বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
কুচিয়ামোড়া বাজার জামে মসজিদে ১৪.০৪.২৩ তারিখ প্রফেসর তোহুর আহমদ হিলালীর জুমা আলোচনা।
আল্লাহপাকের দরবারে লাখো শুকরিয়া, তিনি দয়া করে তাঁর ঘরে আমাদের হাজির হওয়ার তৌফিক দান করেছেন। আলহামদু লিল্লাহ।
মসজিদ আল্লাহর ঘর এবং আমরা যারা উপস্থিত হয়েছি সবাই আল্লাহর মেহমান। জুমার দিন সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো খুতবা শ্রবণ ও দুই রাকাত নামাজ আদায়। গোসল করে উত্তম পোশাকে সজ্জিত হয়ে আজানের পরপরই আমাদের আল্লাহর ঘরে উপস্থিত হতে হবে। প্রথম আগমন এবং প্রথম কাতারে বসার মধ্যে রয়েছে প্রভূত সওয়াব। মসজিদে আগমনের ক্ষেত্রে রসুলুল্লাহ সা. পর্যায়ক্রমে উট, গরু, ছাগল কুরবানির সুসংবাদ শুনিয়েছেন। আবার প্রথম কাতারে আসন গ্রহণের ফজিলত প্রসঙ্গে বলেছেন, মানুষ যদি বুঝতো প্রথম কাতারে বসায় কতো সওয়াব তাহলে লটারি করা লাগতো। আমি সুযোগ পেলেই আপনাদের বলে থাকি। কিন্তু তেমন সাড়া পাওয়া যায় না। সামনের কাতার ফাঁকা রেখে পেছনে বসলে মানুষকে ডিঙিয়ে যেতে হয় যেটা আদবের খেলাপ এবং নিষেধ রয়েছে। জুমার দিনে খুতবা শ্রবণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। খুতবা অত্যন্ত মনোযোগের সাথে শুনতে হয়। কেউ কথা বললে ভাই চুপ করো তাও বলা যায় না। ফেরেশতারা মুসল্লিদের আগমনের ভিত্তিতে সওয়াব লিখতে থাকেন। খতিব মহোদয় খুতবা দান শুরু করলে ফেরেশতারা লেখা বন্ধ করে খুতবা শুনতে থাকেন। তাহলে আপনি জুমার নামাজের সওয়াব থেকে বঞ্চিত হলেন।
নামাজের বড়ো শিক্ষা হলো শৃঙ্খলা ও আনুগত্য। কাতার সোজা করে দাঁড়ানোর জন্য রসুলুল্লাহ সা. জোর তাগিদ দিয়েছেন। খলিফা ওমর রা. ছড়ি হাতে কাতারের মধ্যে ঘুরতেন এবং কাতার সোজা না হলে সোজা করে দিতেন। মুক্তাদির নামাজে কোনো ভুল নেই। ভুল তখনই যদি ইমামকে অনুসরণের ক্ষেত্রে কোনো ভুল বা গাফলতি হয়। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ও সাপ্তাহিক জুমার নামাজে নেতার আনুগত্যের এক মহড়া চলে। কাতারবদ্ধ হয়ে মুসল্লিরা তাদের ইমামের কমান্ড ফলো করে, একটুও ব্যতিক্রম ঘটানোর সুযোগ নেই। একটি সুশৃঙ্খল ও আনুগত্যশীল বাহিনী দ্বারা বিশ্ব জয় করা সম্ভব। আমাদের এই শৃঙ্খলা ও আনুগত্য জীবনের সকল ক্ষেত্রে প্রযোজ্য এবং নামাজ থেকে শিখে আমরা তার অনুশীলন করবো ইনশা-আল্লাহ। পরিবারে পিতা বা স্বামীকে সবাই মেনে চলবে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধীনস্থরা প্রতিষ্ঠান প্রধানকে মেনে চলবে এবং সমাজে যারা নেতৃত্ব প্রদান করছেন তাদেরকেও সবাই মেনে চলবে। যে পরিবার এবং সমাজে আনুগত্য রয়েছে সে পরিবার ও সমাজে শান্তি বিরাজ করে।
নামাজ মূলত আল্লাহর জিকির। আমরা যে আল্লাহর গোলাম নামাজ তা বারবার স্মরণ করে দেয়। আজান শুনে আমরা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে আল্লাহর ঘরে হাজিরা দেই এবং হাত বেঁধে বড়ো বিনয়ের সাথে বলে থাকি, ‘আমরা তোমারই গোলামি করি এবং তোমারই কাছে সাহায্য কামনা করি।’ একদিন দুদিন নয় প্রতিটা দিন, প্রতিটা ওয়াক্তে এবং প্রতিটা রাকাতে আল্লাহ তায়ালা তাঁর বান্দাদের কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি গ্রহণ করছেন। না’বুদু শব্দটি Present & Future উভয় অর্থে ব্যবহৃত হয়। অর্থাৎ এই নামাজের মধ্যে আমরা যেমন তোমার গোলামি করছি তেমনি নামাজ থেকে বের হয়েও তোমারই গোলামি করবো। নামাজের বাইরে আমরা যদি আল্লাহর গোলামি থেকে বিরত থাকি তাহলে আমরা প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের অপরাধে অপরাধী হবো। আমরা জানি, প্রতিশ্রুতি ভঙ্গকারী নিরেট মুনাফিক বৈ আর কেউ নন। নামাজ বারবার আল্লাহর গোলামির কথা স্মরণ করে দেয় বিধায় নামাজকে জিকির বলা হয়। জুমার নামাজ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, তোমরা আল্লাহর জিকিরের দিকে এসো।
রমজান শেষের পথে। এখন আমরা শেষ দশকে অবস্থান করছি। এই দশকে রয়েছে লাইলাতুল কদর। রসুলুল্লাহ সা. এই দশকে নিয়মিত ইতিকাফ করতেন এবং এক বছর না পারার কারণে তিনি পরের বছর বিশ দিন ইতেকাফ করেছেন। কুরআন মজিদে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ইতিকাফে থাকাকালে তোমরা স্বামী-স্ত্রী পরস্পর মিলিত হয়ো না। ইতিকাফ আমাদের জন্য সুন্নাতে কেফায়া। আমাদের সৌভাগ্য যে, মসজিদের নিয়মিত মুসল্লি মো. মিজানুর রহমান এবছর ইতেকাফে অবস্থান করায় আমরা সবাই একটি সুন্নাত পালনে ভাগিদার হয়ে পড়লাম। আমরা তাকে অভিনন্দন জানাই। প্রতিবেশী অধ্যাপক কবিরের ছেলে বাড়ি থেকে তার খাবার পৌঁছে দেয়। এটিও অত্যন্ত সওয়াবের কাজ।
এই রমজানের অসিলায় আল্লাহপাক আমাদের গুনাহমুক্ত করেছেন এবং আমরা এখন বেগুনাহ। আপনাদের কি সন্দেহ হয়? রসুলুল্লাহ সা. বলেছেন, যারা ইমান ও এহতেছাবের সাথে রোজা রাখবে আল্লাহ তাদের অতীতের সকল গুনাহ মাফ করে দিবেন। হাদিসে কুদসিতে বলা হয়েছে, (জিবরিল আ.-এর উক্তি) যে রমজান মাস পেল অথচ নিজের গুনাহ মাফ করে নিতে পারলো না সে যেন ধ্বংস হয়। জবাবে রসুলুল্লাহ সা. বলেন, আমিন। রসুলুল্লাহ সা.-এর কথায় আমাদের কোনো সন্দেহ নেই এবং আল্লাহপাক যে ক্ষমা করবেন তাতেও কোনো সন্দেহ নেই। ইমান ও ইহতেছাবের সাথে বলা হয়েছে। রোজা আমাদের ওপর ফরজ করা হয়েছে যাতে আমরা মুত্তাকি বান্দা হতে পারি। মানুষের মধ্যে তাকওয়ার গুণ সৃষ্টি করার ক্ষেত্রে রোজা অনন্য, এর কোনো বিকল্প নেই। রমজান মাসে সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার ও যৌন কামনা-বাসনা পূরণ থেকে বিরত থাকি এবং থাকি কেবল আল্লাহরই ভয়ে। আল্লাহ ছাড়া রোজার খবর আর কেউ জানে না। বৈশাখ মাসের এই কঠিন দিনে বাথরুমে বা লোকচক্ষুর আড়ালে আমরা এক ঢোক পানিও পান করি না এবং না করার কারণ আল্লাহর নিষেধ। আমরা জানি, আল্লাহর চোখকে কখনই ফাঁকি দেওয়া সম্ভব নয়।
এখন প্রশ্ন, রমজান মাসে সাময়িক নিষেধের ফলে আমরা হালাল জিনিস বর্জন করে চলছি। অথচ আল্লাহর স্থায়ী হারাম অনেক জিনিস রয়েছে এবং সেগুলো সর্বদা হারাম। আমরা কি সেগুলো বর্জন করতে পারছি? যদি না পারি তাহলে বুঝতে হবে রোজার উদ্দেশ্য তাকওয়া অর্জনে আমরা ব্যর্থ হচ্ছি। যে রোজার মধ্য দিয়ে তাকওয়া অর্জিত হয় আল্লাহপাক সেই রোজার বিনিময়ে রোজাদারের পেছনের সকল গুনাহ ক্ষমা করে দিবেন এবং এই রোজা রাখার মধ্য দিয়ে আমরা পরিশুদ্ধ হবো অর্থাৎ মুত্তাকি হবো। আর যদি সম্ভব না হয় তাহলে পানাহার বর্জনে আল্লাহর কোনোই প্রয়োজন নেই।
আমাদের জীবনে অনেক গুনাহ রয়েছে। নামাজ -রোজা আদায় না করা, মিথ্যাবলা, প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করা, ওজনে কম ও ভেজাল দেওয়া ইত্যাদি কতো গুনাহ আছে। না না, আল্লাহপাক প্রতিটি গুনাহ ধরে ধরে তাঁর বান্দাকে শাস্তি দেওয়ার জন্য ওঁত পেতে বসে নেই। তিনি তাঁর বান্দাকে ক্ষমা করতে চান। আসুন, আল্লাহর বাণী শুনি- ‘(হে নবি!) বলে দাও, হে আমার বান্দারা যারা নিজেদের আত্মার ওপর জুলুম করেছ তারা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চিতভাবে আল্লাহ সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেন। তিনি ক্ষমাশীল ও দয়ালু’- সুরা ঝুমার ৫৩। কতবড় অভয়বাণী শুনিয়েছেন, পাহাঢ় পরিমাণ গুনাহ নিয়ে আল্লাহর দরবারে হাজির হলে আকাশ ছোঁয়া রহমত নিয়ে তিনি বান্দার কাছে হাজির হবেন। তিনি আরো বলেন, ‘আল্লাহর কী প্রয়োজন তোমাদের অযথা শাস্তি দেবার, যদি তোমরা কৃতজ্ঞ বান্দা হয়ে থাকো এবং ইমানের নীতির ওপর চলো, আল্লাহ বড়ই পুরস্কার দানকারী ও সর্বজ্ঞ’- সুরা আন নিসা ১৪৭। আপনি যদি আল্লাহর অবাধ্য বান্দা না হয়ে থাকেন তাহলে অল্প আমলেই আপনি ক্ষমা পেতে পারেন। আল্লাহ তাঁর বান্দাকে শাস্তি দেওয়ার জন্য কোনো বাহানা তালাশ করবেন না বরং ক্ষমা করার নানা উপায় খুঁজবেন।
আল্লাহপাক প্রতিটি রাতে নিকটবর্তী আসমানে অবতরণ করেন এবং বলেন, কে আছ আমার কাছে ক্ষমা চাইবে, রিজিক চাইবে আমি তাদেরকে দেব। প্রতিটি রাতে আল্লাহপাক তাঁর অগণিত বান্দাকে ক্ষমা করেন। ক্ষমা করেন না কেবল মুশরিক ও হিংসুককে। মুশরিক সেই যে আল্লাহর জাত ও ছিফাতে অন্য কাউকে সমকক্ষ বা শরিক করে। সাধারণত জাতে শরিক অর্থাৎ একাধিক স্রষ্টা বা কাউকে আল্লাহর পুত্র জ্ঞান আমরা করি না। কিন্তু আমাদের মধ্যে অনেকেই আল্লাহর গুণাবলিতে শরিক করে এবং মাজার ও দরবারকেন্দ্রিক শিরক বেশ হয়ে থাকে। আর একটি শিরক হয় আল্লাহর অধিকারের প্রশ্নে। আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই। সর্বোচ্চ ক্ষমতার মালিক আল্লাহ এবং মানুষ কেবল আল্লাহরই হুকুম মেনে চলবে। আল্লাহকে মেনে চলার পাশাপাশি আর কাউকে মেনে চলার নামই শিরক। আরো স্পষ্ট করে বলা যায়- আনিই বুদুল্লাহ ওয়াজতানিবুত তাগুত (আল্লাহর দাসত্ব করো এবং তাগুতকে অস্বীকার করো)- সুরা নহল ৩৬। হাদিসের ভাষায়- স্রষ্টার নাফরমানি করে সৃষ্টির কোনো আনুগত্য নেই। যারা নানাভাবে আল্লাহর সাথে আর কাউকে শরিক করে তাদের কোনো ক্ষমা নেই। আর ক্ষমা নেই হিংসুকের। হিংসা জঘন্যতম অপরাধ। এটি শুধু কবিরা গুনাহ নয় বরং হিংসা মানুষকে আমলশূন্য করে দেয়। রসুলুল্লাহ সা. বলেছেন, আগুন যেমন শুকনা কাঠকে জ্বালিয়ে ভস্ম করে দেয় তেমনি হিংসা মানুষের সকল নেক আমল ধ্বংস করে দেয়। সুরা ফালাকে আল্লাহপাক হিংসুকের অনিষ্ট থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য তাঁর কাছে আশ্রয় চাইতে বলেছেন।
আমাদের দেশে হিংসার চাষ হয়। হিংসা সর্বত্র। হিংসার কারণে আমাদের সমাজে এতো হানাহানি ও খুনোখুনি এবং গিবতের চর্চা। হিংসা থেকে মুক্ত না হলে জান্নাতপ্রাপ্তি সম্ভব নয়। হিংসুক ব্যক্তি মানুষকে ক্ষমা করতে জানে না, সে হয় প্রতিশোধপরায়ণ। তার মনে প্রশান্তি নেই। পক্ষান্তরে মুমিন হয় হিংসামুক্ত, সে হয় উদার ও মানুষকে ক্ষমা করতে জানে। আপনারা হিংসা পরিহার করে আল্লাহর বান্দাদের ক্ষমা করুন তাহলে আপনারাও আল্লাহর ক্ষমা লাভ করবেন। আর খেয়াল করুন, আপনার দ্বারা যেন কোনো জুলুম না হয়। জুলুম আল্লাহপাক তাঁর নিজের ওপর হারাম করে নিয়েছেন। তিনি নিজে যেমন কারো প্রতি জুলুম করেন না, তেমনি তাঁর বান্দাদের প্রতি জুলুম সহ্যও করেন না। মানুষকে গালি দেয়া, সম্মান হানি করা ভয়ঙ্কর অপরাধ। আল্লাহর ভাষায়, ‘নিশ্চিত ধ্বংস তাদের জন্য যারা মানুষকে সামনাসামনি গালাগাল করে ও পেছনে দোষ প্রচার করে’- সুরা হুমাজা। এদের পরিণতি বলা হয়েছে যে তারা হুতামায় নিক্ষিপ্ত হবে। আর এর ভয়াবহতা বোঝাতে গিয়ে তিনি বলেছেন, আল্লাহর আগুন, প্রচণ্ডভাবে উত্তপ্ত- উৎক্ষিপ্ত। একটু গালি দিলে বা অসাক্ষাতে নিন্দা করলে যদি এই শাস্তি হয় তাহলে যারা মানুষকে শারীরিক নির্যাতন করে বা গুম-খুনের সাথে জড়িত তাদের পরিণতি কী হতে পারে? জালেমের জন্য আল্লাহর জান্নাতে কোনো স্থান নেই।
এই রমজান মাস নেকি কুড়াবার মাস। নামাজ- রোজার পাশাপাশি আল্লাহর পথে একটু উদারভাবে খরচ করুন। আল্লাহর পথে খরচকে তিনি কর্জ বলেছেন। আল্লাহকে কর্জে হাসানা দাও, আল্লাহ বহুগুণ বাড়িয়ে দিবেন। রসুলুল্লাহ সা. বলেছেন, তোমরা আল্লাহর পথে খরচ করো, কত খরচ করলে হিসাব করো না, আল্লাহও বেহিসেবি দান করবেন। এক টুকরো খেজুর দিয়ে হলেও তোমরা জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচো। দান-সাদাকা মানুষকে বিপদাপদ থেকে হেফাজত করে। খরচ করার ক্ষেত্রে মসজিদের সাথে যারা সংশ্লিষ্ট তাদের প্রতি আপনারা সদয় হবেন। এ প্রসঙ্গে আল্লাহর বাণী, ‘সাহায্য সামগ্রী প্রাপ্য সেসব অভাবগ্রস্ত লোকদের, যারা আল্লাহর কাজে নিয়োজিত থাকায় জীবিকার জন্য জমিনে পদচারণা করতে পারে না এবং (আত্মসম্ভ্রমের কারণে) কারও নিকট হাত পাতে না বলে অজ্ঞ লোকেরা তাদের অভাবমুক্ত মনে করে। তোমরা তাদের (দারিদ্রের) লক্ষণ দেখে চিনতে পারবে। তারা মানুষের নিকট মিনতি করে যাচনা করে না। আর যে কল্যাণকর কিছু তোমরা ব্যয় করো, নিশ্চয় আল্লাহ তা সবিশেষ অবহিত’- বাকারা ২৭৩।
রসুলুল্লাহ সা. অর্থসম্পদ রেখে যাননি। রেখে গিয়েছেন ইলম। যারা ইলমের অধিকারী তারা মূলত আল্লাহর রসুল সা.-এর উত্তরাধিকার (ওয়ারিস) এবং তাঁদের সাথে সদাচরণ অর্থ রসুল সা.-এর সাথে সদাচরণ। আপনারা মসজিদের সাথে সংশ্লিষ্ট ইমাম-মুয়াজ্জিন ও অন্যান্যদের প্রতি দয়ার্দ্র হবেন। তাঁদেরকে উপঢৌকন প্রদান ও গাছের ফলফলাদি প্রদান ভালোবাসারই পরিচায়ক।
আজ বাংলা নববর্ষ। গ্রামবাংলায় আজ আর নববর্ষের কোনো আমেজ নেই। এটা এখন শহুরে অনুষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। দোকানে দোকানে হালখাতা ও মিষ্টিমুখ করানোর সেই নিয়ম আর নেই। ইসলামের মৌলবিশ্বাস ও রীতিনীতির সাথে সাংঘর্ষিক না হলে এবং অশ্লীলতা মুক্ত যেকোনো দেশীয় আচার-আচরণ পালনে কোনো দোষ নেই। উৎসব আমাদের জীবনেরই অংশ। উৎসব পালনের ক্ষেত্রে আমরা অবশ্যই লক্ষ করবো সেটি যেন বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুসরণ না হয়। আমাদের মঙ্গলামঙ্গল সবই আল্লাহর পক্ষ থেকে। আপনাদের জানাই নববর্ষের শুভেচ্ছা। আল্লাহর কাছে দোয়া করি, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ যেন আমাদের জন্য কল্যাণকর হয়।
আল্লাহপাক আমাদের তাঁর পথে চলাটা সহজ করে দিন এবং তাঁর বান্দাদের সাথে সদাচরণের তৌফিক দান করুন। ১৪.০৪.২০২৩
Comments
Post a Comment