Skip to main content

বিপদাপদ সবই আল্লাহর পক্ষ থেকে পরীক্ষা

গতকাল অধ্যাপক মুজিবুর রহমানের লেখা 'কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে রোগীদের জন্য সুসংবাদ'- মাত্র ১৬ পৃষ্ঠার বইটি বাসের ভেতরে পড়ে ফেললাম। দাম মাত্র ১২ টাকা। কাঁটাবন আহসান পাবলিকেশন পরিবেশিত।


পরীক্ষা ছাড়া সাফল্য লাভ সম্ভব নয়। পরীক্ষায় অংশ না নিলে উত্তীর্ণ হওয়ার আনন্দও নেই। আল্লাহর জন্য কে কতখানি ধৈর্যশীল- আল্লাহকে অবশ্যই দেখে নিতে হবে। পরীক্ষা বিভিন্ন ফর্মে আসবে। রোগ-বালাই, ব্যবসা -বাণিজ্য ও চাকরির ক্ষতি এবং শত্রুদের পক্ষ থেকে নানাভাবে পরীক্ষা আসবে। একজন মুমিন পরীক্ষায় ঘাবড়ে না গিয়ে সে আল্লাহর কাছে ধর্ণা দেয়। সর্বোত্তম উপায় হলো, বান্দা নামাজে দণ্ডায়মান হয়ে যাবে। আল্লাহর বাণী, 'তোমরা ধৈর্য ও নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাও। নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে আছেন।' রসুলল্লাহ সা. নিজে আমল করে আমাদের শিখিয়েছেন। বান্দা যখন সেজদায় যায় তখন সে আল্লাহর খুবই নিকটবর্তী হয়ে যায়। তখন সে তার সকল সমস্যা আল্লাহকে অবহিত করার সুযোগ পায়।

আজই পড়লাম, আল্লাহ যখন কোনো জনপদে নবি প্রেরণ করেন তখন সেখানে ক্ষুধা দারিদ্র্য দান করেন যাতে মানুষ বিনয়াবনত হয়। আবার আল্লাহ দুঃখ-কষ্ট দূর করে দিলে সে আল্লাহকে ভুলে যায়। এটা মানব জাতির জন্য একটা দুর্ভাগ্য। একজন মুমিন বিপদাপদে আল্লাহমুখি হয়ে পড়ে। সে পরম ধৈর্য অবলম্বন করে ও তাঁরই কাছে সাহায্য চায়। বিপদাপদ তার গুনাহ ঝরিয়ে দেয় এবং ধৈর্য তার বিপদ দূর করে সাফল্য দান করে। আখেরাতে পুরস্কার তো রয়েছেই।

পক্ষান্তরে বিপদাপদ যদি কাউকে আল্লাহ থেকে বিমুখ করে তাহলে বুঝতে হবে সে বড় দুর্ভাগা এবং আল্লাহ তাকে শাস্তি দিতে চান, দুনিয়া ও আখেরাতে। এবারে করোনা কারো জন্য ছিল আল্লাহর রহমত এবং কারো জন্য ছিল গজব। আমার জানা মতে করোনার ফলে আল্লাহ তায়ালা তাঁর অনেক বান্দাকে তাঁর পথে ফিরে আসার সুযোগ করে দিয়েছেন। আবার অনেক হতভাগা আছে যাদের মধ্যে কোনো চেতনা নেই।

আল্লাহপাক আমাদেরকে সর্বাবস্থায় তাঁর পথে অবিচল থাকার তৌফিক দান করুন। আমিন।

Comments