বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম
প্রতি বছরই হজ্ব নিয়ে নানা অব্যবস্থাপনা ও হয়রানির কথা আমরা শুনে থাকি। এবারো তার ব্যতিক্রম ছিল না। ভিসা, মোয়াল্লেম ফি ও বাসা ভাড়া জটিলতার কারণে এ পর্যন্ত ২৯টি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। এ বছরে ১ লক্ষ ২৭হাজার ১৯৮জনের হজ্বে যাওয়ার অনুমতি রয়েছে। তন্মধ্যে ভিসা পেয়েছেন ১লক্ষ ২২হাজার ৪২২জন। ভিসা প্রদানের মেয়াদ বাড়াতে আশা করা যায় যাদের ভিসা হয়নি তারা পেয়ে যাবেন। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সৌদী আরব পৌঁছেছেন ৭৩হাজার ৪৫জন হজ্বযাত্রী। হজ্বের সম্ভাব্য তারিখ ৩০শে আগস্ট। আগামী ২৬/২৭ তারিখের মধ্যে বাকি ৫৪হাজার হজ্বযাত্রীকে সৌদী আরব পৌঁছতে হবে। আমরা দোয়া করি এ বছরে যারাই হজ্বের নিয়ত করেছেন ও টাকা-পয়সা জমা দিয়েছেন সবাই যেন সুষ্ঠুভাবে হজ্বে যেতে পারেন ও হজ্ব সম্পন্ন করতে পারেন।
হজ্ব ইসলামের অন্যতম বুনিয়াদ। হজ্ব মানুষকে নির্ভেজাল তাওহীদবাদী করে। হযরত ইমাম আবু হানিফা (রহ) হজ্ব সম্পন্ন করার পরে বলেন-এটাই সেরা ইবাদত। আসলে সকল ইবাদতই যারযার অবস্থানে সেরা। হজ্ব মানুষকে সদ্যজাত শিশুর মত নিষ্পাপ করে দেয়। আল্লাহ চান তাঁর বান্দারা তাঁরই কাছে ফিরে আসুক ও গোনাহমুক্ত নতুন জীবন যাপন করুক। হজ্বের মাধ্যমে আল্লাহপাক তাঁর বান্দাদেরকে সে সুযোগই করে দেন।
এ বছরও আমার বেশ কিছু প্রিয়ভাজন ব্যক্তিবর্গ হজ্বে যাচ্ছেন বা গেছেন। তন্মধ্যে আমাদের জুনিয়াদহ থেকে ড. মীর মনজুর মাহমুদ, তাকওয়া মসজিদের সম্মানিত ইমাম হাফেজ মাওলানা আব্দুল হাফিজ মারূফ, আমাদের বেয়াই-বেয়াইন (ড. রাজিবের শ্বশুর-শাশুড়ি), চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় রাবির প্রফেসর ড. এনায়েত উল্যা পাটোয়ারী, খোকসা উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিসার আমার প্রিয়ভাজন জনাব ইজ্জত আলীর নেতৃত্বে ডা.সালেহ আহমদ এবং তাঁর মা ও স্ত্রী, আমাদের বাসার মালিক ও তাঁর স্ত্রী, আমাদের বাসার নীচের দোকান্দার ও আমার খুব প্রিয়ভাজন হাসান সাহেবসহ অনেকেই। আমরা আল্লাহতায়ালার কাছে তাদেরসহ সকল হজ্বযাত্রীর শারীরিক সুস্থতা, সেখানে নিরাপদ অবস্থান ও দেশে প্রত্যাবর্তন এবং হজ্বের কবুলিয়াতের জন্য দোয়া করি এবং তাঁদের কাছেও দোয়া চাই।
Comments
Post a Comment