Skip to main content

আখেরাতের প্রস্তুতি হিসেবে আল্লাহর পথে ব্যয়

 কুরআনের পাঠ 


ফজরের নামাজ পড়ে এসে কুরআন শরিফ খোলার পর এই পৃষ্ঠাটা বের হলো। ২৫৩-২৫৪ আয়াত ক'টা অর্থ ও ব্যাখ্যাসহ পাঠ করলাম। ২৫৫ নং আয়াতটি আয়াতুল কুরসি। ২৫৪ নং আয়াতটি একটু আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ।

'হে ঈমানদারগণ! আমি তোমাদের যা কিছু ধন- সম্পদ দিয়েছি তা থেকে ব্যয় করো, সেই দিনটি আসার আগে যেদিন কেনাবেচা চলবে না, বন্ধুত্ব কাজে লাগবে না এবং সুপারিশও চলবে না। আর জালেম আসলে সেসব ব্যক্তি যারা কুফরি আচরণ অবলম্বন করে'- সুরা বাকারা ২৫৪।

বাকারা মদিনায় অবতীর্ণ। কুরআন মজিদের সর্ববৃহৎ সুরা। নানা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সেসময়ে যুদ্ধের ঘনঘটা। হিজরত করে এসে মদিনায়  মুসলমানরা একটি রাষ্ট্র গঠন করেছে, সেই রাষ্ট্রে যদিও মক্কার মতো নিপীড়ন-নির্যাতন নেই কিন্তু সমগ্র আরব ও সকল কুফরি শক্তি নবগঠিত রাষ্ট্রকে সমূলে ধ্বংস করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। তার বিপরীতে যারা ঈমানের পথ অবলম্বন করেছে এবং যে উদ্দেশ্যে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়েছে সে উদ্দেশ্যকে বাস্তব রূপদান অর্থাৎ নবগঠিত রাষ্ট্রকে টিকে রাখার জন্য আর্থিক ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। সেই দিনটি আসার আগে অর্থাৎ মৃত্যু বা কিয়ামত আসার আগে। মৃত্যু আসার সাথে সাথে মানুষের কর্ম করার ক্ষমতা শেষ হয়ে যায় এবং সম্পদের মালিকানাও হস্তান্তর হয়ে যায়।

এখানে কুফরি করা বলতে বোঝানো হয়েছে যে আল্লাহর হুকুম পালন না করা এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের তুলনায় নিজের ধন-সম্পদকে অধিক প্রিয় মনে করা। আবার কিয়ামতের দিনটি সম্পর্কে অলীক ধারণা পোষণ করা অর্থাৎ কোনো না কোনভাবে পার হয়ে যাওয়া। শেষ নবির উম্মত, আমাদের না নিয়ে কি আর তিনি জান্নাতে যাবেন বা কোনো বুজুর্গ ব্যক্তির সাথে বিশেষ সম্পর্ক, তাঁর  সুপারিশ কি ব্যর্থ হবে? এখানে আল্লাহ তায়ালা স্পষ্ট করেছেন, না কোনো কেনাবেচা (বিনিময়), বন্ধুত্ব ও সুপারিশ কিছুই কাজে আসবে না। সেদিন কাজে আসবে কেবল ঈমান ও নেক আমল। আল্লাহ তায়ালা আমাদের উপলব্ধি দান করুন।

Comments