বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম
ধানমন্ডি তাকওয়া মসজিদে আজকে ফজরে তেলাওয়াত করা হয়েছে সূরা আলে ইমরানের ১২শ রুকু। নামায শেষে ১১৮ নং আয়াতের সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন হাফেজ মাওলানা আব্দুর রশীদ।
সরল অর্থ- ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা নিজেদের লোক ছাড়া অন্য কাউকেও অন্তরঙ্গ বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করো না। তারা তোমাদের ক্ষতি করতে ত্রুটি করবে না। তারা তাই কামনা করে যা তোমাদের কষ্ট দেয়। তাদের মুখ থেকে বিদ্বেষ প্রকাশ হয়েছে, আর তারা মনের মধ্যে যা লুকিয়ে রেখেছে তা এর চাইতেও গুরুতর। আমরা তোমাদের জন্যে আয়াতসমূহ বর্ণনা করলাম যাতে করে তোমরা বুঝতে পারো।’
এরসাথে ১১৯ ও ১২০ আয়াতেও একই প্রসঙ্গ আলোচনা করা হয়েছে। অন্যদের বলতে ইহুদী, খ্রীস্টান ও মুশরিকদেরকে বোঝানো হয়েছে। এরা কখনই ইসলাম ও মুসলমানদের বন্ধু বা কল্যাণকামী হতে পারে না। তাই আল্লাহপাক তাদেরকে অন্তরঙ্গ বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করতে ঈমানদারদেরকে নিষেধ করেছেন। অন্তরঙ্গতা বলতে তাদের ওপর নির্ভর করা বা কোন গোপন বিষয়ে তাদেরকে অবহিত করা বা তাদের ধর্মীয় আচার-আচরণের সাথে একাত্ম হয়ে যাওয়া বোঝায়। তাদের সাথে সৌজন্যতা বজায় রাখা, বিপদাপদে সহযোগিতা করা ও ব্যবসায়িক লেনদেন করাতে কোন আপত্তি নেই। তাদের প্রতি জুলুম-নির্যাতনের বিরুদ্ধে রসূল (সা) কঠোর হুশিয়ারী উচ্চারণ করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘কেউ যদি কোন অমুসলমানকে কষ্ট দেয়, জুলুম-নির্যাতন করে তাহলে কিয়ামতের দিন আমি তার হয়ে আল্লাহর দরবারে নালিশ করবো এবং আমি যার বিরুদ্ধে দাঁড়াবো সে অবশ্যই অপদস্থ হবে।’ তাই ইসলামী রাষ্ট্রে বা মুসলমানদের দেশে অমুসলিমরা পূর্ণ নিরাপত্তা লাভ করে।
ইহুদী, খ্রীস্টান ও মুশরিকরা মুসলমানদেরকে ইসলাম থেকে বিচ্যুত করতে চায়। তারা তাদের ধর্মীয় আচার-আচরণ ও উৎসবসমূহে নানা কৌশলে মুসলমানদেরকে একীভূত করার চেষ্টা করে। রসূল (সা) তাদের থেকে বিপরিত করার জন্যে তাঁর উম্মতদেরকে তাগিদ দিয়েছেন। যেমন- তারা আশুরার দিন রোযা রাখতো, রসূল (সা) তার সাথে একদিন যোগ করে রোযা রাখার কথা বলেছেন। তারা নওরোজ উৎসব পালন করতো, রসূল (সা) তার বিপরিতে দুই ঈদ উৎসব হিসেবে পালনের ব্যবস্থা করেছেন। আল্লাহতায়ালা ঈমানদারদেরকে যেভাবে সতর্ক করেছেন তা উপলব্ধি করার মত তাওফিক তিনি আমাদের সবাইকে দান করুন। আমিন। ১১/১১/২০১৭
Comments
Post a Comment