রোগব্যাধি লেগেই আছে

 হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে দৌড়াদৌড়ি শেষে আবার বেটারহাফকে নিয়ে আজকে হাসপাতাল ঘুরে আসলাম। গতকাল বিকেল থেকে তার ডায়রিয়া। প্রতি দশ মিনিট অন্তর অন্তর তাকে বাথরুমে যেতে হচ্ছিল। খাওয়ার স্যালাইন এবং ঘরে থাকা দুটি ফ্লাজিল একসাথে  খাওয়ানো হয়েছিল। সকালে Neofloxin 500 দুটি একসাথে খাওয়ানো হয়। কিন্তু যে পরিমাণ পানি শরীর থেকে বের হয়ে যাচ্ছিল সে তুলনায় পানি খাওয়া কম হচ্ছিল। সাথে ছিল বমি। আজ সকালে লক্ষ করলাম পানি শূন্যতার কারণে হাত-পায়ে প্রচণ্ড ব্যথা। বেটারহাফের ছোটবোন, ছেলেমেয়ে ও পুত্রবধূ সবাই মিলে হাতপা ম্যাসেজ করে দিয়ে একটু আরাম দিলেও সমাধান হয় না। শেষে আজ সকালে মহাখালী ICDDRB -তে নিয়ে যাই। 

ICDDRB একটি বিশ্বমানের হাসপাতাল। আমি ইতোপূর্বে যাইনি। যাওয়ার সাথে সাথে ভর্তি করে (৭-৩০ থেকে ৩-১৫) চিকিৎসা শুরু করে দিল। চিকিৎসা বলতে স্যালাইন খাওয়ানো। আমাকে বলা হলো একটি মগ কিনে আনেন। এখনই দুই মগ খাওয়ান এবং ঘনঘন খাওয়ান। বাসায় খেতে না চাইলেও হাসপাতালে ঠিকই খেলেন। ডাইরিয়া  হলে সমস্যা পানি শূন্যতা। স্যালাইনের সাথে ডাবের পানি এবং স্বাভাবিক খাবার। আট ঘন্টা রেখে বাসায় পাঠিয়ে দিয়ে তাদের মতো করে স্যালাইন খাওয়ার পরামর্শ দিল।

ডাক্তারদের ব্যবহার ও পরিচ্ছন্নতার দিক দিয়ে প্রশংসা করতেই হয়। এখানে চিকিৎসা সম্পূর্ণ ফ্রি, এমনকি রোগীর পথ্যও। ফলে গরীব ও নিম্নমধ্যবিত্ত লোকদের জন্য নিরাপদ ও সহজ চিকিৎসা দেওয়ার ক্ষেত্রে এটা একটি অনন্য প্রতিষ্ঠান। আমাদের মাঝে অনেকের ধারণা সরকারি প্রতিষ্ঠানে ভালো চিকিৎসা পাওয়া যায় না। সমস্যা হলো, তাদের ধারণ ক্ষমতার বাইরে রোগীর সংখ্যা। একান্ত বাধ্য না হলে আমার চিকিৎসা আমি পিজির আউটডোরে নিয়ে থাকি। আমার দুই চোখের ছানি অপারেশনও পিজিতে করেছি।

আমাদের মাঝে একটি নেতিবাচক মনোভাব সবসময় কাজ করে। অথচ আমরা সবাই যদি ইতিবাচক হই তাহলে সকল সেক্টরে সেবার মান বাড়বে। আমরা আল্লাহ তায়ালার প্রশংসার পাশাপাশি তাঁর বান্দাদেরও প্রশংসা করি। তাতে সওয়াব আছে, গুনাহ নেই। মন্দটাকেও তুলে ধরি তাদের সংশোধনের লক্ষ্যে। মানুষের সেবায় নিয়োজিত সকলের মধ্যে আল্লাহ তায়ালা সেবার মনোভাব জাগ্রত করে দিন।