বাড়ির পাশে বাজারে সকালে চুল কাটাতে গেলাম। বছর দুই হলো ছেলেটি দাখিল পাশ করেছে। বাড়ি পাশ্ববর্তী ইউনিয়নের জুনিয়াদহ গ্রামে। বাব-মা ও দুই ভাই। ছোট ভাইটি তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। জিজ্ঞেস করলাম, রেজাল্ট কেমন ছিল। বললো, পড়াকালীন আমি কাজ শিখেছি। ফলে রেজাল্ট খুব ভালো হয়নি। গ্রেড ৩.৬৯ পেয়েছি।
বললাম, তোমার রেজাল্ট তো বেশ ভালো, ফার্স্ট ডিভিশন। লেখাপড়া করতে পারতে? চাকরি- বাকরির জন্য না হলেও বিয়েসাদী করার সময় দরকার হয়। মেয়ের বাবা-মা জানতে চায় ছেলে লেখাপড়া কতদূর করেছে? সে জবাবে বললো, বাবা-মা পছন্দ করে আমাকে বিয়ে দিয়েছে। তাদের খুব পছন্দ। রান্না-বান্না, কাজেকর্মে ও বাবা-মা’র সেবা-যত্নে বাবা-মা খুব সন্তুষ্ট। আমি বললাম, খুব ভালো করেছ। এখন তুমি তোমার পেশায় মনোযোগী হও। আয়-রোজগারের খোঁজ নিয়ে জানলাম দৈনিক ৬/৭শ টাকা করে আয় হয়। খরচ বাদে মাসে ১৮,০০০ টাকা আয় করে। এখানে তার দোকান এক বছর এখনো পূর্ণ হয়নি। ভবিষ্যতে ভালো করবে ইনশা-আল্লাহ।
ছেলেটার নাম জিহাদ। বললাম, বাবা-মা সুন্দর নাম রেখেছেন এবং আলেম বানানোর জন্য তোমাকে মাদ্রাসায় দিয়েছেন। তুমি তাঁদের আশা পূর্ণ করবে। কর্মব্যস্ততার কারণে নামাজ যদি কখনো ছুটে যায় তবে পরবর্তী ওয়াক্তে পড়ে নেবে। আর খরিদ্দার যদি জানে যে তুমি নামাজে গিয়েছ তাহলে সে অপেক্ষা করবে। সে তাতে একমত হলো। আমি আরো বললাম, তোমাদের বয়সী অনেক ছেলে কর্মহীন ও রাস্তায় ঘুরে বেড়ায় এবং মাদকাসক্ত। তোমার মাদ্রাসায় পড়া আল্লাহ তায়ালার মেহেরবানী। তাই আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করবে। সে সেটি উপলব্ধি করে।
জিহাদ একজন বিনয়ী ও ভদ্র ছেলে। আমরা দোয়া করি, আল্লাহপাক তার রিজিকে বরকত দান করুন এবং আল্লাহর এক অনুগত বান্দা হয়ে চলার তৌফিক দান করুন।
Comments
Post a Comment