মহান আল্লাহ তায়ালা তাঁর সকল সৃষ্টির মধ্যে ভালোবাসা দান করেছেন। এই ভালোবাসা মূলত তাঁর সৃষ্টিকে টিকে রাখার জন্যই। সন্তানের প্রতি বাবা-মার, বাবা-মার প্রতি সন্তানের ও স্বামী-স্ত্রীর পরস্পরের প্রতি ভালোবাসা প্রকৃতিজাত এবং যা প্রকৃতিজাত তাই ইসলাম। প্রকৃতির রাজ্যে গাছ-গাছালি, পশু-পাখি, জীব-জানোয়ার এককথায় আল্লাহর অপরূপ সৃষ্টির প্রতি অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকা ও সেটি উপভোগ করা এবং তা থেকে উপকৃত হওয়া বান্দার অধিকার। আল্লাহপাক এই পৃথিবীকে অপরূপ সাজে সজ্জিত করেছেন এবং এর সৌন্দর্যের প্রতি মানুষের হৃদয়ে সৃষ্টি করেছেন তীব্র আকর্ষণ। মানুষ আল্লাহর এই সৃষ্টিকে ভালোবাসবে এবং কৃতজ্ঞতায় তাঁর প্রতি অবনত হবে, এটিই স্বাভাবিক। দুর্ভাগ্য, অজ্ঞতা ও শয়তানের প্ররোচনায় স্রষ্টাকে বাদ দিয়ে অনেক সময় মানুষ সৃষ্টির পূজারি হয় এবং এরই নাম শিরক। কুরআন মজিদ খুলে আমরা প্রথম যে শব্দটি পাই, সেটি হলো ‘আলহামদু লিল্লাহ’। এই শব্দটির মাধ্যমে ব্যক্তিপূজা ও সৃষ্টিপূজার মূলোত্পাটন করা হয়েছে। মানুষের ভালোবাসা পাওয়ার সবচেয়ে বড় হকদার হলেন মহান স্রষ্টা আল্লাহ রব্বুল আলামিন। আর সকল ভালোবাসা হতে হবে তাঁর অধীন। কারো প্রতি ভালোবাসা ত...
ইসলাম ও সমসাময়িক বিষয়ে ব্যক্তিগত ব্লগ