এই দুনিয়ায় চলছে তীব্র প্রতিযোগিতা। নেতৃত্ব, প্রভাব-প্রতিপত্তি ও অর্থবৃত্তে একে অপরকে ছেড়ে যাওয়ার প্রতিযোগিতা। একারণে দুর্নীতি, জুলুম-নির্যাতন এমনকি খুন করতেও পিছপা হয় না। যে অপরকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যায় সে বিজয়োল্লাস করে এবং নিজেকে বিজয়ী ভেবে গর্ব-অহঙ্কারে মেতে উঠে। কিন্তু আল্লাহ বলেন ভিন্ন কথা।
আল্লাহপাক কিয়ামতের দিবসকে তাগাবুন হারজিতের দিন বলে আখ্যায়িত করেছেন। সেদিন যে ব্যক্তি ঈমান ও নেক আমল নিয়ে উত্থিত হবে সে হবে যথার্থ বিজয়ী। তার কোনো ভয় থাকবে না। সে পাবে আল্লাহর ক্ষমা ও চিরস্থায়ী জান্নাত। আর সেই জান্নাত পাওয়ার জন্যই আল্লাহ তায়ালা প্রতিযোগিতা করার কথা বলেছেন।
তোমরা দৌড়াও বা প্রতিযোগিতা করো সেই জান্নাতের দিকে যার প্রশস্ততা আসমান ও জমিনব্যাপী। আর জান্নাত হলো সেই মুত্তাকিদের জন্য যারা সচ্ছল ও অসচ্ছল উভয় অবস্থায় খরচ করে, ক্রোধ হলে নিজেকে দমন করে, অপরকে ক্ষমা করে এবং গুনাহ করলে তওবা (গুনাহ থেকে ফিরে আসে) করে।
পক্ষান্তরে যারা কুফরি করে ও আল্লাহর নিদর্শন অস্বীকার করে তাদের জন্য রয়েছে জাহান্নাম। যাদের ঠিকানা হবে জাহান্নাম তারা সত্যিই হেরে যাবে। তাদের পরিতাপের কোনো শেষ নেই। রসুল সা. জালেমকে হতদরিদ্র বলেছেন। আজ যারা জুলুম করে উচ্চাসনে অধিষ্ঠিত হয়েছে এবং বিপুল পরিমাণ বিত্তের অধিকারী হয়েছে তাদের হাতে টাকা পয়সা বা সোনারূপা থাকবে না। নেক আমল দিয়ে অপরের পাওনা পরিশোধ করবে। শেষে পরিশোধ না হল মজলুমের গুনাহ নিজের কাঁধে নিয়ে জাহান্নামে যাবে।
মজলুম যদি ঈমানদার হয়ে থাকে সে জান্নাতের প্রত্যাশা করতেই পারে। এ প্রত্যাশা নেক আমলের বদৌলতে নয়, সেটা হবে জুলুমের বদলা। আল্লাহ তায়ালা জালেমের নেক আমল মজলুমকে দিয়ে তাকে জান্নাতে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিবেন এবং জালেমকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে সবধরনের জুলুম থেকে হেফাজত করুন।
Comments
Post a Comment