বিসমিল্লাহির
রহমানির রহীম
রাতের শপথ-যখন
তা (আঁধারে) ঢেকে যায়, দিনের শপথ-যখন তা (আলোয়) উদ্ভাসিত হয়, পুরুষ ও নারী যা তিনি
সৃষ্টি করেছেন (তারও শপথ), অবশ্যই তোমাদের চেষ্টা-সাধনা নানামুখী। অতএব যে (আল্লাহর
পথে) দান করেছে এবং তাকওয়া অবলম্বন করেছে এবং সৎবৃত্তিকে সত্য বলে মেনে নিয়েছে, তাকে
আমি সহজ পথে চলা সহজ করে দেবো। যে ব্যক্তি কার্পণ্য করেছে এবং বেপরোয়া ভাব দেখিয়েছে
এবং সৎবৃত্তিকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছে, তাকে আমি কঠিন পথে চলা সহজ করে দেবো। আর তার
ধন-সম্পদ কোন্ কাজে লাগবে যখন সে ধ্বংস হয়ে যাবে?
অবশ্যই মানুষকে
সঠিক পথ প্রদর্শন করার দায়িত্ব আমার ওপর। দুনিয়া ও আখিরাতের নিরঙ্কুশ মালিকানা আমারই।
অতএব আমি তোমাদেরকে জ্বলন্ত অগ্নিকুন্ডের ব্যাপারে সাবধান করছি। নির্ঘাত পাপী ছাড়া
অন্য কেউই সেখানে প্রবেশ করবে না, যে (এ দিনকে) মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছে এবং (হেদায়াত
থেকে) মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। আর যে পরম মুত্তাকী ব্যক্তি পবিত্রতা অর্জনের জন্য নিজের
ধন-সম্পদ দান করে তাকে তা থেকে দূরে রাখা হবে। তার প্রতি কারো কোন অনুগ্রহ নেই যার
প্রতিদান তাকে দিতে হবে। সেতো কেবল তার রবের সন্তুষ্টি লাভের জন্য এ কাজ করে। আর তিনি
অবশ্যই তার প্রতি সন্তুষ্ট হবেন।
নামকরণ : সূরার
প্রথম শব্দকেই চিহ্নস্বরূপ নাম হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে।
নাযিলের সময়কাল
: মাক্কী সূরা এবং প্রথম দিকে অবতীর্ণ সূরাসমূহের অন্যতম। পূর্ববর্তী সূরা আশ শামস
ও তার পরের সূরা আল লাইলের বিষয়বস্তুর মধ্যে বেশ মিল রয়েছে। একই কথাকে ভিন্ন ভিন্নভাবে
ব্যাখ্যা করা হয়েছে। মনে হয়, সূরা দু’টি পাশাপাশি সময়ে নাযিল হয়েছে।
বিষয়বস্তু ও
মূল বক্তব্য : এই সূরাতে দু’টি অংশ রয়েছে-এক থেকে এগারো আয়াত প্রথমাংশ ও বারো থেকে একুশ আয়াত দ্বিতীয়াংশ।
প্রথমাংশে বলা হয়েছে রাত ও দিন এবং পুরুষ ও নারী যেমন পরস্পর বিপরিত তেমনি সমাজে মানুষের
নৈতিক চরিত্র ও কর্মপ্রচেষ্টাও পরস্পর বিপরিত। স্বাভাবিকভাবে এর পরিণতিও ভিন্নধর্মী
হবে। সৎ গুণাবলীর মধ্য থেকে ইতিবাচক তিনটি গুণ-আল্লাহর পথে ব্যয়, জীবনের সকল ক্ষেত্রে
আল্লাহকে ভয় করে চলা এবং ভালো কাজ ও কথাকে সত্য বলে মেনে নেয়া যদি কোন ব্যক্তি বা ব্যক্তি
সমষ্টির মধ্যে থাকে তাহলে আল্লাহপাক মানুষের স্বভাব-প্রকৃতির যে পথ অর্থাৎ আল্লাহর
মনোনীত সহজ পথে চলাটা তাদের জন্য সহজ করে দেন। এরূপ গুণবৈশিষ্ট্যের অধিকারী ব্যক্তিবর্গের
পক্ষে আল্লাহর নাফরমানি বা তাঁর বান্দাদের জন্য ক্ষতিকর কোন কাজ করা সম্ভব হয়ে ওঠে
না। পক্ষান্তরে যারা কার্পণ্য করে, বেপরোয়া ভাব দেখায় ও ভালো কথা ও কাজকে অমান্য করে
মানুষের স্বভাব-প্রকৃতির বিপরিত (ফিতরাতের বিপরিত) কঠিন পথে চলাটা তাদের জন্য সহজ করে
দেয়া হয়। সে আল্লাহর নাফরমানিমূলক কাজ-কর্ম এবং সর্বপ্রকার অন্যায় ও জুলুমমূলক কাজ-কর্মে
মেতে ওঠে। এই শ্রেণির মানুষের লক্ষ্যই থাকে ধন-সম্পদ পুঞ্জিভূত করা ও ভোগ-বিলাসে মত্ত
হয়ে ওঠা। অথচ সে জানে না, তার জীবনটা কত সীমিত এবং মৃত্যুর পরে এ সম্পদ তার কোন কাজে
আসবে না।
হেদায়াত দানের
মাধ্যমে মানুষের প্রতি যে আল্লাহর অসীম দয়া-অনুগ্রহ করা হয়েছে তা সূরার দ্বিতীয় ভাগে
উল্লেখ করা হয়েছে। পথ প্রদর্শনের এ দায়িত্বের মাঝে নবী ও কিতাব প্রেরণ বোঝানো হয়েছে।
দুনিয়া ও আখিরাতের সত্যিকার মালিক হলেন আল্লাহতায়ালা। তাঁরই কাছে চাইতে হবে। কাফিরদের
ভীতিপ্রদর্শন ও মু’মিনদের চরিত্রগঠনের লক্ষ্যে আখিরাতে ভয়াবহ
আযাবের কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে যে, আখিরাতকে অস্বীকার ও রাসূল (সা)-এর মাধ্যমে প্রেরিত
হেদায়াত থেকে যে মুখ ফিরিয়ে নেবে সেই হতভাগাই কেবল আযাবের সম্মুখীন হবে। আর যে আল্লাহকে
ভয় করে চলে ও তাঁর পথে ধনমাল ব্যয় করে তাকে সেই আযাব থেকে রেহাই দেয়া হবে।
ব্যাখ্যা :
এখানে দু’টি পথের উল্লেখ করা হয়েছে। উল্লেখ করতে
যেয়ে দু’টি বিপরিতধর্মী রাত ও দিন এবং পুরুষ ও
নারীর শপথ করা হয়েছে। এরা যেমন সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী, তেমনি মানুষের পথচলাও সম্পূর্ণ
ভিন্ন প্রকৃতির এবং তার পরিণতিও ভিন্নধর্মী হবে। দু’টি পথের একটি
সহজ ও সরল পথ যা তার প্রকৃতির সাথে সামঞ্জস্যশীল এবং মানুষের বিবেক-বুদ্ধির অনুকূল,
যে পথ আল্লাহতায়ালা নবী-রাসূলদের মাধ্যমে দান করেছেন। অবশ্য সূরা বালাদে এই পথে চলাকে
দুর্গম গিরিপথ অতিক্রম করার সাথে তুলনা করেছেন এবং সূরা বাকারায় নামায আদায়কে বড় কঠিন
বলেছেন। হ্যাঁ, তাদের জন্যই এ পথ কঠিন যারা আখিরাতকে অবিশ্বাস করে। এই সহজ সরল পথে
চলার জন্য তিনটি গুণ অবশ্যম্ভাবী। মানবসমাজের মাঝে এই গুণবৈশিষ্ট্যের অধিকারীরা হলেন
এক ধরনের চরিত্রের। গুণসমূহ হলো-প্রথমত আল্লাহর পথে অর্থব্যয়। মানুষের ধন-সম্পদ সবই
আল্লাহর দেয়া। তিনি বলেছেন তাঁর দেয়া রিজিক থেকে ব্যয় করো। আল্লাহর পথে চলার জন্য মানুষকে
উদার ও প্রশস্ততার অধিকারী হতে হবে। অর্থাৎ সে নিজের, পরিবারের ও আল্লাহর বান্দাদের
ও তাঁর দ্বীনের প্রয়োজনে ব্যয় করবে। দ্বিতীয়ত, সর্বাবস্থায় আল্লাহকে ভয় করে চলার নীতি
অবলম্বন, অর্থাৎ বেছে বেছে সুনির্দিষ্ট কিছু হুকুম-আহকাম পালন নয়, জীবনে উপার্জন ও
ব্যয়, তাঁর বান্দাদের সাথে আচরণ সকল ক্ষেত্রে আল্লাহকে ভয় করে চলা এবং সত্যকে দ্বিধাহীন
চিত্তে মেনে চলার মনোবৃত্তির মাধ্যমে যে নৈতিকতা গড়ে ওঠে, এমন লোকদেরকে আল্লাহপাক তাঁর
পথে চলাটা সহজ করে দেন। আল্লাহর হুকুম পালনের ক্ষেত্রে শীত-বর্ষা-গরম নেই এবং কোন প্রলোভন
বা ভয় তাদেরকে সত্য থেকে বিচ্যুত করতে পারে না। যত ধরনের কষ্ট (আর্থিক অনটন বা রোগ-শোক)
বা দুনিয়ার জীবন যত সঙ্কটাপন্নই হোক না কেন সত্যের ওপর টিকে থাকার জন্য অনঢ় মনোবল ও
পরম ধৈর্য স্বয়ং আল্লাহপাকই তাদেরকে দিয়ে থাকেন। এভাবে আল্লাহর পথে চলাটাকে তাদের জন্য
সহজ করে দেয়া হয়। আল্লাহর পথের বিপরিত পথকে তিনি কঠিন পথ বলেছেন, সে পথে তার বিবেক
সায় না, তার আত্মীয়-স্বজন ও সমাজ সবার কাছে অপছন্দের। সে পথ হলো সুদ-ঘুষ-দুর্নীতি,
যিনা-ব্যাভিচার, মাদকাসক্তি, আল্লাহর বান্দাদের ওপর জুলুম-নিপীড়নের পথ, এ পথ আসলেই
কঠিন; কিন্তু যারা কার্পণ্য করে, আল্লাহর দেয়া হেদায়াতের ব্যাপারে বেপরোয় ভাব দেখায়
এবং সত্য কথাকে মেনে নিতে অস্বীকার করে, তাদের জন্য এই কঠিন পথে চলাটাকে আল্লাহ সহজ
করে দেন। দুনিয়ার নাম-যশ-খ্যাতি-প্রভাব-প্রতিপত্তি ও অর্থ-বৃত্তের পেছনে তারা পাগলের
মত ছুটে, ন্যায়-অন্যায়বোধ হারিয়ে ফেলে, গুম-খুন, জুলুম-নির্যাতন কোন কিছুতেই তারা পিছপা
হয় না। তাদের বিবেক মরে যায় এবং মিথ্যা সাক্ষ্যদান ও নিরীহ-নিরপরাধ আল্লাহর বান্দাদের
শাস্তিদানসহ কোন কিছুতেই তাদের বিবেক বাধা দেয়না। অর্থের প্রলোভনে একসাথে সাত খুন করে
লাশ গোপনও এই শ্রেণির মানুষের দ্বারা সম্ভব এবং এ সবই আল্লাহতায়ালা তাদের দ্বারা সহজ
করে দিয়েছেন। আল্লাহর জিজ্ঞাসা, যে সম্পদের পেছনে ন্যায়-অন্যায় ভুলে গিয়ে সে উন্মাদের
মত ছুটছে-মৃত্যুর পরে এই সম্পদ তার কোন্ কাজে লাগবে? মানুষের উপলব্ধিতে আনার জন্যই
আল্লাহর এই জিজ্ঞাসা। আমরা প্রতিনিয়তই মৃত্যুর কথা শুনি ও দেখি, জানাযায় শরীক হই, ফেসবুকে
ও পত্র-পত্রিকায় মাগফেরাত কামনা করে পোস্ট দেই, কিন্তু আমার নিজের মৃত্যুর কথা একটুও
চিন্তা করি না। এমন চিন্তা আসলে হয়তো আমাদের ধনলিপ্সা হ্রাস পেত ও সমাজে অপরাধপ্রবণতা
কমে যেত।
সূরার দ্বিতীয়
ভাগে বলা হয়েছে পথপ্রদর্শন আল্লাহরই দায়িত্ব। মানুষকে ভালো-মন্দ উপলব্ধির মত বিবেক-বুদ্ধি
দিয়েই তিনি ক্ষান্ত হননি, সাথে সাথে তাঁর পক্ষ থেকে হেদায়াতসহ অসংখ্য নবী-রাসূল প্রেরণ
করেছেন। হযরত আদম (আ) শুধু প্রথম মানুষই নন, সাথে সাথে তিনি একজন নবী এবং হেদায়াত দানের
ব্যাপারে তিনি প্রতিশ্রুতিবদ্ধও। আদম (আ)-কে পৃথিবীতে পাঠানোর সময় ভীত-সন্ত্রস্ত আদম
(আ)-কে আল্লাহ বলেছিলেন-‘আমার পক্ষ থেকে যে হেদায়াত যাবে যারা তা
অনুসরণ করবে তাদের কোন ভয়ের কারণ নেই।’ শেষ যামানার
মানুষকে হেদায়াত দানের জন্য মুহাম্মদ (সা)-কে সর্বশেষ নবী ও রাসূল এবং কুরআনকে হেদায়াত
হিসেবে প্রেরণ তাঁর দায়িত্বেরই অংশ। তাই মানুষ দুনিয়া ও আখিরাতে মুক্তি চাইলে মুহাম্মদ
(সা)-কে অনুসরণের কোন বিকল্প নেই। দুনিয়া ও আখিরাতের একচ্ছত্র মালিক আল্লাহ। তাই আল্লাহর
নাগালের বাইরে যাওয়া কারো পক্ষে সম্ভব নয় এবং তাঁকে বাদ দিয়ে দুনিয়া ও আখিরাতে কোন
কল্যাণ লাভও সম্ভব নয়। কাফির-মুশরিকদেরকে দুনিয়ায় যা কিছু দেয়া হচ্ছে তা স্রেফ পরীক্ষা।
আল্লাহর দেয়া এ সম্পদ ও যোগ্যতা মানুষ কিসে ব্যবহার করে (আল্লাহর সন্তুষ্টিতে না নাফরমানিতে)-প্রতিনিয়ত
তারই পরীক্ষা চলছে। এরপর আল্লাহ ভয়াবহ আযাব সম্পর্কে হুশিয়ার করে দিয়েছেন। দু’টি বিপরিতমুখী চরিত্রের বিপরিতমুখী পরিণতি স্পষ্ট করে বলা হয়েছে যে,
জ্বলন্ত আগুনে নিক্ষিপ্ত হবে সেই হতভাগা যে আখিরাতকে অবিশ্বাস করে ও আল্লাহর দেয়া হেদায়াত
থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। পক্ষান্তরে তা থেকে দূরে রাখা হবে সেই পরহেজগার ব্যক্তিকে, যে আল্লাহকে ভয় করার মধ্য দিয়ে তার জীনটাকে সাজায় এবং
নিজের ও সম্পদের পবিত্রতা সাধনের লক্ষ্যে সেই সম্পদ অকাতরে আল্লাহর পথে ব্যয় করে। তার
এই সম্পদ ব্যয় কারো অনুগ্রহের কোন বদলা নয় বা ভবিষ্যতে সে কোন বিনিময় লাভ করবে সেজন্যও
নয়। সে করে শুধুমাত্র তার রবের সন্তুষ্টির লক্ষ্যে এবং এ কাজের বিনিময়ে তার রব অবশ্যই
সন্তুষ্ট হয়ে যাবেন। হযরত আবু বকর (রা) মক্কায় ইসলাম গ্রহণের কারণে নির্যাতিত দাস-দাসীদের
খরিদ করে মুক্তি দান করার প্রেক্ষিতে একদিন তাঁর পিতা তাঁকে ডেকে নিয়ে বলেন, ‘তুমি যাদের পেছনে অর্থ ব্যয় করছো, তারা তো তোমার কোন কাজে আসবে না।’ জবাবে তিনি বলেন, ‘আব্বা! আমি
তো তা করি কেবল আমার রবের সন্তুষ্টির জন্য।’ হ্যাঁ, ঈমানদারদের
সম্পর্কে আল্লাহর উক্তি-‘আমরা তাদের খানা খাওয়ায় কোন বিনিময় ছাড়াই,
এমন কি কোন শুকরিয়াও আশা করি না।’
শিক্ষা : মাক্কী
সূরায় ছোট্ট ছোট্ট বাক্যে কাফির ও ঈমানদার উভয়ের উদ্দেশ্যে বড় আকর্ষণীয় ভাষায় ভয় ও
নছিয়ত করা হয়েছে। এখানে দু’ধরনের চরিত্র-রাসূল (সা)-এর দাওয়াতে সাড়াদানকারী
ঈমানদারদের একধরনের চরিত্র, যার প্রেক্ষিতে আল্লাহর পক্ষ থেকে সহজ ও সরল পথে চলার সহযোগিতা
দান এবং পরিণতি হিসেবে জাহান্নাম থেকে মুক্তি ও জান্নাতের সুসংবাদের কথা বলা হয়েছে।
আল্লাহতায়ালা যে গুণবৈশিষ্ট্যের কথা এখানে বলেছেন, অর্থাৎ আল্লাহর পথে উদারহস্তে ব্যয়,
জীবনের সকল ক্ষেত্রে তাঁকে ভয় করে চলা এবং সত্য ও ন্যায়ের কাছে অবনত হয়ে নিজের সকল
অহমিকা বিসর্জন দিয়ে জীবনটাকে আল্লাহর রঙে রাঙিয়ে তোলা ঈমানদার মাত্রই কর্তব্য। ইসলামে
বংশমর্যাদা তেমন মূল্যবহন করে না বা স্রেফ
বিশ্বাসও মূল্যহীন। বিশ্বাস ও আমলের সংমিশ্রণে যে জীবন সেটাই আল্লাহর কাছে গুরুত্ব
বহন করে। আল্লাহর ভয় অত্যন্ত ব্যাপক এবং যার মধ্যে আল্লাহর ভয় রয়েছে সে স্বতস্ফুর্তভাবে
আল্লাহর হুকুম পালন ও তাঁর নাফরমানী থেকে বিরত থাকতে পারে। আল্লাহপাক আমাদেরকে পরিপূর্ণভাবে
তাঁর আনুগত্যে অবিচল থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন। ১৪/০৭/২০১৭
Comments
Post a Comment