এই মাসেরই ২৭ তারিখ আমাদের আব্বা তাঁর মহান রবের কাছে ফিরে গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলায়হি রজেউন)। আল্লাহরই শেখানো ভাষায় আমরা দোয়া করি- রব্বির হামহুমা কামা রব্বা ইয়ানি ছগিরা।
আবার জানুয়ারি মাসের ৮ তারিখ আমাদের নয় ভাই-বোনের মধ্যে সবার আগে আল্লাহর কাছে ফিরে গেছে আমাদের এক ভাই বিলালী। সে ছিল আত্মীয়তার হক আদায়কারী এবং শিশু-কিশোরদের আপনজন। আমাদের মাঝ থেকে আরো বিদায় নিয়েছে ৭ তারিখে ভগ্নিপতি ছফের ও ২৯ তারিখে ভগ্নিপতি দুলাল।
আমাদের দাদা-দাদি, নানা-নানি, চাচা-ফুফু, মামা-খালা এবং আরো কতো নিকটজন দুনিয়ার কর্ম সমাপ্ত করে আল্লাহর কাছে চলে গেছেন। এছাড়া কতো বন্ধুবান্ধব ও পরিচিত জন। আমরাও মৃত্যুর প্রহর গুনছি।
যারা দুনিয়া থেকে চলে গেছেন তাদের কোনো কর্ম করার ক্ষমতা নেই এবং তাদের নিজের বলেও কিছু নেই। তারা তাদের সন্তান-সন্ততিদের প্রতি চেয়ে আছেন। সন্তানরা যদি ভালো কাজ করে ও দোয়া করে সেটির সওয়াব তারা পেয়ে থাকেন। এজন্য কোনো দিনক্ষণ নেই এবং প্রয়োজন নেই কোনো মোল্লা- পুরোহিতের। দোয়া কবুলের জন্য আল্লাহর দরবার সর্বদা উন্মুক্ত।
সওয়াব পৌঁছানোর জন্য আমি/আপনিই যথেষ্ট। নফল নামাজ, রোজা, দান-সদকা বা যে কোনো নেক আমল করে আল্লাহ তায়ালাকে বলুন, হে রব! আমার এই আমলের সওয়াব আমার পিতা-মাতা, দাদা-দাদি, নানা-নানি বা -- - - কের আমলনামায় পৌঁছে দাও। মুখে উচ্চারণেরও প্রয়োজন নেই, মনে মনে নিয়ত করলেই হবে। এতে আপনিও সওয়াবের ভাগিদার হবেন। আল্লাহর ভাণ্ডার অফুরন্ত।
আজকে আমরা বড়জোর দাদা-দাদি ও নানা-নানিকে স্মরণ করতে পারি। এর পরে আর স্মরণ করতে পারি না। আমাদের অবস্থাটাও তেমনই হবে। তাই আমরা বেশি বেশি ভালো কাজ করি ও সদকায়ে জারিয়া হিসেবে কিছু একটা করে যাই। সর্বোত্তম হলো দোয়াকারী নেক সন্তান।
হে আল্লাহ! দুনিয়া ও আখেরাতে তুমি আমাদের কল্যাণ দান করো। আমিন।
Comments
Post a Comment