চিকিৎসা গ্রহণের ক্ষেত্রে আমার অগ্রাধিকার প্রথমত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (পিজি) এবং দ্বিতীয়ত ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। দুটি চোখেরই ছানি অপারেশন করেছি পিজিতে এবং একবার ডেঙ্গু জ্বরে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছিলাম ইবনে সিনায়। সেবা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে দুটি প্রতিষ্ঠানের প্রতিই আমি সন্তুষ্ট।
সম্প্রতি আমার সহকর্মী প্রফেসর মো. শরিফুল ইসলামের বাইপাস সার্জারি এবং বৌমার ডেলিভারিতে কয়েক দিন হাসপাতালে যাতায়াত করলাম। সেখানে ডাইরেক্টর মহোদয়সহ হাসপাতালের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অনেকের সাথে সাক্ষাৎ ও মেলামেশার সুযোগ হয়েছে। শরিফ স্যার চিকিৎসা শেষে এখন নিজ বাড়িতে (কুষ্টিয়ায়) এবং আল্লাহ তায়ালা আমাদের এক চোখ জুড়ানো নাতনি দিয়েছেন। আলহামদু লিল্লাহ।
মানুষ যে যে পেশায় থাকুক না কেন সেখানে আন্তরিক সেবাদানই হলো সর্বোত্তম ইবাদত। তার মধ্যে রোগীর সেবা অনন্য। এটি শুধু জীবিকা নয়, জান্নাত প্রাপ্তির সহজতম উপায়। একটু দরদ দেখানোর বিনিময়ে প্রভূত সওয়াব। স্কুল জীবনে পড়া কবিতার কথা এখনো মনে উদয় হয়। হাশরের দিন বিচারে বসিয়া সুধাবে জগৎ স্বামী তুমি মোরে করো নাই সেবা যবে রুগ্ন যে ছিলাম। এটি কবির কবিতা নয়। হাদিসের বাণী। কতো আবেগভরা কথা। আল্লাহর সন্তুষ্টির লক্ষ্যে রোগীদের সাথে একটু সদাচরণ কেবল ব্যবসায়ে সাফল্য নয়, আখেরাতে জান্নাত প্রাপ্তিও নিশ্চিত হতে পারে।
ইবনে সিনা ট্রাস্ট পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। মুনাফা নয়, সেবাই মুখ্য। ইবনে সিনা প্রথম শুরু করে চিকিৎসককে নয় রোগীকে ২৫% ছাড় দেয়ার নিয়ম। আল্লাহ তায়ালার মেহেরবানিতে তুলনামূলক কম খরচে আন্তরিক সেবাদান এখনো অব্যাহত রেখেছে। অভিনন্দন ও শুভ কামনা তাদের প্রতি। আল্লাহপাক তাদেরকে দুনিয়া ও আখেরাতে অশেষ কল্যাণ দান করুন।
রিপোর্ট ডেলিভারি ডেস্কের সম্মুখে দাঁড়ালে চোখে পড়লো কালিমা তাইয়েবার দৃষ্টিনন্দন ক্যালিওগ্রাফি। একটি ছবি উঠালাম। ছবিতে পিআরও : নবাব, আতিক ও ইউসুফ।
Comments
Post a Comment