Skip to main content

Posts

Showing posts from January, 2021

জুমু’আ বক্তৃতা

আজ কুচিয়ামোড়া বাজার জামে মসজিদে জুমু’আর নামায আদায় ও বক্তৃতা দানের সুযোগ হয়। আল্লাহপাক দয়া করে আল্লাহর ঘরে হাজির হয়ে খুতবাহ্ শ্রবণ ও দু’রাকাত নামায আদায়ের সুযোগ দেয়ায় তাঁর দরবারে শুকরিয়া জানাই। আলহামদু লিল্লাহ। প্রতিনিয়তই আমরা মৃত্যু সংবাদ পাচ্ছি এবং আমরা তাতে পড়ি ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলায়হি রজেউন’। আমরা আল্লাহরই জন্য এবং তাঁরই কাছে ফিরে যাবো। এই ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে আমাদের কারো কোনো সন্দেহ নেই। কখন ও কিভাবে যাবো, আমাদের তা জানা নেই। মৃত্যুর জন্য আমাদের সর্বক্ষণ প্রস্তুত থাকা দরকার। আমরা যেখানে ফিরে যাবো সেই আখিরাতের পুঁজি হলো ঈমান ও নেক আমল। আমরা দুনিয়ায় নাম-যশ-খ্যাতি ও ধন-সম্পদের জন্য প্রতিযোগিতায় লিপ্ত। অথচ এই দুনিয়াটা কত সামান্য এবং আখিরাতের জীবন বড় অসীম। বেশি বেশি নেক আমলের জন্য আমাদের প্রতিযোগিতা থাকা দরকার। মসজিদে আসার ক্ষেত্রেও আমাদের প্রতিযোগিতা দরকার। যে সবার আগে মসজিদে পৌঁছে আল্লাহপাক তার আমলনামায় উট কুরবানির ছওয়াব দিয়ে থাকেন এবং এরপর গরু, ছাগল ইত্যাদি। প্রথম কাতারে বসার ছওয়াব প্রসঙ্গে রসূল (সা) বলেন, মানুষ যদি বুঝতো প্রথম কাতারে বসায় কতো ছওয়াব তাহলে লটারি করার প্রয়োজ...

মোয়াল্লেম স্যারের সাথে কিছুক্ষণ

গতকাল (২৮.০১.২০২১) বাদ মাগরিব মোয়াল্লেম স্যারের সাথে সাক্ষাত উদ্দেশ্যে স্যারের ছাত্র ও কুচিয়ামোড়া বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. সেলিমুজ্জামান (সেলিম)-কে সাথে করে স্যারের বাড়িতে গিয়েছিলাম। স্যারের শিক্ষকতা জীবন ছিল বর্ণাঢ্য। সুদীর্ঘ ৫০ বছর (১৯৫৩-২০০৩) শিক্ষকতার মাঝে পাঁচ বছর ছিল প্রধান শিক্ষকের (১৯৯৮-২০০৩) দায়িত্ব পালন এবং সেখানে তিনি নিষ্ঠা, আন্তরিকতা ও যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখতে সক্ষম হন। বিজ্ঞানের শিক্ষক হিসেবে তিনি ছিলেন অনন্য। বিজ্ঞানের জটিল বিষয়সমূহ তিনি সহজেই সমাধান দিতে পারতেন। তিনি ছিলেন একজন জনপ্রিয় শিক্ষক এবং সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতায় ছিলেন সহকর্মী ও শিক্ষার্থীর কাছে পরম আস্থাভাজন। অনেক স্মৃতিচারণ হলো বিশেষ করে নূর মোহাম্মদ স্যার ও আব্দুস সামাদ স্যারকে নিয়ে। তাঁরা ছিলেন স্যারের সমবয়সী ও মাত্র নয় মাসের ব্যবধানে সবাই অবসরে যান এবং তাঁর বন্ধু ও সহকর্মী দু’জন আল্লাহর কাছে ফিরে গেছেন। তিনি তাঁদের মাগফিরাত কামনা করেন। গত ২৩ জানুয়ারি নূর মোহাম্মদ স্যার ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলায়হি রজেউন)। আমি নূর মোহাম্মদ স্যারকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করে কিছু লেখার জন্য অনুরোধ করলে স্যার...

নূর মোহাম্মদ স্যারের পরিবারের সাথে সাক্ষাত

গতকাল স্যারের একজন স্নেহাশীষ ও ভক্ত সেলিমকে সাথে করে স্যারের বাড়িতে গিয়েছিলাম। স্যারের বড় ভাই এখনো বেঁচে আছেন। বয়স নব্বই ছুঁই ছুঁই করছে। বড় ভাই ও বড় ছেলে সজলের সাথে (সহকারী শিক্ষক, বাহাদুরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়) কিছু সময় কাটালাম। স্যারের অছিয়ত মোতাবেক তারা বাহুল্য কিছু না করে তিনটি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীকে একটি মাদ্রাসায় একত্রিত করে একবেলা আপ্যায়নের ব্যবস্থা করেছিল। সাথে কিছু দরিদ্র মানুষকে যোগ করেছিল। আলহামদু লিল্লাহ। মৃত্যুর পরে ছওয়াব পৌঁছানোর সবচেয়ে উত্তম পন্থা হলো তার সন্তান, পরিবার ও শুভাকাক্সক্ষীদের পক্ষ থেকে বেশি বেশি করে দুআ ও নেকির কাজ করা। সেটি হতে পারে দরিদ্রদেরকে খাদ্যদান, দান-সাদাকা, সদকায়ে জারিয়া, নামায, রোযা, কুরআন পাঠ, তাছবিহ-তাহলিল বা যে-কোনো নেক আমল করে মাইয়াতের ছওয়াবের উদ্দেশ্যে আল্লাহর কাছে পেশ করা। সর্বোপরি আল্লাহর কাছে মাইয়াতের মাগফিরাত কামনা করা। মানুষ মারা যাওয়ার সাথে সাথে তার ভালো ও মন্দ সকল আমল বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু রয়ে যায় নেক সন্তানের দুআ ও নেক আমল, ছদকায়ে জারিয়া ও এমন ইলম যা থেকে মানুষ উপকৃত হয়। পিতা-মাতার জন্য দুআ করার ভাষাটিও আল্লাহপাক শিখিয়ে দিয়েছেন, ‘রব্...

মৃত্যু ও ভালো-মন্দ সবই আল্লাহর হাতে

আমরা অনেক সময় শুনে থাকি লোকটিকে আযরাঈলে ধরেছে বা বলে আযরাঈলে ধরলে কাউকে ছাড়ে না বা অনেক সময় নিজের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে বলে আযরাঈল চোখে না। এর কোনোটিই ঠিক নয়। আল্লাহপাকের সীমাহীন সাম্রাজ্যে অসংখ্য কর্মচারীর মধ্যে হযরত আযরাঈল (আ) অন্যতম। ফেরেশতারা আল্লাহর কর্মচারী। তাঁদের নিজস্ব বলে কিছু নেই, কোনো স্বাধীনতা নেই। একান্ত আল্লাহর অনুগত কর্মচারী। সীমা সংখ্যাহীন ফেরেশতা আল্লাহর কর্মচারী হিসেবে কাজ করছেন। তাঁরা অত্যন্ত সম্মানিত। আল্লাহর হুকুম পালনে সদা তৎপর। একটু ব্যতিক্রম ঘটানোর সুযোগ নেই। তন্মধ্যে চারজন ফেরেশতা বিশেষ মর্যাদার অধিকারী। বাণীবাহক জিবরাইল (আ) সর্বোচ্চ মর্যাদার অধিকারী। জান কবজের দায়িত্ব হযরত আযরাঈল (আ)-এর এবং সেটি আল্লাহর নির্দেশক্রমেই হয়ে থাকে। মৃত্যুর সময় সুনির্দিষ্ট এবং কোথায়, কখন ও কিভাবে সেটিও আল্লাহই ভালো জানেন। মানুষের জন্য এই পৃথিবী একটি পরীক্ষাগার। পরীক্ষা গ্রহণের লক্ষ্যেই আল্লাহপাক জীবন ও মৃত্যু দান করেছেন। একজন মুসলিম হিসেবে আমাদের বিশ্বাস, এই মৃত্যুই শেষ নয়; এরপর রয়েছে আর একটি জগত যাকে বলা হয় আখিরাতের জীবন। দুনিয়া ও আখিরাত নিয়েই আমাদের এক পরিপূর্ণ জীবন এবং আমরা আল্লাহ...

নামায মানুষকে সুশৃঙ্খল করে

আল্লাহর আনুগত্যের সর্বোত্তম নিদর্শন নামায। ঈমান আনার পরে, সে যে ঈমানের দাবীতে সত্যবাদী তার প্রমাণ নামায। নামাযই একজন মুসলিম ও কাফিরের মাঝে পার্থক্য তৈরী করে। হাদিসে নামাযকে বেহেশতের চাবি বলা হয়েছে। আপনার হাতে ঘর খোলার চাবি থাকলে স্বাভাবিকভাবে আশা করতেই পারেন, ‘আমি সেই ঘরের বাসিন্দা হবো ইনশা-আল্লাহ’। প্রশ্ন উঠতে পারে, নামাযের মধ্যে এমন কী আছে যা মানুষকে জান্নাতে নিয়ে যায়? এর জবাব আল্লাহ নিজেই দিয়েছেন। ‘নিশ্চয়ই নামায মানুষকে অন্যায় ও অশ্লীল কাজ থেকে বিরত রাখে’- আনকাবুত ৪৫। আল্লাহ তায়ালা বড় নিশ্চয়তা দিয়ে কথাটি বলেছেন। অন্যায় ও অশ্লীল কাজ মানুষকে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যায়। আর নামায মানুষকে সব ধরনের মন্দ কাজ থেকে ফিরিয়ে রাখে। হয়তো বলবেন, নামায পড়েও তো অনেক মানুষ অন্যায় করে। আসলে ঠিক নয়। ওরা প্রতারক, নামাযকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে মানুষকে ধোকা দেয়, ‘আমি নামাযী, বড় ভালো মানুষ’। আপনি অনুতপ্ত হন, আল্লাহর ভয়ে নামায শুরু করুন; দেখবেন সহসা আপনার জীবনে পরিবর্তন শুরু হয়ে গেছে। সারাজীবন নামায পড়েননি। তাতে কী? আপনি এখনই তাওবা করুন। শুধু বলুন, পরোয়ারদেগার! ভুল হয়ে গেছে। মুখে উচ্চারণে সময় লাগতে পারে, ...

হাদিস পড়ি জীবন গড়ি-

মুনাফিকের চিহ্ন : আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রা) থেকে বর্ণিত। নবী করিম (সা) বলেছেন, চারটি স্বভাব যার মধ্যে বিদ্যমান সে হচ্ছে খাঁটি মুনাফিক। যার মধ্যে এর কোনো একটি স্বভাব থাকবে তা ত্যাগ না করা পর্যন্ত তার মধ্যে মুনাফিকের একটি স্বভাব থেকে যায়। এগুলো হচ্ছে- ১. আমানতের খেয়ানত করে ২. কথা বললে মিথ্যা বলে ৩. অঙ্গিকার করলে ভঙ্গ করে ৪. বিবাদে লিপ্ত হলে অশ্লীলভাবে গালাগালি করে। বুখারি ও মুসলিম। মুনাফিক হবে মুসলমানদের মধ্য থেকে। কাফির অপেক্ষা মুনাফিকের পরিণতি বড় ভয়াবহ। এদের অবস্থান হবে জাহান্নামের সর্ব নিম্নস্তরে। এদের নামায, রোযা, হজ্জ, যাকাত সবই মূল্যহীন হয়ে পড়বে। আল্লাহপাক আমাদেরকে হেফাজত করুন। স্বামীর প্রতি অকৃতজ্ঞতা : ইবনে আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূল (সা) এরশাদ করেন-‘আমাকে জাহান্নাম দেখানো হয়। (আমি দেখি) , তার অধিবাসীদের অধিকাংশই স্ত্রীলোক; (কারণ) তারা কুফুরি করে। জিজ্ঞাসা করা হলো, ‘তারা কি আল্লাহর সাথে কুফুরি করে’? তিনি বললেন, ‘তারা স্বামীর অবাধ্য হয় এবং ইহসান অস্বীকার করে’। তুমি যদি দীর্ঘকাল তাদের কারো প্রতি ইহসান করতে থাকো, এরপর সে তোমার সামান্য অবহেলা দেখলেই বলে, ‘আমি কখনো...

মৃত্যু- ব্যক্তি ও সমাজজীবনে তার প্রভাব

মৃত্যুকে এড়িয়ে চলার কোনো সুযোগ নেই। শিশু, যুবক, বৃদ্ধ সব বয়সের মানুষ প্রতিনিয়ত মৃত্যুবরণ করছে। বৃদ্ধ বাবা-মা রয়ে যাচ্ছে অথচ যুবক সন্তান ও শিশু নাতি-নাতনি চলে যাচ্ছে। রসুলুল্লাহ (সা)-এর ছেলে সবগুলো অতি শৈশবে এবং মেয়ে ফাতিমা (রা) ছাড়া সবাই তাঁর জীবদ্দশায় ইন্তেকাল করেছেন। এ-সবই পরীক্ষা এবং প্রিয়জনের বিদায়ে যারা ধৈর্য অবলম্বন করে আল্লাহ তাদেরকে পুরস্কৃত করবেন। প্রিয়জনের মৃত্যু ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। ফলে সবাই শোকাতুর হয় এবং নানাভাবে শোক প্রকাশ করে। তিন দিনের বেশি শোক প্রকাশের সুযোগ নেই। তবে স্বামীর মৃত্যুতে স্ত্রীকে চার মাস দশ দিন শোক পালন করতে হয়। এ সময়ে সাজ-সজ্জা করা এবং অলঙ্কার ও সুগন্ধি ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হয়। এমতাবস্থায় স্ত্রীর উচিত স্বামীর ঘরে অবস্থান করা। প্রিয়জনের মৃত্যুতে সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হলেও সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েন স্বামী-স্ত্রী। তারপরও বলবো স্ত্রীই হন অধিক ক্ষতিগ্রস্ত। স্ত্রী মারা গেলে স্বামী যত সহজেই আর একটি বিয়ে করতে পারে স্বামীর মৃত্যুতে সন্তানের মায়া ও সামাজিক নানা কারণে স্ত্রীর দ্বিতীয় বিয়ে অনেক কঠিন হয়ে পড়ে। যদিও ইসলামে বিধবা বিয়েকে উৎসাহ দেয়...

অজস্র মানুষের ভালোবাসা নিয়ে রবের কাছ ফিরে গেল আমাদের বিলাল

গত রাতে (৮ জানুয়ারি শুক্রবার রাত ৮-০০) হার্ট অ্যাটাক করে আমার দ্বিতীয় ভাই বিলাল কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলায়হি রজেউন)। আজ সকল ১১-৩০টায় গাছিয়া দৌলতপুর ঈদগাহ ময়দানে (ছয় গ্রামের মানুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠিত) নামাযে জানাজা শেষে গাছিয়া দৌলতপুর গোরস্থানে মরহুমকে সমাহিত করা হয়। মরহুম কোনো রাজনৈতিক নেতা/কর্মী না হওয়া সত্ত্বেও বিশাল ঈদগাহ ময়দান পূর্ণ হয়ে যায়। এটি তার ও তার পিতার পরিবারের প্রতি মানুষের ভালোবাসা ও সহানুভূতিরই বহিঃপ্রকাশ। উল্লেখ্য, জানাজা উপলক্ষে কোনো মাইকিং করা হয়নি। জানাজাপূর্ব সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মিরপুর উপজেলার জনপ্রিয় চেয়ারম্যান (সাবেক) জনাব মো. আব্দুল গফুর, বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ ও শিক্ষাবিদ ড. নূরুল আমিন জসিম ও বাহাদুরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জনাব আশিকুর রহমান ছবি। পরিবারের পক্ষ থেকে কথা বলেন ও জানাজায় ইমামতি করেন মরহুমের বড় ভাই প্রফেসর তোহুর আহমদ হিলালী। তিনি তার ভাইয়ের মাগফেরাতের জন্য সকলের কাছে দুআ চান।

আমার ছোট ভাই বিলালের জানাজা পূর্ব সমাবেশে বিভিন্ন ব্যক্তির নছিয়তপূর্ণ বক্তব্য

[বিলালের মৃত্যু ৮ জানুয়ারি শুক্রবার রাত ৮-০০ কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে এবং জানাযা ৯ জানুয়ারি সকাল ১১-৩০ টায় গাছিয়া দৌলতপুর ঈদগাহ ময়দানে।] মিরপুর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান জনাব আব্দুল গফুর বলেন, বিপুল লোকের উপস্থিতিতে আজকের এই জানাযা অনুষ্ঠিত হচ্ছে, এই উপস্থিতি মানুষের কাছে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা প্রমাণ করছে। সাথে সাথে আমার প্রশ্ন, এই জানাযা একটি ফরজে কেফায়া, কিছু লোক আদায় করলে সবাই দায়মুক্ত হয়ে যায়। কিন্তু ফজরের দুই রাকাত ফরজ নামায আমরা অনেকেই পড়িনি, এ-জন্য আমাদেরকে ব্যক্তিগতভাবে দায়ী থাকতে হবে। প্রতিটি মৃত্যু থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে প্রস্তুতিস্বরূপ নামায আদায়ে যত্নশীল হওয়ার সাথে সাথে আল্লাহর বিধান পরিপূর্ণভাবে পালনের জন্য তিনি সবার প্রতি আহবান জানান। ড. মাওলানা নূরুল আমিন জসিম বলেন, দোষেগুণে আমরা মানুষ, আমাদের ভুল-ত্রুটি রয়েছে। যে ভাইটি আমাদের মাঝ থেকে চলে গেলেন, তাঁরও ভুল-ত্রুটি রয়েছে। জানাযা নামায একটি দুআ এবং তাঁর জন্য ক্ষমা প্রার্থনার লক্ষ্যেই এই আয়োজন। মাইয়াতকে সামনে রেখে জানাযার নামায আদায় করতে হয়। এই নামাযে রুকু-সেজদা নেই। কারণ মানুষ আল্লাহ ছাড়া আর কারো কাছে নত হয় না। মান...

বিশ্বে করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। আল্লাহর কাছে ফিরে আসার মধ্যেই রয়েছে কল্যাণ।

বাংলাদেশে করোনা শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যা বেশ কম। গতকাল মৃতের সংখ্যা ছিল সর্বনিম্ন ১৩ এবং আজ আবার ২১। এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত ৫,২৭,০৬৩ ও মৃত্যু ৭,৮৮৩। কিন্তু বিশ্ব পরিস্থিতি বড় ভয়াবহ। মোট শনাক্ত ৯,৪৩,৯৪,৭৯৬ এবং মৃত্যু ২০,১৯,৮৫৭। প্রতিদিন শনাক্ত ৬/৭ লক্ষ এবং মৃত্যু ১৪/১৫ হাজার। যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থা খুব নাজুক। শনাক্ত প্রায় আড়াই কোটি এবং মৃত্যু সংখ্যা চার লাখ। ভ্যাক্সিন নেয়ার পর নরওয়ের ২৩ নাগরিকের মৃত্যু। বোঝা যাচ্ছে, ভ্যাক্সিনের কার্যকারিতা প্রশ্নবিদ্ধ ও সময়সাপেক্ষ। ভ্যাক্সিন সবার কাছে পৌঁছানো এতো সহজসাধ্য নয়। তাই স্বাস্থ্যবিধি পালন ও সতর্ক হওয়ার কোনো বিকল্প নেই। আমরা এমন এক আল্লাহতে বিশ্বাসী যিনি স্রষ্টা হওয়ার সাথে সাথে সবকিছুর নিয়ন্ত্রকও। তাঁর ইচ্ছা বা হুকুমের বাইরে কোনো কিছু ঘটে না। বিপদাপদ দেয়া ও তা থেকে উদ্ধার উভয়ই তাঁর এখতিয়ারভুক্ত। মহামারি, ভূমিকম্প, জলোচ্ছাস বা যে কোনো প্রাকৃতিক বিপর্যয় তাঁর ইচ্ছার বাইরে ঘটে না। মানুষকে সমূলে ধ্বংস নয়, সতর্ক করার উদ্দেশ্যেই তিনি এ-সব বিপদাপদ দিয়ে থাকেন, যাতে মানুষ সতর্ক হয়ে নফরমানি ত্যাগ করে তাঁর পথে ফিরে আসে এবং ফিরে আসাটাই বান্দার জন্য বড় প্রাপ্তি। ...

গীবতের দ্বারা নিজের ক্ষতি ও শত্রুর কল্যাণ হয়।

সাধারণত মানুষ যাকে শত্রু বিবেচনা করে বা অপছন্দ করে তারই গীবত করে। গীবত তাই, যে দোষ তার ভাইয়ের মধ্যে আছে তা তার অসাক্ষাতে বলা। যে ত্রুটি কারো মধ্যে নেই অথচ তা বানিয়ে বলা মিথ্যা অপবাদ, জঘন্যতম অপরাধ। গীবত যিনা অপেক্ষাও জঘন্য। কুরআনের ভাষায় মরা ভাইয়ের গোশত খাওয়ার সমতুল্য। বিচারের দিন দেখা যাবে গীবতকারী আমলশূন্য অবস্থায় এবং যার গীবত করা হয়েছে তার আমলনামা নেকিতে পূর্ণ। হিংসা-বিদ্বেষ থেকেই হয় গীবত। আল্লাহপাক আমাদেরকে হিংসা-বিদ্বেষ ও গীবত থেকে হেফাজত করুন।

জুমু'আ বক্তৃতা

০১.০১.২০২১ আজ কুচিয়ামোড়া বাজার জামে মসজিদে (নিজ গ্রামের মসজিদ) কিছু কথা বলার সুযোগ হয়। প্রথমেই ২০২১ সনের প্রথম দিন সবাইকে স্মরণ করে দিয়ে বলি, আজকে আমাদের করণীয় গত বছরের ত্রুটি-বিচ্যুতির জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া এবং বর্তমান বছরে আল্লাহর অনুগত হয়ে চলার লক্ষ্যে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়া ও আল্লাহর কাছে তাওফিক কামনা করা। আমরা সবাই গুনাহগার। নবী-রসূল ছাড়া ভুল-ত্রুটির উর্ধ্বে আমরা কেউ নই। আল্লাহ তাঁর বান্দাদের ক্ষমা করেই জান্নাতে দেবেন। আমাদের উচিত আল্লাহর কাছে বেশি বেশি ক্ষমা চাওয়া। এতে বিনয় প্রকাশ পায়। এমতাবস্থায় ক্ষমা চাইতে দেরি হতে পারে কিন্তু ক্ষমা পাইতে দেরি হবে না ইনশা-আল্লাহ। গুনাহের ব্যাপারে কখনো নিরাশ হতে নেই। আল্লাহ তাঁর বান্দাকে ক্ষমা করার জন্য উদগ্রীব থাকেন। কিন্তু মৃত্যু আসার সাথে সাথে ক্ষমার দরজা চিরতরে বন্ধ হয়ে যাবে। ২০২০ সন মানবজাতির জন্য ছিল বড় কষ্টের। করোনার কারণে সমগ্র বিশ্ব বিপর্যস্ত। ১৮ লক্ষাধিক মানুষ ইতোমধ্যে করোনায় মারা গেছেন। আক্রান্ত হয়েছে ৮ কোটির উর্ধে। বাংলাদেশেও কম নয়। সাড়ে সাত হাজার লোক মারা গেছেন। করোনাভীতি সহজে দূর হবে না। ভ্যাক্সিন আবিস্কার হয়েছে, কিন্তু আম...

পিতা-মাতার সাথে উত্তম ব্যবহার করার প্রতি আল্লাহর তাগিদ

কুরআনের পাঠ তোমার রব ফায়সালা করে দিয়েছেন : ‘তোমরা কারো ইবাদত করো না, একমাত্র তাঁরই ইবাদত করো। পিতা-মাতার সাথে ভালো ব্যবহার করো। যদি তোমাদের কাছে তাদের কোনো একজন বা উভয় বৃদ্ধ অবস্থায় থাকে, তাহলে তাদেরকে ‘উহ’ পর্যন্ত বলো না এবং তাদেরকে ধমকের সুরে কথা বলো না বরং তাদের সাথে মর্যাদা সহকারে কথা বলো। আর দয়া ও কোমলতা সহকারে তাদের সামনে বিনম্র থাকো এবং দুআ করতে থাকো এই বলে : হে আমার রব! তাদের প্রতি দয়া করো, যেমন তারা দয়া, মায়া, মমতা সহকারে শৈশবে আমাকে প্রতিপালন করেছিলেন’- সূরা বনী ইসরাঈল ২৩-২৪। আমাদের মসজিদের (কুচিয়ামোড়া বাজার জামে মসজিদ, ভেড়ামারা, কুষ্টিয়া) সম্মানিত ইমাম ক্কারী মো. জাকির হোসেন প্রতিদিন মাগরিবের নামাযের পূর্বে খুবই সংক্ষিপ্তভাবে কিছু আলোচনা করেন। আজ পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার প্রসঙ্গে সূরা বনী ইসরাঈল ২৩-২৪ নং আয়াত উল্লেখ করেন। আল্লাহপাক একমাত্র তাঁরই ইবাদত করার সাথে সাথে পিতা-মাতার সাথে সদাচরণের জোর তাগিদ দিয়েছেন। ‘উহ’ শব্দটি উচ্চারণ করো না এ কথা বলে আল্লাহপাক বোঝাতে চেয়েছেন, পিতা-মাতা কষ্ট পান এমন কোনো আচরণ সন্তান কখনই করতে পারে না। সব সময় তাদের প্রতি বিনয়ী থাকতে হবে। ...

আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়ার মধ্য দিয়ে বছরের শেষ দিনটি উদযাপন করি।

৩১ ডিসেম্বর। আজকে এশার নামায মসজিদে আদায় করে আল্লাহর কাছে বিগত দিনের গুনাহের জন্য ক্ষমা চাই। আমার বিশ্বাস, আমাদের ক্ষমা চাইতে যত সময় লাগবে, আল্লাহর ক্ষমা করার জন্য অতটুকু সময়ও লাগবে না। সেই সাথে নিয়ত করি ফজরের নামাযও আগামীকাল মসজিদে আদায় করবো। অধিকাংশ মসজিদে ফজরের নামায ৬-১০। এশা ও ফজরের নামায জামায়াতের সাথে আদায় অর্থ সারাটি রাত ইবাদতের মাঝে অতিবাহিত করা। সর্বোপরি মুনাফিকের খাতা থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা। ক্ষমা চাওয়ার সুযোগ দুনিয়ার জীবদ্দশায়। মৃত্যু তাওবার সকল সুযোগ ধ্বংস করে দেবে এবং সম্পদের মালিকানাও হাতছাড়া হয়ে যাবে। তাই অপেক্ষা না করে দয়াময় আল্লাহর কাছে নিজেক সোপর্দ করে দেই। হে আল্লাহ! জাহান্নামের আগুন থেকে আমাদের রক্ষা করো, যা প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে তোমার নাফরমান বান্দাদের জন্য।

বিদায়ী ও নববর্ষে আমাদের করণীয়

আজকে ফজরের নামায শেষে খেমিরদিয়াড়, ভেড়ামারা (আমার শ্বশুরবাড়ি) জামে মসজিদে মুছল্লিদের উদ্দেশ্যে কিছু কথা- ৩১ ডিসেম্বর। ২০২০ সন বিদায় হয়ে যাচ্ছে এবং আগামীকাল শুরু হবে ২০২১। আমাদের জীবন থেকে একটি বছর খসে পড়লো। আল্লাহর বান্দাহ হিসেবে প্রতিনিয়ত আমরা গুনাহ করছি। আজকে ক্ষমা চেয়ে নেয়ার দিন এবং ২০২১ সনে আল্লাহর পথে চলার তাওফিক কামনা করে নতুন জীবন পরিচালনার লক্ষ্যে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়ারও দিন। নেক আমলের বিনিময়ে আখিরাতে জান্নাত নয় বরং আল্লাহর ক্ষমা ও অনুগ্রহে কেবল জান্নাত লাভ সম্ভব। আমরা আমাদের নেক আমলের বিনিময়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইবো। বাংলাদেশে হিংসা ও গীবতের চাষ হয়। ভাইয়ে ভাইয়ে হিংসা, পাড়া-প্রতিবেশীর মাঝে হিংসা এবং রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে হিংসাসহ সর্বত্রই হিংসা ছড়িয়ে আছে। হিংসা শুধু কবীরা গুনাহ নয়, রসুলুল্লাহ (সা)-এর ঘোষণা মোতাবেক হিংসা মানুষের নেক আমল ধ্বংস করে দেয়। হাদিসটি এমন, আগুন যেমন শুকনা কাঠ জ্বালিয়ে দেয় তেমনি হিংসা মানুষের নেক আমল ধ্বংস করে দেয়। হিংসুটে মানুষ আল্লাহর কাছে ঘৃণিত এবং তার অনিষ্ট থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আল্লাহ তাঁর কাছে সাহায্য চাইতে বলেছেন (সূরা ফালাক)। হিংসা থেকে সৃষ্টি হয় গ...

ওজনে যারা কম দেয় তাদের ধ্বংস অনিবার্য

ধ্বংস তাদের জন্য যারা মাপে কম দেয়। তাদের অবস্থা এই যে, লোকদের থেকে নেবার সময় পুরোমাত্রায় নেয় এবং তাদেরকে ওজন করে বা মেপে দেবার সময় কম করে দেয়। এরা কি চিন্তা করে না, একটি মহাদিবসে এদেরকে উঠিয়ে আনা হবে? সেদিন সমস্ত মানুষ রব্বুল আ’লামীনের সামনে দাঁড়াবে’- সূরা আল মুতাফ্ফিফীন ১-৬। আজকে আমাদের মসজিদের (কুচিয়ামোড়া বাজার জামে মসজিদ, ভেড়ামারা, কুষ্টিয়া) সম্মানিত ইমাম ক্কারী মো. জাকির হোসেন মাগরিবের নামাযের পূর্বে খুবই সংক্ষিপ্তভাবে মাপে কম-বেশি করার ভয়াবহ পরিণতি বলতে গিয়ে সূরা আল মুতাফ্ফিফীন ১-৬ আয়াত উল্লেখ করেন। নেয়ার সময় বেশি বা পুরোমাত্রায় নেয়া কিন্তু দেয়ার সময় ক্রেতাকে ঠকানোর অভ্যাস অনেকের মধ্যে রয়েছে। আসলে পরকালে বিশ্বাসের ঘাটতি থেকেই তারা এমনটি করে থাকে। এ-সব হীন ঠগবাজদের ধ্বংসের কথাই এখানে আল্লাহপাক বলেছেন। উল্লেখ্য, ওজনে কম দেয়ার জন্য হযরত শোয়াঈব (আ)-এর জাতিকে আল্লাহ সমূলে ধ্বংস করে দিয়েছেন। এখন প্রশ্ন হলো, কেউ যদি অতীতে গুনাহ থেকে ফিরে আসতে চায় তার উপায় কী? ইমাম সাহেব বলেন, মানুষ যদি তাওবা করে অর্থাৎ গুনাহ থেকে ফিরে আসে তাহলে আল্লাহ তার সেই বান্দার অতীতের গুনাহ শুধু ক্ষমাই করবেন না ব...

করোনামুক্ত আমাদের গ্রামসমূহ

ইতোপূর্বেও বাড়ি এসে করোনার কোনো অস্তিত্ব বা ভীতি লক্ষ্য করিনি। গতকাল বাড়ি এসে সেটিই লক্ষ্য করছি। মাস্কছাড়া সবাই। মনে হলো আমিই যেন ব্যতিক্রম। মসজিদে এশার নামায নীচ তলা ও দোতালা পূর্ণ। কাঁধে কাঁধ মিলে দাঁড়ানো। কঠিন শীতেও ফজরের নামায দু'কাতার (২৫/২৬ জন হবে)। গ্রামের মানুষ অনেকখানি আল্লাহর দিকে ঝুঁকে পড়েছে। আলহামদু লিল্লাহ। গ্রামের মানুষের প্রকৃতির সাথে বেশ মিতালী রয়েছে। প্রচন্ড গরমে তাদের এসির প্রয়োজন পড়ে না। আবার এতো শীতও তাদেরকে কাবু করে না। মসজিদে অধিকাংশ মুছল্লিকে খালি পায়ে লক্ষ্য করলাম। দৌড়ঝাপ, হাঁটা-চলা, শারীরিক পরিশ্রম, নির্মল আলো-বাতাস, রৌদ্রতাপ, পর্যাপ্ত শাক-সব্জি খাওয়ার (হতদরিদ্র মানুষগুলো মাছ-মাংস খেতে পারে না) কারণে তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক উচ্চে। ফলে করোনা আক্রমণ হলেও সাধারণ সর্দি-জ্বরের উপসর্গ নিয়ে দেখা দেয় এবং কয়েক দিন বিশ্রাম ও নাপা খেয়েই তারা সুস্থ হয়ে উঠে। এটি আমার পর্যবেক্ষণ। করোনাকালে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। গ্রামের শিশু-কিশোরদের বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে গেল। গ্রামে বাজারগুলো জমজমাট, মসজিদগুলোয় নিয়মিত নামায আদায় হচ্ছে। এখানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা বা মাস...

কুরআনের পাঠ

‘যারা ঈমান আনে আল্লাহ তাদের সাহায্যকারী ও বন্ধু। তিনি তাদের অন্ধকার থেকে আলোর দিকে নিয়ে আসেন’-সূরা বাকারা ২৫৭ নং আয়াতের প্রথমাংশ। [আয়াতের পরের অংশ, আর যারা কুফুরির পথ অবলম্বন করে তাদের সাহায্যকারী ও বন্ধু হচ্ছে তাগুত। সে তাদের আলো থেকে অন্ধকারের দিকে টেনে নিয়ে যায়। এরা আগুনের অধিবাসী, সেখানে তারা চিরদিন থাকবে।] আজকে বাড়ি এসে গ্রামের মসজিদে নামায আদায় করলাম। আল্লাহপাকের অনুগ্রহে আমি পাঁচ ওয়াক্ত নামাযই মসজিদে জামায়াতের সাথে আদায়ের চেষ্টা করি। আলহামদু লিল্লাহ। গ্রামের মসজিদগুলোয় খুবই স্বল্প সম্মানিতে ইমাম-মুয়াজ্জিন ও খাদেমগণ খেদমত করে যাচ্ছেন। আমাদের মসজিদের ইমাম ক্কারী মো. জাকির হোসেন স্বল্পশিক্ষিত হলেও তাঁর নিজের জানা ও মুছল্লিদেরকে জানানোর রয়েছে প্রচন্ড আগ্রহ। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, কারো মাঝে দ্বায়ী ইলাল্লাহর চেতনা থাকলে অর্থাৎ অপরকে জানানোর আগ্রহ থাকলে আল্লাহপাক তাঁর জ্ঞানের পরিধি বাড়িয়ে দেন। ইমাম সাহেব নিয়মিত লেখাপড়া করে জুমু’আয় খুতবা দেন, মাগরিবের পূর্বে সংক্ষিপ্ত কথা বলেন এবং ফজরের পরে সূরা ও দুআ-দরুদ মশক করান। আজকে মাগরিবে সূরা বাকারার ২৫৭ আয়াত থেকে খুব সংক্ষিপ্তভাবে তিনি আল...

গত হতে চলেছে ২০২০

সময় দ্রুত বিদায় হয়ে যাচ্ছে এবং আমরাও মৃত্যুর জন্য অপেক্ষারত।। আমরা কেউ জানি না কখন, কোথায় কার মৃত্যু হবে। আমাদের আয়ুষ্কাল সুনির্দিষ্ট। দিন যায় আর আমাদের জীবন থেকে একটি দিন খসে যায়। ২০২০ বিশ্ববাসীর জন্য করোনা মহামারি গজব হয়ে দেখা দিয়েছে। আজ পর্যন্ত করোনায় মোট আক্রান্ত ৮ কোটি ৮ লাখ এবং মৃত্যু ১৭ লাখ ৬৬ হাজার। আমাদের দেশে মোট আক্রান্ত ৫ লাখ ৯ হাজার এবং মৃত্যু ৭ হাজার ৪৫২। অনেক আত্মীয়-স্বজন ও প্রিয়মুখ মৃত্যুর মিছিলে শামিল হয়েছেন। রসূল (সা) মহামারিতে মৃত্যুবরণকারীকে শহীদ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। হে পরোয়ারদেগার! মহামারিতে মৃত্যুবরণকারী তোমার সকল নেক বান্দাকে শহীদ হিসেবে কবুল করে নাও। বছরের ক’টা দিন মা’র সাথে কাটানোর জন্য আগামীকাল ইনশা-আল্লাহ বাড়ি যাব। আমার মা বয়সের ভারে একেবারে দুর্বল হয়ে পড়েছেন। হুঁশ-বুদ্ধিও লোপ পেয়েছে। প্রায়দিনই কথা বলি। ২/১টা কথার জবাব দেন। তবে কথা বললে আমার মা বুঝতে পারেন যে তাঁর বড় ছেলে ডাকছেন। বিছানায় থাকলেও তাঁর সন্তানরা ঘুরেফিরে এসে মা বলে ডাকতে পারে, এটিও দয়াময় আল্লাহ তায়ালার একান্ত অনুগ্রহ। আমার মা’র পুত্রবধূ ও মেয়েরা সাধ্যমত সেবাযত্ন করে তাদের নেকির পাল্লাকে ভারি...