Skip to main content

আমাদের বন্ধু লিয়াকত তার রবের কাছে ফিরে গেলেন




মোঃ লিয়াকত আলী পিতা মোঃ রফিকুল ইসলাম (বাদল মন্ডল)গতকাল ১০/১০/২০১৭ তারিখ রাত ১১-০০টায় ৬৪ বছর বয়সে (জন্ম তারিখ ০৬.০৬.১৯৫৩) হৃদযন্ত্রের ক্রিয়াবন্ধ হয়ে চট্টগ্রামে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলায়হি রাজেউন)। তার বাড়ি কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামার উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামে। মৃত্যুকালে তিনি পিতা-মাতা, স্ত্রী, তিন ছেলে, দুই মেয়ে, আট ভাই, দুই বোন এবং অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও শুভাকাঙ্খী রেখে গেলেন। লিয়াকত তার পিতা-মাতার প্রথম সন্তান। স্কুলজীবনে আমাদের সহপাঠী ও ঘনিষ্ট বন্ধু। গত ৪ঠা সেপ্টেম্বর বাহাদুরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আমরা ১৯৭০ ব্যাচ শিক্ষার্থীরা মাননীয় মন্ত্রীর উপস্থিতিতে সাড়ম্বরে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান করলাম। সেই অনুষ্ঠানে তাকে খুবই প্রাণবন্ত দেখা গেল। তাকে দিয়ে আমাদের ব্যাচের ১৮ জনকে আমরা হারালাম। পেশায় ঠিকাদার ছিলেন এবং চট্টগ্রাম রেলওয়ে ঠিকাদারী করতেন। তার ছেলে-মেয়েরা সবাই প্রতিষ্ঠিত। তার মরদেহ চট্টগ্রাম থেকে বাড়ি নেয়া হচ্ছে এবং সেখানেই জানাযা ও দাফন করা হবে। লিয়াকতের পরিবারটি আমাদের ইউনিয়নের অত্যন্ত সম্ভ্রান্ত ও প্রভাবশালী পরিবার। তার দাদা ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার এবং চাচা চেয়ারম্যান ছিলেন। এই পরিবারটির সাথে আমাদের পরিবারের ঘনিষ্টতা এবং আমার আব্বা ও লিয়াকতের আব্বার মধ্যে বেশ সখ্যতা ছিল। তার এক ভাই মোঃ আসলাম উদ্দীন বিজেএম ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ। লিয়াকত বেশ উদার প্রকৃতির ছিলেন এবং ধর্ম-কর্মে আন্তরিক ছিলেন। আমি তার রুহের মাগফেরাত কামনা করছি এবং শোক-সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করছি। ১১/১০/২০১৭

Comments