Skip to main content

রমজানের অনুশীলন বছরব্যাপী কাজে লাগাতে হবে

 আজ জুমা আদায় করলাম মসজিদুল আবরায়, মোহাম্মদপুর, ঢাকা। বিশাল মাদ্রাসা ও মসজিদ। দু'হাজার শিক্ষার্থী ও ষাট জন শিক্ষকের সমন্বয়ে ঢাকা শহরের বড়ো মাদ্রাসাসমূহের এটি একটি হবে। এখানে ছেলের বাসা। প্রথম জুমা পড়লাম। 

খতিব মহোদয় আল্লাহর হামদ ও রসুলুল্লাহ সা.- এর শানে দরুদ পাঠ শেষে সুরা বাকারার ১৮৩ নং আয়াত তেলাওয়াত করেন এবং সেই সাথে রোজার ফজিলত সম্পর্কীয় কিছু হাদিস উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, রমজান মাসে আল্লাহর ইবাদত পালনের দীর্ঘ অনুশীলন আমরা করেছি। রোজা, নামাজ, তেলাওয়াত, মানুষের সঙ্গে সদাচরণ ও তাদের দুঃখ-কষ্টে সমব্যাথী হওয়ার সবক লাভ করেছি। সবকিছুর মূলে রয়েছে তাকওয়া অর্জন। হাদিসের মর্মানুযায়ী রোজার মধ্য দিয়ে আমরা গুনাহমুক্ত হয়েছি। কঠিন দিনে আমরা রোজা পালন করেছি, পানাহার থেকে বিরত থেকেছি এবং সকল হারাম থেকে দূরে থেকেছি; সবকিছু করেছি আল্লাহর হুকুমে। আল্লাহর হুকুম পালনে যে প্রশিক্ষণ আমরা লাভ করেছি তা বাকি জীবনে কার্যকর করতে পারলে রোজা পালন সার্থক হবে।

খতিব মহোদয় শাওয়াল মাসে ছয়টি রোজা পালনের গুরুত্ব উল্লেখ করে বলেন, এটা হবে এক বছর রোজা পালনের সমান। মাসে তিনদিন রোজা (আইয়ামে বীজ) রাখা এবং সোম ও বৃহস্পতিবার রোজা রাখার কথা বলেন। হাদিস উল্লেখ করে বলেন, সোম ও বৃহস্পতিবার বান্দার আমল আল্লাহর দরবারে পৌঁছে। রসুলুল্লাহ সা. বলেন, আমি চাই, আমার আমল আল্লাহর দরবারে রোজাবস্থায় পৌঁছুক। রমজানের অনুশীলন কাজে লাগিয়ে সারা বছর কিছু না কিছু রোজা রাখার কথা তিনি বলেন এবং এটি সুন্নাত। 

খতিব মহোদয় বলেন, রমজানে আমরা কিয়ামুল লাইল করেছি। তারাবিহ পড়ার পাশাপাশি সেহরি খেতে উঠে ২/৪ রাকাত তাহাজ্জুদ আপনারা অনেকেই আদায় করেছেন। আল্লাহর ওলি ও বন্ধু মাত্রই তাহাজ্জুদ আদায় করেন। তাহাজ্জুদ পড়লে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা যায়, গুনাহ মাফ হয়, সুস্থতা লাভ করা যায়। রমজানের বড়ো আমল ছিল কুরআন তেলাওয়াত। তিনি তাঁর মুসল্লিদের কুরআন তেলাওয়াতের অভ্যাস জারি রাখার জন্য আহবান জানান। রমজান মাসে দান -সাদাকা অনেক করেছেন। দানের হাত প্রসারিত রাখার জন্য তিনি তাঁর মুসল্লিদের প্রতি বলেন। দীনের উপর অবিচল থাকার জন্য তিনি আল্লাহর দরবারে তৌফিক কামনা করেন। সংক্ষেপিত।

Comments