বিসমিল্লাহির
রহমানির রহীম
ধানমন্ডি তাকওয়া
মসজিদে ফজর বাদ আজকে তেলাওয়াত করা হয়েছে সূরা বাকারার ১৭ ও ১৮ রুকু। এখানে বেশ কয়েকজন
ইমাম আছেন এবং সবাই অত্যন্ত যোগ্য ও দ্বীনের প্রচার-প্রসারে নিবেদিতপ্রাণ। আজকে নামায শেষে সংক্ষিপ্ত আলোচনা
করেন হাফেজ মাওলানা আব্দুর রশীদ।(তাঁর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি :বাড়ি কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর
উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের বৈরাগীচর গ্রামে। আল্লাহর দর্গা মাদ্রাসা থেকে দাওরা পাস করে
মোহাম্মদপুর মাদ্রাসা থেকে দারুল ইফতা এবং পরবর্তীতে দাখিল-আলিম পাস করে কুষ্টিয়া ইসলামী
বিশ্ববিদ্যালয়ে আল হাদিস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজে লেখাপড়া করছেন। তিনি এক পুত্রের জনক।
আমরা সবাই তাঁর ও তাঁর পরিবারের সর্বাঙ্গীন কল্যাণ কামনা করি)। আলোচিত ১৫২ নং আয়াতের
সরল অর্থ-
‘তোমরা আমাকে
স্মরণ করো, আমিও তোমাদেরকে স্মরণ করবো; তোমরা আমার কৃতজ্ঞতা স্বীকার করো, কখনো অকৃতজ্ঞ
হয়ো না।’
এই আয়াতে আল্লাহর
স্মরণ বলতে আল্লাহর আনুগত্য ও ইবাদতকে বোঝানো হয়েছে। অর্থাৎ বান্দাহ হিসেবে মানুষ আল্লাহর
আনুগত্য ও গোলামী করলে আল্লাহপাক তাঁর বান্দার সকল প্রয়োজন পূরণ অর্থাৎ তাঁর পক্ষ থেকে
রহমত ও বরকত দান করেন। এই স্মরণ সার্বক্ষণিক এবং সকল অবস্থায় আল্লাহর হুকুম মেনে চলা
(ইবাদত)-ই হলো আল্লাহর স্মরণ। এ ছাড়াও গোপনে ও প্রকাশ্যে তাঁর নাম উচ্চারণ করা ও অন্তরে
অনুভব করাও স্মরণ। সালাত ও তেলাওয়াত উৎকৃষ্টতম স্মরণ। হাদিস উল্লেখ করে তিনি বলেন-
বান্দাহ যখন একাকী আল্লাহকে স্মরণ করেন আল্লাহও তাঁর বান্দাকে একাকী স্মরণ করেন এবং
বান্দাহ যখন সামষ্টিভাবে আল্লাহকে স্মরণ করেন আল্লাহ তখন তাঁর ফেরেশ্তাদের সমাবেশে
সেই বান্দাদেরকে স্মরণ করেন। বান্দাহ যখন আল্লাহর দিকে (ইবাদত-বন্দেগীর দিকে)এক বিঘৎ
পরিমাণ এগিয়ে আসে আল্লাহর তাঁর বান্দার দিকে এক হাত পরিমাণ এবং বান্দাহ যখন আল্লাহর
দিকে হেঁটে আসেন আল্লাহ (আল্লাহর রহমত ও করুণা) তখন বান্দাহর দিকে দৌড়ে যান। আল্লাহ
আমাদেরকে সর্বাবস্থায় তাঁকে স্মরণ করে চলার তাওফিক দান করুন। আমিন। ১২/১০/২০১৭
Comments
Post a Comment