Skip to main content

Posts

Showing posts from March, 2020

করোনা কারো জন্য রহমত আবার কারো জন্য গজব

এবারের করোনা ভাইরাস আখিরাতের চিত্র আমাদেরকে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। কয়দিন থেকে লক্ষ্য করছি, করোনা হয়েছে এ কথা শোনার সাথে সাথে প্রিয়জনরা সব তার থেকে ভয়ে পালাচ্ছে। মা-সন্তান, স্বামী-স্ত্রী, নেতা-কর্মী কেউ যেন আর আপন নয়। করোনাক্রান্ত লাশের অবস্থা আরো করুণ। যে মহল্লায় তার বাস, মহল্লার যে গোরস্থানের উন্নয়নে রয়েছে তার বিরাট অবদান, সেই গোরস্থানে আর তার ঠাই হচ্ছে না। সবার একটিই ভয়, তার ছোঁয়ায় যদি সে বিপদগ্রস্ত হয়ে পড়ে। সবাই নিজেকে বাঁচাতে চায় (ইয়া নাফসি, ইয়া নাফসি)। কুরআন মজিদে আখিরাতের চিত্রটি এমনিভাবেই অঙ্কিত হয়েছে, সেদিন স্বামী স্ত্রী থেকে পালাবে, স্ত্রী স্বামী থেকে পালাবে; পিতা-মাতা সন্তান থেকে এবং সন্তান পিতা-মাতা থেকে পালাবে। ভয় একটিই, না জানি সে বিপদে পড়ে যায়। অথচ মানুষ সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলে তার নিজের ভোগের জন্য নয়; স্ত্রী, সন্তান-সন্ততি ও পরবর্তী প্রজন্ম যুগের পর যুগ ভোগ করবে এই আশায় এবং মৃত্যুর কিনারায় পৌঁছা পর্যন্ত তার ধনলিপ্সা অব্যাহত থাকে। এই করোনা ভাইরাস তাকে বুঝিয়ে দিচ্ছে, নিজের পরকাল ধ্বংস করে যাদের জন্য সে অবৈধভাবে সম্পদ উপার্জন করছে বিপদকালে তারা তার কোনো উপকারে...

সবই আল্লাহর হুকুম

করোনা ভাইরাস নিয়ে প্রতিনিয়ত সতর্কতামূলক পোস্ট দিচ্ছি। নিজেও বিভিন্ন জনের পোস্ট পড়ছি এবং এ সম্পর্কীয় কুরআন-হাদিসও দেখছি। বিশ্বের ঘটনাপ্রবাহ লক্ষ্য করছি। আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা কমার কোনো লক্ষণ নেই, বেড়েই যাচ্ছে। আজ ফজর বাদে আমাদের পারিবারিক বৈঠকে কুরআন-হাদিসের আলোচনার পাশাপাশি করোনা নিয়েও কথা উঠলো। হাদিসের বিষয় ছিল, কোনো লোকালয়ে শক্তি থাকা সত্ত্বেও অন্যায় প্রতিরোধ না করা হলে আল্লাহ সেই জনপদে গজব দেন। আমার উপলব্ধিটাও তুলে ধরলাম। আমার উপলব্ধি হলো যা কিছু ঘটছে, সবই আল্লাহর হুকুম। কুরআনে বর্ণিত অতীতকালের ঘটনা আমরা ২/১টি উল্লেখ করতে পারি। ১. আবরাহার বিশাল হস্তিবাহিনীকে ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি এসে পাথর ছুঁড়ে ধ্বংস করে দেয়া। ২. একটি অতি ক্ষুদ্র কীট মশার আক্রমণে এক স্বৈরশাসক নমরুদের করুণ মৃত্যু। ৩. লাঠির আঘাতে পানি দু ’ ভাগ হয়ে পড়ায় মুসা (আ)-এর নিরাপদে মিশর ত্যাগ এবং সেই পথে ফিরাউনের সদলবলে সলিল সমাধি। ৪. বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর ধ্বংসসাধন। আদ, সামুদ যার ধ্বংসাবশেষ এখনো বর্তমান। ৫. বিভিন্ন অপরাধে বিশেষ করে সমকামিতা (হযরত লুত আ.) ও ওজনে কম-বেশি করায় (হযরত শোয়াইব আ.) দু ’ টি জাতিক...

করোনা ভাইরাস : বিপদ থেকে উত্তরণের উপায়

করোনা ভাইরাস বর্তমানে বিশ্ববাসীকে তাদের চরম অসহায়ত্ব নতুন করে স্মরণ করে দিয়েছে। ডিসেম্বর মাসে চীনের উহান প্রদেশে শুরু হওয়া করোনা ভাইরাস স্বল্প সময়ে দুই শতাধিক দেশকে আক্রমণ করেছে। মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা করোনা ভাইরাসকে মহামারি হিসেবে উল্লেখ করেছে। অতীতেও পৃথিবী বিভিন্নভাবে মহামারির সম্মুখীন হয়েছে। হযরত ওমর (রা)-এর শাসনামলে সিরিয়ায় মুসলিম সেনাবাহিনী প্রধান হযরত আবু উবায়দা বিন জাররাহ (রা)সহ প্রায় ২০ হাজার সৈনিক প্লেগ রোগে মৃত্যুবরণ করেন। চতুর্দশ শতাব্দীতে (১৩৪৭-৫২) প্রায় পাঁচ কোটি মানুষ এই রোগে মারা যায়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে দুই কোটি লোক নিহত হয় এবং যুদ্ধ পরবর্তী স্পেনিশ ফ্লুতে মারা যায় প্রায় পাঁচ কোটি মানুষ। গত শতাব্দীতে এইচআইভি বা এইডস রোগে মারা যায় সাড়ে তিন কোটি। করোনা ভাইরাসে আজ সকাল পর্যন্ত আক্রান্ত মোট দেশের সংখ্যা ২০২, আক্রান্ত জনসংখ্যা ৫ লাখ ৯৭ হাজার ২৭৯ জন, মৃত্যুর সংখ্যা ২৭ হাজার ৩৭৩ জন এবং সুস্থ হওয়ার সংখ্যা ১ লাখ ৩৩ হাজার ২২ জন। আক্রান্তের দিক দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র শীর্ষে ১ লাখ ৪ হাজার ৪৬৩ জন এবং মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৬৯৫ জন। মৃতের হিসে...

করোনা হয়ে উঠতে পারে ভয়ংকর

সবদেশেই করোনা সূচনা হয় খুবই সীমিত পরিসরে। করোনা ভাইরাস বায়ু বা পানিবাহিত কোনো রোগজীবাণু নয়। এটি বিস্তার ঘটে মানুষের সংস্পর্শে। সূচনায় যারা কঠোর ব্যবস্থা অবলম্বন করেছে (যেমন দক্ষিণ কোরিয়া, চীন, সিঙ্গাপুর) তারা বিস্তার রোধ করতে পেরেছে। কিন্তু যারা সতর্ক হননি তারাই ভয়াবহ পরিণতির সম্মুখীন হয়েছে (যেমন-ইতালি, স্পেন, যুক্তরাষ্ট্র)। ইতালি ও স্পেনের মধ্যে একটি খেলার মাধ্যমে (যেখানে ৪০ হাজার দর্শকের উপস্থিতি ছিল) দুই দেশে করোনার বিস্তার ঘটেছে বলে মনে করা হয়। দৈনিক নয়া দিগন্তে মাসুম খলিলীর একটি প্রবন্ধে দেখলাম, যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি ও ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির স্কুল অব পাবলিক হেলথের যৌথ সমীক্ষা রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশে ৮ কোটি ৯১ লাখ ২০ হাজার ১৬১ ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হতে পারে। যার মধ্যে ৩৩ লাখ ৭ হাজার ৩৯৩ জন রোগীর হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণের প্রয়োজন হতে পারে, ৬ লাখ ৯৬ হাজার ৫৯৫ জন রোগীর আইসিইউ সাপোর্ট লাগতে পারে এবং ৫ লাখ ৭ হাজার ৩৯৩ জন রোগীর মৃত্যু হতে পারে। এতে ইম্পেরিয়াল কলেজ অব লন্ডনের কোভিড-১৯ রেসপন্স টিমের সাম্প্রতিককালের খুবই প্...

খোদায়ী আযাব নাযিলের বিধি

‘হে নবী, আল্লাহতায়ালা এমন নন যে, তিনি তাদের ওপর কোনো আযাব দেবেন, অথচ তুমি (সশরীরে) তাদের মধ্যে (বর্তমান) রয়েছ; আর আল্লাহতায়ালা এমনও নন যে, তিনি তাদের শাস্তি দেবেন, অথচ তারা তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছে’- সূরা আল আনফাল ৩৩। রসুলুল্লাহ (সা) যে সময়ে মক্কায় ইসলামের দাওয়াত দান করেন, সে সময়ে মক্কাবাসীরা দাওয়াত অস্বীকার করে বলতো, ‘তোমার ওপর যা অবতীর্ণ তা যদি যথার্থই আল্লাহর হয়ে থাকে তাহলে আমাদের ওপর কেন আযাব নাযিল হয় না?’ এখানে আল্লাহপাক তারই জবাব দিয়েছেন এবং খোদায়ী আযাব নাযিলের বিধিও উল্লেখ করেছেন। কোনো জনপদে যতক্ষণ নবী বর্তমান থাকেন ততক্ষণ সেই জনপদে আল্লাহ কোনো আযাব দেন না। ইতোপূর্বেও হযরত নুহ (আ) ও হযরত লুত (আ)-এর ব্যাপারে এমনটিই ঘটেছিল এবং আল্লাহ তখনই আযাব দেন যখন নবী দীর্ঘ চেষ্টা-প্রচেষ্টার পর হতাশ হয়ে পড়েন ও আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করেন। হাদিসে জানা যায়, যখন কোনো জনপদে জুলুম-নির্যাতন সকল সীমা লঙ্ঘন করে বিশেষ করে দ্বায়ী ইলাল্লাহদের প্রতি (যারা ঈমানদার নর ও নারীকে কষ্ট দেয়, অতপর তাওবা করে না, তাদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের আযাব, আছে ভস্ম হওয়ার শাস্তি-সূরা বুর...

বিপদাপদ আল্লাহর পক্ষ হতে

অবশেষে আমি তাদের ওপর দুর্যোগ পাঠালাম, পঙ্গপাল ছেড়ে দিলাম, উকুন ছড়িয়ে দিলাম, ব্যাঙের উপদ্রব সৃষ্টি করলাম এবং রক্ত বর্ষণ করলাম, এসব নিদর্শন আলাদা আলাদা করে দেখালাম। কিন্তু তারা অহংকারে মেতে রইলো এবং তারা ছিল বড়ই অপরাধপ্রবণ সম্প্রদায়। সূরা আ'রাফ ১৩৩। হযরত মুসা (আ)-কে অস্বীকার ও তাঁর সম্প্রদায়ের ওপর সীমাহীন জুলুম-নির্যাতনের প্রেক্ষিতে আল্লাহপাক মিসরবাসীদের ওপর নানা বিপদ-মুসিবত চাপিয়ে দিয়েছেন। এমন কিছু ঘটলে ফিরাউনের লোকজন মুসা (আ)-এর কাছে এসে আল্লাহর কাছে দুআ করতে বলতো। আল্লাহ তাদের ওপর থেকে বিপদ সরিয়ে দিলে তারা আবার নাফরমানি করতো। শেষ পর্যন্ত আল্লাহ ফিরাউনসহ তার লোক-লস্করকে সমুদ্রে ডুবিয়ে মেরেছেন। এখানে আল্লাহপাক স্পষ্ট করেছেন, ঝড়-ঝাপটা, ভূমিকম্প, রোগ-বালাই সবই তাঁর দেয়া এবং সেটি আমাদের কর্মফল। তিনি বিপদ-আপদ যা দেন তা এই উদ্দেশ্যে যাতে তাঁর বান্দারা ফিরে আসে (হয়তো তাদের চেতনা ফিরে আসবে-সূরা আরাফ ১৩০)। সে যুগে মানুষের জ্ঞানের সীমাবদ্ধতার কারণে পঙ্গপাল, উকুন, ব্যাঙের উপদ্রব ছিল; বিজ্ঞানের চরম উৎকর্ষতার যুগে খালি চোখে দেখা যায় না তিনি এমন ভাইরাস পাঠিয়েছেন...

ইসলামে নামাযের গুরুত্ব

নামায প্রসঙ্গে মুফতি কাজী ইব্রাহিম সাহেবের প্রশ্নোত্তর শেয়ার করেছিলাম। তাতে তিনি বেনামাযীকে অমুসলিম বলে জানাযা না পড়ার কথা জোর দিয়ে বলেছেন। মন্তব্যে সেটা নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে বেশ কিছু লেখা এসেছে। মুফতি কাজী ইব্রাহিম বেশ জনপ্রিয় একজন আলেম। সম্প্রতি ইমাম মেহেদি ও করোনা ভাইরাস নিয়ে কথা বলে তিনি সমালোচিত হয়েছেন। এ বিষয়ে আমার তেমন জ্ঞান না থাকায় নীরব থাকাটা উত্তম বলে মনে করি। আমি নিজে ড. ইউসুফ আল কারযাভী ও ড. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহ)-এর ভক্ত এবং তাঁদের দ্বারা অনেকখানি প্রভাবিত। এ ছাড়া সমসাময়িক স্কলারদের আলোচনা শুনে থাকি এবং নিজে উপকৃত হওয়ার চেষ্টা করি। মোটামুটি সবার প্রতি শ্রদ্ধা রয়েছে। সবার কথা মানতে হবে এমনটি মনে করি না। নামায দ্বীনের ভিত্তি এবং ঈমান আনার পরে একজন ব্যক্তি তখনই নিজেকে মুসলিম দাবী করতে পারে যদি সে নামায আদায় করে। এই মতের সাথে আমি একমত। রসুল (সা) মদীনায় ইসলামী রাষ্ট্রের সর্বেসর্বা। তিনি একাধারে রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান, প্রধান বিচারপতি, সেনাপ্রধান, আবার মসজিদের খতিব ও ইমাম। অত্যন্ত ব্যস্ত মানুষ। কিন্তু তাঁর কাছে সবচেয়ে অগ্রাধিকার ছিল জামায়াতে নামায। শুধু তাঁ...

ইসলামে সামাজিক কাজের গুরুত্ব

ইসলাম আল্লাহপাক প্রদত্ত এক পূর্ণাঙ্গ দ্বীন (জীবনব্যবস্থা)। জীবনের পরিধি যতখানি ইসলাম ঠিক ততখানি। সমাজ, সামাজিকতা, বিনোদন কোনো কিছু ইসলামে উপেক্ষিত নয়। আমাদের ধারণায় যে ব্যক্তি সমাজ থেকে যতবেশি বিচ্ছিন্ন ও ধর্মীয় আচার-আচরণে নিষ্ঠাবান সে ততবেশি মুত্তাকী। দ্বীনের এই সংকীর্ণ ধারণার কারণেই আমাদের সমাজে অনেক নামাযী-কালামী ব্যক্তি তার ব্যবসা-বাণিজ্য, চাকুরি, আচার-আচরণ ও লেনদেনে নিষ্ঠাবান নন এবং মানব কল্যাণে তার ভূমিকা খুবই গৌণ। রসুল (সা)-এর জীবন তা বলে না এবং আল্লাহরও তাতে কোনো সমর্থন নেই। রসুল (সা) নবী হওয়ার পূর্বেই সমবয়সীদের নিয়ে গড়ে তুলেছিলেন হিলফুল ফুজুল। তাঁদের কাজ ছিল অসহায়দের সহায়তা, বিবাদ -বিসংবাদ মিটিয়ে ফেলা, দুর্বলকে সহায়তা দান এবং জালেমকে বিরত রাখা। সমাজের কাজে অগ্রণী ছিলেন বলেই হাজরে আসওয়াদ (কালো পাথর) সরানো বিবাদে সবাই তাঁকে ফয়সালাকারী মেনে নিয়েছিল। এটা আল্লাহপাকেরই নিয়ম, সমাজের কল্যাণে যারা কাজ করবে সামাজিক নেতৃত্ব তাদের হাতে চলে আসবে। দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হলো ধর্মপরায়ণ (?) জনগোষ্ঠী সামাজিক কাজেকর্মে সব সময় পশ্চাতে থাকতে চায়, ফলে সামাজিক নেতৃত্ব অসৎ ও ধর্মবিমুখ জনগোষ্ঠী...

হতাশ হবেন না

আপনার বয়স ৪০/৫০ বা ৬০-এর উর্ধে। তাতে কী? হয়তো ভাবছেন জীবনে নামায পড়েননি, রোযা রাখেননি বা নেশা করেছেন বা আরো কতো অপরাধ করেছেন, শাস্তি অনিবার্য। এ সব চিন্তা-ভাবনা সবই শয়তানের ধোঁকা। শয়তান আপনাকে বন্ধু হিসেবে পেতে চায় এবং একা নয়, আপনাকে সাথে করে সে জাহান্নামে যেতে চায়। অথচ আল্লাহ বলেছেন, শয়তান তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু। আল্লাহ তাঁর বান্দাকে ক্ষমা করার জন্য উদ্গ্রীব। বান্দা শুধু চাইবে। সাথে সাথে ক্ষমা করে তিনি নতুন জীবনের সন্ধান দেবেন। আর একটু বয়স হোক বা চাকুরি শেষ করে নেই। তখন হজ্জ করে নিজেকে পরিশুদ্ধ করে নেব। এটাও শয়তানের একটি ধোঁকা। আপনার মৃত্যুর জন্য করোনা ভাইরাস নয়, যে কোনো মুহূর্তে মৃত্যু চলে আসতে পারে। আপনি তো প্রতিনিয়ত লক্ষ্য করছেন, আপনার চেয়েও কম বয়সের অনেক তরতাজা যুবক স্ট্রোক, হার্ট এ্যাটাক, রোড এক্সিডেন্ট, ক্রসফায়ার, আত্মহত্যা নানাভাবে মৃত্যুবরণ করছে। আপনার এ বয়স আসার আগেই আল্লাহ আপনাকে ফিরিয়ে নিতে পারতেন। তাঁর দেয়া অবকাশ আপনার ফিরে আসার ক্ষেত্রে একটি মহা সুযোগ। আপনার মধ্যে যদি উপলব্ধি আসে তাহলে একটি সেকেন্ড অপেক্ষা না করে বলে উঠুন, পরোয়ারদেগার! নিজের প্রতি জুলুম করেছি। তু...

মানব সৃষ্টির উদ্দেশ্য

কুষ্টিয়া শহরের কালিশংকরপুর শাহী মসজিদের খতিব আজকের জু’মায় আল্লাহর হামদ ও রসুল (সা)-এর উপর দরুদ ও সালাম পেশের পর মানব সৃষ্টির উদ্দেশ্য প্রসঙ্গে কুরআনের আয়াত উদ্ধৃত করে বলেন, ‘আমি জিন ও মানুষকে কেবল আমার ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছি।’ তিনি বলেন, এই ইবাদত বলতে কেবল নামায, রোযা, হজ্জ, যাকাত বা সুনির্দিষ্ট কিছু আচার অনুষ্ঠান নয়। ইবাদত বলতে গোলামী করা, দাসত্ব করা, আনুগত্য করা ও হুকুম মেনে চলাকে বলে। অর্থাৎ মানুষ শুধু আল্লাহরই হুকুম মেনে চলবে। আল্লাহর হুকুমের মধ্যে একদিকে আছে আদেশ এবং অন্যদিকে আছে নিষেধ। দুটোই সমভাবে পালনীয়। আংশিক পালন করলে হবে না। আল্লাহর দাবী তোমরা পূর্ণরূপে ইসলামে দাখিল হও। ইসলাম শান্তি ও নিরাপত্তার ধর্ম। সমাজে তখনই শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠিত হবে যখন সমাজে পূর্ণরূপে ইসলাম মেনে চলা হবে। মানব সমাজে যা ক্ষতিকর বা মানুষের শান্তি বিনষ্ট করে এমন সকল আচরণ ও কর্ম ইসলাম হারাম করেছে। আল্লাহর নিষিদ্ধ কাজগুলো থেকে বিরত থাকার নামও ইবাদত। ইসলামে হারাম কাজসমূহের মধ্যে নগ্নতা-অশ্লীলতা-বেহায়াপনা-যিনা-ব্যাভিচার বড় ধরনের গুনাহ। এ সব পাপাচার ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক স...