দীর্ঘ দশ বছর পর পুলিশের অনুমতি নিয়ে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে এক শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে সক্ষম হলো। ঘরে বসে পরিপূর্ণ অনুষ্ঠানটি উপভোগ করলাম। তারা বলেছিলেন, সমাবেশ হবে উৎসবের আমেজে। সত্যি তাই হয়েছে। হৈচৈ ও বিশৃঙ্খলার লেশমাত্র কোথাও ছিল না। অত্যন্ত সুশৃঙ্খল ও সময়ের প্রতি খেয়াল রেখে বক্তারা তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন। জামায়াতের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ হয় শহিদ নয়তো কারাগারে, এমন একটি পরিবেশে জামায়াত দেখিয়ে দিল কোনো বাধা ইসলামী আন্দোলনকে রুখতে পারে না। বিপুল পরিমাণ তরুণ নেতৃত্ব জামায়াত জাতিকে উপহার দিতে সক্ষম হয়েছে। আলহামদু লিল্লাহ।
দীন প্রতিষ্ঠার কাজ একান্ত আল্লাহর, আর যারা এই দায়িত্ব পালন করে তারা আল্লাহর বন্ধু ও সাহায্যকারী। তাদের হারাবার কিছু নেই। দীন প্রতিষ্ঠার এই কাজের বিনিময় আল্লাহ তায়ালা দান করবেন গুনাহের ক্ষমা ও জান্নাতের মাধ্যমে। আরও দেবেন আল্লাহর সাহায্য ও নিকটবর্তী বিজয় (সুরা সফ)। বিজয়টা নফল, আসল প্রতিদান জান্নাত। সত্যিকার মুমিন জান্নাতের প্রত্যাশা নিয়ে এ পথে ধনপ্রাণ ব্যয় করে।
এই শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ইসলামপ্রিয় জনগোষ্ঠীর মনে আশার সঞ্চার করেছে এবং চোখকে করেছে শীতল। পক্ষান্তরে ইসলামের শত্রুদের গায়ে জ্বালা ধরেছে। ইসলামবৈরী শক্তি চায় হানাহানি ও রক্তারক্তি। শান্তিপূর্ণ সমাবেশকে কেউ খুঁজছে সরকারের সাথে আঁতাত হিসেবে আবার কেউ বলছে বিএনপির বক্তব্যই সেখানে তুলে ধরা হয়েছে। এরা আসলেই গোয়েবল্সের যোগ্য শিষ্য। ওরা মিথ্যা ছাড়া সত্য বলতেই জানে না। এরা কঠিনভাবে ইসলামের দুশমন।
এখন প্রয়োজন ইসলামপন্থী সকল জনগোষ্ঠীর ঐক্যবদ্ধ হওয়া। আল্লাহপাক ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জোর তাগিদ দিয়েছেন এবং অনৈক্য সৃষ্টি করাকে কুফরি বলেছেন। পরস্পর হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে যেতে হবে এবং উপলব্ধি করতে হবে যে ঐক্যের মধ্যেই রয়েছে উম্মাহর কল্যাণ। আল্লাহ তায়ালা মুসলিম উম্মাহর মাঝে উপলব্ধি দান করুন। আমিন।
Comments
Post a Comment