মসজিদ উত তাকওয়ায় আজ মাগরিবের পূর্বে সম্মানিত প্রধান ইমাম হাফেজ মাওলানা আব্দুল হাফিজ মারুফ ইস্তিখারা প্রসঙ্গে আলোচনা করতে গিয়ে প্রথমে সুরা বাকারার ১৫৩ নং আয়াত তেলাওয়াত করেন (হে ইমানদারগণ! তোমরা ধৈর্য ও নামাজের দ্বারা আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে আছেন)।
বড়ো কোনো কাজ বিশেষ করে বিয়েসাদী, ব্যবসা বা চাকরি ক্ষেত্রে মানুষ সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগে। এমতাবস্থায় আল্লাহর পক্ষ থেকে সাহায্য লাভের আশায় দু'রাকাত নামাজ শেষে দোয়া পাঠ করে আল্লাহপাকের বড়ত্ব, মহানুভবত্ব, দানশীলতা অনুভব করে সে বিষয়টি আল্লাহর কাছে পেশ করে মনের মধ্যে যেটির উদ্ভব হয় আল্লাহর উপর নির্ভর করে সেটির উপরে সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়াকে ইস্তিখারা বলে। জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ রা. বলেছেন, রসুলুল্লাহ সা. যেভাবে আমাদের সুরা শিখিয়েছেন তেমনিভাবে ইস্তিখারা করার কথা শিখিয়েছেন- তিরমিজি।
কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শও গ্রহণ করা যায়। ইস্তিখারার ক্ষেত্রে স্বপ্ন দেখার প্রয়োজন নেই। মূলত আল্লাহর কাছে পেশ করে কাতরভাবে তাঁর সহায়তা চাওয়া এবং বড়ো বিনয়ের সাথে বারবার প্রার্থনা করলে আল্লাহর পক্ষ থেকে অন্তরে যেটা উদ্ভব হয় সেটির উপর দৃঢ়ভাবে টিকে থাকতে পারলে আল্লাহর সাহায্য লাভ সম্ভব।
রসুলুল্লাহ সা. ও সাহাবায়ে কেরাম যে কোনো সমস্যায় দু'রাকাত নামাজ আদায় করে আল্লাহর কাছে পেশ করতেন। আল্লাহ তায়ালা নিজ থেকেই বলেছেন, ধৈর্য ও নামাজের মাধ্যমে চাইতে এবং শেষে জানিয়েছেন, আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে আছেন। তাই ইস্তিখারা করার পর তাড়াহুড়ো না করে কোনো ব্যক্তি পরিশ্রম ও সাধনার সাথে ধৈর্য ধারণ করলে আল্লাহ তায়ালা তাকে সাফল্য দান করবেন।
Comments
Post a Comment