Skip to main content

গোয়েবলস-এর প্রেতাত্মারা বড় সক্রিয়


গোয়েবলস ছিল হিটলারের প্রচারমন্ত্রী। তার থিয়োরি ছিল একটি মিথ্যা বারবার বললে তা সত্যে পরিণত হয়। গোয়েবলস একা নয় এর পূর্বসূরি ছিল অনেকের মধ্যে আবু জেহেল-আবু লাহাব। মিথ্যা প্রচারণায় এই আবু জেহেল, আবুল লাহাব ছিল গোয়েবলস-এর উস্তাদ। মুহাম্মদ (সা) ছিলেন সর্বকালে-সর্বযুগে অপ্রতিদ্বন্দী। নিষ্কলুষ চরিত্রের মুহাম্মদ (সা)-এর বিরুদ্ধে কতই না অপপ্রচার চালিয়েছে এই নরপশুরা। তাদের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হয়ে এক বুড়ি তাঁকে কষ্ট দেয়ার জন্যে পথে কাঁটা বিছায়ে রাখাকে কর্তব্য জ্ঞান করতো। আল্লাহ নিজেই নবী মুহাম্মদ (সা) শান্তনা দিয়েছেন এই বলে-‘হে নবী! আমি জানি, এরা যে সব কথাবার্তা বলে তাতে তোমার বড়ই মনোকষ্ট হয়; কিন্তু এই জালেমরা তোমাকে নয়, আল্লাহর নিদর্শনাবলী মানতেই অস্বীকার করে।’ ওরা আসলে আল্লাহর দুশমন, শয়তানের সহচর। ইসলামের কোন কিছুই ওদের সহ্য হয় না। দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় নৈতিক শিক্ষার কোন সুযোগ নেই। ধর্মীয় মূল্যবোধ বিবর্জিত হয়ে যেখানে দেশের যুবসমাজ মাদকাসক্ত হয়ে ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজকে ধ্বংস করছে, লাম্পট্যের প্রাবল্যে অভিভাবকরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে সেখানে কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আধুনিক শিক্ষার পাশাপাশি নৈতিক শিক্ষার মাধ্যমে নিজেদের প্রতিষ্ঠানকে সম্পূর্ণ নেশামুক্ত ও নিরাপদ করতে সক্ষম হয়েছে; এ সব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে গোয়েবলস-এর অনুসারীরা একের পর মিথ্যা কাহিনী প্রচার করে জনগণকে বিভ্রান্ত করার সাথে সাথে সরকারকেও ব্যবস্থা গ্রহণে উস্কানি দিচ্ছে। তিন বছরের শিশুসহ কিশোরদের যেখানে লেখাপড়া হয় এবং যেখানে নামায ও পর্দার অনুশীলন করা হয়, সেখানে কী করে সন্ত্রাসী বা জঙ্গি তৎপরতা চালানো হয়, এটা আমাদের বুঝে আসে না। আমরা তো দেখি সন্ত্রাসী তৎপরতা সবই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানে ভিন্ন মতাবলম্বী তো বটেই নিজেদের মধ্যেও মারামারি-খুনোখুনি লেগেই আছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় প্রতিপক্ষকে মেরে পুলিশে দিয়ে বলা হয় সে সন্ত্রাসী/জঙ্গী। অথচ নিজেই সন্ত্রাস করে জনজীবনকে বিপন্ন করে তুলছে। আমার বিশ্বাস সরকারকে জনবিচ্ছিন্ন করার এক সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনারই এ সব তৎপরতার অংশ। সরকারের মাঝে ঘাপটি মেরে থাকা নাস্তিকদেরই এ সব কারসাজি। ইসলামের সাথে সন্ত্রাস বা জঙ্গিবাদের কোন সম্পর্ক নেই এবং থাকতেও পারে না। যার মধ্যে সর্ষেকণা ঈমান আছে সে একজন মানুষকে হত্যা করা দূরে থাক একটু গালিও দিতে পারে না। সে তো আল্লাহর বাণী জানে, ‘নিশ্চিত ধ্বংস তাদের জন্যে যারা মানুষকে সামনা-সামনি গালি দেয় ও পেছনে দোষ প্রচার করে।’ রসূলের বাণীও তার অজানা নয়, ‘ঐ ব্যক্তি মু’মিন নয়, মু’মিন নয়, মু’মিন নয় যার হাত ও মুখের অনিষ্ট থেকে অন্যরা নিরাপদ নয়।’ এই যদি অবস্থা হয় সেখানে খুনোখুনি কী করে সম্ভব? ইসলামের নামে কেউ যদি সন্ত্রাস করে তাহলে বুঝতে হবে, সে হয় বিভ্রান্ত, নয়তো ইসলামের দুশমনদের ভাড়াটে শয়তানের সহচর। ইসলামের সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই, যেমন সম্পর্ক নেই ইসলামের বিরুদ্ধে যারা অপপ্রচার চালায় তাদের। জলাতঙ্ক রোগী যেমন জল দেখলে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে, ইসলামের দুশমনদের অবস্থাও তাই। ইসলামের যা কিছু দেখে (হতে পারে একটি মেয়ের হিজাব পরিধান) তাতেই তাদের গায়ে জ্বালা ধরে। আল্লাহ অতীবও ধৈর্যশীল, কিন্তু আল্লাহর বান্দাদের ওপর জুলুম নির্যাতনে সীমালঙ্ঘনকারীদেরকে আল্লাহ পাকড়াও করতে বিলম্ব করেন না। আমরা গোয়েবলস-এর পরিণতি জানি। হিটলারের পতনের সাথে সাথে সে তার ছয় সন্তানকে হত্যা করে এবং স্বামী-স্ত্রী একসাথে আত্মহত্যার মাধ্যমে পাপের প্রায়শ্চিত্ত করে। নমরুদ, ফেরাউন, আবু জেহেল, আবু লাহাব, হিটলার, মুসোলিনীসহ যুগে যুগে সব জালেম ও স্বৈরশাসকের পরিণতিও আমাদের অজানা নয়। কিন্তু ইতিহাসের শিক্ষা হলো যে, ইতিহাস থেকে কেউ শিক্ষা গ্রহণ করে না। পরকালের তুলনায় দুনিয়ার শাস্তি একেবারে মামুলি। আর আখেরাত হলো উপভোগের জায়গা এবং সেটা একান্তভাবে ঈমানদারদের। জালেমদের পরিণতি আল্লাহ নিজেই ব্যক্ত করেছেন এভাবে-‘যারা ঈমানদার নর ও নারীকে কষ্ট দেয়, অতঃপর তাওবা করে না, তাদের জন্যে রয়েছে জাহান্নামের আযাব, আছে ভস্ম হওয়ার শাস্তি।’ আল্লাহপাক সব ধরনের জুলুম থেকে আমাদেরকে হেফাজত করুন। ০৮/১১/২০১৭

Comments