বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম
গত
৩১ শে জুলাই ২০১৭, ১৬ই শ্রাবণ ১৪২৪, ০৬ই জিলকদ ১৪৩৮ সোমবার দুপুর পৌনে বারোটায় স্কয়ার
হাসপাতালে আমাদের মেয়ে-জামাই তাহেরা ও মনিরের প্রথম মেয়ে তাসিফার পরে ছেলের জন্ম হয়।
জন্মের সময় বাচ্চার ওজন ছিল ৩ কেজি ৬৭৪ গ্রাম। সিজার করে বাচ্চার জন্ম হয়। আল্লাহতায়ালার
অপার মেহেরবাণীতে কোন ধরণের জটিলতা ছাড়াই সুস্থ ও স্বাভাবিক সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়। আলহামদু
লিল্লাহ।
জন্মের
সময় মনিরসহ তাওফির দাদী-নানী ও দুই ফুফু মোহসিনা ও তামান্না হাসপাতালে উপস্থিত ছিল।
স্কয়ার হাসপাতাল বাংলাদেশের সেরা হাসপাতালসমূহের অন্যতম। এটার সেবার মান যেমন উন্নত
তেমনি ব্যয়বহুলও। এক লক্ষ ত্রিশ হাজার টাকার প্যাকেজে (ভর্তির সময়েই পরিশোধ করতে হয়)
সেখানে ভর্তি করা হয়েছিল। পরবর্তীতে আর কোন ব্যয় বা বখশিস জাতীয় কিছু লাগেনি। হাসপাতালের
শৃঙ্খলা ও পরিবেশ বেশ উন্নত। দর্শনার্থী সেখানে খুবই সীমিত। সন্তান জন্মের পাঁচ ঘন্টা
পরে শিশু ও তার মাকে কেবিনে দেয়া হয়। কেবিনে দেয়ার পরে আমরা দুই বেয়াই (তাওফির দাদা
ও নানা) হাসপাতালে যাই। সেদিনই ছেলের মা-বাবা মিলে নাম রাখে আহমদ তাওফি। হাসপাতালে
বেশ প্রশস্ত কেবিনে মনিরের সাথে তাওফির দাদী ও নানী পালাক্রমে ছিলেন। একটি পরিবারে
সন্তানের আগমন বয়ে আনে অপার আনন্দ। আমাদের সমাজে সাধারণত ছেলের মাধ্যমে বংশধারা অব্যাহত
থাকে। তাওফি তার দাদা-দাদীর বংশের প্রথম উত্তরাধিকার। তাওফির দাদা-দাদী তাদের নাতিকে
স্বাগত জানানোর জন্য জন্মের পূর্বেই পটুয়াখালী থেকে ঢাকায় চলে আসেন। আমরাও চলে এসেছিলাম।
ফলে তাওফির দাদা ও নানা উভয় পরিবারের সবাই ছিল বেশ উৎফুল্ল।তাসিফা তার বেবী ব্রাদার
পেয়ে দারুণ খুশি।আমরা পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালার দরবারে তাওফির সুস্থতা, দীর্ঘায়ু ও
তাঁর একান্ত প্রিয়ভাজন বান্দাহ হিসেবে চলার তাওফিক কামনা করি। সোমবার আমাদের প্রিয়তম
নবীর জন্মদিন। এই দিনে জন্মগ্রহণ করায় এবং পিতা-মাতার নামের সাথে মিল রেখে তার নাম
রাখা হয়েছে আহমদ তাহফি। আমরা দোয়া করি আহমদ নাম রাখার সার্থকতা যেন আমাদের নাতি লাভ
করেন।
৩রা
আগস্ট বৃহস্পতিবার তাওফিকে হাসপাতাল থেকে তাদের ধানমন্ডি বাসায় আনা হয়। আসার সময় সে
যানজটে পড়ে। দুপুর পৌনে দু’টায় হাসপাতাল ত্যাগ করে বাসায় পৌঁছে বিকেল ৫-০০টায়
(অর্থাৎ সময় লাগে সোয়া তিন ঘন্টা যেখানে হেঁটে আসতে লাগে ১৫-২০ মিনিট)। সপ্তম দিনে
৬ই আগস্ট রবিবার তাওফির আকিকা দেয়া হয়। বাড়িতে একট ছাগল জবেহ করে স্থানীয় মাদরাসা ও
ইয়াতিমখানায় খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। ঢাকায় দুপুরে মনিরের অফিসে শ’ খানেক লোকের আপ্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়। সেখানে মেনু ছিল মুরগী পোলাও,
খাসির গোশ ও কোল্ড ড্রিঙ্ক। রাত্রে মনিরের বাবা ও শ্বশুর পক্ষের ঢাকাস্থ সকল আত্মীয়-স্বজন,
পরিবারসহ নিউভিশনের চেয়ারম্যান ও সকল ডাইরেক্টর, বন্ধু-বান্ধব, বাসার তাদের ফ্লোরের
বাসিন্দা ও বিল্ডিং-এর সকল কর্মচারী (০৯ জন) মিলে শ’ দেড়েক লোকের আপ্যায়নের
ব্যবস্থা করা হয়। আমাদের আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে পাতা ও তামিম, তাহেরার বড় মামী, তিন
মামা ও খালার পরিবার (বেলি, বকুল, শিমুল, রিমুল ও কনা সপরিবারে), বিলকিসের পরিবার,
কুটি তার ছেলে-মেয়েসহ, লতিফ ও আকিব উপস্থিত ছিল। মেনু ছিল পোলাও, নানরুটি, রোস্ট, মুড়িঘন্ট,
গরু ও খাসির গোশ, বুরহানি ও কয়েক পদের মিষ্টি। হোটেলে কন্টাক্ট করা হয়েছিল জনপ্রতি
৪৫০/- টাকায়। আকিকা উপলক্ষে তাওফির দুই দাদা (মনিরের আব্বা ও বড় মামা) পটুয়াখালী থেকে
এসেছিলেন। নবম দিনে ৮ই আগস্ট মঙ্গলবার তাওফির দাদী ও দুই দাদা রাতের লঞ্চে পটুয়াখালী
ফিরে গেলেন। আমরা আল্লাহতায়ালার কাছে আবারো দোয়া করি তাওফি যেন তার দাদা ও নানা উভয়
পরিবারে সবার চোখকে শীতল করতে পারে।
হে
পরোয়ারদেগার! তুমি তোমার এই নবজাত বান্দাসহ তার পিতা-মাতা ও পরিবারকে তোমার পূর্ণ হেফাজতে
গ্রহণ করো, বিপদাপদ থেকে রক্ষা করো ও তোমার পথে চলাটা সহজ করে দাও। আমিন। ০৮/০৮/২০১৭
Comments
Post a Comment