Skip to main content

Posts

Showing posts from January, 2023

কুরআন আল্লাহপাকের নাজিলকৃত এবং তিনিই এর হেফাজতকারী

 জুমার খতবা (২৭.০১.২০২৩) আজ মিরপুর কাঁঠালবাগ জামে মসজিদে জুমার খুতবায় সম্মানিত খতিব আলহাজ মুফতি মাওলানা মাহমুদুল হাসান আশরাফী আল্লাহর হামদ ও রসুল সা.-এর প্রতি দরুদ ও সালাম পেশের পর সুরা আল হিজরের ৯নং আয়াত তেলাওয়াত (আয-যিকির (আল কুরআন) আমরাই নাজিল করেছি এবং আমরাই সেটির হেফাজতকারী) করেন, সুইডেনে কুরআনে আগুন দেয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন এতে ইসলামের কোনো ক্ষতি হবে না কারণ স্বয়ং আল্লাহ এই কুরআন আমাদের প্রিয়তম নবি মুহাম্মদ সা.-এর উপর নাজিল করেছেন এবং তিনি নিজেই এই কুরআনের হেফাজতের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। বর্তমানে বিশ্বে ছয় কোটি হাফেজে কুরআন রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর হিফজ প্রতিযোগিতায় আমরা প্রায়ই চ্যাম্পিয়ন হই, দুর্ভাগ্য তাদের কোনো রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি নেই। অথচ ফুটবল, ক্রিকেটে এতো ব্যয় করার পরও বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দূরের কথা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণেরও সুযোগ হয়ে উঠে না। তিনি হাফেজে কুরআন এই শিশু- কিশোরদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও সুযোগ-সুবিধা দাবি করেন। তিনি বলেন, সব কাগজের কুরআন পুড়িয়ে দিলেও আমাদের একজন হাফেজকে কম্পিউটারের সামনে বসিয়ে দিলে তার তেলাওয়াতের সাথে সাথে পূর্ণ করআন বেরিয়ে আসবে। সম্প্রত...

ঘরের বাসিন্দার জন্য তার ঘর নিরাপদ

মুহাম্মদ সা. ছিলেন সর্বোত্তম চরিত্রের অধিকারী। তাঁর জাতির কাছে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি, জাতির পক্ষ থেকে আল আমিন ও আস সাদিক খেতাবপ্রাপ্ত। কিন্তু নবুয়ত লাভের পর যখনই তিনি মানুষকে ইসলামের দাওয়াত প্রদান করেন তখনই তাঁর সাথে শত্রুতা শুরু হয়ে যায়। এটা শুধু তাঁর সাথে নয়, সকল নবি-রসুলের সাথেই হয়েছে এবং এখনো হচ্ছে নবি-রসুলদের উত্তরাধিকার ও নমরুদ-ফেরাউনদের উত্তরাধিকারের মাঝে; এটা চিরন্তন, কেয়ামত পর্যন্ত। সকল নবি- রসুলের দায়িত্ব ছিল অভিন্ন ‘দীন প্রতিষ্ঠিত করো এবং এতে অনৈক্য সৃষ্টি করো না’- সুরা আশ শূরা ১৩। নবি- রসুলের অনুসারিদেরও একই দায়িত্ব। পক্ষান্তরে সকল যুগের স্বৈরশাসকরা এই একই প্রশ্নে নবি-রসুলদের প্রচণ্ড বিরোধীতা করেছে এবং কেয়ামত পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকবে। দাওয়াত দানের সাথে সাথে রসুলুল্লাহ সা.-এর বিরুদ্ধে নিন্দার ঝড় উঠে, তিনি যা নন তাঁকে তাই বলা হয়েছে। তাঁর ও তাঁর সাহাবিদের ওপর চলে অবর্ণনীয় নির্যাতন। টিকতে না পেরে অনেককে আবিসিনিয়ায় পাঠিয়ে দেয়া হয় এবং একটি পর্যায়ে আল্লাহর নির্দেশে তিনি মদিনায় হিজরত করেন। জুলুম- নির্যাতনে জর্জরিত সাহাবায়ে কেরাম রা. বলেন, ইয়া রসুলুল্লাহ! আমরা তো আর সহ্য করতে প...

পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি

 আমরা যখন স্কুলে পড়তাম সেসময়ে আমাদের প্রায়ই  ভাবসম্প্রসারণ আসতো ‘পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি’। হ্যাঁ, পরিশ্রম ছাড়া কোনো কিছুই অর্জন করা যায় না। অলস ও কর্মবিমুখ মানুষ জীবনে সফল হতে পারে না। জীবনে প্রতিষ্ঠা লাভের জন্য পরিশ্রমের কোনো বিকল্প নেই। জাতিগতভাবে যারা পরিশ্রমী বিশ্বে তারাই প্রতিষ্ঠিত ও সম্মানের অধিকারী। পরিশ্রমের দিক দিয়ে আমাদের তেমন সুনাম নেই। আমরা আবার ধনী হতে চাই এবং ধনী হওয়ার ক্ষেত্রে সবসময় সহজপন্থা অবলম্বন করি। ঘুষ-দুর্নীতি, ধোকা-প্রতারণা ও আত্মসাতের ক্ষেত্রে আমাদের কোনো জুড়ি নেই। অথচ আমরা এক বিশ্বাসী জাতি। আমরা আল্লাহকে বিশ্বাস করি ও বিশ্বাস করি পরকালে এবং এটাও জানি সকল অনৈতিক কর্মকাণ্ড কবিরা গুনাহ। আমাদের ধর্মের শিক্ষা- উপার্জনের ক্ষেত্রে নৈতিকতার সামান্য বিচ্যুতি জুলুম এবং এর পরিণতি জাহান্নাম। জুমার দিনে আমাদের মসজিদগুলোয় মুসল্লি উপচে পড়ে, হজ ও ওমরাহে যাওয়ার ক্ষেত্রেও আমাদের কোনো কার্পণ্য নেই। আমাদের তুরাগ নদীর তীরে প্রতি বছর অনুষ্ঠিত হয় তাবলিগের বিশ্বইস্তেমা যেটাকে আমরা গর্বভরে বলি- পবিত্র হজের পরে এতবড় বিশ্বসম্মেলন দ্বিতীয় আর নেই। আমাদের নেতা-নেত্রীসহ সর্বস্তরের...

প্রসঙ্গ : ইন্তিখারার নামাজ

মসজিদ উত তাকওয়ায় আজ মাগরিবের পূর্বে সম্মানিত প্রধান ইমাম হাফেজ মাওলানা আব্দুল হাফিজ মারুফ ইস্তিখারা প্রসঙ্গে আলোচনা করতে গিয়ে প্রথমে সুরা বাকারার ১৫৩ নং আয়াত তেলাওয়াত করেন (হে ইমানদারগণ! তোমরা ধৈর্য ও নামাজের দ্বারা আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে আছেন)। বড়ো কোনো কাজ বিশেষ করে বিয়েসাদী, ব্যবসা বা চাকরি ক্ষেত্রে মানুষ সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগে। এমতাবস্থায় আল্লাহর পক্ষ থেকে সাহায্য লাভের আশায় দু'রাকাত নামাজ শেষে দোয়া পাঠ করে আল্লাহপাকের বড়ত্ব, মহানুভবত্ব, দানশীলতা অনুভব করে সে বিষয়টি আল্লাহর কাছে পেশ করে মনের মধ্যে যেটির উদ্ভব হয় আল্লাহর উপর নির্ভর করে সেটির উপরে সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়াকে ইস্তিখারা বলে। জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ রা. বলেছেন, রসুলুল্লাহ সা. যেভাবে আমাদের সুরা শিখিয়েছেন তেমনিভাবে ইস্তিখারা করার কথা শিখিয়েছেন- তিরমিজি। কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শও গ্রহণ করা যায়। ইস্তিখারার ক্ষেত্রে স্বপ্ন দেখার প্রয়োজন নেই। মূলত আল্লাহর কাছে পেশ করে কাতরভাবে তাঁর সহায়তা চাওয়া এবং বড়ো বিনয়ের সাথে বারবার প্রার্থনা করলে আল্লাহর পক্ষ থে...

প্রসঙ্গ : মোরাকাবা

 দারসুল হাদিস  মসজিদ উত তাকওয়া জ্ঞানচর্চার এক কেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। সেখানে রয়েছে এক মানসম্মত হিফজখানা। বয়স্কদের কুরআন শিক্ষার ব্যবস্থা। প্রতি মঙ্গলবার বাদ ইশা কুরআনের তাফসির ক্লাস এবং প্রতি শুক্রবার বাদ ইশা দারসুল হাদিস ক্লাস। গতকাল সেই ক্লাসে শরীক হওয়ার সৌভাগ্য আমার হয়েছিল।  মসজিদের সম্মানিত প্রধান ইমাম হাফেজ মাওলানা আব্দুল হাফিজ মারুফ ইমাম মহিউদ্দীন ইয়াহইয়া আন নববী রহ.-এর সংকলিত রিয়াদুস সালেহীন থেকে একটি হাদিস 'মোরাকাবা' সম্পর্কে আলোচনা করেন। রিয়াদুস সালেহীন বিশুদ্ধ হাদিসসমূহের একটি সংকলন। এটি ব্যবহারিক জীবন পরিশুদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন অধ্যায়ে বিভক্ত করে প্রথমে তৎসংশ্লিষ্ট কুরআনের আয়াত এবং হাদিস উল্লেখ করা হয়েছে। মোরাকাবা শব্দের অর্থ করা হয় ধ্যান। আসলে মোরাকাবা অর্থ জাগতিক বিষয়ে ইসলামের আলোকে নিয়ন্ত্রণ করা। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে যতো কর্মকাণ্ড আছে সেসব আল্লাহর অভিপ্রায় মতো করাই মূলত মোরাকাবা। সংসার বিচ্ছিন্ন বনেজঙ্গলে বসবাস বা একাকীত্বের নাম মোরাকাবা না। বরং সকল কাজে আল্লাহকে ভয় করে চলার প্রেরণার নামই মোরাকাবা। অনেকে মোরাকাবা বলতে মেডিটেশন বোঝায়। এর সাথে মোরাক...

দীনের প্রচার (তাবলিগ) ফরজে আইন

মানুষকে আল্লাহর পথে ডাকা একজন মুমিনের মৌলিক কাজ (ফরজে আইন)। জাহান্নাম থেকে দূরে অবস্থান এবং জান্নাতের প্রত্যাশী একজন বিশ্বাসী ব্যক্তি কখনই এই দায়িত্ব পালন থেকে চুপ থাকতে পারে না। সে সর্বক্ষণের জন্য একজন দায়ী ইলাল্লাহ। রসুলুলল্লাহ সা.-এর ওপর সুরা আলাকের প্রথম পাঁচটি আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হয় তাঁর নবুওয়াত। বেশ কিছুদিন বিরতির পর সুরা মুদ্দাস্সিরের সাতটি আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হয় মানুষকে সতর্ক করার কাজ। ‘ওঠো ও মানুষকে সাবধান করো’। হে কম্বল আবৃতকারী (মুদ্দাস্সির) বলে সম্বোধনের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হয়েছে যে আরাম-আয়েশের দিন শেষ। গাফিলতিতে ডুবে থাকা মানুষকে সতর্ক করা নবি ও তাঁর অনুসারীর (মুমিন) প্রথম ও প্রধান কাজ।  সুরা আসর রসুলুল্লাহ সা.-এর ওপর অবতীর্ণ প্রথম যুগের একটি সুরা। অল্প কথায় বিশাল তাৎপর্যপূর্ণ এই সুরাটি। আল্লাহপাক কসম খেয়ে মানুষের জীবনে ধ্বংস ও বিপর্যয়ের কারণ এই সুরায় উল্লেখ করেছেন। সুরায় বর্ণিত চারটি গুণ ব্যক্তি বা ব্যক্তিসমষ্টির মাঝে না থাকলে সে বা তারা নিশ্চিতভাবে ধ্বংস হয়ে যাবে। এর মধ্যে কোনো সন্দেহ নেই। চারটি গুণই অবশ্যম্ভাবী। প্রথম গুণ হলো ইমান। ইমান ব...

প্রতিকূল পরিবেশে দীন কায়েম

মানুষের হেদায়েতের জন্য আল্লাহপাক অসংখ্য নবি- রসুল প্রেরণ করেছেন। সকলের মিশন ছিল একই- মানুষকে শিরকমুক্ত করে আল্লাহর আনুগত্যের দিকে আহবান জানানো। সকলেই একই কালেমার দাওয়াত দিয়েছেন- লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ (আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই)। আরো স্পষ্ট করে বলা যায়- আনিই বুদুল্লাহ ওয়াজতানিবুত তাগুত (আল্লাহর দাসত্ব করো এবং তাগুতকে অস্বীকার করো)। সকল নবি-রসুল ছিলেন তাঁর সময়কালের সর্বোত্তম ব্যক্তি এবং জাতির সবচেয়ে কল্যাণকামী। তারপরও জালেম শাসক ও পাপাচারী জনগণ নবি-রসুলদের সহ্য করতে পারেনি। তাগুতকে অস্বীকার করে একান্তভাবে আল্লাহর আনুগত্য তখনই সম্ভব যদি আল্লাহর দীন জমিনে প্রতিষ্ঠিত থাকে। তাই আল্লাহপাক সকল নবি-রসুলকে দীন কায়েমের দায়িত্ব দিয়েই পৃথিবীতে প্রেরণ করেছেন। এ প্রসঙ্গে আল্লাহর বাণী, ‘আল্লাহ তায়ালা তোমাদের জন্য সেই বিধানই নির্ধারিত করেছেন, যার আদেশ তিনি দিয়েছিলেন নুহকে এবং যা আমি তোমার কাছে ওহি করে পাঠিয়েছি, উপরন্তু যার আদেশ আমি ইবরাহিম, মুসা ও ইসাকে দিয়েছিলাম, তোমরা এ দীন প্রতিষ্ঠিত করো এবং এতে অনৈক্য সৃষ্টি করো না’- সুরা আশ শূরা ১৩। দীনকে বিজয়ী করে দেয়ার দায়িত্ব দিয়ে আল্লাহপাক সর্বশেষ নবি মুহাম্মদ ...

নববর্ষের সূচনা হলো আল্লাহর ইবাদতের মধ্য দিয়ে

আলহামদু লিল্লাহ। এশার নামাজ জামায়াতে আদায় করে আজ আমরা মসজিদে ফজরের নামাজ আদায় করলাম। রসুলুল্লাহ সা. বলেছেন, যারা এশা ও ফজরের নামাজ জামায়াতের সাথে আদায় করে তারা সারাটি রাত ইবাদতের মধ্যেই কাটিয়ে দেয়। ইসায়ী ২০২৩ সন শুরু হয়েছে রাত ১২-০১ মিনিটে। আমরা ভাগ্যবান যে, আল্লাহ তায়ালার ইবাদতের মধ্য দিয়ে ২০২৩ সন শুরু করলাম। আমরা আল্লাহপাকের দরবারে শুকরিয়া আদায় করি। ইসায়ী (ইংরেজি) সনের সাথে আমাদের সংস্কৃতির কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। বিশ্বনেতৃত্ব আমাদের হাতে নেই। যাদের হাতে নেতৃত্ব ইচ্ছায় হোক অনিচ্ছায় হোক মানুষ তাদের অনুসরণ করে। আমাদের জন্ম-মৃত্যু, হিসাব- নিকাশ ও অফিস আদালত সবই চলে ইসায়ী সনে। ফলে কখন নববর্ষ শুরু এবং কখন বছর শেষ হয় সেটি আমাদের জানা। সমস্যা হচ্ছে বর্ষ বিদায় ও বরণ নিয়ে আচার অনুষ্ঠান নিয়ে। দেশীয় আচার-অনুষ্ঠান পালনে শিরক ও অশ্লীলতার মিশ্রণ না থাকলে শিশু- কিশোরদের আনন্দ-ফুর্তি ও একটু ভালো খানাপিনায় দোষের কিছু দেখি না। একজন মুসলিম হিসেবে আমাদের উপলব্ধি করতে হবে, একটি বছর আমাদের জীবন থেকে হারিয়ে গেল। অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালা নির্ধারিত হায়াত থেকে একটি বছর কমে গেল। দোষে-গুণে আমরা মানুষ। আমাদের কতো ভুল...

লেখাপড়া : সেকাল ও একাল

গ্রামে আমাদের বাস এবং লেখাপড়াও গ্রামে। ১৯৭০ সনে বাহাদুরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় হতে এসএসসি পাস করেছি। পাসের হার ছিল ৪৯ (মোট ৭৬ জনের মধ্যে ৩৮ জন উত্তীর্ণ হয়েছিল এবং মাত্র ১জন প্রথম বিভাগ পেয়েছিল। বর্তমানের মতো এতো ভালো রেজাল্ট আমাদের সময় ছিল না। পিইসি, জেএসসি ও এইচএসসি রেজাল্টে এ+ এর যতো আধিক্য স্কুলের অভ্যন্তরীণ পরীক্ষায় তার ছিটেফোঁটাও নেই। এর মধ্যে কোনো শুভঙ্করের ফাঁকি রয়েছে। মনে হয় স্কুলের যে রেজাল্ট সেটিই সত্য। বাকিটার সাথে সত্যের সম্পর্ক নেই। ভালো ফলাফলের ভিত্তিতে আমরা পারিবারিকভাবে শিক্ষার্থী ও তাদের মা'দের পুরস্কৃত করে থাকি। পুরস্কার প্রাপ্তির মিনিমাম যোগ্যতা গ্রেড ৪.০০।  পরীক্ষায় ভালো করতে পারেনি এমন ২/১ জনের সাথে কথা বললাম। তাদেরকে নেলসন ম্যান্ডেলার উক্তি শোনালাম- আমার সাফল্য দেখে তোমরা আমাকে মূল্যায়ন করো না বরং কতবার আমি ব্যর্থ হয়ে আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছি সেটা দিয়ে বিবেচনা করো। বললাম,  পরীক্ষায় খারাপ করলেও তোমাদেরকে ঘুরে দাঁড়াতে হবে। অর্থাৎ সময় নষ্ট না করে রীতিমত লেখাপড়া করতে হবে। মোবাইলে সময় দেয়া ছাড়তে হবে। রাজি হলো। আমার দৃষ্টিতে ভালো লেখাপড়া ও রেজাল্টের জন্য অত্যাবশ্যক হল...

রাজনীতির অঙ্গনে চাই সমঝোতা এবং চাই দেশে শান্তি ও স্বস্তি।

রাজনীতিতে ভুল বা অন্যায় আচরণের কারণে একটি দেশের যতখানি সর্বনাশ হয় অন্য কোনো কারণে তা হয় না। ইতিহাসের সবচেয়ে বড়ো শিক্ষা- ‘ইতিহাস থেকে কেউ শিক্ষা নেয় না’। বাংলাদেশে বর্তমানে রাজনীতির ক্ষেত্রে চলছে চরম অনিশ্চয়তা। দেশের রাজনীতি চরম আস্থাহীনতায় ভুগছে। রাজনীতির সাথে সংশ্লিষ্টরা অনর্গল মিথ্যা বলে। রাজনীতির ক্ষেত্রে জোসেফ গোয়েবলস-এর অনুসারীর আধিক্যই লক্ষ করা যায়। হিটলারের তথ্যমন্ত্রী ড. গোয়েবলস-এর দর্শন ছিল একটি মিথ্যাকে বারবার বললে সেটি সত্যে পরিণত হয়। স্বৈরশাসকের পতন যে মিথ্যা দিয়ে ঢাকা যায় না সে তার জীবন দিয়ে প্রমাণ করেছে। হিটলারের আত্মহত্যার পর গোয়েবলস নিজের ছ’টি সন্তানকে হত্যা করার পর সস্ত্রীক আত্মহত্যা করেছিল। আমাদের দেশে রাজনীতিবিদদের ধারণা, মিথ্যা বলাটা কোনো পাপ নয়, এটি তাদের রাজনীতিক কৌশল। ফলে একে অপরকে কেউ বিশ্বাস করে না। সরকার পরিবর্তনের সর্বোত্তম পন্থা হলো একটি নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে জনগণ ভোটের মাধ্যমে তাদের মতামত প্রকাশ করবে। যারা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে তারাই সরকার গঠন করবে। পরপর দু’টি নির্বাচনে সীমাহীন অনিয়ম ও কারচুপির কারণে দলীয় সরকারের অধীনে যে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় সেটি দেশ...