নয় বলে জনৈক বিচারকের মন্তব্য করার তীব্র সমালোচনা করেন।
খতিব মহোদয় বলেন, পর্দা মুসলিম নরনারীর জন্য স্বয়ং আল্লাহপাকেে ফরজ বিধান এবং এর মধ্য দিয়ে একজন নারী সম্মান ও মর্যাদা লাভ করেন। তিনি বলেন, পর্দা সম্ভ্রান্তের প্রতীক এবং আল্লাহ তায়ালা পর্দার মাধ্যমে নারীর নিরাপত্তার গ্যারান্টি দিয়েছেন। আল্লাহর ভাষায় বলা যায়, পর্দানশীন নারীকে পথেঘাটে উত্যক্ত করা হয় না।
একজন নারীকে পর্দার জন্য বিরূপ মন্তব্য করা তার স্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপ। দেশের আইন ও সংবিধান, মানবাধিকার ও ইসলাম পালনের উপর নগ্ন হস্তক্ষেপ। খতিব মহোদয় বলেন, আল্লাহর কোনো ফরজ বিধান পালন না করা কবিরা গুনাহ। কিন্তু তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা, হেয় করা ও সমালোচনা করা ঈমান হারানোর নামান্তর। বুদ্ধিজীবী নামে ইসলামের কিছু শত্রু প্রায়ই দাঁড়ি টুপি ও পর্দা নিয়ে কটূক্তি করে থাকে। আসলে এমনটি করে থাকে ইসলামের প্রতি শত্রুতা ও বিদ্বেষের কারণে। ঈমানদার হিসবে এসব শয়তানি কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করতেই হবে। তিনি তাঁর মুসল্লিদের সোচ্চার হওয়ার জন্য আহবান জানান।
যারা বলে শিক্ষক পিতার মতই। পর্দাহীনতার সুযোগ নিয়ে অনেক সময় শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রীর যৌন হয়রানির কথা শোনা যায়। কাদের সম্মুখে পর্দা করা প্রয়োজন বা প্রয়োজন নেই সেটি আল্লাহপাক নিজেই নির্ধারণ করে দিয়েছেন। শিক্ষকের সাথে ছাত্রীর পর্দার প্রয়োজন নেই- এমন কথা বলার পেছনে হয় অজ্ঞানতা নয়তো শয়তানি চিন্তা-চেতনা কার্যকর।
খতিব মহোদয় বলেন, নবাব সলিমুল্লাহ ও তাঁর পরিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য জমি ও অর্থ দান করেছেন মুসলমান ছেলেমেয়েদের শিক্ষা দীক্ষায় অগ্রসর হওয়ার লক্ষ্যে। আর আজ পর্দার বিরোধিতা করে মুসলিম নারীদের লেখাপড়া বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে যা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। শয়তানের সকল চক্রান্ত ধ্বংস করে ইসলামকে পরিপূর্ণ মেনে চলার জন্য তিনি সবার প্রতি আহবান জানান। সংক্ষেপিত।
Comments
Post a Comment