Skip to main content

Posts

Showing posts from September, 2023

দাওয়াতে দীন ও সঙ্ঘবদ্ধ জীবন যাপন

 হে রসুল! তোমার রবের পক্ষ থেকে তোমার কাছে যা কিছু নাজিল করা হয়েছে তা মানুষের কাছে পৌঁছে দাও। যদি তুমি তা না করো তাহলে তুমি তাঁর রিসালাতের হক আদায় করলে না। মানুষের ক্ষতি থেকে আল্লাহ তোমাকে রক্ষা করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ কখনো কোনো কাফের জাতিকে পথ প্রদর্শন করেন না- সুরা মায়েদা ৬৭। অতঃপর রসুলুল্লাহ সা. নির্দেশ দিলেন, আমার পক্ষ থেকে মানুষের নিকট পৌঁছাতে থাকো, যদি একটি মাত্র আয়াতও হয়। মুসলমান মাত্রই দায়ী ইলাল্লাহ। স্রেফ ঈমান ও নেক আমল মানুষকে ধ্বংস ও বিপর্যয় থেকে রক্ষা করবে না। এর সাথে অবশ্যম্ভাবী মানুষকে হকের দাওয়াত দিতে হবে ও ধৈর্য ধারণের উৎসাহ যোগাতে হবে। কথাগুলো মহান আল্লাহ তায়ালা সুরা আসরে কসম খেয়ে বলেছেন। সাথে এটিও বলে রাখি, আমাকে-আপনাকে পরিপূর্ণ ইসলামে দাখিল হতে হবে। আংশিক দীন মানা আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। আল্লাহর বাণী, তোমরা পরিপূর্ণ ইসলামে দাখিল হও। জীবনকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করার মতো সুযোগ ইসলামে রাখা হয়নি। আপনার ঘর, চাকরি, ব্যবসা-বাণিজ্য অর্থাৎ আপনার অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক জীবনসহ সকল ক্ষেত্রে ইসলামকে একনিষ্ঠভাবে মানতে হবে। যদি মানতে পারেন তাহলে আপনি মুসলিম অর্থাৎ অনুগত। সাথে সাথে ...

আকছেদ মাস্টার তাঁর রবের কাছে ফিরে গেলেন

 বাহাদুরপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের (মফের আলী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়) অবসরপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষক জনাব আকছেদ আলী (ভাদু মাস্টার) গত রাত আটটায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলায়হি রজেউন)। আগের দিন স্ট্রোক করলে তাঁকে দ্রুত রাজশাহী নেয়া হয়। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স সত্তর ঊর্ধ হবে। তিনি স্ত্রী, ছয় মেয়ে ও এক ছেলে এবং অসংখ্য আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেলেন।একসময় তিনি বাহাদুরপুর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বর ছিলেন। ফলে তাঁর আর একটি পরিচয় ভাদু মেম্বর। মরহুম আকছেদ আলী কাজিপাড়া গ্রামের মরহুম আকুল খামারুর ছেলে। তিনি মরহুম মফের আলী সরদারের জামাই এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মনসুর রহমান (আঁতু ডাক্তার)- এর ভগ্নিপতি। আমরা মরহুমের মাগফেরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করছি। আল্লাহ তায়ালা তাঁর সন্তানদের ধৈর্য ধারণের তৌফিক দান করুন এবং দোয়াকারী নেক সন্তান হিসেবে কবুল করুন। মরহুমের নামাজে জানাজা সকাল দশটায় কাজিপাড়া গোরস্থানে অনুষ্ঠিত হবে ইনশা- আল্লাহ।

জানাজা একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত

হাদিসে জানাজা ও দাফন-কাফনে বেশ উৎসাহ প্রদান করা হয়েছে। দুই কিরাত সওয়াবের কথা বলা হয়েছে। এর সামাজিক গুরুত্ব অনেক উচ্চে। আমাদের কুষ্টিয়া অঞ্চলে সামাজিক গোরস্থানের ব্যাপক প্রচলন। এক বা একাধিক গ্রাম নিয়ে গোরস্থান গড়ে উঠে। পারিবারিক গোরস্থান নেই বললেই চলে। মরহুম আকছেদ আলী মাস্টারের জানাজা উদ্দেশ্যে আজ গিয়েছিলাম কাজিপাড়া গোরস্থানে। মাস্টার সাহেব অত্যন্ত ভালো মানুষ। কাজিপাড়া, কৈগাড়িপাড়া ও কুচিয়ামোড়া গ্রামের আংশিক নিয়ে ১৯৫০ দশকে গোরস্থানটি গড়ে উঠে। বর্তমানে জমির পরিমাণ সাড়ে দশ বিঘা। সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মাস্টার সা'দ আলী, সহসভাপতি মো. শফিউল ইসলাম রাজা এবং সেক্রেটারি মো. গোলাম হোসেন। মুক্তার ভাই, রাজা ভাই, গ্যাদা ভাই ও কালুকে সাথে করে খালা-খালু, বড়ো ভাই ও ভাবি এবং রুবিসহ পরিচিত অনেকের কবরের কাছে গিয়ে কবরবাসীকে সালাম ও তাদের জন্য দোয়া করা হলো। মৃত্যুর কথা শুনে আমরা যা পাঠ করি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলায়হি রজেউন) তাতে আমাদের স্মরণ করে দেওয়া হয় যে কেউ এই দুনিয়ায় চিরস্থায়ী নই। আমরা অবশ্যই আল্লাহর কাছে ফিরে যাবো। আর এব্যাপারে কারো মধ্যে কোনো সংশয় নেই। এখন প্রয়োজন আল্লাহর কাছে ফিরে ...

আলেমরা নবিদের ওয়ারিশ। তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হই

 জুমা আলোচনা কুচিয়ামোড়া মদিনাতুল উলুম জামে মসজিদ তারিখ : ২২.০৯.২০২৩ বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম আমাদের বাড়ির সন্নিকটে এটি একটি নতুন মসজিদ, কুচিয়ামোড়া পূর্বপাড়া জামে মসজিদ। মসজিদটি প্রতিষ্ঠিত হওয়া প্রায় ১৫ বছর হলো। আমাদের ইউনিয়নের সেরা ধনী ও দানশীল ব্যক্তি মরহুম আহছান উদ্দিন কোম্পানির ছেলে আলহাজ মো. রশিদুল ইসলাম একক প্রচেষ্টায় ১০ কাঠা জমি ক্রয় করে দৃষ্টিনন্দন মসজিদটি গড়ে তুলেছেন। দীর্ঘদিন পরিচালনার পর তিনি দায়িত্ব এলাকাবাসীর কাছে অর্পণ করেছেন। বর্তমানে সভাপতি, সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন যথাক্রমে ডা. মো. শামীম ফেরদৌস, প্রকৌশলী মো. হারুনর রশিদ এবং জনাব মো. গোলাম জাকারিয়া। মসজিদের ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মাওলানা মো. আব্দুল্লাহ। এই মসজিদে নামাজ আদায় আজ আমার প্রথম।  মসজিদের সম্মুখে খোলা চত্তর ও অজুখানা- পেশাবখানা সবই আছে এবং মসজিদের মেঝে ও দেয়াল পুরোটাই টাইলস। আমাদের দেশে একটা ভালো দিক হলো, আল্লাহর কোনো বান্দা মসজিদ শুরু করলে অল্পদিনেই সেটি একটি দৃষ্টিনন্দন মসজিদে রূপ নেয়। আলহামদু লিল্লাহ। আমি মরহুম আহছান উদ্দিন ও তাঁর পরিবারে যারা আল্লাহর কাছে ফিরে গেছেন তা...

মানসিক রোগ

আমরা সবাই মানসিক রোগী - একটু কমবেশি এই আর কী? এতে অনেক সময় নিজেরাই নানান সমস্যায় ভোগী এবং আমাদের জীবন সংকীর্ণ হয়ে পড়ে। অথচ আল্লাহ তায়ালা নিজে আমাদের দীনে কোনো সংকীর্ণতা রাখেননি। এ এক উদার ও প্রশস্ত দীন। যেমন ধরুন খানাপিনা - আমরা নিজেরা অনেক কিছু হারাম করে নিয়ে হারামের লম্বা ফিরিস্তি তৈরি করেছি- অথচ আল্লাহ তায়ালা হালালের কোনো তালিকা না দিয়ে খুবই সংক্ষিপ্ত হারামের তালিকা (শুকরের মাংস, প্রবাহিত রক্ত, মৃত জীব-জন্তু ও আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নামে জবেহ) দিয়ে বলেছেন, সকল পবিত্র জিনিসই তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে। এর সাথে রসুলুল্লাহ সা. হিংস্র ও নখরধারী কিছু জীব ও পাখির কথা বলেছেন।  ছোঁয়াছুঁয়ির রোগ ইসলামে নেই। নিজের জন্য গামছা, থালা, গ্লাস, বিছানাপত্র সবকিছু আলাদা করে নেয়া এবং কেউ স্পর্শ করলে আবার তা ধোয়া এটা বাহুল্য। বরং ইসলাম বলে কোনো নিম্ন বর্ণ বা পেশার লোক যদি গ্লাসে পানি খেয়ে কিছু রেখে দেয় সেই পানি পান করাতে কোনো সমস্যা নেই। আবার সবাই মিলে একই প্লেটে খানা খেতেও দোষ নেই। কোনো খাবারে বা পানিতে যাদের গোশত হালাল এমন জীব যেমন ছাগল- গরু মুখ দেয় তবে সেই খাবার হারাম হয়ে যায় না। বিড়ালের গোশ আমা...

চলতে ফিরতে কথা

  বাড়ির পাশে বাজারে সকালে চুল কাটাতে গেলাম। বছর দুই হলো ছেলেটি দাখিল পাশ করেছে। বাড়ি পাশ্ববর্তী ইউনিয়নের জুনিয়াদহ গ্রামে। বাব-মা ও দুই ভাই। ছোট ভাইটি তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। জিজ্ঞেস করলাম, রেজাল্ট কেমন ছিল। বললো, পড়াকালীন আমি কাজ শিখেছি। ফলে রেজাল্ট খুব ভালো হয়নি। গ্রেড ৩.৬৯ পেয়েছি। বললাম, তোমার রেজাল্ট তো বেশ ভালো, ফার্স্ট ডিভিশন। লেখাপড়া করতে পারতে? চাকরি- বাকরির জন্য না হলেও বিয়েসাদী করার সময় দরকার হয়। মেয়ের বাবা-মা জানতে চায় ছেলে লেখাপড়া কতদূর করেছে? সে জবাবে বললো, বাবা-মা পছন্দ করে আমাকে বিয়ে দিয়েছে। তাদের খুব পছন্দ। রান্না-বান্না, কাজেকর্মে ও বাবা-মা’র সেবা-যত্নে বাবা-মা খুব সন্তুষ্ট। আমি বললাম, খুব ভালো করেছ। এখন তুমি তোমার পেশায় মনোযোগী হও। আয়-রোজগারের খোঁজ নিয়ে জানলাম দৈনিক ৬/৭শ টাকা করে আয় হয়। খরচ বাদে মাসে ১৮,০০০ টাকা আয় করে। এখানে তার দোকান এক বছর এখনো পূর্ণ হয়নি। ভবিষ্যতে ভালো করবে ইনশা-আল্লাহ।  ছেলেটার নাম জিহাদ। বললাম, বাবা-মা সুন্দর নাম রেখেছেন এবং আলেম বানানোর জন্য তোমাকে মাদ্রাসায় দিয়েছেন। তুমি তাঁদের আশা পূর্ণ করবে। কর্মব্যস্ততার কারণে নামাজ যদি কখনো ছুটে যায় ত...

শীতের আমেজ

আজ ১১ই আশ্বিন। আগে শুনতাম আশ্বিনে গা শিন শিন করে। হ্যাঁ, রাতে ফ্যান ছাড়া ঘুমালাম এবং ফজরের নামাজ শেষে হাঁটতেও বেশ মজা লাগলো। গেঞ্জি-জামা অন্য দিনের তুলনায় কমই ভিজলো। এমন আবহাওয়াটা ভারি চমৎকার। সকালে হেঁটে এসে অবশ্য ফ্যান ছেড়ে দিয়েছি। আল্লাহ তায়ালা আমাদের জন্য আবহাওয়া ও পরিবেশটা মনোমুগ্ধকর করে দিয়েছেন। আল্লাহ তায়ালাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আলহামদু লিল্লাহ। আমরা তাঁর প্রতিনিধি হয়ে দেশের রাজনৈতিক পরিবেশকে আমাদের জীবন যাপনের উপযোগী করি। এর জন্য প্রয়োজন ব্যক্তিগত জিদ, মিথ্যা, অহংকার ও জুলুম থেকে নিজেকে মুক্ত করা। আমাদের মনে রাখতে হবে, জুলুমের শাস্তির জন্য আল্লাহপাক কেয়ামত পর্যন্ত সবসময় অপেক্ষা করেন না, দুনিয়াতেও দিয়ে থাকেন। হে আল্লাহ! সর্বপ্রকার জুলুম থেকে তুমি আমাদের হেফাজত করো।

হারজিত

এই দুনিয়ায় চলছে তীব্র প্রতিযোগিতা। নেতৃত্ব, প্রভাব-প্রতিপত্তি ও অর্থবৃত্তে একে অপরকে ছেড়ে যাওয়ার প্রতিযোগিতা। একারণে দুর্নীতি, জুলুম-নির্যাতন এমনকি খুন করতেও পিছপা হয় না। যে অপরকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যায় সে বিজয়োল্লাস করে এবং নিজেকে বিজয়ী ভেবে গর্ব-অহঙ্কারে মেতে উঠে। কিন্তু আল্লাহ বলেন ভিন্ন কথা। আল্লাহপাক কিয়ামতের দিবসকে তাগাবুন হারজিতের দিন বলে আখ্যায়িত করেছেন। সেদিন যে ব্যক্তি ঈমান ও নেক আমল নিয়ে উত্থিত হবে সে হবে যথার্থ বিজয়ী। তার কোনো ভয় থাকবে না। সে পাবে আল্লাহর ক্ষমা ও চিরস্থায়ী জান্নাত। আর সেই জান্নাত পাওয়ার জন্যই আল্লাহ তায়ালা প্রতিযোগিতা করার কথা বলেছেন।  তোমরা দৌড়াও বা প্রতিযোগিতা করো সেই জান্নাতের দিকে যার প্রশস্ততা আসমান ও জমিনব্যাপী। আর জান্নাত হলো সেই মুত্তাকিদের জন্য যারা সচ্ছল ও অসচ্ছল উভয় অবস্থায় খরচ করে, ক্রোধ হলে নিজেকে দমন করে, অপরকে ক্ষমা করে এবং গুনাহ করলে তওবা (গুনাহ থেকে ফিরে আসে) করে। পক্ষান্তরে যারা কুফরি করে ও আল্লাহর নিদর্শন অস্বীকার করে তাদের জন্য রয়েছে জাহান্নাম। যাদের ঠিকানা হবে জাহান্নাম তারা সত্যিই হেরে যাবে। তাদের পরিতাপের কোনো শেষ নেই। রসুল সা. জালে...

আমেরিকার ভিসানীতি- এর প্রভাব ও উত্তরণের উপায়

সম্প্রতি দেশের প্রধান আলোচনার বিষয় এবং পক্ষে-বিপক্ষে বিতর্ক চরমে। আমেরিকা বারবার বলছে তারা কোনো পক্ষ নেবে না, তারা চায় সবার অংশগ্রহণমূলক একটা সুষ্ঠু নির্বাচন। সুষ্ঠু নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রায় যারা বাধ সাধবে তাদের উপরই ভিসানীতি প্রয়োগ করা হবে। সেটা বিচারপতি, আমলা, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, মিডিয়া সকল ক্ষেত্রে প্রয়োগ হতে পারে। ভিসা নীতির নগদ লাভ দেশে গুম-খুন বন্ধ হয়েছে এবং মানুষ কিছুটা স্বস্তি অনুভব করছে। আমাদের দুর্ভাগ্য, বর্তমানে আমরা চরম আস্থার সংকটে ভুগছি। রাজনীতিবিদদের অনর্গল মিথ্যা বলা, কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি, হিংসা-বিদ্বেষ আমাদের ধ্বংসের কিনারায় পৌঁছে দিয়েছে। একজন বিচারক যখন দলীয় বিবেচনায় নিয়োগ ও পদোন্নতি পান এবং দলীয় স্বার্থে ভ্রষ্ট রায় দেন তখন আর সুবিচার থাকে না অথচ সুশাসন ও সুবিচার গণতন্ত্রের অন্যতম শর্ত। গণতন্ত্র মানেই জনগণের দ্বারা নির্বাচিত জনগণের সরকার। আজ সরকারের সকল প্রতিষ্ঠান বিরোধী দল দমনে ব্যবহৃত হচ্ছে। মামলা হাজার হাজার নয় লাখে লাখে। আদালতের বারান্দায় ঘুরতে ঘুরতে তারা পেরেশান। আবার ঘুরে ঘুরে একবার জামিন পেলেও জেলগেটে আর এক মামলায় আটক। এই আমাদের বিচার বিভাগ ও আইন- শৃঙ্খলা...

পর্দা আল্লাহপাকের ফরজ বিধান

 জুমার খুতবা ০৮.০৯.২০২৩ বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম মাল্টিপ্ল্যান রেডক্রিসেন্ট সিটি (কুশিয়ারা, পদ্মা ও সুরমা ভবন), মিরপুর জামে মসজিদের সম্মানিত ইমাম ও খতিব হাফেজ মাওলানা আহমাদুল্লাহ সাইয়াফ শুরুতে আল্লাহপাকের হামদ ও রসুল সা.-এর প্রতি দরুদ ও সালাম পেশ করার পর সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনৈক শিক্ষক কর্তৃক একজন ছাত্রীর পর্দা করাতে হেনস্থা হওয়া এবং তার প্রেক্ষিতে শিক্ষক পিতার মতো বলে তার সম্মুখে পর্দা করা প্রয়োজন নয় বলে জনৈক বিচারকের মন্তব্য করার তীব্র সমালোচনা করেন।  খতিব মহোদয় বলেন, পর্দা মুসলিম নরনারীর জন্য স্বয়ং আল্লাহপাকেে ফরজ বিধান এবং এর মধ্য দিয়ে একজন নারী সম্মান ও মর্যাদা লাভ করেন। তিনি বলেন, পর্দা সম্ভ্রান্তের প্রতীক এবং আল্লাহ তায়ালা পর্দার মাধ্যমে নারীর নিরাপত্তার গ্যারান্টি দিয়েছেন। আল্লাহর ভাষায় বলা যায়, পর্দানশীন নারীকে পথেঘাটে উত্যক্ত করা হয় না। একজন নারীকে পর্দার জন্য বিরূপ মন্তব্য করা তার স্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপ। দেশের আইন ও সংবিধান, মানবাধিকার ও ইসলাম পালনের উপর নগ্ন হস্তক্ষেপ। খতিব মহোদয় বলেন, আল্লাহর কোনো ফরজ বিধান পালন না করা কবিরা গুনাহ। কিন্তু তুচ্ছতাচ্ছিল...

কুরআনের পাঠ

১২.০৯.২০২৩ ধানমন্ডি মসজিদ উত তাকওয়ায় সম্মানিত দ্বিতীয় ইমাম হাফেজ মাওলানা আব্দুর রশিদ আজকে ফজরের সালাতে ৪৮ নং সুরা ফাতহ্ তেলাওয়াত করেন। নামাজ শেষে পাঠকৃত সুরার সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন।  সুরা ফাতহ্ হুদায়বিয়ার সন্ধি শেষে মক্কা থেকে মদিনায় ফেরার পথে নাজিল হয়। সন্ধিটা ছিল মুসলমানদের প্রতিকূলে ও কাফেরদের অনুকূলে।  মুসলিম শক্তি খুবই মনঃক্ষুণ্ন ও বিপর্যস্ত ছিল। এমন পরিবেশ পরিস্থিতিতে আল্লাহর পক্ষ থেকে বলা হয় সুস্পষ্ট বিজয় দান করা হয়েছে। সুরাটি নাজিল হওয়ার পর রসুলুল্লাহ সা. খুবই উৎফুল্ল হয়ে উঠেন এবং সাহাবিদের একত্রিত করে শুনিয়ে দেন। হুদাইবিয়ার সন্ধি মুসলমানদের মক্কা বিজয়কে ত্বরান্বিত করে।  হুদাইবিয়ার সন্ধির সময় রাসুলুল্লাহ সা.-এর সঙ্গী  হয়েছিলেন মাত্র ১৪০০ জন। এই সন্ধিটা ছিল মূলত এক অনাক্রমণ চুক্তি এবং এক অনুকূল পরিবেশে রসুলুল্লাহ সা. এর সুবিধা গ্রহণ করে ব্যাপক দাওয়াতী কাজের মাধ্যমে মুসলমানদের সংখ্যা ও প্রভাব-প্রতিপত্তি বৃদ্ধি করতে সক্ষম হন। কাফেরদের কোনো সুযোগ না দিয়ে অষ্টম হিজরিতে দশ সহস্রাধিক সাহাবির এক বিশাল বাহিনী নিয়ে তিনি মক্কা আক্রমণ করেন এবং বিনা যুদ্ধে মক্কা বিজয় সম্প...

নবি-রসুল ও ঈমানদারদের সাথে শত্রুতার মূলে রয়েছে আল্লাহর নিদর্শনকে অস্বীকৃতি

 কুরআনের পাঠ  (হে নবি) আমি জানি, এসব লোকগুলো যেসব কথাবার্তা বলে, তাতে তোমার বড়ই মনোকষ্ট হয়, কিন্তু এরা তোমাকে মিথ্যা সাব্যস্ত করছে না, বরং এ জালেমরা এর মাধ্যমে আল্লাহর আয়াতকেই (নিদর্শন) অস্বীকার করছে। তোমার আগেও এভাবে নবি-রসুলদের মিথ্যাবাদী সাব্যস্ত করা হয়েছিল, কিন্তু তাদের মিথ্যাবাদী সাব্যস্ত করা ও নানা রকম নির্যাতন চালাবার পরও তাঁরা কঠোর ধৈর্য ধারণ করেছে, শেষ পর্যন্ত তাদের কাছে আমার পক্ষ থেকে সাহায্য এসে হাজির হয়েছে। আসলে আল্লাহর কথার রদবদলকারী কেউ নেই, তদুপরি নবিদের এসব সংবাদ তো তোমার কাছে আগেই এসে পৌঁছেছে। সুরা আল আনয়াম ৩৩-৩৪  আল্লাহ তায়ালা তাঁর নবি সা.-কে সান্ত্বনা দিচ্ছেন। মুহাম্মদ সা. ছিলেন জাতির সবচেয় গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি। সততা, বিশ্বস্ততা, প্রতিশ্রুতি পালন ও আমানতদারিতায় তাঁর কোনো জুড়ি ছিল না। সবাই তাঁকে আল আমিন, আস সাদিক  বলে ডাকতো। কিন্তু যখনই মুহাম্মদ সা. মানুষকে আল্লাহর দিকে ডাকা শুরু করেন তখনই তাঁর সাথে শত্রুতা শুরু হয়ে যায়। তাই রসুল সা.-কে সান্ত্বনা দিয়ে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, তোমার প্রতি মিথ্যারোপ নয়, তারা আল্লাহর নিদর্শন মানতেই অস্বীকার করছে। আসলে কাফের...

পরিবারের প্রতি দায়িত্ব পালন

মুসলমান মাত্রই দায়ী ইলাল্লাহ। দীনের প্রচার, প্রসার ও প্রতিষ্ঠা নির্ভর করে দাওয়াতের ওপর। আল্লাহপাক যাদেরকে হেদায়াত দান করেছেন তারা বড়ো ভাগ্যবান এবং তারা বিশ্বাস করে যে দুনিয়া ও আখেরাতের জীবনে তারা সফলকাম। তারা চেষ্টা করে অপরাপর লোকের কাছে দীনের দাওয়াত পৌঁছে দেওয়ার। সুরা আসরে স্পষ্ট করা হয়েছে যে স্রেফ ঈমান ও নেক আমল জান্নাতে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট নয়। সাথে সাথে প্রয়োজন মানুষের কাছে দাওয়াত পৌঁছানো ও ধৈর্য ধারণ করা। ব্যক্তিগত পর্যায়ে ও বিভিন্ন সংগঠনের মাধ্যমে দাওয়াতে দীনের কাজ চলমান রয়েছে। ওহি প্রাপ্তির পরপরই রসুলুল্লাহ সা. মানুষের কাছে প্রথমে গোপনে ও পরবর্তী সময়ে প্রকাশ্যে দাওয়াত দিয়েছেন। দাওয়াত দানের ক্ষেত্রে তিনি প্রথমে আত্মীয়স্বজনকে বাছাই করেছেন। প্রথম ইসলাম গ্রহণকারী ব্যক্তি হলেন তাঁর স্ত্রী খাদিজা রা. এবং তার সাথে আলী রা ও আবু বকর রা. প্রমুখ। সম্প্রতি এক ইসলামী সংগঠন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নিজ পরিবার ও আত্মীয়- স্বজনের মধ্যে দীনের দাওয়াত ও ইসলাম মেনে চলার জন্য সপ্তাহব্যাপী পরিবার দিবস পালন করছে। তাদের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সপ্তাহে একদিন পারিবারিক বৈঠক করা। দাওয়াত দান ও সম্প্রসারণের ক্ষে...