সুরা বরুজ পড়ছিলাম। আল্লাহ তায়ালা কসম করে বলেছেন, ধ্বংস হয়েছে গর্তওয়ালারা যে গর্তে দাউ দাউ করে জ্বলা আগুন ছিল এবং সেই আগুনে ঈমানদারদের নিক্ষেপ করে গর্তের পাশে অবস্থান করা জালেমরা উল্লাস প্রকাশ করছিল। আপাতত আমরা দেখছি ঈমানদাররাই ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে অথচ আল্লাহপাক বলছেন, না ধ্বংস হয়েছে জালেমরা। জালেমরা হচ্ছে মিথ্যুক, ওরা অনর্গল মিথ্যা বলতে পারে এবং ঈমানদারদের বিরুদ্ধে সবসময় মিথ্যা রটায়। জাহান্নামে যাওয়ার জন্য যেসব কারণ রয়েছে তার মধ্যে অপবাদ রটনা অন্যতম কারণ (সুরা মুদ্দাস্সির)। সকল যুগে নবি-রসুল ও ঈমানদারদের সাথে নমরুদ, ফেরাউন, আবু জেহেল, আবু লাহাবরা যে আচরণ করেছে, এখনো তার উত্তরসূরীরা তাই করছে। আল্লাহপাক স্পষ্ট করেছেন, কোনো অপরাধে তারা অপরাধী নয়, তাদের অপরাধ একটাই, তারা আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছিল, যিনি পরাক্রমশালী ও নিজ সত্তায় নিজেই প্রশংসিত- সুরা বুরুজ ৮। আল্লামা সাঈদীসহ যেসব আলেম আজ জেলখানায় জুলুম-নির্যাতন সহ্য করছেন তাঁদেরও এই একই অপরাধ, তাঁরা ঈমানদার এবং মানুষকে আল্লাহর দিকে ডাকেন।
ইসলামের দুশমনদের বড়ো আপত্তি কুরআনের প্রতি এবং সেটা ছিল রসুলুল্লাহ সা.-এর সময় থেকে আজ অবধি ও ভবিষ্যতেও চলতে থাকবে। যারা কুরআনের বিরোধীতা করে তাদের কাফের আখ্যায়িত করে আল্লাহ তায়ালা বলেন ‘এসব কাফেররা বলে, এ কুরআন তোমরা কখনো শুনবে না। আর যখন তা শুনানো হয় তখন হট্টগোল করবে। হয়তো এভাবেই তোমরা বিজয়ী হবে। আমি এসব কাফেরদের কঠিন শাস্তির মজা চাখাবো এবং যে জঘন্যতম তৎপরতা তারা চালিয়ে যাচ্ছে তার পুরো বদলা তাদের দেবো। প্রতিদানে আল্লাহর দুশমনরা যা লাভ করবে তা হচ্ছে দোযখ। সেখানেই হবে তাদের চিরদিনের বাসস্থান। তারা আমার আয়াতসমূহ অস্বীকার করতো। এটা তাদের সেই অপরাধের শাস্তি। সেখানে এসব কাফেররা বলবে, ‘হে আমাদের রব, সেসব জিন ও মানুষকে আমাদের দেখিয়ে দিন যারা আমাদের পথভ্রষ্ট করেছিল। আমরা তাদের পদদলিত করবো, যাতে তারা লাঞ্ছিত ও অপমানিত হয়’- সুরা হা-মীম আস সাজদাহ ২৬-২৯। যারা মাহফিল ভাংতে যায় বা জানাজায় বাধা দেয় তারা নিজেদের ইচ্ছায় করে না, করে নেতা-নেত্রীদের প্ররোচনায়। এটা কর্মীদের কথা হবে- জাহান্নামে তো আমরা যাচ্ছি, সাথে নেতাদের পদদলিত করেই যাবো।
এখন আর নবি-রসুল আসবেন না। কিন্তু রসুল না আসলেও তাঁদের ওয়ারিস রয়েছেন। আলেমরা হলেন নবিদের ওয়ারিস। হাদিসের ভাষায়, ‘আলেমগণ হলেন নবিদের ওয়ারিস। নবিগণ কোনো দিনার বা দিরহাম মিরাসরূপে রেখে যান না; তাঁরা উত্তরাধিকারসূত্রে রেখে যান শুধু ইলম। সুতরাং যে ইলম অর্জন করেছে সে পূর্ণ অংশ গ্রহণ করেছে’- সুনানে আবু দাউদ ৩৬৪৩। নমরুদ-ফেরাউন, আবু জেহেল-আবু লাহাব বলে এখন আর কাউকে চিহ্নিত করা যাবে না, কারণ ওহীর দরজা বন্ধ। কিন্তু তাদের উত্তরসূরী অবশ্যই আছে এবং থাকবে। হক ও বাতিলের দ্বন্দ্ব-সংগ্রামে সেটি উপলব্ধি করা যায়। এমন অবস্থায় কে ঈমানদার ও কে কাফের সেটি আল্লাহপাক নিজেই স্পষ্ট করেছেন, ‘যারা ঈমান এনেছে তারা লড়াই করে আল্লাহর পথে, আর যারা কুফরি করেছে তারা লড়াই করে তাগুতের পথে। সুতরাং তোমরা লড়াই করো শয়তানের বন্ধুদের বিরুদ্ধে। নিশ্চয়ই শয়তানের চক্রান্ত বড়ো দুর্বল’- সুরা নেছা ৭৬। দ্বন্দ্ব-সংগ্রামে ঈমানদার ও কাফের স্পষ্ট হয়ে পড়ে। আর যারা দোদুল্যমান তারা সুবিধাবাদী, ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত নয়, তাদের সম্পর্কে আর কী বলবো? আল্লাহ তায়ালা তাদের উপলব্ধি দান করুন।
এবারে একটু মিলিয়ে নেয়া যায়, স্রেফ ঈমানের কারণে একদল লোককে আগুনেভরা গর্তে নিক্ষেপ করে জালেমরা উল্লাস করেছে। এখনো একজন আলেমের ইন্তেকালে মিষ্টি বিতরণ করে, জানাজায় বাধা দেয়। আল্লামা সাঈদীকে ভালোবাসে না এমন লোকের সংখ্যা বড়জোর শতকরা ১০/১৫ জন হবে। আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাসদ, জাতীয় পার্টি বা হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ সবাই আল্লামা সাঈদীর ওয়াজ শুনে এবং ভক্তি-শ্রদ্ধা পোষণ করে। তাদের সাথে কথাবার্তা ও আলাপ-আলোচনায় সেটিই বুঝি। আমার বিশ্বাস পুলিশ ভাইদের মধ্যে শতকরা নব্বই জন সাঈদীভক্ত। ইউটিউবে সাঈদীর ওয়াজ শুনে না এমন লোকের সংখ্যা বিরল। ক্ষমতার পালাবদলে সবই স্পষ্ট হয়ে পড়বে। অবস্থা তেমনই যেমন আবু জেহেল, আবু লাহাবরা কুরআন শোনার জন্য লোকদের বাধা দিত আবার তারা নিজেরা গোপনে গিয়ে রসুল সা.-এর কুরআন তেলাওয়াত শুনতো।
ঈমানদারদের সাথে যারা শত্রুতা করে তাদের ভয়াবহ পরিণতির কথা আল্লাহপাক এভাবে বলেছেন, ‘যারা ঈমানদার নর ও নারীকে কষ্ট দেয় অতঃপর তওবা করে না তাদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের আজাব, আছে ভস্ম হওয়ার শাস্তি’- সুরা বুরুজ ১০। পক্ষান্তরে যারা কুফরির পরিবর্তে আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছে তাদের শুভ পরিণতির কথা এভাবে বলা হয়েছে, ‘যারা ঈমান এনেছে ও নেক আমল করেছে নিশ্চিতভাবেই তাদের জন্য রয়েছে জান্নাতের বাগান যার নিম্নদেশে ঝরনাধারা প্রবাহিত। এটিই বড়ো সাফল্য’- সুরা বুরুজ ১১।
আল্লাহর পথে চলার ক্ষেত্রে বাধা-বিপত্তি ও বিপদ-মুছিবত খুবই স্বাভাবিক। অসংখ্য নেয়ামতে ভরা জান্নাত দান অবশ্যই আল্লাহপাক যাচাই-বাছাই করে দিবেন। আল্লাহর বাণী, ‘নিশ্চয়ই আমি ভয়, বিপদ, অনশন, জান-মালের ক্ষতি ও আমদানি হ্রাসের দ্বারা তোমাদের পরীক্ষা করবো। এ সমস্ত বিপদ-মুছিবত উপস্থিত হলে যারা ধৈর্য অবলম্বন করে এবং বলে-‘আমরা আল্লাহরই জন্য এবং তাঁরই কাছে ফিরে যাবো’ -তাদের জন্য সুসংবাদ। তাদের রবের পক্ষ থেকে তাদের ওপর বিপুল অনুগ্রহ বর্ষিত হবে, তাঁর রহমত তাদের ছায়াদান করবে এবং এ ধরনের লোকেরাই হয় সত্যানুসারী।’
কঠিন বিপদ-মুছিবতের পথ মাড়িয়ে যারা অগ্রসর হয় তারা বড়ই ভাগ্যবান। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘যারা ঘোষণা করেছে, আল্লাহ আমাদের রব, অত:পর তার ওপরে দৃঢ় ও স্থির থেকেছে নিশ্চিত তাদের কাছে ফেরেশ্তা আসে এবং তাদের বলে, ভীত হয়ো না, দুঃখ করো না এবং সেই জান্নাতের সুসংবাদ শুনে খুশি হও, তোমাদেরকে যার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। আমরা এই দুনিয়ার জীবনেও তোমাদের বন্ধু এবং আখেরাতেও। সেখানে তোমরা যা চাবে তাই পাবে। আর যে জিনিসেরই আকাঙ্ক্ষা করবে তাই লাভ করবে। এটা সেই মহান সত্তার পক্ষ থেকে মেহমানদারির আয়োজন। তিনি ক্ষমাশীল ও দয়াবান’- সুরা হা-মীম আস সাজদাহ ৩০-৩২।
আল্লামা সাঈদীসহ আলেমদের প্রতি জুলুম -নির্যাতনে ঈমানদার মাত্রই কষ্ট অনুভব করে এবং এটিই স্বাভাবিক। এমনটি না হলে ঈমানই প্রশ্নবিদ্ধ হবে। আবেগ-অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বলতে চাই, আমি নিজেও সাঈদীভক্ত এবং মধুর কণ্ঠে ও সাবলিল ভাষায় তাঁর ওয়াজ ও তাফসির শুনে আসছি সেই ছাত্রজীবন থেকে। আমার মনে পড়ে ১৯৭৩-৭৪ দিকে খুবই অল্প সংখ্যক লোক নিয়ে কুষ্টিয়া মুসলিম হাই স্কুলে কুরআনের আলোচনা এবং তার পরপরই কুষ্টিয়া পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে সুরা ইউসুফের তিনদিন ব্যাপী তাফসির মাহফিলে দ্বিতীয় দিনে উপচেপড়া ভীড়ের কারণে এনএস রোড ব্লক করে দেওয়া হয়। প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়েই সেসময়ে সাঈদী সাহেবের মাহফিল হতো। প্রতি বছর মজলিসে ইসলাহীর উদ্যোগে কুষ্টিয়া হাই স্কুল মাঠ, মুসলিম হাই স্কুল মাঠ, মোহিনী মিল মাঠে দশ দিন, সাতদিন, পাঁচ দিন ব্যাপী তাফসির মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ছাত্রজীবনে আমরা ভলান্টিয়ার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছি। কুষ্টিয়া কলেজে অধ্যয়নকালে তাঁকে আমাদের কলেজে আনা হয়েছিল। সেসময়ে অধ্যক্ষ ছিলেন বরেণ্য শিক্ষাবিদ ড. মু. নঈমউদ্দিন স্যার (আল্লাহপাক তাঁকে জান্নাতের বাসিন্দা করুন)।
দীর্ঘ তেরো বছর কারাভোগের পর তাঁর চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ উঠেছে। এ্যাম্বুলেন্স থেকে নেমে তিনি হাসিমুখে সবাইকে সালাম পেশ করেন এবং কারারক্ষীদের প্রশংসাও করেন। স্বল্প সময়ের ব্যবধানে তাঁর মৃত্যুর খবর আসে। ফেসবুক ও ইউটিউবে অনেক ভিডিও দেখছি। এ দেশে সবই সম্ভব। এতবড় বিশ্বনন্দিত আলেমের বিরুদ্ধে যারা মিথ্যা অপবাদ দিতে পারে তাদের পক্ষে সবই সম্ভব। নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে হয়তো প্রকৃত সত্য বেরিয়ে আসবে। জীবনভর তিনি আল্লাহর দিকে মানুষকে ডেকেছেন আজ তিনি তাঁর মহান মালিকের কাছেই ফিরে গেছেন, যেখানে আমরা সবাই ফিরে যাবো এবং যেতে বাধ্য (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলায়হি রজেউন)। এখন আমাদের করণীয় কী? একামতে দীনের জন্য আল্লামা সাঈদী নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন, তাঁর প্রতি ভক্তি, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা প্রকাশের সর্বোত্তম উপায় হলো সর্বাবস্থায় দীনের উপর অবিচল থেকে দীন প্রতিষ্ঠায় সর্বদা সচেষ্ট থাকা। তাঁর মৃত্যুতে যারা মিষ্টি বিতরণ করেছে, দাফনে বাধা দেওয়ার জন্য মিছিল-মিটিং করেছে, ফেসবুকে সন্তোষ প্রকাশ করেছে এবং তারা করেছে নিজ নিজ বিশ্বাস থেকে; এরা আল্লাহর শত্রু ইসলামের শত্রু ও ঈমানদার জনগোষ্ঠীর শত্রু। এরা মূলত গর্তওয়ালাদেরই দলভুক্ত। যা হচ্ছে তা মূলত ইতিহাসেরই পুনরাবৃত্তি। তারপরো আমরা আল্লাহ তায়ালার কাছে তাদের জন্য হেদায়াত চাই। ওরা আল্লাহরই বান্দা। আল্লাহপাক তাদেরও ক্ষমা করতে চান। এটা ঠিক, ঈমানদার জনগোষ্ঠীর সাথে শত্রুতা ও তাদেরকে কষ্টদান আল্লাহর কাছে অসহ্য তারপরও আল্লাহপাক সুযোগ দিতে চান। তাঁর এ বাণীর মধ্যেই সেটি লুকিয়ে আছে। আল্লাহর বাণী, ‘যারা ঈমানদার নর ও নারীকে কষ্ট দেয় অতঃপর তওবা করে না তাদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের আজাব, আছে ভস্ম হওয়ার শাস্তি’- সুরা বুরুজ ১০। ‘অতঃপর তওবা করে না’- এ কথার মধ্যে জালেমের জন্যও ক্ষমার একটি সুযোগ রয়েছে। ইসলামের বিরোধীতা করে যারা আল্লাহর রোষানলে পড়েছে, আমরা তাদের জন্য দোয়া করি, আল্লাহপাক যেন তাদেরকে তওবা করার তৌফিক দান করেন।
আল্লামা সাঈদী তাঁর বক্তৃতায় শাহাদত কামনা করতেন। আসলে সব মুসলমানেরই শাহাদত কাম্য হওয়া উচিত। আল্লাহর পথে শহিদ হওয়া বড়ো সৌভাগ্যের ব্যাপার। আল্লাহর রাস্তায় প্রচেষ্টারত ব্যক্তি ঘরে মারা গেলেও আল্লাহ তাকে শাহাদতের সম্মান দিবেন। আল্লাহর পথে নিহত ব্যক্তিকে মৃত বলতে তিনি নারাজ। তাঁর বাণী, ‘যারা আল্লাহর রাস্তায় নিহত হয় তাদেরকে মৃত বলো না, তারা জীবন্ত; তাদের জীবন সম্পর্কে তোমাদের কোনো চেতনা নেই’- সুরা বাকারা ১৫৪। আবার কোথাও বলা হয়েছে, তারা রিজিকপ্রাপ্ত। ঈমানদার ব্যক্তির সকল কাজের পেছনে উদ্দেশ্য থাকে আল্লাহকে সন্তুষ্ট করা। দীন প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব মূলত আল্লাহর এবং ঈমানদার জনগোষ্ঠী হলেন তাঁর সাহায্যকারী। যাঁর পক্ষে আমরা কাজ করছি তিনি পরাক্রমশালী, সুবিজ্ঞ, বিজ্ঞানী ও প্রতিশোধ গ্রহণে সক্ষম। তিনি প্রতিশোধ গ্রহণ করেন এবং অতীতে গ্রহণ করেছেনও। আল্লাহপাক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যে, ঈমান ও নেক আমলে সমৃদ্ধ জনগোষ্ঠীকে তিনি জমিনে খেলাফত দান করবেন- সুরা নূর ৫৫ নং আয়াত। প্রতিশোধস্পৃহা মুমিনের মাঝে থাকতে নেই। মুমিনের প্রতিশোধ হবে দীন কায়েমের লক্ষ্যে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো এবং শুধু ইতিবাচক কাজ করা। ইতিবাচক কাজ বলতে ব্যাপক মানুষের কাছে দীনের দাওয়াত পৌঁছে দেওয়া এবং নিজেদের চরিত্রের পরিশুদ্ধি সাধন। অর্থাৎ নেক আমলে সমৃদ্ধ হওয়া। নেক আমল বলতে আমি বুঝি সততা, বিশ্বস্ততা, আমানতদারি, প্রতিশ্রুতি পালন, মানুষের সাথে সদাচরণ ও হক আদায় করা। এককথায় বলা যায়, আল্লাহ প্রদত্ত সকল ফরজ নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে পালন এবং হারামসমূহ থেকে দূরে অবস্থান করা। আমরা যদি ঈমান ও নেক আমলে সমৃদ্ধ হতে পারি তাহলে আল্লাহপাকও তাঁর প্রতিশ্রুতি পালন করবেন। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে ঈমানের পাশাপাশি নেক আমলে সমৃদ্ধ হওয়ার তৌফিক দান করুন।
Comments
Post a Comment