Skip to main content

রমজান মাসের বরকত থেকে কি আমরা বঞ্চিত?

 রমজান মাসে শয়তান থাকে শৃঙ্খলিত। তার কিছু প্রতিফলন লক্ষ করি মসজিদে। এ মাসে আল্লাহ তায়ালা জান্নাতের দরজাসমূহ খুলে দেন এবং জাহান্নামের দরজা বন্ধ করে দেন। লাইলাতুল কদর বিদায় নিয়েছে। আগামীকাল খুশির বার্তা নিয়ে হাজির হচ্ছে ইদুল ফিতর। এই বরকতময় মাসে আল্লাহ তায়ালা তাঁর অগণিত বান্দাকে ক্ষমা করেন।

এ মাসে একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে ক্ষমা, সহনশীলতা ও উদারতার সুবাতাস বয়ে যাওয়ার কথা। কারগারগুলো খালি হয়ে যাওয়ার কথা। মিথ্যা, শঠতা, হিংসা-বিদ্বেষ দূর হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু কী দেখি? তারাবিহ জামায়াত থেকে আটক, আদালত জামিন দেওয়ার পর জেলগেট থেকে নতুন মামলায় আটক। 

হাশরের দিনে বড়ো কঠিন সময়ে আল্লাহর আরশের ছায়া ছাড়া আর কোনো ছায়া থাকবে না। সেই ছায়ার নিচে আশ্রয়প্রাপ্তদের অন্যতম হবে ন্যায়পরায়ণ শাসক। আল্লাহর ক্ষমা কোনো প্রতিশোধপরায়ণ ও জালিমের নসিবে নেই। আল্লাহর জান্নাত রয়েছে উদার, ক্ষমাশীল ও প্রশস্ত হৃদয়ের অধিকারীদের জন্য। আল্লাহর কত নিরপরাধ বান্দা ও আলেম-উলামা কারাগারে আবদ্ধ। তাদের মুক্তিদান আল্লাহকেই অনুসরণ হতো। আল্লাহর অনেক বান্দার মুক্তির প্রতীক্ষায় ইদের দিন পর্যন্ত আমরা অপেক্ষা করবো। সংশ্লিষ্ট সকলের শুভবুদ্ধির জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করি।

হে আল্লাহ! দেশের আলেম-উলামাসহ নিরপরাধ ব্যক্তিদের মুক্তির ব্যবস্থা তুমিই করো। আমাদের মধ্যে ক্ষমা ও উদারতা দান করো। মানুষের প্রতি দয়া প্রদর্শনের ক্ষমতা দান করো। আমিন।

Comments