বাড়ি আসলে একবার গোরস্থানে যাওয়া হয়। ঈদের দিন সুবিধা হলো, সবাইকে একত্রে পাওয়া যায়। আব্বা-আম্মার তিন নাতিসহ আমরা দুই ভাই কবর জিয়ারত করলাম। এই গোরস্থানে আমার দাদি, আব্বা-আম্মা, এক ভাই, ভগ্নিপতি, চাচা, ফুফুসহ অগণিত আত্মীয়স্বজন ও পরিচিত ব্যক্তিবর্গ রয়েছে। হে আল্লাহ! তুমি কবরবাসী সবাইকে ক্ষমা করো।
গাছিয়া দৌলতপুর গোরস্থান ছয় গ্রামের মানুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ১৯৬৫ সালে প্রতিষ্ঠিত। মরহুম তালেব উদ্দিন মালিথার এক বিঘা জমি দানের মধ্য দিয়ে এর শুভসূচনা। আমার আব্বা ছিলেন প্রধান উদ্যোক্তা। ছয় গ্রামের মানুষের বিশাল ঈদগাহের তিনি ছিলেন খতিব ও ইমাম। তিনি খুব সহজে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে পারতেন। মরহুম তালেব উদ্দিন মালিথাকে সভাপতি, মরহুম মো. লুৎফর রহমানকে সেক্রেটারি ও মরহুম আব্দুল জলিল প্রামাণিককে কোষাধ্যক্ষ করে ১৯৬৫ সালে যে গোরস্থানের যাত্রা তা বর্তমান ২৩ বিঘা জমি নিয়ে বিশাল আকৃতি ধারণ করেছে। গোরস্থানের ভেতরে পাকা রাস্তা, লাইটিং ও পানির ব্যবস্থা, ওজুখানা, বাথরুম এবং বর্ষা ও রৌদ্রের সময় জানাজার লক্ষ্যে বিশাল শেড করা হয়েছে। গাছগাছালি ঘেরা এককথায় দৃষ্টিনন্দন এক গোরস্থান।
বর্তমানে সভাপতি জনাব মো. শফিউল ইসলাম (ভোলা), সেক্রেটারি জনাব একেএম শামসুদ্দিন (কালাম) ও কোষাধ্যক্ষ জনাব মো. মিজানুল বাশার। আমি সবার সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করি।
Comments
Post a Comment