Skip to main content

আজ আল্লাহর এক বান্দি চলে গেল তার রবের কাছে


আমাদের নিকটতম প্রতিবেশী আহসান উদ্দিনের (চেরু) স্ত্রী ভানু মাস দুই অসুস্থ থেকে আজ ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলায়হি রজেউন)।  

এরা সব হতদরিদ্র মানুষ। না ছিল লেখাপড়া আর না ছিল অর্থবৃত্ত। তদুপরি নানা রোগব্যাধিতে অধিকাংশ সময় ভুগতো। চেরু খুব দরিদ্র মানুষ। কিন্তু তাকে মসজিদে পেতাম। এই দরিদ্র লোকগুলো ছিল আমার আব্বার খুব স্নেহভাজন। অনেক সময় দেখতাম, আব্বা কোথাও যাওয়ার সময় চেরুকে সঙ্গে করে নিয়ে যাচ্ছেন।

এরা আল্লাহর অনুগত। বিদ্রোহী তো নয়ই আবার জালেমও নন। আল্লাহপাক তাঁর এসব দরিদ্র বান্দাদের ক্ষমা করার জন্য নানা উপায় তালাশ করবেন। রসুলুল্লাহ সা. বলেছেন, ধনী ব্যক্তির তুলনায় দরিদ্র ব্যক্তি পাঁচশত বছর পূর্বে জান্নাতে যাবে। আমি আমার আল্লাহকে যতটুকু বুঝেছি ও অনুভব করি তাতে আমার দৃঢ় বিশ্বাস এই চেরুরা হবে জান্নাতি এবং যথার্থই ধনী। কারণ তারা নানাভাবে জুলুমের শিকার। আখেরাতে আল্লাহপাক জালেমদের নিকট থেকে সকল পাওনা আদায় করে তাদের ধনী বানিয়ে দিবেন। আর যাদেরকে ধনী মনে করা হচ্ছে জুলুম করার কারণে আখেরাতে তারা হয়ে পড়বে নিঃস্ব ও হতদরিদ্র। কারণ জুলুমের পরিণতিই হলো জাহান্নাম। জান্নাতে জালেমের জন্য কোনো বরাদ্দ নেই। আল্লাহপাক তাঁর কিতাবে সেটিই বলেছেন। 

চেরু আমার আব্বার মৃত্যুর আগেই মারা গেছেন। আজ মারা গেল তার স্ত্রী। বাদ এশা গাছিয়া দৌলতপুর ঈদগাহে জানাজা শেষে গোরস্থানে তাকে সমাহিত করা হলো। জানাজার পূর্বে কিছু কথা বলারও সুযোগ হলো।আল্লাহ তায়ালার দরবারে লাখো শুকরিয়া যে পরপর আল্লাহর দুই বান্দির জানাজা ও দাফনে শরীক হওয়ার তৌফিক পেলাম। দোয়া করি, আল্লাহপাক যেন দুনিয়ার জীবনে পিছিয়ে থাকা তাঁর এই বান্দা-বান্দিকে ক্ষমা করে জান্নাতে একটু স্থান করে দেন। আমিন।

Comments