শিরক ও হিংসা থেকে মুক্ত ব্যক্তিকে আশা করা যায় আল্লাহপাক ক্ষমা করবেন। আমাদের সমাজে অন্যায় অবিচার ও জুলুমের বড়ো কারণ হিংসা। হিংসা কেবল কবিরা গুনাহ নয়, বরং হিংসা মানুষের নেক আমল ধ্বংস করে দেয়। ফলে সে আমল শূন্য হয়ে জাহান্নামে যাবে। হিংসা থেকে বাঁচতে হলে উদার হতে হবে এবং মানুষকে ক্ষমা করতে হবে। মানুষকে ক্ষমা করার বিনিময়ে আল্লাহর ক্ষমাপ্রাপ্তি সহজ হবে।
দুর্ভাগ্য, আমরা ক্ষমা করার গুণ হারিয়ে ফেলে বংশপরম্পরায় হিংসা-বিদ্বেষ লালন করি এবং সেটি নাকি আমাদের চেতনা। নেলসন ম্যান্ডেলা পারে আর মুসলিম নামধারী মুনাফিকরা হিংস্র হায়েনার শক্তি নিয়ে একে অপরের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। প্রিয়তম নবি মুহাম্মদ সা. বলেন, আমার উম্মতেরা সব পারে মিথ্যা বলতে পারে না আর বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারে না। অথচ তাঁর উম্মতেরা যেন সত্য বলতেই ভুলে গেছে। অনর্গল মিথ্যা বলা স্বভাবে পরিণত হয়েছে।
মিথ্যাবাদী রাখাল বালকের অবস্থা আজ যেন সত্য হয়ে পড়েছে। না, রাজনীতিবিদরা একে অপরকে বিশ্বাস করে আর বিদেশিরা বিশ্বাস করে। দেশের পরিণতি কী হতে যাচ্ছে? আল্লাহই ভালো জানেন। আস্থাহীনতায় সমগ্র বাংলাদেশ। জাতির কাছে কোনো প্রতিষ্ঠানের বিশ্বাসযোগ্যতা নেই। এতো মিথ্যা নিয়ে একটি জাতি কীভাবে টিকে থাকবে। দুনিয়ার জীবনে জিল্লতির পাশাপাশি আখেরাতে যে ভয়াবহ আজাব রয়েছে তা আল্লাহ ও তাঁর রসুল সা. পূর্বাহ্নে সতর্ক করে দিয়েছেন।
বাঁচার কী কোনো উপায় আছে? আমি বলবো, হ্যাঁ। আল্লাহপাক তাঁর বান্দাদের হতাশ হতে না করেছেন। অতীতের জুলুম-নির্যাতন থেকে ফিরে এসে (তওবা) ক্ষমা করার সংস্কৃতি গড়ে তুলতে পারলেই পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব। হিংসা-বিদ্বেষ ও একে অপরকে ঘৃণা করার প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসতেই হবে। আল্লাহ তায়ালা আমাদের মাঝে শুভবুদ্ধি দান করুন এবং অতীতের সকল অন্যায়-জুলুম থেকে তওবা করে পরিশুদ্ধ হওয়ার তৌফিক দান করুন।
Comments
Post a Comment