Skip to main content

Posts

Showing posts from February, 2020

ভাষা আল্লাহরই দান

আজ মিরপুর কাঁঠালবাগ জামে মসজিদে জু’মার খুতবায় সম্মানিত খতিব আলহাজ্জ মাওলানা মাহমুদুল হাসান আশরাফী আল্লাহর হামদ ও রসুল (সা)-এর প্রতি দরুদ ও সালাম পেশের পর ২১শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি কুরআনের আয়াত (‘পরম দয়ালু (আল্লাহ) এ কুরআন শিক্ষা দিয়েছেন। তিনিই মানুষকে সৃষ্টি করেছেন এবং তাকে কথা বলা শিখিয়েছেন’-১-৩) উদ্ধৃত করে বলেন, সকল সৃষ্টির মাঝে আল্লাহপাক মানুষকে সর্বোত্তম দৈহিক কাঠামো, চিন্তা করার ক্ষমতা, বিবেকবোধ এবং মনের ভাব প্রকাশ করার ক্ষমতা দিয়েছেন। কথা বলা মানুষের জন্য আল্লাহতায়ালার একটি বড় নেয়ামত। মানুষ ছাড়া অন্য কোনো সৃষ্টিকে এ নেয়ামত দেয়া হয়নি। বর্তমান পৃথিবীতে ছয় হাজারের মতো ভাষা রয়েছে। এর মধ্যে অনেক ভাষা লুপ্ত হয়েছে। এই যে ভাষা ও বর্ণের পার্থক্য-এর মধ্যে রয়েছে জ্ঞানবানদের জন্য বড় নিদর্শন। আল্লাহর ভাষায়, আর তাঁর নিদর্শনসমূহের মধ্যে রয়েছে, আকাশরাজী ও পৃথিবী সৃষ্টি এবং তোমাদের ভাষা ও বর্ণের পার্থক্য। অবশ্যই এর মধ্যে বহু নিদর্শন রয়েছে জ্ঞানবানদের জন্য।’ ভাষা হলো আল্লাহপাকের সৃষ্টি। মানুষে মানুষে ভাষা ও বর্ণেই শুধু পার্থক্য নয়, আবার একই ভা...

দারসুল কুরআন সূরা বাকারা ১৫৩

দারসুল কুরআন অধ্যয়ন করা কুরআন বুঝার জন্য জরুরি। এর মাধ্যমে সূরাটি নাজিলের প্রেক্ষাপট, ব্যাখ্যা ও শিক্ষা বুঝা যায়। দারসুল কুরআন নোট করে পড়লে কুরআন বুঝা সহজ হয়। দারসুল কুরআন সূরা বাকারা ১৫৩ ‘ হে ঈমানদারগণ! তোমরা ধৈর্য ও নামাযের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে আছেন ’ - সূরা বাকারা ১৫৩ দারসুল কুরআন এর প্রথম ধাপ হচ্ছে শুদ্ধ তেলাওয়াত। অতপর সরল বাংলা অর্থ, নাজিলের প্রেক্ষাপট, ব্যাখ্যা ও শিক্ষা। বিশ্বজাহানের মালিক ও সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী হলেন আল্লাহ। তাঁর ভান্ডার অফুরন্ত। সেই আল্লাহ তাঁর বান্দাদের তাঁর কাছে চাওয়ার জন্য বলছেন এবং নিশ্চয়তা দিয়ে বলছেন তিনি তাঁর ধৈর্যশীল বান্দাদের সাথে আছেন। প্রতিশ্রুতি পালনে তাঁর চেয়ে আর আর সত্যবাদী কেউ নেই।  এখানে আল্লাহর কাছে চাওয়ার ক্ষেত্রে নামাযের কথা বলেছেন। অবশ্য বান্দাহ সকল সময়ে তাঁর মনিবের কাছে তাঁর প্রয়োজন পেশ করবে এটিই স্বাভাবিক। চলতে ফিরতে সকল সময়ে বান্দার মুখ থেকে উচ্চারিত হবে- ‘ আল্লাহ আমাকে সাহায্য করো, দয়া করো, অনুগ্রহ করো ’ । রাস্তায় বের হয়েছে সে তার রবের কাছে নিরাপত্তা চাইবে, পরীক্ষা হলে বসে আল্লাহর...

ভালোবাসা হতে হবে কেবল আল্লাহরই জন্য

কাঁটাবন মসজিদের সম্মানিত খতিব আজকের খুতবায় মাতৃভাষার মর্যাদা ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবস প্রসঙ্গে আলোচনা করেন। ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি। এ মাসের একুশে ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষা বাংলার মর্যাদা রক্ষার্থে এ দেশের মানুষ জীবন দান করেন। তিনি তাঁদের মাগফেরাত কামনা করেন। কুরআনের আয়াত উদ্ধৃত করে বলেন, ভাষা আল্লাহর দান এবং পৃথিবীর সকল ভাষাই আল্লাহর সৃষ্টি। সকল রসুলকে তিনি তাঁদের মাতৃভাষায় কিতাব নাযিল করেছেন। এমন কি পশু-পাখির ভাষাও আল্লাহর সৃষ্টি। প্রত্যেকটি সৃষ্টিই তাদের ভাষায় আল্লাহর হামদ ও তাছবিহ করছে। আল্লাহর কুরআনকে জানার ও উপলব্ধির জন্য বাংলা ভাষার জ্ঞান অপরিহার্য। তিনি মাতৃভাষায় দ্বীনচর্চার জন্য মুছল্লিদের প্রতি আহবান জানান। ভ্যালেন্টাইন ডে বা বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে ভালোবাসার নামে একটি বিশেষ দিনে যুবক-যুবতিদের অবাধ মেলামেশা, পার্ক-রেস্টুরেন্টে পরস্পরে ভাবের আদান-প্রদান ও বেহায়াপনায় তিনি নিন্দা জানান। ভ্যালেন্টাইন ডে উৎপত্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ২৬৯ খ্রীষ্টাব্দে ইতালির রোমে সেন্ট ভ্যালেন্টাইন নামে এক পাদ্রী ও চিকিৎসক খ্রীষ্টধর্ম প্রচার করতেন। সে সময়ে খ্রীষ্টধর্ম রোমে নিষিদ্ধ ছিল। খ্রীষ্টধর্ম প্রচ...

প্রসঙ্গ ভ্যালেন্টাইন ডে

আজ   ১৪ ফেব্রুয়ারি। ভ্যালেন্টাইন ডে। সাড়ম্বরে পালিত হচ্ছে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। এ দিনে প্রেমিক-প্রেমিকারা পরস্পরের মাঝে ফুল বা নানা ধরনের সামগ্রী আদান-প্রদান করে এক অপরের প্রতি গভীর ভালোবাসা ও অনুরাগ প্রকাশ করে। যুবক-যুবতিরা সেজেগুজে রাস্তায় বের হয় এবং নানাভাবে আনন্দ প্রকাশ করে। একটি অশ্লীলতা ও বেহায়াপনা প্রকাশের কারণে ধর্মপ্রাণ মানুষ এটার প্রতি ঘৃণা ও বিদ্বেষ পোষণ করে থাকে। আমাদের দেশে ভ্যালেন্টাইন ডে ’ র প্রচলন খুবই সাম্প্রতিক। বলা হয়ে থাকে ১৯৯০ সনের পরে যায়যায়দিনের সম্পাদক জনাব শফিক রেহমান এর প্রচলনকারী। আমরা এর পেছনের ইতিহাস একটু দেখি। ২৬৯ খ্রীষ্টাব্দে ইতালির রোমে সেন্ট ভ্যালেন্টাইন নামে এক পাদ্রী ও চিকিৎসক খ্রীষ্টধর্ম প্রচার করতেন। সে সময়ে খ্রীষ্টধর্ম রোমে নিষিদ্ধ ছিল। খ্রীষ্টধর্ম প্রচারের অপরাধে রোম সম্রাট দ্বিতীয় ক্রাডিয়াস তাঁকে কারারুদ্ধ করেন। আর একটি বর্ণনায় পাওয়া যায় যুদ্ধের প্রয়োজনে রোম সম্রাট যুবক-যুবতিদের বিয়ে সাময়িক নিষিদ্ধ করেন। সেই পাদ্রী ভ্যালেন্টাইন নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে যুবক-যুবতিদের গোপনে বিয়ের ব্যবস্থা করেন। এ কারণে সম্রাট তাঁকে কারারুদ্ধ করেন। এ ব্যাপা...

জু’মা বক্তৃতা

মৃত্যু হলো সবচেয়ে বড়ো বাস্তবতা ধানমন্ডি তাকওয়া মসজিদে জু’মা আলোচনায় মসজিদের সম্মানিত খতিব আলহাজ্জ মাওলানা মুফতি সাইফুল ইসলাম আল্লাহর হামদ এবং রসুল (সা)-এর প্রতি দরুদ ও সালাম পেশের পর কুরআনের আয়াত উদ্ধৃত করেন ‘হে ঈমানদারগণ!তোমরা আল্লাহকে ভয় করো যেভাবে তাঁকে ভয় করা উচিৎ এবং মুসলমান না হয়ে মরো না’। তিনি ইতোপূর্বে মৃত্যু নিয়ে ধারাবাহিক আলোচনা করেছেন, আজকে করলেন এবং আগামী জু’মায় মৃত্যু পরবর্তী জীবন নিয়ে আলোচনা করার কথা জানালেন। তিনি তাঁর সমগ্র আলোচনা মৃত্যুকে নিয়ে পেশ করলেন। তিনি বলেন, মৃত্যুর চেয়ে বড়ো বাস্তবতা আর নেই। মৃত্যুকে কেউ কখনই এড়িয়ে চলতে পারেনি, না অতীতে, না বর্তমানে এবং ভবিষ্যতেও পারবে না। অথচ মানুষ বাস্তব বিষয়টি উপেক্ষা করে সম্পদের নেশায় পাগলের মতো ছুটছে। বিশাল ব্যাংক-ব্যালেন্স, গাড়ি-বাড়ি, বিষয়-সম্পদ, দামী আসবাবপত্র কোনো কিছুই সঙ্গে যাবে না, সবকিছু রেখে মানুষ শূন্যহাতে আল্লাহর কাছে ফিরে যাবে। সেদিন অবৈধ সম্পদের হিসেব দিতে হবে এবং তার পরিণতি তাকেই ভোগ করতে হবে। স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে, বন্ধু-বান্ধব কেহই এগিয়ে আসবে না। প্রসঙ্গক্রমে তিনি প্রযুক্তি জগতের আইকন স্টিভেন জব...

দুআ সরাসরি আল্লাহর কাছে

প্রায়ই জু'মার নামায (মাঝে-মধ্যে ওয়াক্তিয়া নামাযেও) শেষে ঘোষণা শুনি অমুক অমুক দুআ চেয়েছেন। এটা নিত্যদিনের ঘটনা। প্রশ্ন হচ্ছে এটা কতটুকু সুন্নাহ সমর্থিত। সূরা বাকারায় আল্লাহপাক দ্ব্যর্থহীনভাবে বলেছেন, বান্দাহ তার সকল প্রয়োজন তার রবের কাছেই পেশ করবে। আল্লাহর বাণী, 'হে নবী! আমার বান্দারা আমার সম্পর্কে জানতে চায়? বলে দাও, আমি তাদের অতি নিকটে। যে ডাকে আমার তার ডাক শুনি এবং জবাব দেই। কাজেই আমার আহবানে সাড়া দেয়া ও আমার ওপর ঈমান আনা তাদের একান্ত কর্তব্য।' এখানে বোঝা যায়, বান্দাহ আল্লাহ থেকে দূরে নয় এবং সকলের ডাক তিনি শুনেন। তাই সবার কর্তব্য তার প্রয়োজনটা সরাসরি আল্লাহর কাছে পেশ করা। আর আল্লাহর কাছে বান্দার চাওয়ার নির্দিষ্ট কোনো সময় নেই। সকল সময়ই সে তার প্রয়োজন তাঁর কাছে পেশ করতে পারে। তারপরও হাদিস থেকে জানা যায়, কিছু কিছু সময় ও মুহূর্ত আছে যে সময়ে দুআ কবুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। পিতা-মাতার জন্য সন্তানের দুআ করার ভাষাও আল্লাহ শিখিয়ে দিয়েছেন। তারপরও নিজে দুআ না করে আর একজনের কাছে ধর্ণা দেয়ার কোনো অর্থ আছে কি? নড়াইলে থাকতে সেখানকার কেন্দ্রীয় মসজিদ...

প্রতিনিয়ত মৃত্যুর খবর জেনেও উপলব্ধি নেই আমাদের

প্রতিনিয়তই মৃত্যুর খবর পাই। ফেসবুকের বদৌলতে বন্ধু-বান্ধব ও পরিচিত জনদের কাছ থেকে তাদের প্রিয়জনের বিদায় গ্রহণের খবরসহ দুআর আবেদন প্রায়ই শুনি এবং আমরাও ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলায়হি রাজেউন পাঠের সাথে বিভিন্ন ভাষায় মাগফিরাত কামনা করি। গত রাত সাড়ে এগারোটায় আমার শ্যালক বউ আমার স্ত্রীকে মোবাইল করে জানালো যে তার ছোট বোনের শাশুড়ি ইন্তেকাল করেছেন এবং তারা এইমাত্র সেখান থেকে বাসায় ফিরেছে। রাতে যশোরের আমাদের খুবই ঘনিষ্ঠ মিউনিসিপ্যাল স্কুলের হেড মাস্টার (অব) মাস্টার রুহুল কুদ্দুস ভাই-এর স্ত্রী মোবাইল করে জানালেন, তাঁর পিতা এড. নূর হোসেন (প্রাক্তন এমপি) দড়াটানা হাসপাতালে দশ দিন হলো অচেতন অবস্থায় রয়েছেন এবং দুআ চাইলেন। নড়াইলে যে বাড়িতে আমরা ভাড়া থাকতাম কয়েকদিন হলো সেই বাড়ির খালাম্মা (আমরা ছিলাম যাঁর খুবই স্নেহধন্য) ইন্তেকাল করেছেন। গতকাল খালাম্মার আমেরিকাপ্রবাসী দুই ছেলের সাথে কথা হলো। খালাম্মার দশ ছেলে-মেয়ের ২/১জন বাদে সবাই আমেরিকাপ্রবাসী এবং মৃত্যুর সময় প্রায় সবাই কাছে ছিলেন। মরহুমার বয়স ৯০ উর্ধে।  তাঁর ছেলে জানালেন, খুলনায় হাসপাতালে  ICU – তে রাখা হলে আম্মা সন্তানদের...