Skip to main content

কুরআনের পাঠ

অনেক দিন পর আজ ধানমন্ডি মসজিদ উত তাকওয়ায় ফজরের নামাজ আদায় করলাম। মসজিদের দ্বিতীয় ইমাম হাফেজ মাওলানা আব্দুর রশিদ ধারাবাহিক তেলাওয়াতের অংশ হিসেবে আজ পাঠ করলেন সুরা আলে ইমরানের ১৪৯ থেকে ১৬০ আয়াত।


এই আয়াতসমূহে উহুদ যুদ্ধের পর্যালোচনা করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মুসলমানরা জয়লাভ করলেও তাদের কিছু ভুলের কারণে (নেতার আনুগত্যে অবহেলা ও বৈষয়িক স্বার্থ অর্থাৎ গণিমতের মাল) পরাজয় ঘটে। সেই যুদ্ধে ৭০ জন সাহাবি শাহাদত বরণ করেন এবং রসুলল্লাহ সা. স্বয়ং আহত হন (দন্ত মুবারক ভেঙে যায়)।

চরমভাবে বিপর্যয় দেখা দিলে একদল মানুষ বেহুঁশের মতো পালাতে থাকে। তারা রসুলল্লাহ সা.-এর ডাকে সাড়া দিতে পারেনি। অবশ্য সবার অবস্থা তেমন ছিল না। যারা রসুলের সা. ডাকে সাড়া দিয়েছিলেন আল্লাহ তাদের প্রতি প্রশান্তি দান করেন।

বিপর্যয়ের ফলে মুনাফিকরা নানা কথাবার্তা বলতে থাকে। অনেক পরিবারে শাহাদত বরণ করে। তাদেরকে বলতে থাকে, এই যুদ্ধে না গেলে তারা নিহত হতো না। আল্লাহ বলেছেন, মৃত্যুর সময় নির্ধারিত। সময় হলে ঠিকই বধ্যভূমিতে হাজির হবে। নিহত হোক বা স্বাভাবিক মৃত্যু হোক সর্বাবস্থায় আল্লাহরই কাছে হাজির হতে হবে।

আল্লাহর পথে নিহত হলে আল্লাহ তাদেরকে পুরস্কৃত করবেন। আল্লাহই মুমিনদের অভিভাবক এবং উত্তম সাহায্যকারী। তাঁরই উপর নির্ভর করা উচিত। বিপর্যয়টা ছিল একটি পরীক্ষা এবং আল্লাহ তায়ালা মুমিনদেরকে ক্ষমা করে দিয়েছেন।

রসুলল্লাহ সা.-এর প্রশংসা করে বলেছেন, তুমি নম্র হৃদয়ের, সেই কারণে লোকজন তোমার সাথে আছেন, অন্যথায় ছিটকে পড়তেন। ফলে তাদেরকে ক্ষমা করা এবং তাদের সাথে পরামর্শ করার কথা বলেছেন। পরামর্শক্রমে গৃহিত সিদ্ধান্তে অটল থাকার তাগিদ দেয়া হয়েছে।

শেষ আয়াতে বলা হয়েছে, আল্লাহ সাহায্য করলে দুনিয়ার কোনো শক্তি নেই যারা তোমাদের ওপর প্রাধান্য বিস্তার করতে পারে এবং তিনি না চাইলে কেউ কোনো সাহায্য করতেও পারবে না। মুমিনদের সর্বাবস্থায় আল্লাহ তায়ালার ওপর ভরসা করা উচিত।

Comments