Skip to main content

Posts

Showing posts from April, 2023

রমজানের অনুশীলন বছরব্যাপী কাজে লাগাতে হবে

 আজ জুমা আদায় করলাম মসজিদুল আবরায়, মোহাম্মদপুর, ঢাকা। বিশাল মাদ্রাসা ও মসজিদ। দু'হাজার শিক্ষার্থী ও ষাট জন শিক্ষকের সমন্বয়ে ঢাকা শহরের বড়ো মাদ্রাসাসমূহের এটি একটি হবে। এখানে ছেলের বাসা। প্রথম জুমা পড়লাম।  খতিব মহোদয় আল্লাহর হামদ ও রসুলুল্লাহ সা.- এর শানে দরুদ পাঠ শেষে সুরা বাকারার ১৮৩ নং আয়াত তেলাওয়াত করেন এবং সেই সাথে রোজার ফজিলত সম্পর্কীয় কিছু হাদিস উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, রমজান মাসে আল্লাহর ইবাদত পালনের দীর্ঘ অনুশীলন আমরা করেছি। রোজা, নামাজ, তেলাওয়াত, মানুষের সঙ্গে সদাচরণ ও তাদের দুঃখ-কষ্টে সমব্যাথী হওয়ার সবক লাভ করেছি। সবকিছুর মূলে রয়েছে তাকওয়া অর্জন। হাদিসের মর্মানুযায়ী রোজার মধ্য দিয়ে আমরা গুনাহমুক্ত হয়েছি। কঠিন দিনে আমরা রোজা পালন করেছি, পানাহার থেকে বিরত থেকেছি এবং সকল হারাম থেকে দূরে থেকেছি; সবকিছু করেছি আল্লাহর হুকুমে। আল্লাহর হুকুম পালনে যে প্রশিক্ষণ আমরা লাভ করেছি তা বাকি জীবনে কার্যকর করতে পারলে রোজা পালন সার্থক হবে। খতিব মহোদয় শাওয়াল মাসে ছয়টি রোজা পালনের গুরুত্ব উল্লেখ করে বলেন, এটা হবে এক বছর রোজা পালনের সমান। মাসে তিনদিন রোজা (আইয়ামে বীজ) রাখা এবং সোম ও বৃহস্...

মাদকের সর্বনাশা ছোবলে জাতি ক্ষত-বিক্ষত

 দেশে মাদকের সয়লাব বয়ে চলছে। গ্রাম-শহর, ধনী-দরিদ্র সবার মাঝে মাদকের প্রসার। দেশের ছাত্র ও যুবসমাজ মাদকের ছোবলে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। সাধারণত মাদকের ব্যবহারটা আড়ালেই হয়ে থাকে। তারপরও যতটুকু প্রকাশ পায় সে চিত্রও ভয়াবহ। মা’র অসুস্থতার কারণে এবারে বাড়ি এসে দীর্ঘদিন থাকা হলো। অত্যন্ত সচ্ছল পরিবারের এক পিতা একদিন রাস্তায় আমাকে ধরে কেঁদে বললো, ছেলেদের কারণে আমি শেষ হয়ে গিয়েছি। অথচ তিনি ছিলেন এক সচ্ছল ও পরিচিত ব্যবসায়ী। তার দুটি ছেলে এবং দুটিই মাদকাসক্ত। একজন দূরদেশে মরে থাকলো এবং লাশ আত্মীয়স্বজন এনে দাফনের ব্যবস্থা করলো। আর বড়ো ছেলের স্ত্রী স্বামীকে ছেড়ে দিয়ে সম্ভবত অন্যত্র বিয়েসাদী করেছে। শেষে আমার সেই ভাইটিও মারা গেল। তার স্ত্রী বর্তমানে খুবই অসুস্থ এবং ছোট ছেলের বিধবা স্ত্রী সংসারের হাল ধরার চেষ্টা করছে। মাদকাসক্ত বড়ো ছেলেটি এখন সংসারের জন্য বোঝা। মাদকাসক্ত সন্তান কর্তৃক পিতার প্রহৃত হওয়ার ঘটনাও আমি জানি। এই হলো আমাদের সমাজচিত্র। মাদকাসক্ত সন্তানের কাছে বাবা-মা বড়ো অসহায়। যখন যেটা দাবি করে সেটি দিতে বাধ্য হয়। প্রাক ইসলামি যুগে আরবে মাদকের ব্যাপক প্রসার ছিল। সেই সমাজে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, ...

সদাচারী ব্যক্তিই সফলকাম

 সদাচারী ব্যক্তি অর্থাৎ উত্তম আচরণকারী ব্যক্তি দুনিয়া ও আখেরাতে সফল। এখানে সদাচরণ বলতে আল্লাহর প্রতি, নিজের প্রতি, পরিবারের প্রতি, মানুষের প্রতি ও সমগ্র সৃষ্টির প্রতি উত্তম আচরণ বোঝানো হয়েছে। আল্লাহর প্রতি সদাচার অর্থ আল্লাহ সম্পর্কে সুধারণা পোষণ, তাঁর নাফরমানি না করা ও অনুগত হয়ে চলা। ইসলাম ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যবাদে বিশ্বাসী। আল্লাহর দরবারে ব্যক্তিকে এককভাবে দাঁড়াতে হবে। কেহ কারো বোঝা বহন করবে না। ইসলামের দাবি নিজে বাঁচো ও পরিবারকে জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচাও। নিজেকে ধ্বংস করে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের কল্যাণ সাধন করতে ইসলাম বলে না বরং পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের কল্যাণ সাধনের মাধ্যমে নিজের মর্যাদা উন্নীত করার কথাই বলে। নিজেকে বাঁচাও বলতে নিজের শরীর-স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নেয়ার পাশাপশি নৈতিক মান সমুন্নত রাখা বোঝায়। মানুষ প্রায়ই নিজের সন্তান-সন্ততি ও আত্মীয়-স্বজনের কারণে দুর্নীতি করে থাকে। এমন আচরণ ব্যক্তির নিজের প্রতি সদাচার নয় বরং সুস্পষ্ট জুলুম। আবার ইবাদত -বন্দেগির নামে নিজের ওপর কাঠিন্য চাপিয়ে নেয়া ইসলামে পছন্দ নয়। ইসলাম মধ্যমপন্থা পছন্দ করে। ব্যক্তির পাশাপাশি পরিবারের প্রতি সুবিচার...

রমজান এসেছে মানুষকে গুনাহমুক্ত করতে

 বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম কুচিয়ামোড়া বাজার জামে মসজিদে ১৪.০৪.২৩ তারিখ প্রফেসর তোহুর আহমদ হিলালীর জুমা আলোচনা।  আল্লাহপাকের দরবারে লাখো শুকরিয়া, তিনি দয়া করে তাঁর ঘরে আমাদের হাজির হওয়ার তৌফিক দান করেছেন। আলহামদু লিল্লাহ। মসজিদ আল্লাহর ঘর এবং আমরা যারা উপস্থিত হয়েছি সবাই আল্লাহর মেহমান। জুমার দিন সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো খুতবা শ্রবণ ও দুই রাকাত নামাজ আদায়। গোসল করে উত্তম পোশাকে সজ্জিত হয়ে আজানের পরপরই আমাদের আল্লাহর ঘরে উপস্থিত হতে হবে। প্রথম আগমন এবং প্রথম কাতারে বসার মধ্যে রয়েছে প্রভূত সওয়াব। মসজিদে আগমনের ক্ষেত্রে রসুলুল্লাহ সা. পর্যায়ক্রমে উট, গরু, ছাগল কুরবানির সুসংবাদ শুনিয়েছেন। আবার প্রথম কাতারে আসন গ্রহণের ফজিলত প্রসঙ্গে বলেছেন, মানুষ যদি বুঝতো প্রথম কাতারে বসায় কতো সওয়াব তাহলে লটারি করা লাগতো। আমি সুযোগ পেলেই আপনাদের বলে থাকি। কিন্তু তেমন সাড়া পাওয়া যায় না। সামনের কাতার ফাঁকা রেখে পেছনে বসলে মানুষকে ডিঙিয়ে যেতে হয় যেটা আদবের খেলাপ এবং নিষেধ রয়েছে। জুমার দিনে খুতবা শ্রবণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। খুতবা অত্যন্ত মনোযোগের সাথে শুনতে হয়। কেউ কথা বললে ভাই চুপ করো তাও বলা যা...

আমার মা'র চিরপ্রস্থান

  আমরা নয় ভাই-বোনের মা দীর্ঘ রোগভোগের পর রমজানের শেষ দশকের ২৬ রমজান, ১৮ এপ্রিল ২০২৩ ফজরের আজান মুহূর্তে আমাদের ছেড়ে তাঁর মহান রবের সান্নিধ্যে চলে গেলেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলায়হি রজেউন)। সেহরি খেয়ে ফজরের নামাজের প্রস্তুতি নিচ্ছি এমন সময় তাঁর সার্বক্ষণিক পরিচর্যাকারিণী পুত্রবধূ ও মেয়ের ডাকে আমরা মা'র ঘরে উপস্থিত হয়ে মা মা ডাকাডাকি করে কোনো সাড়া পাইনি। তাঁর ছোট ছেলে ডা. কামালসহ আমরা তিন ভাই ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যের উপস্থিতিতে আমার মা চিরদিনের জন্য আমাদের থেকে বিদায় নিলেন। দ্রুত এই সংবাদ ছড়িয়ে পড়ে। ঢাকায়  সংবাদ পৌঁছলে তাঁর ছোট মেয়ে ও নাতি-নাতনি সব রওনা হয় এবং আল্লাহর মেহেরবানিতে সবাই নির্দিষ্ট সময়ে পৌঁছে যায়। আলহামদু লিল্লাহি।  ঘোষণা মোতাবেক বাদ জোহর (দুপুর ২টায়) গাছিয়া দৌলতপুর গোরস্থানে জানাজা ও দাফন করা হয়। কোনো মাইকিং ছাড়া প্রচণ্ড গরম উপেক্ষা করে বেশ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মুসল্লির উপস্থিতিতে পরিবারের পক্ষ থেকে আমি আমার মা'র জানাজা পড়াই। জানাজা পূর্ব সমাবেশে সমবেত মুসল্লির উদ্দেশ্যে আমার বলা কথা - আমাদের নয় ভাই-বোনের মা আজ আমাদের মাঝ থেকে বিদায় গ্রহণ করেছেন। আট বছর প...

জাকাত দিন সানন্দে

 জাকাত নামাজের মতই অপরিহার্য ইবাদত। জাকাত আদায় না করা কাফেরদের কাজ। জাকাত সারা বছর দেওয়া যায়, অগ্রিম দেওয়া যায়। জাকাত সম্পদ পবিত্র করার পাশাপাশি সম্পদের প্রবৃদ্ধি ঘটায়। রমজান মাসে সকল নেক আমলের সওয়াব সত্তর গুণ বেড়ে যায়। রমজানের এই বরকত হাসিলের লক্ষ্যে সাধারণত মানুষ এ মাসেই জাকাত আদায় করে থাকেন। যে কোনো আমলের সওয়াব দশ থেকে সাতশ গুণ বেড়ে যায়। এই বেড়ে যাওয়া নির্ভর করে ব্যক্তির নিষ্ঠা, আন্তরিকতা ও স্বতঃস্ফূর্ততার ওপর। তাই জাকাত দিন হিসাব করে সানন্দে ও স্বতঃস্ফূর্ত হয়ে। আল্লাহপাক তাঁর বান্দাদের নামাজ, রোজা ও জাকাতের মতো অপরিহার্য ইবাদতসমূহ নিষ্ঠার সাথে পালনের তৌফিক দান করুন।

রমজান মাসের বরকত থেকে কি আমরা বঞ্চিত?

 রমজান মাসে শয়তান থাকে শৃঙ্খলিত। তার কিছু প্রতিফলন লক্ষ করি মসজিদে। এ মাসে আল্লাহ তায়ালা জান্নাতের দরজাসমূহ খুলে দেন এবং জাহান্নামের দরজা বন্ধ করে দেন। লাইলাতুল কদর বিদায় নিয়েছে। আগামীকাল খুশির বার্তা নিয়ে হাজির হচ্ছে ইদুল ফিতর। এই বরকতময় মাসে আল্লাহ তায়ালা তাঁর অগণিত বান্দাকে ক্ষমা করেন। এ মাসে একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে ক্ষমা, সহনশীলতা ও উদারতার সুবাতাস বয়ে যাওয়ার কথা। কারগারগুলো খালি হয়ে যাওয়ার কথা। মিথ্যা, শঠতা, হিংসা-বিদ্বেষ দূর হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু কী দেখি? তারাবিহ জামায়াত থেকে আটক, আদালত জামিন দেওয়ার পর জেলগেট থেকে নতুন মামলায় আটক।  হাশরের দিনে বড়ো কঠিন সময়ে আল্লাহর আরশের ছায়া ছাড়া আর কোনো ছায়া থাকবে না। সেই ছায়ার নিচে আশ্রয়প্রাপ্তদের অন্যতম হবে ন্যায়পরায়ণ শাসক। আল্লাহর ক্ষমা কোনো প্রতিশোধপরায়ণ ও জালিমের নসিবে নেই। আল্লাহর জান্নাত রয়েছে উদার, ক্ষমাশীল ও প্রশস্ত হৃদয়ের অধিকারীদের জন্য। আল্লাহর কত নিরপরাধ বান্দা ও আলেম-উলামা কারাগারে আবদ্ধ। তাদের মুক্তিদান আল্লাহকেই অনুসরণ হতো। আল্লাহর অনেক বান্দার মুক্তির প্রতীক্ষায় ইদের দিন পর্যন্ত আমরা অপেক্ষা করবো। সংশ্লিষ্ট সকলে...

সন্তান-সন্ততি আল্লাহপাকের বড়ো নেয়ামত

 আমার মা'র নয় ছেলেমেয়ে ও ২৭ নাতি-নাতনি। এই নাতি-নাতনি থেকে আবার কতো? যেমন- আমার মেয়ের ঘরের তাসিফা ও আহমাদ এবং ছেলের ঘরের মাহের, ফুরকান, হুমাইশা (এমন সব ভাইবোনের) সবমিলে হিসাব করতে সময় লাগবে। এরা সবাই সন্তান। মহান আল্লাহপাক বাবা-মাকে ক্ষমা করার একটি সহজ উপায় জানিয়ে দিয়েছেন। আল্লাহর কাছে বাবা-মার জন্য দোয়া করতে হবে। বড়ো বিষয় হলো, দোয়া করার ভাষাও তিনি বলে দিয়েছেন। যিনি দোয়া কবুল করবেন তিনিই আবার ভাষা শিখিয়ে দিয়েছেন- এই দোয়া কি ব্যর্থ হতে পারে? না, ব্যর্থ হতে পারে না, দোয়া কবুলের পরিপূর্ণ  নিশ্চয়তা রয়েছে।  রব্বির হামহুমা কামা রব্বা ইয়ানি ছগিরা- আসুন আমরা সুযোগ পেলেই আমাদের বাবা-মা, দাদা- দাদি, নানা-নানির জন্য আল্লাহর কাছে তাঁরই শেখানো ভাষায় দোয়া করি।  ভাড়া করে দোয়া নয়, দোয়া হবে নিজের থেকে ও স্বতঃস্ফূর্তভাবে। এজন্য প্রয়োজন সন্তানকে দোয়াকারী নেক সন্তান হিসেবে গড়ে তোলা। আল্লাহপাক সন্তান দ্বারা আমাদের চোখ শীতল করে দিন। আমিন। ★ গতকাল আমার মা ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলায়হি রজেউন। আমার মা'র জন্য সবার কাছে দোয়া চাই।

আব্বা-আম্মার কবর জিয়ারত করা হলো

 বাড়ি আসলে একবার গোরস্থানে যাওয়া হয়। ঈদের দিন সুবিধা হলো, সবাইকে একত্রে পাওয়া যায়। আব্বা-আম্মার তিন নাতিসহ আমরা দুই ভাই কবর জিয়ারত করলাম। এই গোরস্থানে আমার দাদি, আব্বা-আম্মা, এক ভাই, ভগ্নিপতি, চাচা, ফুফুসহ অগণিত আত্মীয়স্বজন ও পরিচিত ব্যক্তিবর্গ রয়েছে। হে আল্লাহ! তুমি কবরবাসী সবাইকে ক্ষমা করো। গাছিয়া দৌলতপুর গোরস্থান ছয় গ্রামের মানুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ১৯৬৫ সালে প্রতিষ্ঠিত। মরহুম তালেব উদ্দিন মালিথার এক বিঘা জমি দানের মধ্য দিয়ে এর শুভসূচনা। আমার আব্বা ছিলেন প্রধান উদ্যোক্তা। ছয় গ্রামের মানুষের বিশাল ঈদগাহের তিনি ছিলেন খতিব ও ইমাম। তিনি খুব সহজে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে পারতেন। মরহুম তালেব উদ্দিন মালিথাকে সভাপতি, মরহুম মো. লুৎফর রহমানকে সেক্রেটারি ও মরহুম আব্দুল জলিল প্রামাণিককে কোষাধ্যক্ষ করে ১৯৬৫ সালে যে গোরস্থানের যাত্রা তা বর্তমান ২৩ বিঘা জমি নিয়ে বিশাল আকৃতি ধারণ করেছে। গোরস্থানের ভেতরে পাকা রাস্তা, লাইটিং ও পানির ব্যবস্থা, ওজুখানা, বাথরুম এবং বর্ষা ও রৌদ্রের সময় জানাজার লক্ষ্যে বিশাল শেড করা হয়েছে। গাছগাছালি ঘেরা এককথায় দৃষ্টিনন্দন এক গোরস্থান।  বর্তমানে সভাপতি জনাব মো. শফ...

ঈদ মোবারক!

দীর্ঘ একমাস সিয়াম সাধনার মাধ্যমে আমরা লাভ করেছি গুনাহ থেকে পরিপূর্ণ মুক্তি। হ্যাঁ, এই সুসংবাদ পেয়েছি আমাদের প্রিয়তম নবি সা.- এর কাছ থেকে। তাইতো আমাদের এতো আনন্দ ও উৎফুল্লতা। রমজানের শিক্ষাকে (তাকওয়াপূর্ণ জীবন) ধারণ করে বাকি এগারোটা মাস চলার তৌফিক মহান মাবুদের কাছে কামনা করি।  আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে পরস্পর সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি বজায় রেখে চলার তৌফিক দান করুন। হে রব! তুমি আমাদের ঘরকে শান্তি ও স্বস্তির নীড়ে পরিণত করো এবং আমাদের দেশে শান্তির সুবাতাস বইয়ে দাও।  আমি আমার সকল ফেসবুক বন্ধুদের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি।

আল্লাহর বান্দাকে ক্ষমা করুন বিনিময়ে ক্ষমা পাবেন

 বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম ঈদগাহে আলোচনা (২২.০৪.২০২৩) কুচিয়ামোড়া বাজার ঈদগাহ দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ আমরা ঈদগাহে উপস্থিত হয়েছি ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায়ের জন্য। ঈদগাহ কমিটির পক্ষ থেকে আপনাদেরকে জানাই ঈদ মোবারক। সারাদিন রোজা শেষে আমরা সন্ধ্যায় ইফতার করি অর্থাৎ রোজা ভঙ্গ করি। ঈদুল ফিতর অর্থ রোজা ভাঙ্গার আনন্দ। আমরা দীর্ঘ একমাস রোজা পালন করেছি আজ তার পুরস্কার। ঈদের দিনটিকে বলা হয় পুরস্কার দিবস (ইয়াওমাল জায়েজা)। এতো খুশি, এতো আনন্দ তো এ কারণেই যে, আমরা গুনাহ থেকে মুক্তি লাভ করেছি এবং জান্নাতের সুসংবাদ প্রাপ্ত হয়েছি। আপনাদের কি সন্দেহ হয়? কথা তো আমার নয়, আল্লাহ ও তাঁর রসুল সা.-এর। রসুলুল্লাহ সা. একদিন মিম্বরে আরোহণ করছেন আর বলছেন-আমিন, আমিন, আমিন। সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞাসা করেন, ইয়া রসুলুল্লাহ সা.! আপনি আমিন, আমিন, আমিন বলছেন কেন? জবাবে বলেন, জিবরাইল আ. এইমাত্র আমাকে বলে গেলেন- যে ব্যক্তি রমজান মাস পেল অথচ নিজের গুনাহ মাফ করে নিতে পারলো না সে যেন ধ্বংস হয়, আমি বললাম- আমিন। জিবরাইল আ. নিজের থেকে কোনো কথা বলেন না বা বলতে পারেন না। আল্লাহরই কথা, তিনি রমজানের মাধ্যমে তাঁর বান্দাকে গুনাহ ...