বাসায় পেয়াজ নেই। আসরের নামাজের উদ্দেশ্যে মসজিদে যাচ্ছি। ইচ্ছা, নামাজ পড়ে দোকান থেকে পেঁয়াজ নিয়ে আসবো। কিন্তু খেয়াল করলাম পকেটে কোনো টাকা নেই। হাতে সময় ছিল। মসজিদে না গিয়ে আবার বাসায় ফিরে আসলাম। বাসায় তো অনেক মানুষ। কলিং বেল টিপলে বৌমা এগিয়ে এসে খুলে দিল। ফিরে আসায় সবার মধ্যে উৎসুকভাব। বললাম, পেঁয়াজ কিনতে হবে টাকা নেয়া হয়নি। বৌমার শাশুড়ির ভয়ে ফিরে আসলাম। সুমাইয়ার (শ্যালিকার বৌমা) প্রশ্ন খালু কি খালাকে খুব ভয় পান? আমি বললাম, হ্যাঁ। জানো না, রাজ্য শাসন করে রাজা আর রাজাকে শাসন করে রানী। কেন, আমাদের ছেলে তোমাকে ভয় পায় না? সুমাইয়ার জবাব, মোটেই না।
আসলে ঠিক নয়। পরস্পরকে ভয় বা মন জুগিয়ে না চললে সংসারে অশান্তি দেখা দেয়। সংসারে প্রশান্তির জন্য পরামর্শ এবং পরস্পরের চাওয়া-পাওয়ার প্রতি অবশ্যই মনোযোগ দিতে হবে। একে অপরকে খুশি করার একটি প্রচেষ্টা থাকতেই হবে। এমনটি আমাদের প্রিয়তম নবি সা. আমল করে দেখিয়ে দিয়েছেন। তাঁর প্রিয়তমা স্ত্রীরা রসুল সা.-কে খুশি করার জন্য প্রাণান্ত প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। তেমনি রসুলল্লাহ সা. তাঁর স্ত্রীদের ব্যাপারে সতর্ক ছিলেন। সীমাহীন তাঁর ব্যস্ততা। তিনিই সব। তারপরও তাঁর স্ত্রীরা কখনো উপেক্ষিত হননি।
ইসলামে পারিবারিক জীবনকে অত্যন্ত গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে। পরিবারের জন্য ব্যয়কে সর্বোত্তম ব্যয় ও সদাকা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। মুহাম্মদ সা. এই ব্যস্ত মানুষটি এশার পর থেকে নিজেকে একান্তভাবে তাঁর পরিবার ও আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের জন্য সংরক্ষিত করে রেখেছিলেন। স্বামী/স্ত্রী ও সন্তান এবং পরিবারের জন্য সময় দান আমাদের দ্বীনেরই অংশ এবং ইবাদত। আল্লাহ তায়ালা আমাদের জীবনটাকে ভারসাম্যপূর্ণ করার তৌফিক দান করুন। আমিন।
Comments
Post a Comment