Skip to main content

একজন মুসলিমের পরিচয়

সহজ কথায় একজন মুসলিম সেই যে ইসলামে বিশ্বাস করে, ইসলাম মানে ও ইসলাম প্রতিষ্ঠায় চেষ্টা-প্রচেষ্টায় চালায় এবং ইসলামের বিজয় কামনা করে। ইসলাম আল্লাহ তায়ালা প্রদত্ত পূর্ণাঙ্গ জীবনাদর্শ। কুরআনের ভাষায় ‘ইসলামই আল্লাহর মনোনীত একমাত্র দীন (আদদীন)’-সুরা আলে ইমরান। ইসলামকে খণ্ডিতভাবে মানার কোনো সুযোগ নেই। পরিপূর্ণভাবে মানার জন্য আল্লাহপাকের নির্দেশ। তাঁর বাণী, ‘হে ইমানদার লোকেরা! তোমরা পুরোপুরি ইসলামে দাখিল হও এবং কোনো অবস্থাতেই শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না; অবশ্যই সে তোমাদের প্রকাশ্য দুশমন’- সুরা বাকারা ২০৮। একজন ব্যক্তি ধর্মে মুসলিম, রাজনীতিতে ধর্মনিরপেক্ষ/গণতন্ত্রী, অর্থনীতিতে পুঁজিবাদী/সমাজবাদী, সংস্কৃতিতে প্রবৃত্তিপুজারি/ভোগবাদী হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। চেতনা লাভের পর থেকে মৃত্যু পর্যন্ত একজন ব্যক্তি সর্বদা আল্লাহর গোলাম এবং গোলামীর বাইরে তার আলাদা কোনো জীবন নেই। আল্লাহর বিধানের বাইরে যা তা মূলত শয়তানেরই অনুসরণ। আল্লাহর বাণী, ‘যদি কেউ ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো জীবন বিধান অনুসন্ধান করে তবে তার কাছ থেকে তা কখনো গ্রহণ করা হবে না, পরকালে সে হবে চরমভাবে ব্যর্থ’- আলে ইমরান ৮৫। পরিপূর্ণভাবে ইসলামকে মানার জন্য প্রয়োজন সমাজে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত থাকা। সমাজে ইসলাম কায়েম না থাকলে পরিপূর্ণভাবে মানা সম্ভব নয়। তাই আল্লাহপাক সকল নবি-রসুলকে দীন কায়েমের দায়িত্ব দিয়েই পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। আল্লাহ তাঁর বিশিষ্ট কয়েকজন নবির নাম উল্লেখ করে বলেছেন, ‘আল্লাহ তোমাদের জন্য দীনের সেই নিয়ম-বিধান নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন যার আদেশ তিনি নুহকে দিয়েছিলেন, যা আমি তোমার (মুহাম্মদ সা) প্রতি আদেশ করেছি এবং যার আদেশ দিয়েছিলাম ইবরাহিম, মুসা ও ইসাকে এই মর্মে, তোমরা দীন কায়েম করো এবং তাতে অনৈক্য সৃষ্টি করো না’- সুরা শুরা ১৩। আল্লাহপাক তাঁর সর্বশেষ নবি মুহাম্মদ (সা)-কে পাঠিয়েছেন তাঁর দীনকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে। এ কথাটি তিনি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় কুরআন মজিদে তিন জায়গা সুরা তাওবা (৩৩ নং), সুরা ফাতাহ্ (২৮ নং) ও সুরা সফে (৯ নং) উল্লেখ করেছেন। তাঁর বাণী, ‘তিনি আপন রসুলকে হেদায়াত ও সঠিক জীবনব্যবস্থা (দীনে হক) দিয়ে পাঠিয়েছেন যাতে সকল জীবনব্যবস্থার ওপর একে বিজয়ী করে দিতে পারেন, মুশরিকদের কাছে তা যতই অসহনীয় হোক’- সুরা সফ ৯। রাষ্ট্র বা সমাজে দীন কায়েম থাকলে দীন মানা সহজ হয়ে যায়। এজন্য আল্লাহপাক তাঁর বিধান (শরীয়ত) ক্রমান্বয়ে নাজিল করেছেন এবং অধিকাংশ বিধি-বিধান মদিনায় ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পরই নাজিল হয়েছে। ইসলামকে ব্যক্তিগত জীবনে নিছক ধর্ম হিসেবে পালনে ইহুদি, খৃষ্টান ও মুশরিকদের কোনো আপত্তি নেই। রাষ্ট্রীয় দীন হিসেবে ইসলাম প্রতিষ্ঠার প্রশ্নে ইসলামের শত্রুরা বড় অসহনীয় এবং সেক্ষেত্রে কাফের, মুশরিক ও মুনাফিকরা ঐক্যবদ্ধ। ‘মুশরিকদের কাছে তা যতই অসহনীয় হোক’- একথা বলে তাদের শত্রুতার কথা আল্লাহ নিজেই জানিয়ে দিয়েছেন। আল্লাহর পক্ষ থেকে যতো নবি-রসুল এসেছেন সবার একই আওয়াজ ছিল- ‘আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই’। আল্লাহকে ইলাহ মানো তা নয়, আল্লাহ ছাড়া সকল ইলাহকে অস্বীকার করো। আল্লাহর স্পষ্ট ঘোষণা, ‘তোমরা আল্লাহর আনুগত্য করো এবং তাগুতকে অস্বীকার করো’- সুরা আন নহল ৩৬। ইসলামের বিপক্ষে সকল ব্যবস্থাপনা অস্বীকার করেই ইমান আনতে হয়। দীনের আংশিক মানা একজন মুসলিমের পক্ষে কখনই সম্ভব নয়। আল্লাহর দাবি, ‘তোমরা পুরোপুরি ইসলামে দাখিল হও’। কিছু মানা ও কিছু অমান্য করার পরিণতি ভয়াবহ বলে আল্লাহ উল্লেখ করেছেন, ‘তোমরা কি দীনের কিছু অংশ মানবে এবং কিছু অংশ অমান্য করবে, তাহলে দুনিয়ার জীবনে রয়েছে জিল্লতি ও আখেরাতে রয়েছে ভয়াবহ আজাব’- সুরা বাকারা ৮৫। প্রতিটি মানুষ চায়, সে যে আদর্শ বিশ্বাস করে সেটিই বিজয়ী হোক এবং সে এজন্য প্রাণপণ প্রচেষ্টা চালায়। একজন সমাজতন্ত্রী তখনই সমাজতন্ত্রী যখন সে সমাজতন্ত্র নামক আদর্শ বিশ্বাস করে, সে অনুসারে নিজেকে গড়ে তুলে ও তা প্রতিষ্ঠার জন্য প্রচেষ্টা চালায়। অন্য কোনো জীবনাদর্শের অধীনে সে কখনো সন্তুষ্ট থাকে না। তেমনিভাবে একজন মুসলিম তাকেই বলে, যে ইসলামকে নিজের জীবনাদর্শ হিসেবে বিশ্বাস করে, জীবনে ইসলাম মেনে চলে এবং সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য প্রাণপণ প্রচেষ্টা চালায়। আল্লাহর ঘোষণা মোতাবেক ইসলাম ছাড়া আর যা কিছু সবই শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ এবং আল্লাহ তায়ালা তা কখনই গ্রহণ করবেন না। আল্লাহপাক ইমান ও নেক আমলে সমৃদ্ধ ব্যক্তিবর্গকে জান্নাতের প্রতিশ্রুতি প্রদান করলেও একটি অনৈসলামিক সমাজে নেক আমল করে জান্নাতে যাওয়া দুরূহ কাজ। জান্নাতে যাওয়ার সহজ পথ হলো তাঁর দীন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে চেষ্টা-প্রচেষ্টা চালানো। যারা দীন প্রতিষ্ঠায় চেষ্টা-প্রচেষ্টা চালায় তাদের দোষ-ত্রুটি ক্ষমা করে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন বলে আল্লাহর প্রকাশ্য ঘোষণা রয়েছে (সুরা সফ ১২)। মোমিনদের সাথে রয়েছে আল্লাহ তায়ালার একটা কেনাবেচার চুক্তি। তিনি বলেন, ‘আল্লাহ জান্নাতের বিনিময়ে মোমিনদের জান-মাল খরিদ করে নিয়েছেন, তারা আল্লাহর পথে লড়াই করে, মারে ও মরে’- সুরা তাওবা ১১১। মসজিদ-মাদ্রাসা নির্মাণ, দরিদ্রদের খাদ্যদান, জনহিতকর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা সবই নেকির কাজ। কিন্তু দীন প্রতিষ্ঠার সাথে কোনো কিছু তুলনীয় নয়। আল্লাহর বাণী, ‘তোমরা কি হাজীদের পানি পান করানো ও মসজিদে হারামের আবাদ করাকে সে ব্যক্তির কাজের সমপর্যায়ের মনে করো- যে আল্লাহ ও পরকালের ওপর ইমান এনেছে এবং আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করেছে; এরা কখনো আল্লাহর কাছে সমান নয়, আল্লাহ তায়ালা জালেমদের কখনো সঠিক পথ দেখান না। যারা ইমান এনেছে, হিজরত করেছে এবং আল্লাহর পথে জান-মাল দিয়ে জেহাদ করেছে তাদের মর্যাদা আল্লাহর কাছে অতি উচ্চে এবং এরাই সফলকাম হবে’- সুরা তাওবা ১৯-২০। আল্লাহ তায়ালা ইমানদার ও কাফেরের মধ্যে পার্থক্য টেনেছেন নিম্নোক্ত ভাষায়, ‘যারা ইমান এনেছে তারা আল্লাহর পথে লড়াই করে আর যারা কুফুরি করেছে তারা লড়াই করে তাগুতের পথে। তোমরা শয়তানের সঙ্গী-সাথিদের বিরুদ্ধে লড়াই করো আর বিশ্বাস করো শয়তানের ষড়যন্ত্র আসলেই দুর্বল’- সুরা নেসা ৭৬। বিশ্বব্যাপী মুসলমান ও কাফেরের মধ্যে বিরোধের মূল কারণ দীন প্রতিষ্ঠার বিষয়ে। কাফের চায় সমাজে তাদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত থাকবে আর মুসলমান চায় কেবল আল্লাহর দীন কায়েম থাকবে যাতে সকলেই একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর হুকুম পালন করতে পারে। যারা ইসলামকে স্রেফ ব্যক্তিগত বিষয় মনে করে তাদের সাথে কাফের-মুশরিকদের কোনো বিরোধ নেই বরং রয়েছে বন্ধুত্ব ও ভালোবাসা। মোমেনদের পরিবর্তে যারা কাফের ও মুশরিকদের বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করে তারা নিরেট মুনাফিক, আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই-এর উত্তরসূরি। আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই-এর নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত সবই ছিল কিন্তু ঐ হতভাগা দীনের বিজয় কামনা করতো না এবং তার সম্পর্ক ছিল ইসলামের দুশমনদের সাথে। তাই সে চিহ্নিত হয়েছে মুনাফিক সরদার হিসেবে এবং তার অবস্থান হবে জাহান্নামের সর্বনিম্নস্তরে। আল্লাহ তায়ালা বিশ্ব মুসলিমকে পরস্পর ভাই হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। আর রসুল (সা) মুসলমানদের একটি দেহের সাথে তুলনা করে বলেছেন, দেহের কোনো অঙ্গে আঘাত প্রাপ্ত হলে সারা দেহে তা অনুভূত হয়। তেমনি কোথাও কোনো মুসলমান নির্যাতিত হলে যার অন্তরে ইমান আছে সে ব্যথা অনুভব করে এবং তার প্রতিক্রিয়াও ব্যক্ত করে। মুসলিম কখনো কাফির-মুশরিককে নিজের বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করতে পারে না এবং যে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করে সে নিরেট মুনাফিক বৈ আর কেউ নন। সকলের সাথে এমন কি ইতর প্রাণির সাথেও সদাচরণ ইসলামের নীতি, কিন্তু বন্ধুত্ব-ভালোবাসা ও অন্তরঙ্গতা সবই হতে হবে আল্লাহ, তাঁর রসুল ও মোমিনদের সাথে। এ প্রসঙ্গে আল্লাহর বাণী, ‘তোমাদের বন্ধু তো আল্লাহ, তাঁর রসুল এবং মোমিনগণ, যারা নামাজ কায়েম করে, জাকাত আদায় করে এবং আল্লাহর সামনে বিনত হয়’- সুরা মায়েদা ৫৫। তিনি আরো বলেন, ‘মুহাম্মদ আল্লাহর রসুল। যেসব লোক তাঁর সাথে আছে তারা (নীতির প্রশ্নে) কাফেরদের প্রতি অত্যন্ত কঠোর, আবার নিজেদের মধ্যে একান্ত সহানুভূতিশীল’- সুরা আল ফাতাহ ২৯। বিশ্বব্যাপী মুসলমানরা নিপীড়ন-নির্যাতনের সম্মুখীন। মুসলিম শাসকবর্গ শত্রু-মিত্র নির্ধারণে আল্লাহর নির্দেশনা ভুলে গেছে। ফলে প্রকৃত শত্রুকে উপেক্ষা করে তারা নিজেরা পরস্পর দলাদলি ও মারামারিতে লিপ্ত। তাদের বর্তমান দুরবস্থা ইসলাম থেকে বিচ্যুতিরই ফল। মুসলিম নির্যাতনের মূল হোতা ইহুদি, খৃষ্টান ও মুশরিকরা এবং সহযোগী হলো তাদের বন্ধু মুসলিম নামধারী মুনাফিকরা। আল্লাহর বাণী, ‘ইমানদারদের সাথে শত্রুতার ক্ষেত্রে তুমি ইহুদি ও মুশরিকদের পাবে সবচেয়ে বেশি কঠোর’- সুরা মায়িদা ৮২। তিনি আরো বলেন, ‘হে ইমানদারগণ! তোমরা ইহুদি ও খৃষ্টানদের নিজেদের বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করো না। তারা নিজেরা একে অপরের বন্ধু; তোমাদের মধ্যে কেউ যদি এদের কাউকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করে তাহলে সে অবশ্যই তাদের দলভুক্ত হবে; আর আল্লাহ তায়ালা কখনই জালেম সম্প্রদায়কে হেদায়াত দান করেন না’- সুরা মায়েদা ৫১। ইসলাম প্রতিষ্ঠায় নিবেদিতপ্রাণ মুসলিম জনগোষ্ঠী সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার। মুসলমানদের একটি বিরাট অংশ নিজেদেরকে মুসলিম পরিচয়ে এখন আর গর্ববোধ করে না। তারা ইসলামকে নিজেদের পূর্ণাঙ্গ জীবনাদর্শ হিসেবে বিশ্বাস করে না ও মানে না। স্রেফ ধর্ম হিসেবে ব্যক্তিগত জীবনে কিছু আচার অনুষ্ঠান মন চাইলে পালন করে কিন্তু সামগ্রিক জীবনে ইসলামী নৈতিকতার ধার ধারে না। এরাই সমাজে সীমাহীন দুর্নীতি ও নানা পাপাচারে নিমজ্জিত এবং কঠোরভাবে ইসলামের বিরোধীতা করে। এদের সকল বন্ধুত্ব কাফের-মুশরিকদের সাথে। ইসলামের শত্রুতায় এরা তাদের চেয়েও অগ্রগামী। এই বিরোধীতার মধ্য দিয়ে তারা কাফের-মুশরিকদের সাথে জাহান্নামকেই নিজেদের ঠিকানা হিসেবে গ্রহণ করে নিয়েছে। আল্লাহর বাণী, ‘যারা ইমানদার নর ও নারীকে কষ্ট দেয় অতপর তাওবা করে না, তাদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের আজাব, আছে ভস্ম হওয়ার শাস্তি’- সুরা বুরুজ ১০। আল্লাহপাক মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ দেখতে চান। তাঁর বাণী, ‘তোমরা আল্লাহর রজ্জু শক্তভাবে আঁকড়ে ধরো এবং কখনো পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না’- সুরা আলে ইমরান ১০৩। তিনি আরো বলেন, ‘তোমাদের মধ্য থেকে এমন একটি দল থাকা উচিত, যারা মানুষকে কল্যাণের দিকে ডাকবে, ন্যায়ের আদেশ দেবে, আর অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখবে, এরাই হচ্ছে সফলকাম’- সুরা আলে ইমরান ১০৪। মুসলিম জনগোষ্ঠীর মাঝে যারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে মানুষকে আল্লাহর দিকে ডাকবে তারাই সফলকাম হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন। এজাতীয় লোকেরা তাঁর প্রিয়ভাজন বলে তিনি স্বীকৃতি দান করেছেন। তাঁর বাণী, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাদেরই ভালোবাসেন যারা আল্লাহর রাস্তায় শীসাঢালা প্রাচীরের মতো জামায়াতবদ্ধভাবে লড়াই করে’- সুরা সফ ৪। আমরা আমাদের আলোচনা উপসংহার টানতে চাই শুরুর কথায়, মুসলিম সেই যে ইসলামে বিশ্বাস করে, ইসলাম মানে ও ইসলাম প্রতিষ্ঠায় চেষ্টা-প্রচেষ্টায় চালায় এবং ইসলামের বিজয় কামনা করে। যার মধ্যে ইসলামের বিজয় কামনা নেই সে নিরেট মুনাফিক; তার নামাজ, রোজা যাবতীয় ইবাদত অনুষ্ঠান স্রেফ ধোকা ও প্রতারণা। আল্লাহপাক আমাদেরকে নির্ভেজাল মোমিন ও মুসলমান হওয়ার তৌফিক দান করুন। আমিন। ৩০.০৩.২০২১।

Comments