Skip to main content

ঈদগাহে আলোচনা


আল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবর, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবর ওয়া লিল্লাহিল হামদ।

মুসলিম জাতির পিতা হজরত ইব্রাহিম আ. ও তাঁর পরিবারের চরম আত্মত্যাগের স্মারক হিসেবে আমরা প্রতিবছর পশু কুরবানি করে থাকি। এটা প্রতিকী। এই কুরবানি দানের মাধ্যমে আমরা ঘোষণা করি, নিশ্চয়ই আমার নামাজ, যাবতীয় ইবাদত অনুষ্ঠান এবং জীবন ও মরণ আল্লাহর জন্য। তাঁর কোনো শরিক নেই। হজরত ইব্রাহিম আ. স্বপ্নে আদিষ্ট হয়ে প্রাণাধিক পুত্রের গলায় ছুরি চালিয়েছিলেন। মুসলিম তো সেই যে আল্লাহ ও তাঁর রসুল সা.-এর কোনো আদেশ শুনলে বলে, 'আমরা শুনলাম ও মেনে নিলাম'।

ইব্রাহিম আ. আল্লাহর নির্দেশ পালন করতে গিয়ে একের পর এক পরীক্ষার মুখোমুখি হয়েছেন এবং আল্লাহর হুকুম পালনে কখনই আপত্তি করেননি। অথচ আমরা প্রতিনিয়তই আল্লাহর হুকুম অমান্য করছি। নামাজের মতো মৌলিক ইবাদত পালনেও আমরা গাফেল। নামাজ মুসলিম হওয়ার জন্য দলিল ও প্রমাণ। যতো প্রতিকূল অবস্থা হোক না কেন নামাজে যেন আমরা অবহেলা না করি। ড. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর বড় আবেগভরা কণ্ঠে তরুণদের বলেছেন, তোমার সিনেমা হলে থাকলেও ওয়াক্ত হলে নামাজ পড়ে নিও, খেলার মাঠে থাকলেও নামাজ পড়ে নিও। কোনো অবস্থাতেই নামাজ বাদ দিও না। এই নামাজই তোমার নাজাতের কারণ হতে পারে। 

পরস্পর হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে যেতে হবে। হিংসা সকল নেক আমল ধ্বংস করে। বিশেষ বিশেষ দিনে আল্লাহ তায়ালা তাঁর অগণিত বান্দাকে ক্ষমা করেন। ক্ষমা থেকে বাদ পড়ে কেবল মুশরিক ও হিংসুক। রসুলুল্লাহ সা. বলেছেন, আগুন যেমন শুকনা কাঠ জ্বালিয়ে ভস্ম করে দেয় তেমনি হিংসা মানুষের নেক আমল ধ্বংস করে দেয়। আল্লাহপাক সুরা ফালাকে হিংসুকের অনিষ্ট থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আল্লাহর কাছে আশ্রয় চেতে বলেছেন। হিংসা থেকে বাঁচতে হলে উদার হতে হবে এবং মানুষকে ক্ষমা করতে হবে। মানুষকে ক্ষমা করলে আল্লাহর ক্ষমা পাওয়া যাবে। 

এই ঈদের জামাতে আমাদের সকল পাপাচার থেকে আল্লাহর কাছে তওবা করি এবং হিংসা থেকে মুক্ত হয়ে যাই ও মানুষকে ক্ষমা করি। আল্লাহ তায়ালা আমাদের তৌফিক দান করুন। আমিন।

Comments